অটোরিকশার মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মাথা বিচ্ছিন্ন

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
দুর্ঘটনায় মাথা বিচ্ছিন্ন নারীকে দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড়

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় অটোরিকশার ইলেকট্রিক মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে নাসিমা বেগম (৩২) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় ডামুড্যা–শরীয়তপুর সদর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত নাসিমা বেগম দাইমি চর ভয়রা এলাকার আসাদ হাওলাদারের স্ত্রী। তিনি ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে ছেলেকে নিয়ে শরীয়তপুর সদরের উদ্দেশে অটোরিকশায় রওনা হন নাসিমা। কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছালে তাঁর পরা ওড়না অটোরিকশার পেছনের মোটরে পেঁচিয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে ওড়নার টানে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অটোরিকশার ভেতরেই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নাসিমার। মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে তাঁর ৯ বছরের ছেলে আয়ন অজ্ঞান হয়ে যায়। অন্য যাত্রীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, “গতকাল নাসিমার ছেলের আকিকার অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে আজ সকালে ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি। পথে ওড়না মোটরে পেঁচিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে।”

তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির পক্ষে দাঁড়াবে না রাজশাহীর কোনো আইনজীবী

পুলিশ হেফাজতে থাকা প্রধান অভিযুক্তের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয় জানিয়ে তারা বলেন, এতে তদন্তের স্বচ্ছতা ও বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

৫ ঘণ্টা আগে

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের শাটডাউনে সাড়া নেই

আওয়ামী লীগের ডাকা শাটডাউন রাজশাহীর জনজীবনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। নগরী ও জেলাজুড়ে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যথারীতি চালু ছিল। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রমেও কোনো বিঘ্ন লক্ষ্য করা যায়নি।

৫ ঘণ্টা আগে

কুমিল্লায় মা-ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

৯ ঘণ্টা আগে

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না: স্বপন

জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, নির্বাচন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন, সেনাপ্রধান অতি দ্রুত নির্বাচন করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং জনগণের মধ্যে যে শক্তির ঐক্য দেখা গেছে তার মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেছে— আগামী ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না।

২০ ঘণ্টা আগে