
শেখ জাহাঙ্গীর আলম শাহীন

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে উত্তরের পাঁচ জেলা—লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
রোববার রাত ১০টার দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তায় রেড অ্যালার্ট জারি করে এবং ব্যারেজের সব ৪৪টি গেট খুলে দেয়। প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাতে মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দেড় শতাধিক চরবাসীকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, রাতেই ব্যারেজ এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সোমবার সকালে পানি কিছুটা কমলেও ভাটির দিকে প্রবাহ বাড়ছে। এবছর তিস্তায় সর্বোচ্চ পানি প্রবাহ রেকর্ড হয়েছে, যা বিপৎসীমার ৩৫ সেমি ওপরে ছিল।
কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, “রাতে কোমরসমান পানি ঘরে ঢোকে। ৫ বিঘা আমন ধান পানির নিচে। কয়েক দিনের মধ্যে পানি না নামলে সব শেষ।” চর এলাকার রাবেয়া খাতুন জানান, “দুই সন্তান নিয়ে এক কাপড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে এসেছি। ঘরের ভেতর দিয়ে পানি বইছে।”
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সবজি খেতে বড় ক্ষতি হতে পারে, তবে ৩–৪ দিনের মধ্যে পানি নামলে আমন ধানের ক্ষতি সীমিত থাকবে।”
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সরিয়ে শুকনো খাবার ও ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।
তিস্তাপাড়ের মানুষ এখনো আতঙ্কে—কখন নামবে পানি, ফের কবে ঘরে ফিরতে পারবেন, সেই অপেক্ষায় দিন কাটছে তাদের।

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে উত্তরের পাঁচ জেলা—লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
রোববার রাত ১০টার দিকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তায় রেড অ্যালার্ট জারি করে এবং ব্যারেজের সব ৪৪টি গেট খুলে দেয়। প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রাতে মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার দেড় শতাধিক চরবাসীকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, রাতেই ব্যারেজ এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সোমবার সকালে পানি কিছুটা কমলেও ভাটির দিকে প্রবাহ বাড়ছে। এবছর তিস্তায় সর্বোচ্চ পানি প্রবাহ রেকর্ড হয়েছে, যা বিপৎসীমার ৩৫ সেমি ওপরে ছিল।
কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, “রাতে কোমরসমান পানি ঘরে ঢোকে। ৫ বিঘা আমন ধান পানির নিচে। কয়েক দিনের মধ্যে পানি না নামলে সব শেষ।” চর এলাকার রাবেয়া খাতুন জানান, “দুই সন্তান নিয়ে এক কাপড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে এসেছি। ঘরের ভেতর দিয়ে পানি বইছে।”
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, “সবজি খেতে বড় ক্ষতি হতে পারে, তবে ৩–৪ দিনের মধ্যে পানি নামলে আমন ধানের ক্ষতি সীমিত থাকবে।”
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সরিয়ে শুকনো খাবার ও ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।
তিস্তাপাড়ের মানুষ এখনো আতঙ্কে—কখন নামবে পানি, ফের কবে ঘরে ফিরতে পারবেন, সেই অপেক্ষায় দিন কাটছে তাদের।

মেহেরপুর সদর উপজেলায় বিলে শাপলা তুলতে গিয়ে চার স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার মোমিনপুর বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৭ ঘণ্টা আগে
শনিবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বারহাট্টা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এলাকায় সোহানুর রহমান খান ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফাহিম নেত্রকোনা জেলা শহরের সাতপাই এলাকার বাসিন্দা।
৭ ঘণ্টা আগে
সাংবাদিক এহতেশামুল হক শাওন বলেন, প্রথমে আমার সঙ্গে এক ব্যক্তির কথা হয়। কথার এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠলে আমি বলি, ভাই- এভাবে উত্তেজিত না হয়ে আসুন দেখা করে সরাসরি কথা বলি। তখন তিনি বলেন, শিববাড়ি মোড়ে সুলতান ডাইন রেস্টুরেন্টের সামনে আসুন। সেখানে গিয়ে দেখি কিছু মানুষের ভিড়। এ মোড়ে সাধারণত এমনিতেই
১ দিন আগে
গাজীপুর মহানগরের টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় তুলার গুদামে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
১ দিন আগে