প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক ও ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এর ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চলমান গত কয়েকদিনের অচলাবস্থা নিরসনের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (২৯ জুন) রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) কার্যালয়ে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন তারা। পরে রাত ১০টার দিকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এদিকে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট দ্রুত নিরসনে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তখন থেকেই এর প্রতিবাদে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এর অংশ হিসেবে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে শনিবার তারা সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেন। রোববারও এ কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। সকাল থেকে এনবিআর ভবন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মকর্তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। ফলে দেশের সব স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনে শুল্ক-কর আদায় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, স্থবির হয়ে যায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
এ কর্মসূচি নিয়ে দিনভর নানা নাটকীয়তা হয়েছে। সংস্কার পরিষদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিকেলে সরকারের সঙ্গে বৈঠকও হওয়ার কথা ছিল। তবে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে ওই বৈঠকের আগ পর্যন্ত ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি বন্ধ রাখলেও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
এ অবস্থায় সরকারও কঠোর অবস্থান নেয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, জরুরি আমদানি-রপ্তানির কারণে এনবিআরের সেবাকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মকর্তারা কর্মস্থলে না ফিরলে ‘কঠোর’ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। অর্থ উপদেষ্টা জানান, শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনো বৈঠক হচ্ছে না।
এর মধ্যেই এনবিআরের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই এনবিআরের চলমান শাটডাউন কর্মসূচির নেতৃত্বে রয়েছেন। এসব ঘটনার মধ্যে ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী হয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পরে অচলাবস্থার নিরসন নিয়ে তারা আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্য দেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক বলেনন, উপদেষ্টা কমিটি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে এনবিআরের কমপ্লিট শাটডাউনসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং দেশের আমদানি-রপ্তানি ও সাপ্লাই চেইন সচল রাখা তথা অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কমপ্লিট শাটডাউন প্রত্যাহার করছে।
পরিষদের সভাপতি ও মহাসচিব সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারে সরকারের গঠন করা পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিকেও স্বাগত জানানো হয়। বলা হয়, এই কমিটির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে টেকসই রাজস্ব সংস্কারে অবদান রাখা সম্ভব।
তবে ‘একটি পূর্ণাঙ্গ ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারে’ এই পরিষদের উদ্যোগ ও কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক ও ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। এর ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চলমান গত কয়েকদিনের অচলাবস্থা নিরসনের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (২৯ জুন) রাতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) কার্যালয়ে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন তারা। পরে রাত ১০টার দিকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এদিকে এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট দ্রুত নিরসনে পাঁচ উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ করে গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তখন থেকেই এর প্রতিবাদে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এর অংশ হিসেবে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবিতে শনিবার তারা সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু করেন। রোববারও এ কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। সকাল থেকে এনবিআর ভবন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মকর্তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। ফলে দেশের সব স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনে শুল্ক-কর আদায় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, স্থবির হয়ে যায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
এ কর্মসূচি নিয়ে দিনভর নানা নাটকীয়তা হয়েছে। সংস্কার পরিষদের দাবি-দাওয়া নিয়ে বিকেলে সরকারের সঙ্গে বৈঠকও হওয়ার কথা ছিল। তবে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে ওই বৈঠকের আগ পর্যন্ত ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি বন্ধ রাখলেও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
এ অবস্থায় সরকারও কঠোর অবস্থান নেয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, জরুরি আমদানি-রপ্তানির কারণে এনবিআরের সেবাকে ‘অত্যাবশ্যকীয়’ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মকর্তারা কর্মস্থলে না ফিরলে ‘কঠোর’ হওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। অর্থ উপদেষ্টা জানান, শাটডাউন কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনো বৈঠক হচ্ছে না।
এর মধ্যেই এনবিআরের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্যানুসন্ধান শুরুর কথা জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনই এনবিআরের চলমান শাটডাউন কর্মসূচির নেতৃত্বে রয়েছেন। এসব ঘটনার মধ্যে ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী হয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসেন। পরে অচলাবস্থার নিরসন নিয়ে তারা আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্য দেন বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ ও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতিরিক্ত কমিশনার হাছান মুহম্মদ তারেক।
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক বলেনন, উপদেষ্টা কমিটি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে এনবিআরের কমপ্লিট শাটডাউনসহ সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পরে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্কার ঐক্য পরিষদ জানায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এবং দেশের আমদানি-রপ্তানি ও সাপ্লাই চেইন সচল রাখা তথা অর্থনীতির বৃহত্তর স্বার্থে এবং জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ কমপ্লিট শাটডাউন প্রত্যাহার করছে।
পরিষদের সভাপতি ও মহাসচিব সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারে সরকারের গঠন করা পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটিকেও স্বাগত জানানো হয়। বলা হয়, এই কমিটির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে টেকসই রাজস্ব সংস্কারে অবদান রাখা সম্ভব।
তবে ‘একটি পূর্ণাঙ্গ ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারে’ এই পরিষদের উদ্যোগ ও কার্যক্রম যথারীতি অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
তিনটি আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থার অর্থ পাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের এই অংক গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে রিজার্ভ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার।
৩ দিন আগেবৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত সভায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ সভাপতিত্ব করেন।
৩ দিন আগেআন্দোলনে ব্যবসায়ীদের ইন্ধন প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এনবিআরে সংস্কার করার কারণ হচ্ছে এখানে আগে অনেক রকম অসঙ্গতি (ডিসক্রেপেন্সি) ছিল। সেখানে অ্যাকাউন্টেবিলিটি, ট্রান্সপারেন্সি নেই। এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আগের সরকারের সময় কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী বেনিফিটেড হতো, ভালো যারা তারা সুবিধা পেত না। এনবিআর লেব
৫ দিন আগেএর আগে ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী তা ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এরও আগে ১৫ জুন পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার (গ্রস) এবং ২০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬ অনুযায়ী)। ২৭ মে পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার, বিপিএম৬ অনুযায়ী
৫ দিন আগে