
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির আশপাশের এলাকা থেকে এক রিকশাচালককে আটক করে সন্দেহভাজন মামলায় গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ওই রিকশাচালক ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ফুল নিয়ে ধানমন্ডি ১৫ এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ তাকে আটক করে এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
রোববার (১৭ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
পাশাপাশি ধানমন্ডি থানার ওসির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বার্তায়।
প্রেস উইং আরও বলছে, দায়ের করা মামলায় আজিজুর রহমানের সম্পৃক্ততা তদন্ত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা অনুযায়ী অতি দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান রিকশাচালক আজিজুর। সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন তিনি। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মারধর করে আজিজুরকে যখন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল ওই সময় আজিজুর বলছিলেন, ‘আমি কোনো দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। তাই এসেছিলাম। আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। তাই আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।’
এ ঘটনা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আজিজুরকে শনিবার (১৬ আগস্ট) আদালতে উপস্থাপন করে পুলিশ। আদালত সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত ঘটনায় গত ২ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা এক হত্যাচেষ্টা মামলায় আজিজুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান।
আদালতে আজিজুরের পক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম ইসরাত জেনিফার জেরিন রিকশাচালক আজিজুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ঘটনা নিয়ে রোববার গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আজিজুর রহমানকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক। পুলিশের দাবি, আজিজুরকে ধানমন্ডি থানায় এপ্রিল মাসে দায়ের করা দণ্ডবিধির নিয়মিত একটি মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এপ্রিল মাসের কত তারিখে দায়ের করা কোন মামলায় আজিজুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সেটি অবশ্য ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
ডিএমপি উপকমিশনারের এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর আড়াই ঘণ্টা পরই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার ওসির ব্যাখ্যা তলবের খবর জানাল।

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ির আশপাশের এলাকা থেকে এক রিকশাচালককে আটক করে সন্দেহভাজন মামলায় গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ওই রিকশাচালক ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ফুল নিয়ে ধানমন্ডি ১৫ এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ তাকে আটক করে এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
রোববার (১৭ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে কীসের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।
পাশাপাশি ধানমন্ডি থানার ওসির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে বার্তায়।
প্রেস উইং আরও বলছে, দায়ের করা মামলায় আজিজুর রহমানের সম্পৃক্ততা তদন্ত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সম্প্রতি সংশোধিত সিআরপিসির ১৭৩(এ) ধারা অনুযায়ী অতি দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মারধরের শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান রিকশাচালক আজিজুর। সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন তিনি। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মারধর করে আজিজুরকে যখন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছিল ওই সময় আজিজুর বলছিলেন, ‘আমি কোনো দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি। তাই এসেছিলাম। আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। তাই আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।’
এ ঘটনা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আজিজুরকে শনিবার (১৬ আগস্ট) আদালতে উপস্থাপন করে পুলিশ। আদালত সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত ঘটনায় গত ২ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা এক হত্যাচেষ্টা মামলায় আজিজুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান।
আদালতে আজিজুরের পক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম ইসরাত জেনিফার জেরিন রিকশাচালক আজিজুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ ঘটনা নিয়ে রোববার গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আজিজুর রহমানকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক। পুলিশের দাবি, আজিজুরকে ধানমন্ডি থানায় এপ্রিল মাসে দায়ের করা দণ্ডবিধির নিয়মিত একটি মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এপ্রিল মাসের কত তারিখে দায়ের করা কোন মামলায় আজিজুরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সেটি অবশ্য ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
ডিএমপি উপকমিশনারের এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর আড়াই ঘণ্টা পরই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার ওসির ব্যাখ্যা তলবের খবর জানাল।

তিনি বলেন, ম্যাডামের চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল বোর্ড আছে তাদের পরামর্শক্রমে কিছু পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। উনি কেবিনে আছেন। টেস্টের রিপোর্টগুলো নিয়ে বোর্ডের পর্যালোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত ৮ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ সাক্ষাতে
১৭ ঘণ্টা আগে
তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ায় কর্মী সমর্থকরা একাধিকবার বিক্ষোভ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে সাজুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। তার বিরুদ্ধে দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডসহ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় ইসলামবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার আছে। ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে বিএনপি কখনো আপোষ করেনি।
১৯ ঘণ্টা আগে