
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাসহ আরও কয়েকজন। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন। তিনি আশা করছেন, তারাও এনসিপির সঙ্গেই থাকবেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেছেন নাহিদ ইসলাম। জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের সঙ্গে নির্বাচনি জোট গঠন বিষয়ে কথা বলতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
যেকোনো মতামতের ক্ষেত্রে কারও ভেটো (আপত্তি) বা মতামতও থাকতে পারে বলে মনে করেন নাহিদ ইসলাম। তবে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি, সারা দেশের নেতাকর্মী এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা জোটের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত বলে মনে করেন নাহিদ ইসলাম।
এ জোটের বিরোধিতাকারী ও দল থেকে পদত্যাগকারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘যারা বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। তাদের আরও বোঝানোর চেষ্টা করব। আশা করি, তারা এনসিপির এই সিদ্ধান্তের সাঙ্গেই থাকবে।’
এনসিপি থেকে পদত্যাগ করা তাসনিম জারা এরই মধ্যে ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ রকম যারা এনসিপি থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন, তাদের আসনগুলোতে এনসিপি প্রার্থী দেবে কি না— এমন প্রশ্নও সাংবাদিকরা করেন।
জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে, সে অনুযায়ী এনসিপি প্রার্থী ঠিক করবে না। এনসিপির লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সঙ্গে যারা একমত, যারা মাঠে কাজ করেছেন, প্রার্থী হিসেবে জনগণের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাদেরই এনসিপি প্রার্থী করবে।’
দলের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোট করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদের সঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত কদিন ধরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ গুঞ্জনের মধ্যেই রোববার প্রকাশ্যে ঘোষণা এসেছে, দল দুটি নির্বাচনের জন্য জোট বেঁধেছে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করেই এ জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। এ জোটের মধ্য দিয়ে এনসিপির নিজস্ব রাজনীতির পথ তৈরির প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ও সমালোচনা করেছেন অনেকেই।
এ জোটের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পরই যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম তাত্ত্বিক নেতা মাহফুজ আলমও (অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা) জানিয়েছেন, তিনি জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়া এনসিপির অংশ হবেন না।
আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুমও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতাকেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ ও বাংলাদেশপন্থা নিয়ে এনসিপি শুরু থেকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল, জামায়াতের সঙ্গে জোট করার মাধ্যমে সেই মূল চেতনা থেকে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব চ্যুত হয়েছে। তাবাসসুমও নির্বাচনকালীন এনসিপি থেকে সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
জামায়াতের সঙ্গে জোট করা এনসিপির সঙ্গে না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মাহফুজ আলমও। তিনি জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম তাত্ত্বিক নেতা। অন্তর্বর্তী সরকারেও ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি বলেছেন, ঢাকার কোনো একটি আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চেয়ে তার কাছে দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জামায়াতের সঙ্গে জোটের আলোচনার মধ্যে এনসিপির ৩০ নেতা শনিবার এই জোটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে চিঠিও দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য আরও ১৭০ নেতা জোটের পক্ষে চিঠি দেন নাহিদকে। শেষ পর্যন্ত দল দুটি জোটবদ্ধ হওয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাল।

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাসহ আরও কয়েকজন। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের বোঝানোর চেষ্টা করবেন। তিনি আশা করছেন, তারাও এনসিপির সঙ্গেই থাকবেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন কথা বলেছেন নাহিদ ইসলাম। জামায়াতে ইসলামীসহ আট দলের সঙ্গে নির্বাচনি জোট গঠন বিষয়ে কথা বলতে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
যেকোনো মতামতের ক্ষেত্রে কারও ভেটো (আপত্তি) বা মতামতও থাকতে পারে বলে মনে করেন নাহিদ ইসলাম। তবে এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি, সারা দেশের নেতাকর্মী এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা জোটের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত বলে মনে করেন নাহিদ ইসলাম।
এ জোটের বিরোধিতাকারী ও দল থেকে পদত্যাগকারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘যারা বিরোধিতা করছে, তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। তাদের আরও বোঝানোর চেষ্টা করব। আশা করি, তারা এনসিপির এই সিদ্ধান্তের সাঙ্গেই থাকবে।’
এনসিপি থেকে পদত্যাগ করা তাসনিম জারা এরই মধ্যে ঢাকা-৯ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ রকম যারা এনসিপি থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন, তাদের আসনগুলোতে এনসিপি প্রার্থী দেবে কি না— এমন প্রশ্নও সাংবাদিকরা করেন।
জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘কে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছে, সে অনুযায়ী এনসিপি প্রার্থী ঠিক করবে না। এনসিপির লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের সঙ্গে যারা একমত, যারা মাঠে কাজ করেছেন, প্রার্থী হিসেবে জনগণের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তাদেরই এনসিপি প্রার্থী করবে।’
দলের নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতেই জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোট করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নাহিদ ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদের সঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত কদিন ধরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে এনসিপির জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এ গুঞ্জনের মধ্যেই রোববার প্রকাশ্যে ঘোষণা এসেছে, দল দুটি নির্বাচনের জন্য জোট বেঁধেছে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করেই এ জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। এ জোটের মধ্য দিয়ে এনসিপির নিজস্ব রাজনীতির পথ তৈরির প্রক্রিয়া থমকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা ও সমালোচনা করেছেন অনেকেই।
এ জোটের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পরই যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম তাত্ত্বিক নেতা মাহফুজ আলমও (অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা) জানিয়েছেন, তিনি জামায়াতের সঙ্গে জোটে যাওয়া এনসিপির অংশ হবেন না।
আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুমও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতাকেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ ও বাংলাদেশপন্থা নিয়ে এনসিপি শুরু থেকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিল, জামায়াতের সঙ্গে জোট করার মাধ্যমে সেই মূল চেতনা থেকে দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব চ্যুত হয়েছে। তাবাসসুমও নির্বাচনকালীন এনসিপি থেকে সম্পূর্ণভাবে নিষ্ক্রিয় থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
জামায়াতের সঙ্গে জোট করা এনসিপির সঙ্গে না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন মাহফুজ আলমও। তিনি জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম তাত্ত্বিক নেতা। অন্তর্বর্তী সরকারেও ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি বলেছেন, ঢাকার কোনো একটি আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চেয়ে তার কাছে দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জামায়াতের সঙ্গে জোটের আলোচনার মধ্যে এনসিপির ৩০ নেতা শনিবার এই জোটের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে চিঠিও দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য আরও ১৭০ নেতা জোটের পক্ষে চিঠি দেন নাহিদকে। শেষ পর্যন্ত দল দুটি জোটবদ্ধ হওয়ার আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাল।

তিনি বলেন, আগামী ৩ জানুয়ারি দেশের ৯টি কৃষি ও কৃষি-প্রাধান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত ৩ জানুয়ারির মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করা হলো।
৭ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
৮ ঘণ্টা আগে
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের তথ্য প্রযুক্তগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং সব ধরনের সাইবার অপরাধকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে।'
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা ৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আরো দুটি দল যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি জানান, দলগুলো হলো এলডিপি ও এনসিপি।
৯ ঘণ্টা আগে