আগামী ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা\n
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেন ভারতে। নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল যত দ্রুতসম্ভব জাতীয় নির্বাচন দাবি করে আসছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ আরও কিছু রাজনৈতিক দলের দাবি, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
এর মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলে আসছেন, এ বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে। সবশেষ বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে মার্চের মধ্যে হতে পারে নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই বিবিসি এ সাক্ষাৎকার ছাপিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের বিপরীত অভিমতই প্রকাশ করলেন নাহিদ ইসলাম। সপ্তাহখানেক আগে তিনিও ছিলেন সরকারের অংশ। দুটি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা ছাত্র ও তরুণদের নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি গড়ে তোলার জন্য তিনি সরকার থেকে সরে দাঁড়ান।
নাহিদ ইসলাম জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে সবাইকে ঐকমত্য পোষণ করতে হবে বলে শর্ত জুড়ে। ছবি: রয়টার্স
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, তরুণদের নতুন দলটি দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বড় ধরনের প্রভাব রাখবে। ভোটের রাজনীতিতেও নিয়ামক হয়ে উঠতে পারে দলটি।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় তারা নতুন বাংলাদেশের জন্য নতুন সংবিধান চান, জাতীয় নির্বাচনের বদলে চান গণপরিষদ নির্বাচন। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবশ্য তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্যই তারা প্রস্তুত। তবে এর আগে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
নাহিদ বলেন, নির্বাচন যখনই হোক, আমরা অংশ নিতে প্রস্তুত। তবে নির্বাচনের আগে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে রাজনৈতিক দল ও ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ঐকমত্যে পৌঁছানো জরুরি। আমরা যদি এক মাসের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারি, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনের ডাক দিতে পারি। কিন্তু ঐকমত্যে পৌঁছাতে আরও বেশি সময় লাগলে নির্বাচনও পিছিয়ে যাওয়া উচিত।
সমাজের বিত্তশালীদের অনেকেই নাগরিক পার্টিকে অর্থ সহায়তা করলেও পার্টির তহবিলের জন্য সাধারণ মানুষের ওপরই ভরসা করতে চান বলে জানান নাহিদ। তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই নতুন অফিসের জন্য ক্রাউডফান্ডিং শুরু করব এবং নির্বাচনের জন্যও একটি তহবিল গঠন করব।