অরুণাভ বিশ্বাস
নির্বাচন মানেই অধিকাংশ মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী নেতৃত্ব বাছাইয়ের এক শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা। কিন্তু সেই "অধিকাংশ" কাদের? কীভাবে বুঝব যে, জনগণের সঠিক মতামত প্রতিফলিত হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা। এর মধ্যে একটি জনপ্রিয় ও আলোচিত পদ্ধতির নাম সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি। বর্তমানে বাংলাদেশসহ নানা দেশে এ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে, বিতর্কও রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য প্রশ্নটা থেকেই যায়—সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি আসলে কী? কেন এটাকে অনেকে "অন্যায়ের প্রতিকার", আবার কেউ কেউ "অরাজকতার উৎস" বলে মনে করেন?
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি এমন এক ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা, যেখানে একটি রাজনৈতিক দল কত শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেই হিসাব অনুযায়ী তারা আসন পায়। ধরা যাক, একটি নির্বাচনে কোনো দল যদি মোট ভোটের ২৫% পায়, তাহলে তারা সংসদে মোট আসনের ২৫% পাবে—এই ধারণাই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার মূলমন্ত্র। একে ইংরেজিতে বলে Proportional Representation, সংক্ষেপে PR। এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো—সর্বসাধারণের মতামতের একটি সঠিক প্রতিচ্ছবি পার্লামেন্টে তুলে ধরা। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি সংখ্যালঘু বা ছোট দলগুলোর মতামতও উপেক্ষিত হয় না।
এই পদ্ধতির জন্ম ইউরোপে। ১৯ শতকের শেষদিকে বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ডে প্রথম এটি চালু হয়। পরে ধীরে ধীরে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ফিনল্যান্ডসহ অনেক ইউরোপীয় দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এখন বিশ্বের অন্তত ৯০টির বেশি দেশ আংশিক বা পুরোপুরি সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এতে নির্বাচন হয় সাধারণত দলভিত্তিক। মানুষ ব্যক্তিকে নয়, ভোট দেয় দলকে। এবং সেই দলের মোট ভোট সংখ্যার ভিত্তিতে দলটি কয়টি আসন পাবে, সেটা নির্ধারিত হয়।
বিখ্যাত নির্বাচন বিশ্লেষক ও ব্রিটিশ গবেষক অধ্যাপক অ্যারেন্ড লাইপহার্ট তাঁর বই Patterns of Democracy–এ লেখেন, "সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে নির্বাচনের ফলাফল আর সংসদের গঠন একে অপরের অনুরূপ হয়। ফলে একটি দেশের রাজনীতিতে বহুবাচনিকতা বজায় থাকে এবং নানা মতের, নানা গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব ঘটে।" তাঁর মতে, এই পদ্ধতি বিশেষ করে জাতিগতভাবে বা ভাষাগতভাবে বিভক্ত সমাজে বেশি কার্যকর।
এই পদ্ধতির অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, এতে কোনো দলের পক্ষে একচ্ছত্র ক্ষমতা অর্জন কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না হয়ে ছড়িয়ে পড়ে—যেটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো। দ্বিতীয়ত, সংখ্যালঘু দল বা ছোট মতবাদের প্রতিনিধিরাও সংসদে ঢোকার সুযোগ পায়, ফলে সব ধরনের মানুষের মতামত রাষ্ট্র পরিচালনায় বিবেচিত হয়। তৃতীয়ত, এতে সাধারণত জোট সরকার গঠিত হয়, যেটা সিদ্ধান্ত গ্রহণে বৈচিত্র্য ও ভারসাম্য আনে।
তবে এই পদ্ধতির কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো—এতে অনেক সময় জোট সরকার গঠনে দীর্ঘ সময় লাগে। ছোট দলগুলোর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়, যার ফলে তারা নিজেদের স্বার্থে বড় দলগুলোকে ব্ল্যাকমেইল করার সুযোগ পায়। ইসরায়েল বা ইতালির মতো দেশে প্রায়ই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেখানে ছোট দলের একটুখানি সমর্থনের জন্য বড় দলগুলোকে নানা শর্ত মানতে হয়। অনেক সময় এতে অচলাবস্থারও সৃষ্টি হয়।
এই প্রসঙ্গে জার্মান গবেষক ড. মার্টিন ক্রুসম্যান, যিনি বার্লিনের হুমবোল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, এক প্রবন্ধে বলেন, "সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি গণতন্ত্রের আয়না, তবে এই আয়নাটি কখনো কখনো অতিরিক্ত বিচিত্র হয়ে ওঠে। এতে ছোট দলগুলোর কথা গুরুত্ব পায় ঠিকই, কিন্তু যদি তারা দায়িত্বশীল না হয়, তবে রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলাও বাড়ে।" তাঁর মতে, এই পদ্ধতি সফল করতে হলে দলগুলোকে জবাবদিহি ও ন্যূনতম নীতিগত ঐক্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার একটি জনপ্রিয় ধরন হলো "তালিকাভিত্তিক পদ্ধতি"। এখানে প্রতিটি দল তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। জনগণ দলকে ভোট দেয়, তারপর সেই ভোটের অনুপাতে দল সংসদে কতজন পাঠাবে, তা নির্ধারিত হয়। জার্মানিতে আবার একটা মিশ্র পদ্ধতি চালু আছে—তাকে বলে Mixed Member Proportional বা MMP। এখানে কিছু আসন সরাসরি ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয়, আর কিছু আসন দেওয়া হয় দলীয় ভোটের অনুপাতে। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা এবং দলীয় সমর্থন—দুটোই গুরুত্ব পায়।
বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ১৯৯০-এর দশকে। কেউ কেউ মনে করেন, এই পদ্ধতি চালু হলে দেশের রাজনীতিতে মতের বৈচিত্র্য ও জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটবে। আবার কেউ কেউ আশঙ্কা করেন, এতে ছোট দলগুলোর অতিরিক্ত ক্ষমতা পেয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে রাজনৈতিক মেরুকরণ প্রবল, সেখানে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছেই।
তবে সুইডেনের নির্বাচন গবেষক এলিনা লারসন এক গবেষণাপত্রে বলেন, "সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির সফলতা নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। যদি রাজনৈতিক দলগুলো আদর্শিকভাবে পরিপক্ব হয় এবং জোটে কাজ করার মানসিকতা রাখে, তাহলে এই পদ্ধতি একটি সমাজে গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে পারে।"
তাই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিকে কোনো জাদুর কাঠি মনে করার কারণ নেই। এটি একটি পদ্ধতি মাত্র—যা ভালো ফল দেবে কিনা, তা নির্ভর করে সমাজ, রাজনৈতিক দল, ভোটারদের মানসিকতা ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ওপর। কিন্তু এটাও সত্যি যে, এই পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক উপেক্ষিত কণ্ঠকে সংসদে জায়গা দেওয়া সম্ভব। গণতন্ত্রে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—যেখানে প্রতিটি কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায়। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি সেই পথটাই দেখায়।
নির্বাচন মানেই অধিকাংশ মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী নেতৃত্ব বাছাইয়ের এক শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা। কিন্তু সেই "অধিকাংশ" কাদের? কীভাবে বুঝব যে, জনগণের সঠিক মতামত প্রতিফলিত হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তৈরি হয়েছে নানা ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা। এর মধ্যে একটি জনপ্রিয় ও আলোচিত পদ্ধতির নাম সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি। বর্তমানে বাংলাদেশসহ নানা দেশে এ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা চলছে, বিতর্কও রয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের জন্য প্রশ্নটা থেকেই যায়—সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি আসলে কী? কেন এটাকে অনেকে "অন্যায়ের প্রতিকার", আবার কেউ কেউ "অরাজকতার উৎস" বলে মনে করেন?
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি এমন এক ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা, যেখানে একটি রাজনৈতিক দল কত শতাংশ ভোট পেয়েছে, সেই হিসাব অনুযায়ী তারা আসন পায়। ধরা যাক, একটি নির্বাচনে কোনো দল যদি মোট ভোটের ২৫% পায়, তাহলে তারা সংসদে মোট আসনের ২৫% পাবে—এই ধারণাই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার মূলমন্ত্র। একে ইংরেজিতে বলে Proportional Representation, সংক্ষেপে PR। এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো—সর্বসাধারণের মতামতের একটি সঠিক প্রতিচ্ছবি পার্লামেন্টে তুলে ধরা। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পাশাপাশি সংখ্যালঘু বা ছোট দলগুলোর মতামতও উপেক্ষিত হয় না।
এই পদ্ধতির জন্ম ইউরোপে। ১৯ শতকের শেষদিকে বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ডে প্রথম এটি চালু হয়। পরে ধীরে ধীরে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ফিনল্যান্ডসহ অনেক ইউরোপীয় দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এখন বিশ্বের অন্তত ৯০টির বেশি দেশ আংশিক বা পুরোপুরি সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এতে নির্বাচন হয় সাধারণত দলভিত্তিক। মানুষ ব্যক্তিকে নয়, ভোট দেয় দলকে। এবং সেই দলের মোট ভোট সংখ্যার ভিত্তিতে দলটি কয়টি আসন পাবে, সেটা নির্ধারিত হয়।
বিখ্যাত নির্বাচন বিশ্লেষক ও ব্রিটিশ গবেষক অধ্যাপক অ্যারেন্ড লাইপহার্ট তাঁর বই Patterns of Democracy–এ লেখেন, "সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি হচ্ছে এমন এক ব্যবস্থা, যেখানে নির্বাচনের ফলাফল আর সংসদের গঠন একে অপরের অনুরূপ হয়। ফলে একটি দেশের রাজনীতিতে বহুবাচনিকতা বজায় থাকে এবং নানা মতের, নানা গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব ঘটে।" তাঁর মতে, এই পদ্ধতি বিশেষ করে জাতিগতভাবে বা ভাষাগতভাবে বিভক্ত সমাজে বেশি কার্যকর।
এই পদ্ধতির অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, এতে কোনো দলের পক্ষে একচ্ছত্র ক্ষমতা অর্জন কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না হয়ে ছড়িয়ে পড়ে—যেটা গণতন্ত্রের জন্য ভালো। দ্বিতীয়ত, সংখ্যালঘু দল বা ছোট মতবাদের প্রতিনিধিরাও সংসদে ঢোকার সুযোগ পায়, ফলে সব ধরনের মানুষের মতামত রাষ্ট্র পরিচালনায় বিবেচিত হয়। তৃতীয়ত, এতে সাধারণত জোট সরকার গঠিত হয়, যেটা সিদ্ধান্ত গ্রহণে বৈচিত্র্য ও ভারসাম্য আনে।
তবে এই পদ্ধতির কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো—এতে অনেক সময় জোট সরকার গঠনে দীর্ঘ সময় লাগে। ছোট দলগুলোর প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়, যার ফলে তারা নিজেদের স্বার্থে বড় দলগুলোকে ব্ল্যাকমেইল করার সুযোগ পায়। ইসরায়েল বা ইতালির মতো দেশে প্রায়ই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেখানে ছোট দলের একটুখানি সমর্থনের জন্য বড় দলগুলোকে নানা শর্ত মানতে হয়। অনেক সময় এতে অচলাবস্থারও সৃষ্টি হয়।
এই প্রসঙ্গে জার্মান গবেষক ড. মার্টিন ক্রুসম্যান, যিনি বার্লিনের হুমবোল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, এক প্রবন্ধে বলেন, "সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি গণতন্ত্রের আয়না, তবে এই আয়নাটি কখনো কখনো অতিরিক্ত বিচিত্র হয়ে ওঠে। এতে ছোট দলগুলোর কথা গুরুত্ব পায় ঠিকই, কিন্তু যদি তারা দায়িত্বশীল না হয়, তবে রাজনীতিতে বিশৃঙ্খলাও বাড়ে।" তাঁর মতে, এই পদ্ধতি সফল করতে হলে দলগুলোকে জবাবদিহি ও ন্যূনতম নীতিগত ঐক্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার একটি জনপ্রিয় ধরন হলো "তালিকাভিত্তিক পদ্ধতি"। এখানে প্রতিটি দল তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। জনগণ দলকে ভোট দেয়, তারপর সেই ভোটের অনুপাতে দল সংসদে কতজন পাঠাবে, তা নির্ধারিত হয়। জার্মানিতে আবার একটা মিশ্র পদ্ধতি চালু আছে—তাকে বলে Mixed Member Proportional বা MMP। এখানে কিছু আসন সরাসরি ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয়, আর কিছু আসন দেওয়া হয় দলীয় ভোটের অনুপাতে। এই পদ্ধতিতে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা এবং দলীয় সমর্থন—দুটোই গুরুত্ব পায়।
বাংলাদেশে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ১৯৯০-এর দশকে। কেউ কেউ মনে করেন, এই পদ্ধতি চালু হলে দেশের রাজনীতিতে মতের বৈচিত্র্য ও জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটবে। আবার কেউ কেউ আশঙ্কা করেন, এতে ছোট দলগুলোর অতিরিক্ত ক্ষমতা পেয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে রাজনৈতিক মেরুকরণ প্রবল, সেখানে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে বিতর্ক চলছেই।
তবে সুইডেনের নির্বাচন গবেষক এলিনা লারসন এক গবেষণাপত্রে বলেন, "সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির সফলতা নির্ভর করে রাজনৈতিক সংস্কৃতির ওপর। যদি রাজনৈতিক দলগুলো আদর্শিকভাবে পরিপক্ব হয় এবং জোটে কাজ করার মানসিকতা রাখে, তাহলে এই পদ্ধতি একটি সমাজে গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে পারে।"
তাই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিকে কোনো জাদুর কাঠি মনে করার কারণ নেই। এটি একটি পদ্ধতি মাত্র—যা ভালো ফল দেবে কিনা, তা নির্ভর করে সমাজ, রাজনৈতিক দল, ভোটারদের মানসিকতা ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ওপর। কিন্তু এটাও সত্যি যে, এই পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক উপেক্ষিত কণ্ঠকে সংসদে জায়গা দেওয়া সম্ভব। গণতন্ত্রে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—যেখানে প্রতিটি কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়া যায়। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি সেই পথটাই দেখায়।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে উল্লেখ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে লাভবান কারা হবে তা ভাবতে হবে। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হলে ফ্যাসিস্টরা সুযোগ পাবে।
১৬ ঘণ্টা আগেশায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন থেকে দেশে ফেরার তারিখ যখন চূড়ান্ত হবে দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে বলা হবে।
১৯ ঘণ্টা আগেরাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ জামায়াত আমিরের এমন বক্তব্যকে রাজনৈতিক কৌশল ও ‘স্টান্টবাজি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জামায়াত আদৌ ক্ষমা চেয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন তারা। বলছেন, এ ইস্যুতে ক্ষমা চাই
২০ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘ঐকমত্য কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা ঠিক করতে হবে। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হবে সেসব বিষয়ে সনদ করি, যেগুলোতে হবে না সেগুলো বাস্তবায়ন হবে না। ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া সব প্রস্তাব মানতে হবে, সেই ধারণা থেকে বের হতে হবে।’
১ দিন আগে