
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১২২টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের জাতীয় পার্টির একাংশ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতৃত্বে গঠিত নবগঠিত রাজনৈতিক জোট ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’। এ তালিকায় জোটের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে প্রার্থী হিসেবে রাখা হয়েছে। ১১টি আসনে দু’জন করে প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে জোটটি নির্বাচনের প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো। সংবাদ সম্মেলনে জোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী তালিকায় ‘হেভিওয়েট’দের মধ্যে জোটের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ ও জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসন থেকে ভোট করবেন।
এ ছাড়া জোটের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার (পটুয়াখালী-১), জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ (ঢাকা-১০ আসনে), জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু (কিশোরগঞ্জ-৩), জেপি মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম (মাদারীপুর-৩) ও জোটের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলনকে (মানিকগঞ্জ-২) প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জোটের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্যদের বড় একটি অংশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন নুরুল ইসলাম ওমর (বগুড়া-৬), ইয়াহ ইয়া চৌধুরী (সিলেট-২), আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (পটুয়াখালী-৪), লিয়াকত হোসেন খোকা (নারায়ণগঞ্জ-৩)।
এ ছাড়া ঢাকা-১৩ আসনে শফিকুল ইসলাম সেন্টু, বরিশাল-৬ আসনে নাসরিন জাহান রত্না ও ফরিদপুর-২ আসনে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে ফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ তালিকায় জহির রায়হানের ছেলে তপু রায়হানকে মনোনীত করা হয়েছে ঢাকা-১৭ আসনের জন্য।
নির্বাচনি কৌশলের অংশ হিসেবে নবগঠিত এই জোট ১১টি সংসদীয় আসনে দ্বৈত প্রার্থী রেখেছে, যার মধ্যে ঢাকা-১০, চট্টগ্রাম-৯, বরিশাল-৬, ঢাকা-১৭ ও ঝালকাঠি-২ অন্যতম।
সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ জোটের শীর্ষ নেতারা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা জানান। তারা বলেন, মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতেই এই জোট নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন তারা। প্রার্থীরা এরই মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনি প্রচারের প্রস্তুতি শুরু করেছেন বলে জানান তারা।
গত ৮ ডিসেম্বর আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। ছয়টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও ১২টি অনিবন্ধিত দল রয়েছে এই জোটে। নিবন্ধিত দলগুলো হলো— জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
১২২ আসনে যারা মনোনয়ন পেলেন
চট্টগ্রাম-৫: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
পিরোজপুর-২: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু
পটুয়াখালী-১: এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার
ঢাকা-১০: কাজী ফিরোজ রশিদ
কিশোরগঞ্জ-৩: মুজিবুল হক চুন্নু
মাদারীপুর-৩: শেখ শহিদুল ইসলাম
মানিকগঞ্জ-২: গোলাম সারোয়ার মিলন
ফরিদপুর-২: শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর
বরিশাল-৬: নাসরিন জাহান রতনা, শেখ শাহীন রহমান
ঢাকা-১৩: শফিকুল ইসলাম সেন্টু
নারায়ণগঞ্জ-৩: লিয়াকত হোসেন খোকা
টাঙ্গাইল-৭: জহিরুল ইসলাম জহির
জামালপুর-২: মোস্তফা আল মাহমুদ
সাতক্ষীরা-১: সৈয়দ দিদার বখত
ময়মনসিংহ-৮: ফকরুল ইমাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: জিয়াউল হক মৃধা
নোয়াখালী-১: আবু নাসের অহেদ ফারুক
ঢাকা-১৭: মেজর (অব.) শেখ হাবিবুর রহমান, তপু রায়হান
শেরপুর-১: আবু লায়েস মুন্না, মো. ইলিয়াস উদ্দিন
কুমিল্লা-৮: নুরুল ইসলাম মিলন
বগুড়া-৬: নুরুল ইসলাম ওমর
সিলেট-২: ইয়াহ ইয়া চৌধুরী
নীলফামারী-৩: মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল
কুড়িগ্রাম-২: পনির উদ্দিন আহম্মেদ
ফেনী-১: নাজমা আক্তার
চট্টগ্রাম-১২: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
চট্টগ্রাম-৭: মো. নজরুল ইসলাম, এম এ মঞ্জুর মাস্টার
টাঙ্গাইল-৫: আব্দুস সালাম চাকলাদার
জামালপুর-৪: মামুন অর রশীদ, মো. ইলিয়াস উদ্দিন
চট্টগ্রাম-৯: সোলায়মান আলম শেঠ
নেত্রকোনা-৩: মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া
পাবনা-১: সরদার শাহজাহান
নোয়াখালী-৪: মোবাবর হোসেন আজাদ
বরিশাল-৩: ফকরুল আহসান শাহজাদা
লক্ষ্মীপুর-১: মো. বেলাল হোসেন
ঢাকা-১৬: আমানত হোসেন আমানত
ঢাকা-১৪: জাহাঙ্গীর আলম পাঠান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: শাহ জামাল রানা
সাতক্ষীরা-২: মাতলুব হোসেন লিয়ন
পঞ্চগড়-১: মো. আবু সালেক
বরিশাল-১: সেরনিয়াবাদ সেকান্দার আলী
ঠাকুরগাঁও-১: মো. রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী
নীলফামারী-৪: রাশেদুল ইসলাম
লালমনিরহাট-২: নিগার সুলতানা রানী
রংপুর-৪: আব্দুস সালাম
গাইবান্ধা-১: শফিকুল ইসলাম বাদশাহ মিয়া
জয়পুরহাট-১: আওলাদ হোসেন
রাজশাহী-১: বরুন সরকার
রাজশাহী-৩: অধ্যাপক কামরুজ্জামান
রাজশাহী-৫: আসাদুজ্জামান
রাজশাহী-৬: মো. ইকবাল হোসেন
সিরাজগঞ্জ-৩: আব্দুর রাজ্জাক
সিরাজগঞ্জ-৪: এস এম হামেস রাজু
পাবনা-৬: তরিকুল ইসলাম স্বাধীন
কুষ্টিয়া-৪: সাজ্জাদ হোসেন সেনা
যশোর-৩: মো. শফিকুল ইসলাম
যশোর-৬: আব্দুল লতিফ রানা
মাগুরা-১: সুমন ঘোষ
মাগুরা-২: আলমগীর সিকদার
বাগেরহাট-১: এস এম আল যোবায়ের
বরগুনা-১: মাইনুল হাসান রাসেল
পটুয়াখালী-২: মো. মহসিন হাওলাদার
পটুয়াখালী-৪: মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার
বরিশাল-৪: গাজী সোহেব কবির
ঝালকাঠি-২: এম এ কুদ্দুস খান
ঝালকাঠি-১: ডা. সেলিমা খান
পিরোজপুর-৩: সেকান্দার আলী মুকুল বাদশা
টাঙ্গাইল-৩: মো. আব্দুল হালিম
টাঙ্গাইল-৮: মো. রেজাউল করীম
ঢাকা-৯: এস এম আমিনুল হক সেলিম
ঢাকা-১১: হাজী নাসির উদ্দিন সরকার
ঢাকা-১২: মাসুদুর রহমান মাসুদ
শরিয়তপুর-১: ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ
শরিয়তপুর-২: ম. ম ওয়াসিম
শরিয়তপুর-৩: মোখলেসুর রহমান বস্তু
শেরপুর-১: জাহাঙ্গির আহমেদ
ময়মনসিংহ-৪: মো. আলমগীর হোসেন
কুমিল্লা-৩: এইচ এম এন শফিকুর রহমান
কুমিল্লা-১১: জাফর আহমেদ রাজু
ফেনী-২: ফজলে এলাহি সোহাগ মিয়া
নোয়াখালী-৩: মো. শামসুল আলম
কক্সবাজার-১: মো. তারেক
কক্সবাজার-৩: মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন
নোয়াখালী-৫: নাসির উদ্দিন বায়জিদ
নোয়াখালী-৬: শেখ মোহা. ফায়িজ উল্লাহ স্বপন
লক্ষ্মীপুর-২: জহিরুল ইসলাম রেজা
চট্টগ্রাম-২: এম এ সালাম
চট্টগ্রাম-৩: মো. নজরুল ইসলাম
কক্সবাজার-৪: শেখ মোহাম্মদ আলী
ঢাকা-১৮: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শেখ শহিদুল ইসলাম, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মো. রুহুল আমিন, শাহ জামিল আমিরুল
কুড়িগ্রাম-৪: মাহিন হোসেন
ঝালকাঠী-২: এনামুল ইসলাম রুবেল, এ আর এম জাফর উল্লাহ চৌধুরী
ঝালকাঠী-১: মো. আসাদুজ্জামান
ঠাকুরগাঁও-৩: শওকত মাহমুদ
কুমিল্লা-৫: মো. আবদুল্লাহ
শেরপুর-১: গোলাম মোর্শেদ রনি
নারায়ণগঞ্জ-৪: কে এম জাহাঙ্গীর
ঝিনাইদহ-২: দীপক কুমার পালিত
চট্টগ্রাম-৯: টি এম জহিরুল হক তুহিন
খুলনা-৪: আফরোজা বেগম
মেহেরপুর-২: মির্জা আজম
খুলনা-১: হুমায়ুন কবির
কুমিল্লা-৫: মুনির হোসেন
চাঁদপুর-৩: শরীফ শাকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: এম আর করিম
টাঙ্গাইল-২: মো. সেলিম রেজা
নওগাঁ-৫: এস এম আশিক বিল্লাহ
নড়াইল-১: এস এম খায়রুজ্জামান
ঢাকা-১৫: আতাউর রহমান বিল্লাহ
গাইবান্ধা-৪: (নাম পরে উল্লেখ করা হবে)
ঢাকা-১০: হারুন অর রশীদ
ফেনী-৩: খোকন চন্দ্র মজুমদার
নওগাঁ-৬: সরদার মোহাম্মদ আব্দুস সত্তার
হবিগঞ্জ-৪: মো. সিরাজুল ইসলাম
টাঙ্গাইল-৮: মো. মোস্তফা কামাল বাদল
বরগুনা-১: মো. জামাল হোসাইন
চট্টগ্রাম-১০: বিলকিস সুলতানা
ঝিনাইদহ-২: মো. মিজানুর রহমান মিজু
চট্টগ্রাম-১৩: জয় প্রকাশ নারায়ণ রক্ষিত
মানিকগঞ্জ-৩: মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস
বরিশাল-৪: আব্দুল জলিল
শরিয়তপুর-১: নূর মো. মনির
যেসব আসনে দুজন প্রার্থী
ঢাকা-১০, বরিশাল-৬, ঢাকা-১৭, চট্টগ্রাম-৯, শেরপুর-১, শরীয়তপুর-১, ঢাকা-১৮, বরগুনা-১, বরিশাল-৪, ঝালকাঠি-২ ও টাঙ্গাইল–৮।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ১২২টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদের জাতীয় পার্টির একাংশ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতৃত্বে গঠিত নবগঠিত রাজনৈতিক জোট ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট’। এ তালিকায় জোটের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে প্রার্থী হিসেবে রাখা হয়েছে। ১১টি আসনে দু’জন করে প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে জোটটি নির্বাচনের প্রস্তুতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলো। সংবাদ সম্মেলনে জোটের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের প্রার্থী তালিকায় ‘হেভিওয়েট’দের মধ্যে জোটের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫ ও জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসন থেকে ভোট করবেন।
এ ছাড়া জোটের মুখপাত্র এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার (পটুয়াখালী-১), জাপার জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ (ঢাকা-১০ আসনে), জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু (কিশোরগঞ্জ-৩), জেপি মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম (মাদারীপুর-৩) ও জোটের প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলনকে (মানিকগঞ্জ-২) প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
জোটের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্যদের বড় একটি অংশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন নুরুল ইসলাম ওমর (বগুড়া-৬), ইয়াহ ইয়া চৌধুরী (সিলেট-২), আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (পটুয়াখালী-৪), লিয়াকত হোসেন খোকা (নারায়ণগঞ্জ-৩)।
এ ছাড়া ঢাকা-১৩ আসনে শফিকুল ইসলাম সেন্টু, বরিশাল-৬ আসনে নাসরিন জাহান রত্না ও ফরিদপুর-২ আসনে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকে ফ্রন্টের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষ তালিকায় জহির রায়হানের ছেলে তপু রায়হানকে মনোনীত করা হয়েছে ঢাকা-১৭ আসনের জন্য।
নির্বাচনি কৌশলের অংশ হিসেবে নবগঠিত এই জোট ১১টি সংসদীয় আসনে দ্বৈত প্রার্থী রেখেছে, যার মধ্যে ঢাকা-১০, চট্টগ্রাম-৯, বরিশাল-৬, ঢাকা-১৭ ও ঝালকাঠি-২ অন্যতম।
সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ জোটের শীর্ষ নেতারা একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা জানান। তারা বলেন, মূলত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বাইরে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতেই এই জোট নিয়ে ভোটের মাঠে নেমেছেন তারা। প্রার্থীরা এরই মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনি প্রচারের প্রস্তুতি শুরু করেছেন বলে জানান তারা।
গত ৮ ডিসেম্বর আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। ছয়টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও ১২টি অনিবন্ধিত দল রয়েছে এই জোটে। নিবন্ধিত দলগুলো হলো— জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ।
১২২ আসনে যারা মনোনয়ন পেলেন
চট্টগ্রাম-৫: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ
পিরোজপুর-২: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু
পটুয়াখালী-১: এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার
ঢাকা-১০: কাজী ফিরোজ রশিদ
কিশোরগঞ্জ-৩: মুজিবুল হক চুন্নু
মাদারীপুর-৩: শেখ শহিদুল ইসলাম
মানিকগঞ্জ-২: গোলাম সারোয়ার মিলন
ফরিদপুর-২: শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর
বরিশাল-৬: নাসরিন জাহান রতনা, শেখ শাহীন রহমান
ঢাকা-১৩: শফিকুল ইসলাম সেন্টু
নারায়ণগঞ্জ-৩: লিয়াকত হোসেন খোকা
টাঙ্গাইল-৭: জহিরুল ইসলাম জহির
জামালপুর-২: মোস্তফা আল মাহমুদ
সাতক্ষীরা-১: সৈয়দ দিদার বখত
ময়মনসিংহ-৮: ফকরুল ইমাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২: জিয়াউল হক মৃধা
নোয়াখালী-১: আবু নাসের অহেদ ফারুক
ঢাকা-১৭: মেজর (অব.) শেখ হাবিবুর রহমান, তপু রায়হান
শেরপুর-১: আবু লায়েস মুন্না, মো. ইলিয়াস উদ্দিন
কুমিল্লা-৮: নুরুল ইসলাম মিলন
বগুড়া-৬: নুরুল ইসলাম ওমর
সিলেট-২: ইয়াহ ইয়া চৌধুরী
নীলফামারী-৩: মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল
কুড়িগ্রাম-২: পনির উদ্দিন আহম্মেদ
ফেনী-১: নাজমা আক্তার
চট্টগ্রাম-১২: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
চট্টগ্রাম-৭: মো. নজরুল ইসলাম, এম এ মঞ্জুর মাস্টার
টাঙ্গাইল-৫: আব্দুস সালাম চাকলাদার
জামালপুর-৪: মামুন অর রশীদ, মো. ইলিয়াস উদ্দিন
চট্টগ্রাম-৯: সোলায়মান আলম শেঠ
নেত্রকোনা-৩: মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া
পাবনা-১: সরদার শাহজাহান
নোয়াখালী-৪: মোবাবর হোসেন আজাদ
বরিশাল-৩: ফকরুল আহসান শাহজাদা
লক্ষ্মীপুর-১: মো. বেলাল হোসেন
ঢাকা-১৬: আমানত হোসেন আমানত
ঢাকা-১৪: জাহাঙ্গীর আলম পাঠান
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: শাহ জামাল রানা
সাতক্ষীরা-২: মাতলুব হোসেন লিয়ন
পঞ্চগড়-১: মো. আবু সালেক
বরিশাল-১: সেরনিয়াবাদ সেকান্দার আলী
ঠাকুরগাঁও-১: মো. রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী
নীলফামারী-৪: রাশেদুল ইসলাম
লালমনিরহাট-২: নিগার সুলতানা রানী
রংপুর-৪: আব্দুস সালাম
গাইবান্ধা-১: শফিকুল ইসলাম বাদশাহ মিয়া
জয়পুরহাট-১: আওলাদ হোসেন
রাজশাহী-১: বরুন সরকার
রাজশাহী-৩: অধ্যাপক কামরুজ্জামান
রাজশাহী-৫: আসাদুজ্জামান
রাজশাহী-৬: মো. ইকবাল হোসেন
সিরাজগঞ্জ-৩: আব্দুর রাজ্জাক
সিরাজগঞ্জ-৪: এস এম হামেস রাজু
পাবনা-৬: তরিকুল ইসলাম স্বাধীন
কুষ্টিয়া-৪: সাজ্জাদ হোসেন সেনা
যশোর-৩: মো. শফিকুল ইসলাম
যশোর-৬: আব্দুল লতিফ রানা
মাগুরা-১: সুমন ঘোষ
মাগুরা-২: আলমগীর সিকদার
বাগেরহাট-১: এস এম আল যোবায়ের
বরগুনা-১: মাইনুল হাসান রাসেল
পটুয়াখালী-২: মো. মহসিন হাওলাদার
পটুয়াখালী-৪: মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার
বরিশাল-৪: গাজী সোহেব কবির
ঝালকাঠি-২: এম এ কুদ্দুস খান
ঝালকাঠি-১: ডা. সেলিমা খান
পিরোজপুর-৩: সেকান্দার আলী মুকুল বাদশা
টাঙ্গাইল-৩: মো. আব্দুল হালিম
টাঙ্গাইল-৮: মো. রেজাউল করীম
ঢাকা-৯: এস এম আমিনুল হক সেলিম
ঢাকা-১১: হাজী নাসির উদ্দিন সরকার
ঢাকা-১২: মাসুদুর রহমান মাসুদ
শরিয়তপুর-১: ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ
শরিয়তপুর-২: ম. ম ওয়াসিম
শরিয়তপুর-৩: মোখলেসুর রহমান বস্তু
শেরপুর-১: জাহাঙ্গির আহমেদ
ময়মনসিংহ-৪: মো. আলমগীর হোসেন
কুমিল্লা-৩: এইচ এম এন শফিকুর রহমান
কুমিল্লা-১১: জাফর আহমেদ রাজু
ফেনী-২: ফজলে এলাহি সোহাগ মিয়া
নোয়াখালী-৩: মো. শামসুল আলম
কক্সবাজার-১: মো. তারেক
কক্সবাজার-৩: মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন
নোয়াখালী-৫: নাসির উদ্দিন বায়জিদ
নোয়াখালী-৬: শেখ মোহা. ফায়িজ উল্লাহ স্বপন
লক্ষ্মীপুর-২: জহিরুল ইসলাম রেজা
চট্টগ্রাম-২: এম এ সালাম
চট্টগ্রাম-৩: মো. নজরুল ইসলাম
কক্সবাজার-৪: শেখ মোহাম্মদ আলী
ঢাকা-১৮: আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, শেখ শহিদুল ইসলাম, সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মো. রুহুল আমিন, শাহ জামিল আমিরুল
কুড়িগ্রাম-৪: মাহিন হোসেন
ঝালকাঠী-২: এনামুল ইসলাম রুবেল, এ আর এম জাফর উল্লাহ চৌধুরী
ঝালকাঠী-১: মো. আসাদুজ্জামান
ঠাকুরগাঁও-৩: শওকত মাহমুদ
কুমিল্লা-৫: মো. আবদুল্লাহ
শেরপুর-১: গোলাম মোর্শেদ রনি
নারায়ণগঞ্জ-৪: কে এম জাহাঙ্গীর
ঝিনাইদহ-২: দীপক কুমার পালিত
চট্টগ্রাম-৯: টি এম জহিরুল হক তুহিন
খুলনা-৪: আফরোজা বেগম
মেহেরপুর-২: মির্জা আজম
খুলনা-১: হুমায়ুন কবির
কুমিল্লা-৫: মুনির হোসেন
চাঁদপুর-৩: শরীফ শাকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩: এম আর করিম
টাঙ্গাইল-২: মো. সেলিম রেজা
নওগাঁ-৫: এস এম আশিক বিল্লাহ
নড়াইল-১: এস এম খায়রুজ্জামান
ঢাকা-১৫: আতাউর রহমান বিল্লাহ
গাইবান্ধা-৪: (নাম পরে উল্লেখ করা হবে)
ঢাকা-১০: হারুন অর রশীদ
ফেনী-৩: খোকন চন্দ্র মজুমদার
নওগাঁ-৬: সরদার মোহাম্মদ আব্দুস সত্তার
হবিগঞ্জ-৪: মো. সিরাজুল ইসলাম
টাঙ্গাইল-৮: মো. মোস্তফা কামাল বাদল
বরগুনা-১: মো. জামাল হোসাইন
চট্টগ্রাম-১০: বিলকিস সুলতানা
ঝিনাইদহ-২: মো. মিজানুর রহমান মিজু
চট্টগ্রাম-১৩: জয় প্রকাশ নারায়ণ রক্ষিত
মানিকগঞ্জ-৩: মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিস
বরিশাল-৪: আব্দুল জলিল
শরিয়তপুর-১: নূর মো. মনির
যেসব আসনে দুজন প্রার্থী
ঢাকা-১০, বরিশাল-৬, ঢাকা-১৭, চট্টগ্রাম-৯, শেরপুর-১, শরীয়তপুর-১, ঢাকা-১৮, বরগুনা-১, বরিশাল-৪, ঝালকাঠি-২ ও টাঙ্গাইল–৮।

বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের প্রতি যে আস্থা ছিল, বিশ্বাস করি তারা সেটি রাখবে। দেশে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে সরকারকে আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
৮ ঘণ্টা আগে
নির্বাচনী সমীকরণে জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে আসনটি ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ধানের শীষের টিকিট পাওয়ার স্বপ্নভঙ্গ হলো রুমিন ফারহানার। প্রভাবশালী প্রার্থী মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীবের জন্য আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় এলাকায় বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়ে
৮ ঘণ্টা আগে
সমঝোতা অনুযায়ী, জমিয়তের প্রার্থীরা নির্দিষ্ট চারটি আসনে তাদের নিজস্ব প্রতীক ‘খেজুর গাছ’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
৯ ঘণ্টা আগে
ভোটের মাঠে বিজয়ী হতে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন না করলে খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না— এটিকেই বাস্তবতা মানছেন সবাই। ফলে জোটের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির পক্ষ থেকে ছাড় পেলেও আরপিও সংশোধনীর মারপ্যাচে ধানের শীষ প্রতীক পাওয়ার জন্য দল ছেড়ে সরাসরি যোগ দিতে হচ্ছে বিএনপিতেই।
১২ ঘণ্টা আগে