
রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীতে অব্যাহত তীব্র দাবদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বেলা বাড়তেই তেতে উঠছে সবুজ নগরীর পথ-ঘাট। কাঠফাঁটা রোদ ও গুমোট গরমে রাজশাহীর মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অব্যাহতভাবে প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে পদ্মাপাড়ের বিভাগীয় শহর রাজশাহী। অগ্নিদহনে যেন বিবর্ণ হয়ে উঠেছে রাজশাহীর সবুজ প্রকৃতি! রুক্ষ আবহাওয়ায় গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। টানা দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের তথ্য মতে, সাধারণত দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে তাকে মৃদু তাপদাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর থাকলে তাকে মাঝারি তাপদাহ হিসেবে ধরা হয়। আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে ধরা হয় তীব্র তাপদাহ হিসেবে। এই হিসেবে রাজশাহীতে চলমান মাঝারি তাপপ্রবাহ বুধবার রূপ নিয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহে।
তীব্র এই তাপপ্রবাহের কারণে দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ। তারা জানান, আকাশ থেকে যেন আগুন ঝরছে। রোদের তীব্রতায় পুড়ে যাচ্ছে শরীরের চামড়া। রক্ত গরম হয়ে হিটস্ট্রোক হওয়ার উপক্রম। এমন অবস্থা কয়েকদিন ধরে চলছে। এমন তাপপ্রবাহ আর প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের জনজীবন। শ্রমজীবীদের অবস্থা আরও বেশি ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় রাজশাহীর রাস্তাঘাটে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে। কিন্তু ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বাসা-বাড়িতে স্বস্তি নেই। ঠিকমতো ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই না পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে দুষছেন শহরের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তপ্ত আবহওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিদেরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। একটু শীতল প্রশান্তির জন্য শিশু-কিশোররা পুকুর, নদী-নালার পানিতে নেমে দাপাদাপি করছে। পথচারীরা টিউবয়েলের পানিতে মুখ ভিজিয়ে উত্তপ্ত আবহাওয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে।
নগরীর রিকশা চালক সাজদুর রহমান বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপদাহ বাড়ে। তাতে তাদের কষ্টও বাড়ে। তবে যতই রোদ হোক না কেন রিকশা চালাতেই হবে। কিন্তু রোদে শরীরে পুড়ে কাহিল হয়ে যাচ্ছি। তাই আয়ও কমে যাচ্ছে।
শাহজাহান নামে অপর এক রিকশাচালক বলেন, যে গরম, রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। একটানা চালাতে পারি না, শরীর দুর্বল হয়ে যায়। থেমে থেমে বিশ্রাম নেওয়া লাগে। গরমে বেশি চালাতে পারি না বলে রোজগারটাও কমে গেছে। আগে হয়তো সকাল থেকে ২০ জন যাত্রী নিতাম, এখন ১০ জনের বেশি পারি না, শরীর কুলায় না।
তিনি আরও বলেন, গরমে দুর্বল লাগলে পানি খাই, স্যালাইন খাই। ভালো হয় ডাব খাইলে, কিন্তু ডাবের যে দাম তাতে তো পোষাবে না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, বুধবার রাজশাহীতে তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। এদিন বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে চলতি মাসের ৬ তারিখ রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা নমনীয় হয়। কিন্তু গত দুইদিন ধরে আবারো তা বেড়ে যায়। ১৫ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, আর পরদিন মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা বাড়বেই। আর আপাতত রাজশাহীতে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েকদিন থেকেই রাজশাহীতে যে তীব্র গরম ও কাঠফারা রোদ বিরাজ করছে তা আরো কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া আরও অন্তত ৩-৪ দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যমতে, ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও উল্লেখ করা হয়।

রাজশাহীতে অব্যাহত তীব্র দাবদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বেলা বাড়তেই তেতে উঠছে সবুজ নগরীর পথ-ঘাট। কাঠফাঁটা রোদ ও গুমোট গরমে রাজশাহীর মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অব্যাহতভাবে প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পুড়ছে পদ্মাপাড়ের বিভাগীয় শহর রাজশাহী। অগ্নিদহনে যেন বিবর্ণ হয়ে উঠেছে রাজশাহীর সবুজ প্রকৃতি! রুক্ষ আবহাওয়ায় গাছের পাতাও যেন নড়ছে না। টানা দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষকদের তথ্য মতে, সাধারণত দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকলে তাকে মৃদু তাপদাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর থাকলে তাকে মাঝারি তাপদাহ হিসেবে ধরা হয়। আর ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে ধরা হয় তীব্র তাপদাহ হিসেবে। এই হিসেবে রাজশাহীতে চলমান মাঝারি তাপপ্রবাহ বুধবার রূপ নিয়েছে তীব্র তাপপ্রবাহে।
তীব্র এই তাপপ্রবাহের কারণে দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ। তারা জানান, আকাশ থেকে যেন আগুন ঝরছে। রোদের তীব্রতায় পুড়ে যাচ্ছে শরীরের চামড়া। রক্ত গরম হয়ে হিটস্ট্রোক হওয়ার উপক্রম। এমন অবস্থা কয়েকদিন ধরে চলছে। এমন তাপপ্রবাহ আর প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের জনজীবন। শ্রমজীবীদের অবস্থা আরও বেশি ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় রাজশাহীর রাস্তাঘাটে মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে। কিন্তু ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বাসা-বাড়িতে স্বস্তি নেই। ঠিকমতো ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই না পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগকে দুষছেন শহরের বাসিন্দারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উত্তপ্ত আবহওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মানুষের পাশাপাশি হাঁসফাঁস অবস্থা পশু-পাখিদেরও। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সবকিছুই উত্তপ্ত। একটু শীতল প্রশান্তির জন্য শিশু-কিশোররা পুকুর, নদী-নালার পানিতে নেমে দাপাদাপি করছে। পথচারীরা টিউবয়েলের পানিতে মুখ ভিজিয়ে উত্তপ্ত আবহাওয়া থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে।
নগরীর রিকশা চালক সাজদুর রহমান বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপদাহ বাড়ে। তাতে তাদের কষ্টও বাড়ে। তবে যতই রোদ হোক না কেন রিকশা চালাতেই হবে। কিন্তু রোদে শরীরে পুড়ে কাহিল হয়ে যাচ্ছি। তাই আয়ও কমে যাচ্ছে।
শাহজাহান নামে অপর এক রিকশাচালক বলেন, যে গরম, রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হয়। একটানা চালাতে পারি না, শরীর দুর্বল হয়ে যায়। থেমে থেমে বিশ্রাম নেওয়া লাগে। গরমে বেশি চালাতে পারি না বলে রোজগারটাও কমে গেছে। আগে হয়তো সকাল থেকে ২০ জন যাত্রী নিতাম, এখন ১০ জনের বেশি পারি না, শরীর কুলায় না।
তিনি আরও বলেন, গরমে দুর্বল লাগলে পানি খাই, স্যালাইন খাই। ভালো হয় ডাব খাইলে, কিন্তু ডাবের যে দাম তাতে তো পোষাবে না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, বুধবার রাজশাহীতে তীব্র তাপদাহ শুরু হয়েছে। এদিন বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে চলতি মাসের ৬ তারিখ রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা নমনীয় হয়। কিন্তু গত দুইদিন ধরে আবারো তা বেড়ে যায়। ১৫ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, আর পরদিন মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা বাড়বেই। আর আপাতত রাজশাহীতে বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত কয়েকদিন থেকেই রাজশাহীতে যে তীব্র গরম ও কাঠফারা রোদ বিরাজ করছে তা আরো কয়েকদিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া আরও অন্তত ৩-৪ দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যমতে, ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও উল্লেখ করা হয়।

রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রোপাগান্ডা চালানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাদের কর্মকাণ্ড ও আদর্শিক অবস্থান কাছ থেকে দেখে সেই বিভ্রান্তি কাটিয়ে উঠছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, রাজশাহীর চাষীরা বাংলাদেশের মৎস্য চাষে যুগান্তকারী পরিবর্তন করেছেন। বিদেশনির্ভর বড় আকারের রুই থেকে রাজশাহীর জীবন্ত রুইজাতীয় মাছ আজ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়েছে। আজ সময় এসেছে বিদেশে রপ্তানি উপযোগী করার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি, নীতিমালা গ্রহণ করা। সর
৪ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুর সদর উপজেলায় ইজিবাইক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার দশমাইল সড়কের গম গবেষণা কেন্দ্রের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই ইজিবাইকের যাত্রী ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগে
ভোর সকালে বাড়ির পাশে গরুর জন্য খড় আনতে গিয়ে আগে থেকে পড়ে থাকা চিড়া বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয় বড় ভাই নুরু খান। তাকে বাঁচাতে দৌড়ে গেলে ছোট ভাই ফজলু খানও একই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে ঘটনাস্থলেই তাদের দুইজনের মৃত্যু হয়।
৭ ঘণ্টা আগে