ইশরাকের শপথ আদালতে বিচারাধীন বিষয়: স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১৭: ৩৭

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোকে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারাধীন বিষয় বলে অভিহিত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

ইশরাক হোসেনকে শপথ পাঠ করানোর ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার বিভাগ আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিনের সই করা এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের আইন অধিশাখা জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানোর বিষয়ে ২২ মে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট খারিজ হয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় সরকার বিভাগ সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছিল। এর মধ্যেই গত ২৫ মে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে হাইকোর্টে ইশরাক হোসেন নিজে তার আইনজীবীর মাধ্যমে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বলছে, এ ছাড়া ২৬ মে একজন নাগরিকের পক্ষে হাইকোর্ট বিভাগের ২২ মের খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দাখিল করা হয়েছে। ফলে সর্বোচ্চ আদালতে এটি একটি বিচারাধীন বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে তাই স্থানীয় সরকার বিভাগ ইশরাক হোসেনের শপথ পাঠের ক্ষেত্রে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে।

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে ইশরাককে প্রায় পৌনে দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। নির্বাচনের পরপরই ইশরাক হোসেন এর বিরুদ্ধে নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে আপিল করেন।

পাঁচ বছরেরও বেশি সময় পর গত ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল ওই ফলাফল বাতিল করে ইশরাককে বৈধ মেয়র ঘোষণা করেন। এরপর ২২ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চেয়ে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালের রায় পাঠায়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মতামত না আসায় ২৭ এপ্রিল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

৩০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনার জানান, আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতেই গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। পরে নির্বাচন কমিশন জানায়, তারা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে না।

এদিকে গেজেট প্রকাশের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো না হলে ঢাকাবাসীর ব্যানারে শুরু হয় আন্দোলন। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কার্যালয় তথা নগর ভবন অবরোধ থেকে শুরু করে টানা কয়েক দিনের আন্দোলনে ইশরাক সমর্থকরা মৎস্য ভবন মোড়, কাকরাইল, সুপ্রিম কোর্টের সামনের এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন।

এর মধ্যে ১৪ মে মো. মামুনুর রশিদ নামে এক ব্যক্তির পক্ষে আইনজীবী কাজী আকবর আলী হাইকোর্টে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় স্থগিতের পাশাপাশি তাকে মেয়র পদে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন। ২২ মে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিটটি খারিজ করে দিলে ইশরাককে শপথ পড়ানোর বাধা দূর হয়।

এর পরের দুই দিনেও শপথ পড়ানো না হলে ইশরাকের পক্ষ থেকে রোববার (২৫ মে) হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে শপথ পড়ানোর আদেশ চেয়ে। অন্যদিকে ২২ মে খারিজ হয়ে যাওয়া রিটটি নিয়ে রিটকারী ব্যক্তি খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন গতকাল সোমবার (২৬ মে)। এই দুই আবেদন নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত ইশরাকের মেয়র পদে শপথ নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

পলাশীর যুদ্ধ কেন হয়েছিল?

মীর জাফর, নবাবের সেনাপতি, ব্রিটিশদের সঙ্গে গোপনে চুক্তি করেন এবং যুদ্ধের সময় তার বাহিনীকে নিষ্ক্রিয় রাখেন। এই বিশ্বাসঘাতকতা নবাবের পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১৩ ঘণ্টা আগে

ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে হবে: তারেক রহমান

তারেক রহমান বলেন, এরই মধ্যে জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে যে সংস্কার নিয়ে সময় ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্ভুক্তি সরকারের ভেতরে এবং বাইরে কারো কোনো ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। পলাতক স্বৈরাচারের সময় আমরা দেখেছি তারা কীভাবে আদালতকে অবজ্ঞা করেছে এবং আদালতের রায়কে অবজ্ঞা করেছে। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, পলাতক স্বৈ

১৯ ঘণ্টা আগে

নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছি পদত্যাগের নাটক নয়: সালাহউদ্দিন

অন্তর্বর্তী সরকার পদত্যাগ নিয়ে নাটক করেছে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, পদত্যাগ চাইনি। কিন্তু তিনি পদত্যাগের নাটক করেছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন দিতে হবে।’

২১ ঘণ্টা আগে

বিচার ও সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানো যাবে না: আমীর খসরু

বিচার ও সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিচার ও সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানো যাবে না। বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ত

২১ ঘণ্টা আগে