ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
এবার বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়ে মার্কিন পণ্যের লম্বা এক তালিকা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) গতকাল রোববার (১৩ জুলাই) তালিকাটি ই-মেইলের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ট্রাম্প-শুল্ক নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনদিনের আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্য উপদেষ্টা, সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তবে আলোচনা শেষ হলেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দুই পক্ষ। বেশ কিছু বিষয় অমীমাংসিত-ই রয়ে গেছে।
এ নিয়ে মাহবুবুর বলেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএসটিআরের সঙ্গে আলোচনার সময় কয়েকটি বিষয় ছাড়া প্রায় সব বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে।
কোন কোন পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব বলেন, 'তালিকা বিশাল। তাই সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বহু বছর ধরে অনেক মার্কিন পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে। যেমন: তুলা, গম, সয়াবিন বীজ ও তেল এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানিতে শুল্ক নেই। আরও পণ্য এই শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার এখতিয়ার এককভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত নিতে আগামী শনিবার (১৯ জুলাই) একটি বৈঠক হবে বলেও জানান মাহবুবুর।
এরপর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবে, যাতে আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩৫ শতাংশ ট্রাম্প-শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই নতুন করে শুল্কহার চূড়ান্ত করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ১০-২০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। পরবর্তী বৈঠকও ওয়াশিংটন ডিসিতে হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প-শুল্কের ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশ অনেক মার্কিন পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করে এবং উড়োজাহাজ, এলএনজি, তুলা, গম, সয়াবিনসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে থাকে। গত বছর বাংলাদেশ আট বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে এবং দেশটি থেকে আমদানি করেছে দুই বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
গতকাল রোববার (১৩ জুলাই) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফ্রেমওয়ার্ক ডিল করতে চায়—যেখানে নিরাপত্তা উদ্বেগসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা শুধু বাণিজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের জাতীয় নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলে, যুক্তরাষ্ট্র সেটিকে মূল্যায়ন করছে। এ বিষয়ে একটি কাঠামো প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং বিষয়টি আলোচনাধীন।
ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যকার আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির আশা প্রকাশ করে বলেন, ট্রাম্প-শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই আলোচনা শেষ হবে।
এবার বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়ে মার্কিন পণ্যের লম্বা এক তালিকা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) গতকাল রোববার (১৩ জুলাই) তালিকাটি ই-মেইলের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
এর আগে, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত ট্রাম্প-শুল্ক নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে তিনদিনের আলোচনায় অংশ নেন বাণিজ্য উপদেষ্টা, সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা। তবে আলোচনা শেষ হলেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দুই পক্ষ। বেশ কিছু বিষয় অমীমাংসিত-ই রয়ে গেছে।
এ নিয়ে মাহবুবুর বলেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএসটিআরের সঙ্গে আলোচনার সময় কয়েকটি বিষয় ছাড়া প্রায় সব বিষয়ে উভয় দেশ একমত হয়েছে।
কোন কোন পণ্যের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব বলেন, 'তালিকা বিশাল। তাই সুনির্দিষ্ট সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বহু বছর ধরে অনেক মার্কিন পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে আসছে। যেমন: তুলা, গম, সয়াবিন বীজ ও তেল এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানিতে শুল্ক নেই। আরও পণ্য এই শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার এখতিয়ার এককভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মতামত নিতে আগামী শনিবার (১৯ জুলাই) একটি বৈঠক হবে বলেও জানান মাহবুবুর।
এরপর বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবে, যাতে আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩৫ শতাংশ ট্রাম্প-শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই নতুন করে শুল্কহার চূড়ান্ত করা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ১০-২০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। পরবর্তী বৈঠকও ওয়াশিংটন ডিসিতে হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প-শুল্কের ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশ অনেক মার্কিন পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করে এবং উড়োজাহাজ, এলএনজি, তুলা, গম, সয়াবিনসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয়।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে থাকে। গত বছর বাংলাদেশ আট বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে এবং দেশটি থেকে আমদানি করেছে দুই বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
গতকাল রোববার (১৩ জুলাই) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ফ্রেমওয়ার্ক ডিল করতে চায়—যেখানে নিরাপত্তা উদ্বেগসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে আলোচনা শুধু বাণিজ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের জাতীয় নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে অন্যান্য দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলে, যুক্তরাষ্ট্র সেটিকে মূল্যায়ন করছে। এ বিষয়ে একটি কাঠামো প্রস্তুত করা হচ্ছে এবং বিষয়টি আলোচনাধীন।
ওয়াশিংটন ও ঢাকার মধ্যকার আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির আশা প্রকাশ করে বলেন, ট্রাম্প-শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই আলোচনা শেষ হবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান (বাবু) বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৪০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের যে শর্ত প্রস্তাব করেছে, সেটি বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
১ দিন আগেব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মোঃ ওমর ফারুক খান সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. এম. কামাল উদ্দীন জসীম এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আ ন ম সিদ্দিকুর রহমান।
২ দিন আগেবাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে নড়চড় হয়নি।
২ দিন আগেনগদ সহায়তার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাত। দেশি সুতা ব্যবহার করে উৎপাদিত তৈরি পোশাক নতুন বাজারে রপ্তানি করলে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রণোদনা মিলবে; যা গত বছরের জুনের আগে ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ।
৩ দিন আগে