বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে রংপুর অঞ্চলের আমন আবাদে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ১৫
আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে উত্তরাঞ্চলের কৃষিতে। খাল-বিল, নদী-নালা ভরে উঠেছে বর্ষার জলে, আর সেই সঙ্গে প্রতিটি গ্রামের ফসলের মাঠে শুরু হয়েছে আমন ধান রোপণের ধুম। কৃষকদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে, দম ফেলার সময় নেই।

লালমনিরহাট জেলাসহ রংপুর বিভাগের আটটি জেলায় এ বছর আষাঢ় মাসে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে শ্রাবণের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টিতে ছবিটা সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) প্রতিটি গ্রামের মাঠেঘাটে বৃষ্টির পানিতে টইটুম্বর দেখা গেছে। এসময় কৃষক রোপা আমন ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন।

তবে একসঙ্গে সব মাঠে কাজ শুরু হওয়ায় কৃষি শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। চড়া দামে চুক্তিতে কৃষি শ্রমিকরা কাজ করছেন। এতে প্রতি একরে কৃষকদের অতিরিক্ত ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, লালমনিরহাটে চলতি মৌসুমে ৫৩ হাজার ৫০৩ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা থেকে এক লাখ ৬১ হাজার ৬৭৩ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেক কৃষককে প্রণোদনা হিসেবে ধানবীজ ও সার দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির অভাবে এ বছর আমন ধান রোপণ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। তবে উঁচু জমিতে কৃষকরা ইতিমধ্যেই কৃত্রিম সেচ ব্যবহার করে রোপা আমন রোপণ শুরু করেছেন। রোপা আমন ধান মূলত প্রকৃতি-নির্ভর চাষাবাদ, যা বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল।

তবে কিছু কৃষক আধুনিক কৃষির দিকে ঝুঁকছেন। তাঁরা উঁচু জমিতে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত আষাঢ় মাসে বৃষ্টি না হওয়ায় ১৫-২০ ভাগ জমিতে সেচ দিয়ে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। শ্রাবণের শেষ সপ্তাহে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় মাঠে থাকা ফাঁকা জমিতে কৃষকরা এখন পুরোদমে রোপা আমন চারা রোপণ করছেন। আশা করা হচ্ছে, ভাদ্র মাসের প্রথম সপ্তাহেই জেলায় শতভাগ রোপা আমন চারা রোপণ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাইখুল আরিফিন জানিয়েছেন, আমন ধানের চাষাবাদ কিছুটা প্রকৃতি নির্ভর হওয়ায় বৃষ্টি বিলম্বিত হওয়ায় কৃষকদের সেচ দিয়ে চারা রোপণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিভাগের এই পরামর্শ মেনে অনেক কৃষক আষাঢ়-শ্রাবণ মাসেই প্রায় ১৫-২০ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন।

তবে শ্রাবণের শেষ দিক এবং ভাদ্র মাসের শুরু থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকদের কাজ আরও সহজ হয়েছে। তাদের জমি আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল, আর বৃষ্টির পানিতে কাদা তৈরি হওয়ায় দ্রুত চারা রোপণ শুরু করতে পেরেছেন। বর্তমানে প্রায় ৯৬ ভাগ আমন ধানের চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানান।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

যৌন নির্যাতনের শিকার ৫ বছরের শিশু, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাটি তারা জানার পর পুলিশকে জানালেও পুলিশ কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়নি।

২ দিন আগে

সাপের কামড়ে প্রাণ গেল ইজিবাইকের চালকের

২ দিন আগে

হঠাৎ ঝড়ে ঘরবাড়ি-গাছপালা লণ্ডভণ্ড, পান বরজের ব্যাপক ক্ষতি

ঝড়ের কবলে পড়া এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঝড়ের পর গাছে চাপা পড়ে জাটিয়া ইউনিয়নের নিজতুলন্দর গ্রামের সুরুজ আলীর দুটি, নুরুল ইসলামের একটি, আব্দুর রহিমের দুটি, আবু সিদ্দিকের একটি ও ইদ্রিস আলীর দুটি এবং সোহাগী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের রিপনের দুটি, শাহ্ নেওয়াজের একটি ও সিরাজুল ইসলামের একটি বসতঘর ভেঙে গেছে

২ দিন আগে

আলোচিত ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এখন সিলেটের ডিসি

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা সারোয়ার আলমকে সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে বদলি ও পদায়ন করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

২ দিন আগে