পটুয়াখালী প্রতিনিধি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক টেনে-হিঁচড়ে তুলে নেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মাঝের দেওর গ্রামে ঘটেছে। তবে পুলিশ বলছে, এটি পারিবারিক বিষয়।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফেসবুকে ভিডিওটি প্রকাশ করেন ওই গ্রামের মৃত কাসেম গাজীর ছেলে কামাল গাজী। ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে বলছেন, 'আমারে বাঁচা, বাঁচা আমারে, আমারে একটু বাঁচা।' ভিডিওর ক্যাপশনে কামাল দাবি করেন, টেনে নেওয়া নারী তাঁর স্ত্রী এবং তাঁকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি দেশবাসীর কাছে স্ত্রীর জন্য সহযোগিতা চান।
তবে এরপর কামালের একটি আগের পোস্ট ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, যেখানে তিনি এ ঘটনায় বিএনপির লোকজনকে দায়ী করেছিলেন। বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নিচ্ছিল। পরে সেই পোস্ট মুছে ফেলেন কামাল গাজী।
এ ঘটনায় রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, ভিডিওতে দেখা যাওয়া নারীর নাম তন্নি আক্তার (১৭)। তিনি বালিয়াবুনিয়া গ্রামের শওকত হাওলাদারের মেয়ে। তন্নির সঙ্গে মাঝের দেওর গ্রামের কামাল গাজীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তন্নি সম্প্রতি বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে কামালের বাড়িতে ওঠেন। তবে কোথায় ও কবে তাঁদের বিয়ে হয়েছে, তা জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে তন্নির বাবা শওকত হাওলাদার, চাচা ও মামাসহ স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে তন্নিকে ফেরত নিতে যান। তন্নি স্বেচ্ছায় যেতে না চাইলে একপর্যায়ে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ১৭ বছর বয়সী তন্নি এখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের পরিবারকে না জানিয়ে একজন পলাতক ব্যক্তির বাড়িতে উঠেছিলেন। কামাল গাজী ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বর্তমানে এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তন্নিকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার ভিডিওটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অতিরঞ্জিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কেউ যেন ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করতে না পারে, সে জন্য মাঠপর্যায়ে কাজ করছে একাধিক পুলিশি টিম।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক নারীকে হাত-পা বেঁধে জোরপূর্বক টেনে-হিঁচড়ে তুলে নেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মাঝের দেওর গ্রামে ঘটেছে। তবে পুলিশ বলছে, এটি পারিবারিক বিষয়।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ফেসবুকে ভিডিওটি প্রকাশ করেন ওই গ্রামের মৃত কাসেম গাজীর ছেলে কামাল গাজী। ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারী কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে বলছেন, 'আমারে বাঁচা, বাঁচা আমারে, আমারে একটু বাঁচা।' ভিডিওর ক্যাপশনে কামাল দাবি করেন, টেনে নেওয়া নারী তাঁর স্ত্রী এবং তাঁকে মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি দেশবাসীর কাছে স্ত্রীর জন্য সহযোগিতা চান।
তবে এরপর কামালের একটি আগের পোস্ট ঘিরে বিভ্রান্তি তৈরি হয়, যেখানে তিনি এ ঘটনায় বিএনপির লোকজনকে দায়ী করেছিলেন। বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নিচ্ছিল। পরে সেই পোস্ট মুছে ফেলেন কামাল গাজী।
এ ঘটনায় রাঙ্গাবালী থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল জানান, ভিডিওতে দেখা যাওয়া নারীর নাম তন্নি আক্তার (১৭)। তিনি বালিয়াবুনিয়া গ্রামের শওকত হাওলাদারের মেয়ে। তন্নির সঙ্গে মাঝের দেওর গ্রামের কামাল গাজীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তন্নি সম্প্রতি বাবার বাড়ি থেকে পালিয়ে কামালের বাড়িতে ওঠেন। তবে কোথায় ও কবে তাঁদের বিয়ে হয়েছে, তা জানা যায়নি।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে তন্নির বাবা শওকত হাওলাদার, চাচা ও মামাসহ স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে তন্নিকে ফেরত নিতে যান। তন্নি স্বেচ্ছায় যেতে না চাইলে একপর্যায়ে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ আরও জানায়, ১৭ বছর বয়সী তন্নি এখনো অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজের পরিবারকে না জানিয়ে একজন পলাতক ব্যক্তির বাড়িতে উঠেছিলেন। কামাল গাজী ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বর্তমানে এলাকা ছেড়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন। তন্নিকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার ভিডিওটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে অতিরঞ্জিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কেউ যেন ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করতে না পারে, সে জন্য মাঠপর্যায়ে কাজ করছে একাধিক পুলিশি টিম।
কুমিল্লার মুরাদনগরের আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনার ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেমামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় ফজর আলীকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তিনি একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। পুলিশ এখনো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
১৬ ঘণ্টা আগেশুধু তাই নয়, জেলা সদর হাসপাতালের জন্য কিট সরবরাহ করা হলেও উপজেলা পর্যায়ে কোনো কিট দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা শনাক্তের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে উপজেলায় কারও করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করতে হলে তাকেও জেলা সদরে যেতে হচ্ছে।
১৭ ঘণ্টা আগে