পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলী ইউনিয়নের উত্তর আমখোলা গ্রামে একটি তালগাছ থেকে ৩০টিরও বেশি বাবুই পাখির বাসা ও ডিম ধ্বংস করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় ছিদ্দিক মোল্লা পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠন, গলাচিপার সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে এলাকার পৃথক দুটি স্থান থেকে বাবুই পাখির ১২টি বাসা ও ১২টি ডিম উদ্ধার করেন। আরও কিছু বাসা ও ডিম নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উত্তর আমখোলা গ্রামের ছিদ্দিক মোল্লা নামের এক ব্যক্তির জমির পাশে সড়কের ধারে একটি তাল গাছ রয়েছে। জমির পাশে ওই তাল গাছটি অনেক বছর ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। গাছটিতে অসংখ্য ঝুলন্ত বাসা, ডিম ও ছানা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ক্ষেতের ফসল নষ্টের অজুহাত তুলে ছিদ্দিক মোল্লা বেশ কিছুদিন ধরেই তার জমির পাশের তাল গাছের বাবুই পাখির বাসা নষ্ট করতে চাইছিলেন। স্থানীয়দের অনেকেই তাকে বলেন, এ কাজ করা ঠিক হবে না। এ অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যার দিকে সুয়োগ বুঝে ছিদ্দিক মোল্লা ডিমসহ বাবুই পাখির বেশ কয়েকটি বাসা বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ডিমসহ নিচে ফেলে দেন। এ সময় বাসা নিচে পড়ে বেশ কিছু ডিম ভেঙে যায়।
খবর পেয়ে গলাচিপা বন বিভাগ ও পটুয়াখালীর স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্যদের বিষয়টি জানান স্থানীয়রা। রাত ৯টার দিকে বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্যরা এলাকায় অভিযানে নামেন। এ সময় তারা ছিদ্দিক মোল্লার বাড়ির পাশে ও তাল গাছসংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে বাবুই পাখির ১২টি বাসা ও ১২টি ডিম উদ্ধার করতে সক্ষম হন। অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্ত ছিদ্দিক মোল্লা বসত ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
সেচ্ছাসেবী প্রানিকল্যাণ সংগঠন, পটুয়াখালীর রেসকিউ অ্যান্ড রিলিজ উইংয়ের প্রধান মো. আসাদুল্লাহ হাসান বলেন, দেশে তাল গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বাবুই পাখির বংশবৃদ্ধির গতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগে যেভাবে বাবুই পাখি সচারাচর দেখা যেত, এখন আর তা দেখা যায় না। এমন প্রতিকূল পরিবেশেও যারা অনেক কষ্ট করে টিকে আছে, তাদের প্রতি এ আচরণ অমানবিক। এ ঘটনার বিচারের দাবি জানাই আমরা।
বন বিভাগ, গলাচিপার রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রী বলেন, খবর পেয়ে রাতেই আমরা স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে অভিযান চালাই। রাত সাড়ে ৩টা পর্য়ন্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে স্থানীয়রাও সহযোগিতা করেন। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হবে।
এর আগে গত ২৭ জুন ঝালকাঠিতে তাল গাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২৯ জুন ঝালকাঠি থানায় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী স্থানীয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই মামলার প্রধান আসামি মোবারক আলী ফকিরকে (৬৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তার মোবারক ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকার বাসিন্দা।
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আমখোলী ইউনিয়নের উত্তর আমখোলা গ্রামে একটি তালগাছ থেকে ৩০টিরও বেশি বাবুই পাখির বাসা ও ডিম ধ্বংস করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় ছিদ্দিক মোল্লা পলাতক থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে বন বিভাগের কর্মকর্তাসহ স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠন, গলাচিপার সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে এলাকার পৃথক দুটি স্থান থেকে বাবুই পাখির ১২টি বাসা ও ১২টি ডিম উদ্ধার করেন। আরও কিছু বাসা ও ডিম নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উত্তর আমখোলা গ্রামের ছিদ্দিক মোল্লা নামের এক ব্যক্তির জমির পাশে সড়কের ধারে একটি তাল গাছ রয়েছে। জমির পাশে ওই তাল গাছটি অনেক বছর ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। গাছটিতে অসংখ্য ঝুলন্ত বাসা, ডিম ও ছানা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ক্ষেতের ফসল নষ্টের অজুহাত তুলে ছিদ্দিক মোল্লা বেশ কিছুদিন ধরেই তার জমির পাশের তাল গাছের বাবুই পাখির বাসা নষ্ট করতে চাইছিলেন। স্থানীয়দের অনেকেই তাকে বলেন, এ কাজ করা ঠিক হবে না। এ অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যার দিকে সুয়োগ বুঝে ছিদ্দিক মোল্লা ডিমসহ বাবুই পাখির বেশ কয়েকটি বাসা বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে ডিমসহ নিচে ফেলে দেন। এ সময় বাসা নিচে পড়ে বেশ কিছু ডিম ভেঙে যায়।
খবর পেয়ে গলাচিপা বন বিভাগ ও পটুয়াখালীর স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্যদের বিষয়টি জানান স্থানীয়রা। রাত ৯টার দিকে বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সদস্যরা এলাকায় অভিযানে নামেন। এ সময় তারা ছিদ্দিক মোল্লার বাড়ির পাশে ও তাল গাছসংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে বাবুই পাখির ১২টি বাসা ও ১২টি ডিম উদ্ধার করতে সক্ষম হন। অভিযানের খবর পেয়ে অভিযুক্ত ছিদ্দিক মোল্লা বসত ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান।
সেচ্ছাসেবী প্রানিকল্যাণ সংগঠন, পটুয়াখালীর রেসকিউ অ্যান্ড রিলিজ উইংয়ের প্রধান মো. আসাদুল্লাহ হাসান বলেন, দেশে তাল গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বাবুই পাখির বংশবৃদ্ধির গতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগে যেভাবে বাবুই পাখি সচারাচর দেখা যেত, এখন আর তা দেখা যায় না। এমন প্রতিকূল পরিবেশেও যারা অনেক কষ্ট করে টিকে আছে, তাদের প্রতি এ আচরণ অমানবিক। এ ঘটনার বিচারের দাবি জানাই আমরা।
বন বিভাগ, গলাচিপার রেঞ্জ কর্মকর্তা নয়ন মিস্ত্রী বলেন, খবর পেয়ে রাতেই আমরা স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে অভিযান চালাই। রাত সাড়ে ৩টা পর্য়ন্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযানে স্থানীয়রাও সহযোগিতা করেন। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হবে।
এর আগে গত ২৭ জুন ঝালকাঠিতে তাল গাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ২৯ জুন ঝালকাঠি থানায় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী স্থানীয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই মামলার প্রধান আসামি মোবারক আলী ফকিরকে (৬৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তার মোবারক ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকার বাসিন্দা।
হস্তান্তর করা বাংলাদেশিদের মধ্যে পুরুষ রয়েছেন চারজন, নারী পাঁচজন। বাকি ছয়জন শিশু। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও গাজীপুর জেলায়। বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়েছিলেন তারা।
১৬ ঘণ্টা আগেনিহত মোবারকের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল বুধবার (৩০ জুলাই) বাবা নুরুল আমীনকে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে ছেলে মোবারক বাড়ি থেকে দৌড়ে ছাতা নিয়ে বাবার হাতে তুলে দেয়। কিন্তু বাবা তার হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে ছেলের মাথায় কোপ দেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজেদের নৌকায় পারাপার হলেও দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে ঘাটে দিতে হতো ইজারার টাকা। স্থানীয় প্রভাবশালীদের এমন চাপে অতিষ্ঠ হয়ে কয়েক মাস ধরে ঘাট ইজারা প্রথা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হলে সাড়া দেয় প্রশাসনও। বন্ধ হয় ঘাটপ্রথার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়। তবে এমন ভোগান্তির স্থায়ী অবসান চান রাজশাহীর চর আষাড়িয়াদহবাসী।
১৯ ঘণ্টা আগেরাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার রহমান সিয়ামের বিরুদ্ধে ইন্টার্নশিপ না করেও চূড়ান্ত সনদ এবং আড়াই লাখ টাকার বেশি বেতন উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
১ দিন আগে