কার্ত্তিক দাস, নড়াইল
নড়াইল পৌর সভার ভওয়াখালি গ্রামের পাকা রাস্তা ধরে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোলে রাস্তার দু'পাশে চোখে পড়ে সবুজ ফসলের মাঠ। প্রায় দুই মাইল পর দিগন্ত রেখার কাছে সবুজের বুক চিরে উঁকি দেয় বাড়িঘর। মাটির উঁচু ঢিবিতে গড়ে উঠেছে একেকটি পাড়া, যেখানে কয়েকটি বসতবাড়ি মিলে এক একটি বসতি পাড়া। এমন ১৬টি পাড়া নিয়ে বাহিরডাঙ্গা গ্রাম।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও গ্রামটি উন্নয়নের দিক থেকে বঞ্চিত।
পৌরভবন থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর দিকে পাথরঘাটা বিলে এ গ্রামের অবস্থান। গ্রামের শতভাগ বাসিন্দা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এখানকার ভোটার সংখ্যা প্রায় এক হাজার। কৃষিকাজই তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাহিরডাঙ্গা গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি পিচের হলেও এর অবস্থা বেহাল। এটি কোনোভাবেই যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। এমনকি সন্ধ্যার পর হেঁটে চললেও পা মচকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক ঢিবি থেকে অন্য ঢিবিতে যাওয়ার জন্য কোনো সুব্যবস্থা নেই।
গ্রামে এনজিও পরিচালিত একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, তাও বর্ষায় পানি উঠায় বন্ধ। একটি জীর্ণ মন্দির আছে। এখানে পৌরসভা থেকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
কৃষক হরিপদ অভিযোগ করেন ভোট আসলি প্রার্থীদের পা পড়ে এ গিরামে (গ্রামে)
গ্রামের প্রিয়নাথ বিশ্বাসের ক্ষোভটা একটু বেশি। তিনি বলেন, বেশ আগে শুনিছি গিরামের রাস্তা করার নামে চিয়ারম্যান-মেম্বররা (মেয়র-কাউন্সিলর) দুইবার টাকা তুলে খেয়ে ফেলেছিল। সেই জন্যি দুদকের লোকজন গিরামে খোজ নিতি আসতো । তারা রাস্তা দেহে সব কিছু বুঝে ফেলে ।
গৃহবধূ দুর্গারানী বিশ্বাস জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে তিনি এই গ্রামে বউ হয়ে এসেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো উন্নয়ন চোখে পড়েনি। যাতায়াতের জন্য ভালো কোনো রাস্তা নেই; ভাঙাচোরা পথ দিয়ে চলতে গিয়ে পা মচকে যাওয়ার ভয় থাকে। গ্রামে ভালো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় ছেলেমেয়েরা তিন-চার মাইল দূরের স্কুলে যেতে আগ্রহ দেখায় না। বর্ষাকালে নৌকা, তালের ডোঙ্গা বা কলাগাছের ভেলা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
স্কুলছাত্রী অপর্ণা বিশ্বাস বলেন, গ্রামে স্কুল না থাকায় আমাদের দূরের স্কুলে যেতে হয়। বেশি দূর হওয়ায় প্রতিদিন স্কুলে যেতেও মন চায় না। বর্ষাকালে স্কুলে যাই-ই না।
নিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, সেই ১৯৭২ সাল থেকে গ্রামের মানুষ ভোট ও পৌর ট্যাক্স দিয়ে গেলেও তেমন কোন উন্নয়নের লাগেনি এই গ্রামে।
তিনি বলেন, এই গ্রামে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ বসবাস করলেও পৌর নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে তাদের দ্বিধা হয়। যাতায়াতের রাস্তার জন্য গ্রামের মানুষ পৌরসভাকে বিনা পয়সায় জমি দিলেও তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গ্রাম বলেই কি এত অবহেলা?
জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে অবশ্যই উন্নয়ন হবে।
নড়াইল পৌর সভার ভওয়াখালি গ্রামের পাকা রাস্তা ধরে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোলে রাস্তার দু'পাশে চোখে পড়ে সবুজ ফসলের মাঠ। প্রায় দুই মাইল পর দিগন্ত রেখার কাছে সবুজের বুক চিরে উঁকি দেয় বাড়িঘর। মাটির উঁচু ঢিবিতে গড়ে উঠেছে একেকটি পাড়া, যেখানে কয়েকটি বসতবাড়ি মিলে এক একটি বসতি পাড়া। এমন ১৬টি পাড়া নিয়ে বাহিরডাঙ্গা গ্রাম।
প্রথম শ্রেণির পৌরসভাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও গ্রামটি উন্নয়নের দিক থেকে বঞ্চিত।
পৌরভবন থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তর দিকে পাথরঘাটা বিলে এ গ্রামের অবস্থান। গ্রামের শতভাগ বাসিন্দা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এখানকার ভোটার সংখ্যা প্রায় এক হাজার। কৃষিকাজই তাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাহিরডাঙ্গা গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি পিচের হলেও এর অবস্থা বেহাল। এটি কোনোভাবেই যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। এমনকি সন্ধ্যার পর হেঁটে চললেও পা মচকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক ঢিবি থেকে অন্য ঢিবিতে যাওয়ার জন্য কোনো সুব্যবস্থা নেই।
গ্রামে এনজিও পরিচালিত একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, তাও বর্ষায় পানি উঠায় বন্ধ। একটি জীর্ণ মন্দির আছে। এখানে পৌরসভা থেকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের কোনো ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না।
কৃষক হরিপদ অভিযোগ করেন ভোট আসলি প্রার্থীদের পা পড়ে এ গিরামে (গ্রামে)
গ্রামের প্রিয়নাথ বিশ্বাসের ক্ষোভটা একটু বেশি। তিনি বলেন, বেশ আগে শুনিছি গিরামের রাস্তা করার নামে চিয়ারম্যান-মেম্বররা (মেয়র-কাউন্সিলর) দুইবার টাকা তুলে খেয়ে ফেলেছিল। সেই জন্যি দুদকের লোকজন গিরামে খোজ নিতি আসতো । তারা রাস্তা দেহে সব কিছু বুঝে ফেলে ।
গৃহবধূ দুর্গারানী বিশ্বাস জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে তিনি এই গ্রামে বউ হয়ে এসেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো উন্নয়ন চোখে পড়েনি। যাতায়াতের জন্য ভালো কোনো রাস্তা নেই; ভাঙাচোরা পথ দিয়ে চলতে গিয়ে পা মচকে যাওয়ার ভয় থাকে। গ্রামে ভালো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় ছেলেমেয়েরা তিন-চার মাইল দূরের স্কুলে যেতে আগ্রহ দেখায় না। বর্ষাকালে নৌকা, তালের ডোঙ্গা বা কলাগাছের ভেলা দিয়ে চলাচল করতে হয়।
স্কুলছাত্রী অপর্ণা বিশ্বাস বলেন, গ্রামে স্কুল না থাকায় আমাদের দূরের স্কুলে যেতে হয়। বেশি দূর হওয়ায় প্রতিদিন স্কুলে যেতেও মন চায় না। বর্ষাকালে স্কুলে যাই-ই না।
নিরঞ্জন বিশ্বাস বলেন, সেই ১৯৭২ সাল থেকে গ্রামের মানুষ ভোট ও পৌর ট্যাক্স দিয়ে গেলেও তেমন কোন উন্নয়নের লাগেনি এই গ্রামে।
তিনি বলেন, এই গ্রামে কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, আইনজীবী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ বসবাস করলেও পৌর নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে তাদের দ্বিধা হয়। যাতায়াতের রাস্তার জন্য গ্রামের মানুষ পৌরসভাকে বিনা পয়সায় জমি দিলেও তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের গ্রাম বলেই কি এত অবহেলা?
জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, সরেজমিন তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে অবশ্যই উন্নয়ন হবে।
তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সাভারের আশুলিয়ার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
১৫ ঘণ্টা আগেলিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী রঞ্জু আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর রায়পুর গ্রামে মোটরসাইকেলে বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার বাবা শামসুল ইসলাম, ভাই মনিরুল ইসলাম ও মন্টুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মন্টু।
১৬ ঘণ্টা আগেসাভারের আশুলিয়ায় আয়েশা গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।
১৭ ঘণ্টা আগেনাটোরের বনপাড়ায় বাস--অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
১৭ ঘণ্টা আগে