
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়ন পাওয়া মনিরা মারমিন ও মনজিলা ঝুমা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। মনিরা নওগাঁ-৫ ও মনজিলা জাতীয় সংসদের ২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসন থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কাজ করছিলেন। ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেও দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত তারা নেননি বলেও জানিয়েছেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মনিরা ও দিবাগত মধ্যরাতে মনজিলা নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন। এর মধ্যে মনিরা সরাসরি জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোটকে তার সিদ্ধান্তের নেপথ্যের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মনজিলা এ বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি।
মনিরা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল এনসিপি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থি রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ-৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সঙ্গে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল।’
দলের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে মনিরা লিখেছেন, ‘যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্টের চেয়ে আমার গণঅভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এনসিপির আরও একাধিক নেতার মতো মনিরাও ক্রাউড ফান্ডিং তথা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে স্বেচ্ছা অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে নির্বাচনি তহবিল গঠন করেছিলেন। মনিরা মনে করেন, এনসিপির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক অবস্থান দেখেই সবাই তাকে অনুদান দিয়েছিলেন। এখন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় সেই অনুদানের অর্থ তিনি ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
অনুদান দিয়ে, সাহস জুড়িয়ে ও আশার কথা লিখে যারা পাশে ছিলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন মনিরা। বলেছেন, ‘জানবেন, আমি ক্ষমতার রাজনীতি করতে আসি নাই। রাজনীতি পরিবর্তনের বয়ান দিয়ে সিট ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের দলের প্রতি, মানুষের প্রতি বেইনসাফি করব না। জনতার কথা ও নতুন রাজনীতির কথা আপনাদের হয়ে বলতে থাকব ইনশাল্লাহ।’
ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেও এনসিপি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত এখনো নেননি জানিয়ে মনিরা লিখেছেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারও একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে আমার দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’
এদিকে মনজিলা ঝুমা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যে ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল, তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল। ২৪ তারিখে (২৪ ডিসেম্বর) আমার পক্ষে আমার দলের খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক মনোনয়নপত্রও উত্তোলন করেছেন।’
শেষ মুহূর্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে মনজিলা লিখেছেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট। আজ প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না।’
নিজে ভোট না করলেও তরুণদের সংসদে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী মনজিলা ঝুমা। তিনি লিখেছেন, ‘তবে আমি বিশ্বাস করি, তরুণরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।’
জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোটের সিদ্ধান্ত ঘিরে মনিরা ও মনিজলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আরও অনেকেই। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন এরই মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাও একই পথে হেঁটেছেন। তিনি অবশ্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়ন পাওয়া মনিরা মারমিন ও মনজিলা ঝুমা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। মনিরা নওগাঁ-৫ ও মনজিলা জাতীয় সংসদের ২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসন থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কাজ করছিলেন। ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেও দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত তারা নেননি বলেও জানিয়েছেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মনিরা ও দিবাগত মধ্যরাতে মনজিলা নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন। এর মধ্যে মনিরা সরাসরি জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোটকে তার সিদ্ধান্তের নেপথ্যের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মনজিলা এ বিষয়ে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি।
মনিরা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আকাঙ্ক্ষায় গড়া দল এনসিপি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী একমাত্র মধ্যপন্থি রাজনীতির ভরসাস্থল ছিল। এই দল থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে নওগাঁ-৫ থেকে আমি মনোনীত প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাওয়ার আগে আমি জানতাম না, এই দল জামায়াতের সঙ্গে ৩০ সিটের আসন সমঝোতা করবে। আমি জানতাম, ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ছিল।’
দলের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে মনিরা লিখেছেন, ‘যেহেতু এখন দলের পজিশন পরিবর্তন হয়েছে, তাই আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করছি। নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। আমি এনসিপির স্বতন্ত্র শক্তিতে বিশ্বাসী। দলের প্রতি আমার কমিটমেন্ট আমি ভাঙি নাই। কিন্তু এই মুহূর্তে দলের প্রতি কমিটমেন্টের চেয়ে আমার গণঅভ্যুত্থানের প্রতি কমিটমেন্ট ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
এনসিপির আরও একাধিক নেতার মতো মনিরাও ক্রাউড ফান্ডিং তথা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে স্বেচ্ছা অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে নির্বাচনি তহবিল গঠন করেছিলেন। মনিরা মনে করেন, এনসিপির স্বতন্ত্র রাজনৈতিক অবস্থান দেখেই সবাই তাকে অনুদান দিয়েছিলেন। এখন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় সেই অনুদানের অর্থ তিনি ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
অনুদান দিয়ে, সাহস জুড়িয়ে ও আশার কথা লিখে যারা পাশে ছিলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন মনিরা। বলেছেন, ‘জানবেন, আমি ক্ষমতার রাজনীতি করতে আসি নাই। রাজনীতি পরিবর্তনের বয়ান দিয়ে সিট ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের দলের প্রতি, মানুষের প্রতি বেইনসাফি করব না। জনতার কথা ও নতুন রাজনীতির কথা আপনাদের হয়ে বলতে থাকব ইনশাল্লাহ।’
ভোট থেকে সরে দাঁড়ালেও এনসিপি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত এখনো নেননি জানিয়ে মনিরা লিখেছেন, ‘আমি দল থেকে পদত্যাগ করার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিই নাই। এনসিপি কারও একার সম্পত্তি না। এনসিপি যতখানি শীর্ষ নেতৃত্বের, তার থেকে অনেক বেশি আমার। আজ পর্যন্ত এমন কিছু বলি নাই বা করি নাই যাতে আমার দল বিতর্কিত হয়। তবে নিজের নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করতে চাই না, ক্ষমতায় যেতে চাই না।’
এদিকে মনজিলা ঝুমা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এনসিপি প্রাথমিকভাবে যে ১২৫ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল, তার মধ্যে খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনে শাপলা কলি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করতে আমাকে মনোনীত করেছিল। ২৪ তারিখে (২৪ ডিসেম্বর) আমার পক্ষে আমার দলের খাগড়াছড়ি জেলার আহ্বায়ক মনোনয়নপত্রও উত্তোলন করেছেন।’
শেষ মুহূর্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে মনজিলা লিখেছেন, ‘আগামীকাল (সোমবার) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট। আজ প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না।’
নিজে ভোট না করলেও তরুণদের সংসদে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী মনজিলা ঝুমা। তিনি লিখেছেন, ‘তবে আমি বিশ্বাস করি, তরুণরা সংসদে যাবে, আজ নয়তো কাল।’
জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোটের সিদ্ধান্ত ঘিরে মনিরা ও মনিজলার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আরও অনেকেই। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন এরই মধ্যে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারাও একই পথে হেঁটেছেন। তিনি অবশ্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনি জোট করার মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতৃত্ব ও নীতিনির্ধারকরা তাদের মূল বক্তব্য থেকে চ্যুত হয়ে গেছেন বলে মনে করছেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম। তৃণমূল থেকে দলটির মনোনয়ন যারা নিয়েছেন, এর মাধ্যমে তাদের সঙ্গে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তি
১৫ ঘণ্টা আগে
জোটের প্রার্থী হওয়ার তুলনায় নিজের দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অবস্থানে দৃঢ় থাকাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন তিনি। সে কারণেই তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এনসিপির অংশ হচ্ছেন না। একই সঙ্গে তার প্রতি আস্থা থাকলে তার সঙ্গে এ রাজনৈতিক পথচলায় সঙ্গী হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন মাহফুজ আলম।
১৬ ঘণ্টা আগে
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সকাল ৯টায় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের কার্যালয়সহ দেশের সব জেলা ও মহানগর ইউনিট কার্যালয়ে জাতীয় পতাকাসহ দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সেইসঙ্গে এদিন বেলা ১১টায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি ফাতেহা পা
১৭ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা জামায়াতসহ ৮ দলীয় জোটের সঙ্গে একসঙ্গে নির্বাচন করছি। আমরা সবাই গণভোটে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে কাজ করব। কে কোন আসন থেকে নির্বাচন করব তা আগামীকাল (সোমবার) আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। জোটের বাইরে আমাদের আলাদা কোনো প্রার্থী থাকবে না। ওই সব আসনে আমরা জোটের পক্ষে কাজ করব।
১৭ ঘণ্টা আগে