প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার বিষয়ে দেয়া বক্তব্যে ভুল বলেননি বলে জানিয়েছেন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপি নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে বিএনপি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি যা বলেছি, আমি ভুল বলিনি। আমার বক্তব্য একদম ঠিক আছে। কিন্তু অনেক কথার মধ্যে এসেছে তো, কাজেই তারা তো এইটুকুই দেখিয়েছে।’
সামাজিক মাধ্যমে তার বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের আমরা নির্বাচনে আনতে চাই। কিন্তু সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই আমাদের। আমার বক্তব্যের মূল কথা ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় চেয়েছেন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক। সেটা বলতে গিয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের কথা বলেছি। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে আসেনি।
আমি বলতে চেয়েছি, আওয়ামী লীগ আন্তরিকভাবে বিএনপির অংশগ্রহণ চেয়েছে। এই কথাটি বলতে গিয়ে আমি সেদিন কিছু কথাবার্তা বলেছি। আমি সেদিন এটিও বলেছি, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারেক রহমানের নামে মামলা রয়েছে, তার সাজা হয়েছে। সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তার মা অসুস্থ, তারও সাজা হয়েছে। কাজেই আমার ধারণা, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় না।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের বক্তব্য হলো- সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনোভাবেই নির্বাচন করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামের ব্যবস্থা নেই। জাপান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা–পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলতে কিছু নেই। কাজেই আওয়ামী লীগের সামনে কোনো বিকল্প নেই। এই কথাটিই বলেছি। এই পদ্ধতির মধ্যে থেকে বিএনপি বলতে পারত, নির্বাচনটাকে কীভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করা যায়।
তিনি আরও বলেন, সে ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন নিতে পারতাম। বিদেশ থেকে আরও বেশি পর্যবেক্ষক আসতেন। ওসিদের বদলি করা হচ্ছে। এভাবে এসপিদের বদলি করা যেত। ডিসিদের করা যেত। অর্থাৎ, সংবিধান অনুসারে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেখে, এই সরকারকে রেখে নির্বাচনটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা করা দরকার, আওয়ামী লীগ সেটা করতে চেয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেটা বিশ্বাস করেনি। আন্দোলনে গেছে।
গত ১৫ বছরে বিএনপির বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে, রেললাইন কেটে নাশকতা করেছে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে রাজশাহীতে পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, প্রায় চারশ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছি, আওয়ামী লীগের জন্য কী গন্তব্য ছিল? আপনারা জানেন, তারা রেললাইনে কীভাবে নাশকতা করেছে। দেশে কি যুদ্ধাবস্থা চলছে? এই নাশকতা বন্ধ করতে হলে গ্রেপ্তার তো করতে হবেই। বিএনপি নেতাদের হুকুম ছাড়া কি কোনো কর্মী বাসে আগুন দেবে? তাদের জেল-জুলুমের ভয় আছে না! অবশ্যই আছে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন সরকারে আছে, তার দায়িত্ব হলো মানুষের জীবনের ও জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। সেটা আওয়ামী করেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা যদি নির্বাচনে আসত, তাহলে স্বীকার নিত, তারা আর সন্ত্রাস করবে না। তার মানে শান্তি আসত। নির্বাচন কমিশনারই বারবার বলেছে, প্রয়োজনে নির্বাচন পিছিয়ে দেব। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বড় বড় নেতা কারাগারে রেখে কি নির্বাচন হবে? সেটা একটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জামিন দিয়ে, আমি ছেড়ে দেব, এটা তো কথা না, জামিন দিয়ে আইনের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হতো। নির্বাচন কমিশনই এমনটা ভেবে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কথা বলেছিল।
নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার অর্থ কী, বিএনপি যদি রাজি হয়, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। সেই কথাটিই আমি বলেছি। আবারও বলেছি, যোগ করেন মন্ত্রী।
বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে সরকারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টার বিষয়ে দেয়া বক্তব্যে ভুল বলেননি বলে জানিয়েছেন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপি নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তবে বিএনপি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি যা বলেছি, আমি ভুল বলিনি। আমার বক্তব্য একদম ঠিক আছে। কিন্তু অনেক কথার মধ্যে এসেছে তো, কাজেই তারা তো এইটুকুই দেখিয়েছে।’
সামাজিক মাধ্যমে তার বক্তব্যের ব্যাপক সমালোচনার ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। তাদের আমরা নির্বাচনে আনতে চাই। কিন্তু সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই আমাদের। আমার বক্তব্যের মূল কথা ছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় চেয়েছেন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করুক। সেটা বলতে গিয়ে আমি নির্বাচন কমিশনের কথা বলেছি। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে আসেনি।
আমি বলতে চেয়েছি, আওয়ামী লীগ আন্তরিকভাবে বিএনপির অংশগ্রহণ চেয়েছে। এই কথাটি বলতে গিয়ে আমি সেদিন কিছু কথাবার্তা বলেছি। আমি সেদিন এটিও বলেছি, বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তারেক রহমানের নামে মামলা রয়েছে, তার সাজা হয়েছে। সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তার মা অসুস্থ, তারও সাজা হয়েছে। কাজেই আমার ধারণা, বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না, তারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় না।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের বক্তব্য হলো- সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোনোভাবেই নির্বাচন করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নামের ব্যবস্থা নেই। জাপান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা–পৃথিবীর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলতে কিছু নেই। কাজেই আওয়ামী লীগের সামনে কোনো বিকল্প নেই। এই কথাটিই বলেছি। এই পদ্ধতির মধ্যে থেকে বিএনপি বলতে পারত, নির্বাচনটাকে কীভাবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করা যায়।
তিনি আরও বলেন, সে ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন নিতে পারতাম। বিদেশ থেকে আরও বেশি পর্যবেক্ষক আসতেন। ওসিদের বদলি করা হচ্ছে। এভাবে এসপিদের বদলি করা যেত। ডিসিদের করা যেত। অর্থাৎ, সংবিধান অনুসারে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রেখে, এই সরকারকে রেখে নির্বাচনটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা করা দরকার, আওয়ামী লীগ সেটা করতে চেয়েছে। কিন্তু বিএনপি সেটা বিশ্বাস করেনি। আন্দোলনে গেছে।
গত ১৫ বছরে বিএনপির বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে, রেললাইন কেটে নাশকতা করেছে। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে রাজশাহীতে পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, প্রায় চারশ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমি বলেছি, আওয়ামী লীগের জন্য কী গন্তব্য ছিল? আপনারা জানেন, তারা রেললাইনে কীভাবে নাশকতা করেছে। দেশে কি যুদ্ধাবস্থা চলছে? এই নাশকতা বন্ধ করতে হলে গ্রেপ্তার তো করতে হবেই। বিএনপি নেতাদের হুকুম ছাড়া কি কোনো কর্মী বাসে আগুন দেবে? তাদের জেল-জুলুমের ভয় আছে না! অবশ্যই আছে। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন সরকারে আছে, তার দায়িত্ব হলো মানুষের জীবনের ও জানমালের নিরাপত্তা দেয়া। সেটা আওয়ামী করেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা যদি নির্বাচনে আসত, তাহলে স্বীকার নিত, তারা আর সন্ত্রাস করবে না। তার মানে শান্তি আসত। নির্বাচন কমিশনারই বারবার বলেছে, প্রয়োজনে নির্বাচন পিছিয়ে দেব। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বড় বড় নেতা কারাগারে রেখে কি নির্বাচন হবে? সেটা একটা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জামিন দিয়ে, আমি ছেড়ে দেব, এটা তো কথা না, জামিন দিয়ে আইনের মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হতো। নির্বাচন কমিশনই এমনটা ভেবে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কথা বলেছিল।
নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার অর্থ কী, বিএনপি যদি রাজি হয়, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। সেই কথাটিই আমি বলেছি। আবারও বলেছি, যোগ করেন মন্ত্রী।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে কি না, তা জানার জন্য অপেক্ষা করুন। বিএনপি যেগুলো বলেছে, বিএনপি যেসব নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, সেগুলো সনদে লিপিবদ্ধ করা হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
৯ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, 'আমরা চাই আগামী নির্বাচনটা হোক, জনগণের ভোটে হোক। সবাই মিলে নির্বাচন করি, যারাই জিতবে তারা সরকার গঠন করুক। এরপর আলোচনা হোক দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আমরা আর মারামারি চাই না, আর প্রাণ দিতে চাই না। বাচ্চাদেরও যেন প্রাণ দিতে না হয়।'
১৪ ঘণ্টা আগেজুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি ও এ সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি— জুলাই জাতীয় সনদে সইয়ের জন্য এ দুই শর্ত দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, এ দুই শর্ত না মানলে তারা জুলাই সনদে সই করবেন না।
১৭ ঘণ্টা আগেভোটগ্রহণ হবে ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে। ভোট পরিচালনায় থাকবেন ২১২ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং বাকিরা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ৯১ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে আছেন।
২০ ঘণ্টা আগে