ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করা দুই শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ দুর্ঘটনায় আহত সবার চিকিৎসার ব্যয়ভারও সরকার বহন করবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্কুলের নিহত দুজন শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সম্মাননার বিস্তারিত অতি দ্রুত নির্ধারণ করা হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) মাইলস্টোনের হায়দার আলী ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়৷ এ সময় স্কুলে থাকা বিপুলসংখ্যক শিশু শিক্ষার্থী হতাহতের শিকার হয়৷ এ সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেখান বের করে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন মাহরীন চৌধুরী। একপর্যায়ে নিজেই অগ্নিদগ্ধ হন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সময় পাঠদান করছিলেন মাসুকা বেগম। তিনিও দগ্ধ শরীর নিয়েই শিক্ষার্থীদের করে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান।
দুজনের মধ্যে মাহরীনের শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়৷ মাসুকার শরীরেরও ৮৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায়৷ সোমবার রাতেই জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাহরীনের। পরদিন মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মাসুকাও। সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেদের জীবনের পরোয়া না করা এ দুই শিক্ষকের মৃত্যু শোকে আচ্ছন্ন করেছে গোটা দেশকেই।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
দেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম এ বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত ছিলেন দেড় শতাধিক, যার মধ্যে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫৭ জন। হতাহতদের সবার পরিবারের পাশেই দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের চিকিৎসা সেবায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।
এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এ সময় তাদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়া নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে আগামীকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা আয়োজনের সিদ্ধান্তও উপদেষ্টা পরিষদ। ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করা দুই শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ দুর্ঘটনায় আহত সবার চিকিৎসার ব্যয়ভারও সরকার বহন করবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্কুলের নিহত দুজন শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সম্মাননার বিস্তারিত অতি দ্রুত নির্ধারণ করা হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) মাইলস্টোনের হায়দার আলী ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়৷ এ সময় স্কুলে থাকা বিপুলসংখ্যক শিশু শিক্ষার্থী হতাহতের শিকার হয়৷ এ সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সেখান বের করে দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন মাহরীন চৌধুরী। একপর্যায়ে নিজেই অগ্নিদগ্ধ হন। বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সময় পাঠদান করছিলেন মাসুকা বেগম। তিনিও দগ্ধ শরীর নিয়েই শিক্ষার্থীদের করে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালান।
দুজনের মধ্যে মাহরীনের শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়৷ মাসুকার শরীরেরও ৮৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে যায়৷ সোমবার রাতেই জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাহরীনের। পরদিন মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান মাসুকাও। সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের জন্য নিজেদের জীবনের পরোয়া না করা এ দুই শিক্ষকের মৃত্যু শোকে আচ্ছন্ন করেছে গোটা দেশকেই।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
দেশের ইতিহাসের ভয়াবহতম এ বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত ছিলেন দেড় শতাধিক, যার মধ্যে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫৭ জন। হতাহতদের সবার পরিবারের পাশেই দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের চিকিৎসা সেবায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।
এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের শুরুতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এ সময় তাদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়া নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে আগামীকাল শুক্রবার (২৫ জুলাই) সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা আয়োজনের সিদ্ধান্তও উপদেষ্টা পরিষদ। ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে বলা হয়েছে।
আসক মনে করছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্যের কারণেই সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করে, যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। গুলিতে নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে। কারফিউ ও ১৪৪ ধারা চলাকালে নির্বিচারে নাগরিকদের আটক ও গ্রেপ্তারের অভিযোগ রয়েছ
৬ ঘণ্টা আগে