ভোট চুরির সুযোগ নেই বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি: শেখ হাসিনা

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

নির্বাচনে ভোট চুরির সুযোগ না থাকায় বিএনপি নির্বাচনে আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভোট চুরির সুযোগ নেই বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যেটা আওয়ামী লীগ সরকার করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে পাঁচ জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় ও লালমনিরহাট জেলা, রাজশাহী বিভাগের নাটোর ও পাবনা জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগ জনগণকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আর সেটা অব্যাহত থাকবে। এবারের নির্বাচনে আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ করে কেউ যেন মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ভোট নিয়ে যাতে কোনো সংঘাত না হয়, জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। দলের নেতাকর্মী যেই হোক এর কোনো ব্যত্যয় হলে ছাড় দেওয়া হবে না। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। এখানে কিন্তু কোনা রকম মারামারি-সংঘাত আমি দেখতে চাই না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, একটা প্রত্যয় নিয়েই আমি দেশে ফিরে এসেছিলাম, স্বাধীনতার সুফল বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছানো। মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করে তাদের জীবন উন্নত করা। যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করা হয়েছিল, জনগণের অধিকার তাদের হাতে ফিরিয়ে দিতেই এই প্রত্যয় নিয়ে সংগ্রাম শুরু করেছিলাম। অনেক ঘাত প্রতিঘাত, চড়াই- উতরাই পার হতে হয়েছে আমাদের। তারপরও থেমে থাকিনি। মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করে গেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সময় এদেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীকে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। তারপর আমরা ২১ বছর পর সরকারে আসি। আর জনগণের সেবক হিসেবে যাত্রা শুরু করি। এরপর থেকেই দেশের উন্নয়নে কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু ২০০১ সালে আবার সরকারে আসতে পারলাম না। কারণ হলো আমাদের গ্যাস বিক্রির একটা প্রস্তাব ছিল, বড় একটি দেশ থেকে। তখন আমি বলেছিলাম, এটি দেশের জনগণের সম্পদ, এটি আমি বিক্রি করতে পারবো না। তবে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজি হয়ে যায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল শুধু তাই নয়; ধর্ম-বর্ণ, নির্বিশেষে যারাই নৌকায় ভোট দিয়েছিল, তাদের ওপর মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিরা যেভাবে আমার দেশের মা-বোনদের ওপর নির্যাতন করেছিল, ঠিক সেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়। আমি নিজেও তাদের হাতে আক্রমণের শিকার হয়েছি বার বার। তারপরও থেমে থাকিনি। এজন্য আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানাই। তারা কষ্ট সহ্য করেছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে এখন বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এ ১৫ বছরে দেশের এমন কোনো জেলা নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

তিনি বলেন, আমরাই কিন্তু সংগ্রামের মাধ্যেমে এটা বিষয় প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম; ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেবো’। আমরাই ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছি। আমরা ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি। আজ মানুষ ভোট দিতে পারে, সেই সুযোগ সৃষ্টি করেছি। দেশের জনগণের আত্ম-সামাজিক মর্যাদা সৃষ্টি করেছি। তাই ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোট দেবে জনগণ। নির্বাচন উন্মুক্ত করেছে সরকার। নৌকাসহ আছে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীও। কেউ কারও অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। যাকে খুশি তাকে জনগণ ভোট দেবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অবৈধভোবে উত্থান হওয়া বিএনপি শুরু থেকেই সংবিধান বিরোধী। ভোট চুরির সুযোগ নেই বলেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। ভোট চুরির অপরাধে ১৯৯৬ সালে দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন, সেটা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। ভোট চুরির অপরাধে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। ভোট চুরির অপরাধে তাকে বিদায় নিতে হয়েছিল। ঠিক একইভাবে ভোট চুরির চেষ্টা করেছিল ২০০৬ সালেও। ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে, যারা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথাও শুনতে হয়, ভোটের কথাও শুনতে হয়।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

পিআর বাদ দিয়ে আসেন সঠিকভাবে নির্বাচনটা করি: মির্জা ফখরুল

তিনি বলেন, 'আমরা চাই আগামী নির্বাচনটা হোক, জনগণের ভোটে হোক। সবাই মিলে নির্বাচন করি, যারাই জিতবে তারা সরকার গঠন করুক। এরপর আলোচনা হোক দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে। আমরা আর মারামারি চাই না, আর প্রাণ দিতে চাই না। বাচ্চাদেরও যেন প্রাণ দিতে না হয়।'

১২ ঘণ্টা আগে

এনসিপির ২ শর্ত, না মানলে জুলাই সনদে সই নয়: নাহিদ

জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি ও এ সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি— জুলাই জাতীয় সনদে সইয়ের জন্য এ দুই শর্ত দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, এ দুই শর্ত না মানলে তারা জুলাই সনদে সই করবেন না।

১৫ ঘণ্টা আগে

রাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু

ভোটগ্রহণ হবে ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে। ভোট পরিচালনায় থাকবেন ২১২ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ১৭ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং বাকিরা সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া ৯১ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে আছেন।

১৮ ঘণ্টা আগে

চাকসুতেও জয়রথ অব্যাহত, ২৬ পদের ২৪টিই শিবিরের

এ নির্বাচনে ভিপি ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন শিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ইব্রাহিম হোসেন রনি, জিএস হয়েছেন একই প্যানেলের সাঈদ বিন হাবিব৷ শীর্ষ তিন পদের তৃতীয়টি গেছে ছাত্রদলের ঘরে, জয় পেয়েছেন আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।

১৯ ঘণ্টা আগে