ঢাবি প্রতিনিধি
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সকালেই ফাঁড়া কেটেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের। তাতে সবাই স্বস্তি পেয়েছিল। তবে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হতেই জানা গেল, এ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করেছেন আরও এক প্রার্থী!
ডাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার এই রিট করেছেন। রিটে ভিপি পদে নিজের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তার নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনাও।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জুলিয়াস সিজারের আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নীলু এই রিটের তথ্য জানান গণমাধ্যমকে। তিনি বলেন, গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে।
জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ও ব্যালট নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত কেন আইনি গত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না— এ মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে রিট আবেদনে।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে লড়তে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছিলেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার। যাচাই-বাছাই শেষে ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ডাকসুর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ভিপি প্রার্থী হিসেবে সিজারের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার ব্যালট নম্বর নির্ধারণ করা হয় ২৬।
জানা গেছে, ডাকসু নির্বাচনে জুলিয়াস সিজার তালুকদার ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। চূড়ান্ত তালিকায় ভিপি প্রার্থী হিসেবে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ছিল। তার ব্যালট নম্বর ছিল ২৬।
চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউজ টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে যুক্ত থাকার অভিযোগ দেন
অভিযোগটি নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হয়। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তার প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জুলিয়াস সিজার তালুকদারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। সিজারের আইনজীবী বলছেন, তাতেও কাজ না হওয়ায় প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনের আরেক প্রার্থীর করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এ নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘণ্টাখানেক পর অবশ্য চেম্বার আদালত সে আদেশ স্থগিত করে দেন।
পরদিন মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) চেম্বার জজ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের মেয়াদ বুধবার পর্যন্ত বাড়ান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান চেম্বার জজ।
আজ বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ওই হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন এবং তফসিল অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে বাধা নেই বলে জানান।
ওই রিটে অবশ্য ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চাননি রিটকারী বি এম ফাহমিদা আলম। ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের বামজোট মনোনীত মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদের এই প্রার্থী কেবল একই নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন রিটে।
তবে হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে ডাকসু নির্বাচনই দুই মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। সেটি নিয়ে আপিল বিভাগ থেকে চূড়ান্ত আদেশও এলো। এখন জুলিয়াস সিজারের রিটটি হাইকোর্টে শুনানি হলে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে কি না, তা নিয়েই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রার্থী ও ভোটাররা।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে সকালেই ফাঁড়া কেটেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের। তাতে সবাই স্বস্তি পেয়েছিল। তবে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হতেই জানা গেল, এ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করেছেন আরও এক প্রার্থী!
ডাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার এই রিট করেছেন। রিটে ভিপি পদে নিজের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় তার নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনাও।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জুলিয়াস সিজারের আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নীলু এই রিটের তথ্য জানান গণমাধ্যমকে। তিনি বলেন, গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয়েছে।
জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ও ব্যালট নম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত কেন আইনি গত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না— এ মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে রিট আবেদনে।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে লড়তে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছিলেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার। যাচাই-বাছাই শেষে ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ডাকসুর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ভিপি প্রার্থী হিসেবে সিজারের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। তার ব্যালট নম্বর নির্ধারণ করা হয় ২৬।
জানা গেছে, ডাকসু নির্বাচনে জুলিয়াস সিজার তালুকদার ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর গত ২৬ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। চূড়ান্ত তালিকায় ভিপি প্রার্থী হিসেবে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম ছিল। তার ব্যালট নম্বর ছিল ২৬।
চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের হাউজ টিউটর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে জুলিয়াস সিজার তালুকদারের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে যুক্ত থাকার অভিযোগ দেন
অভিযোগটি নির্বাচনি আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি হয়। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল তার প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠায়। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন জুলিয়াস সিজারের প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাদ দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জুলিয়াস সিজার তালুকদারকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৭ আগস্ট চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। সিজারের আইনজীবী বলছেন, তাতেও কাজ না হওয়ায় প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন জুলিয়াস সিজার তালুকদার।
এর আগে ডাকসু নির্বাচনের আরেক প্রার্থীর করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এ নির্বাচন স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঘণ্টাখানেক পর অবশ্য চেম্বার আদালত সে আদেশ স্থগিত করে দেন।
পরদিন মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) চেম্বার জজ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের মেয়াদ বুধবার পর্যন্ত বাড়ান। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান চেম্বার জজ।
আজ বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ওই হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন এবং তফসিল অনুযায়ী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন আয়োজনে বাধা নেই বলে জানান।
ওই রিটে অবশ্য ডাকসু নির্বাচন স্থগিত চাননি রিটকারী বি এম ফাহমিদা আলম। ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেলের বামজোট মনোনীত মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদের এই প্রার্থী কেবল একই নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন রিটে।
তবে হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে ডাকসু নির্বাচনই দুই মাসের জন্য স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। সেটি নিয়ে আপিল বিভাগ থেকে চূড়ান্ত আদেশও এলো। এখন জুলিয়াস সিজারের রিটটি হাইকোর্টে শুনানি হলে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে কি না, তা নিয়েই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রার্থী ও ভোটাররা।
মেঘের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের এক বার্তায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে সার্জন এ বি এম খুরশীদ আলমের তত্ত্বাবধানে তার অ্যাপেনডিক্সের অস্ত্রোপচারটি সফল হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেসোমবার হাইকোর্টের ওই আদেশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে। আইনি মারপ্যাঁচ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক চর্চা বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ তোলেন তারা। পরে চেম্বার জজ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করলে তারা উল্লাস করেন।
১৭ ঘণ্টা আগেএ সময় তারা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। এ ছাড়া নির্বাচন পদ্ধতি নিয়েও কথা বলেছেন কেউ কেউ। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দোসরদের গ্রেপ্তার করা ও প্রশাসনের দলবাজদের চাকরিচ্যুত করারও দাবি জানান নেতারা।
১ দিন আগে