নারায়ণগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর শেষ নির্বাচনী জনসভা আজ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষ নির্বাচনী জনসভা যোগ দিতে আজ (বৃহস্পতিবার) নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইরের একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে এ জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। জনসভাটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটার দিকে।

এ জনসভা কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তারা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। নারায়ণগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পুরো নারায়ণগঞ্জ শহরে এখন সাজ সাজ রব। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন নেতাকর্মী, সমর্থকরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ নির্বাচনী জনসভা সফল করতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা, মতবিনিময় সভা ও বৈঠক করেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড থেকে চাষাড়া পর্যন্ত রাস্তায় নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কয়েকটি তোরণ। লাগানো হয়েছে বিলবোর্ড ও ব্যানার ফেস্টুন।

জনসভাস্থল, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্করোড ও নারায়ণগঞ্জ-ফতুল্লা-ঢাকার সড়কের বিভিন্ন স্থানে শোভা পাচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ আওয়ামী লীগ সরকারের নানা উন্নয়নের চিত্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জে আগমন ও জনসভাকে সফল করতে নারায়ণগঞ্জ এখন সাজ সাজ রব। দীর্ঘ ১৫ বছর পর শেখ হাসিনা নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে নারায়ণগঞ্জে আসছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান জনসভাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের আগেই বলেছেন, একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ঈদের জামাত আদায় করি। এখানে জায়নামাজ বিছিয়ে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এ মাঠ ভরতে প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ লোক লাগবে। আমার বিশ্বাস এই মাঠ ভরে রাস্তা থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত ওদিকে উত্তর চাষাড়া পর্যন্ত যাবে। আমি বিশ্বাস করি এ মিটিংটি নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে সর্বকালের সর্ববৃহৎ মিটিং হবে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভার ভেন্যু, প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের রাস্তা, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ট্রাফিকসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জনসভা স্থলে চার স্তুরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়াও আশপাশের সুউচ্চ ভবনগুলো থেকে যেন কোনো ধরনের নাকশতার ঘটাতে না পারে সেইজন্য আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও থাকবে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

জুলাই সনদের নোট অব ডিসেন্ট ও গণভোট প্রসঙ্গ স্পষ্ট নয়: আখতার

সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আখতার হোসেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য যে গণভোট আয়োজনের কথা বলা হয়েছে, সেটি পরিষ্কার হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেন, ‘নোট অব ডিসেন্টের একটি সংজ্ঞা প্রয়োজন এবং যেভাবে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে, সেই পথনকশা এবং গণভোট প্রসঙ্গ স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।

৭ ঘণ্টা আগে

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রিজভী

এদিকে, একই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণসংযোগের মাধ্যমে বলেন, আর বিভাজন করবেন না, আর কোনো দাবি তুলে বিভেদ তৈরি করবেন না। গণভোট, পিআর নিয়ে আর আন্দোলন করবেন না। নির্বাচনটা হতে দিন, দেশের মানুষ বাঁচুক। দেশের মানুষকে বাঁচাতে তাড়াতাড়ি ভোট হতে দিন।

৮ ঘণ্টা আগে

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করতে হবে, বিকল্প নেই: সালাহউদ্দিন

বুধবার (১৫ অক্টোবর) জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকে কমিশন প্রধান এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও উপস্থিত আছেন।

৯ ঘণ্টা আগে

‘অশান্তির জন্য নোবেল থাকলে বাংলাদেশ উপযুক্ত বিবেচিত হতো’

জিএম কাদের বলেন, দেশের বর্তমান অবক্ষয় থেকে রক্ষাকবচ, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন। বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ নয়। সে কারনে প্রয়োজন সরকার পরিবর্তন। তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন ও সে সরকারের অধীনে আগামী তিন মাসের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশ গ্রহনমূলক

৯ ঘণ্টা আগে