গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যমতে র্যাব-১০ এর সদস্যরা সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানী বাড্ডা থানার হাজী আব্দুল হামিদ রোডস্থ পূর্ব-পদরদিয়া এলাকা থেকে অপর ৪ জন জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৯২৪ পিস ইয়াবা, ৫৫ গ্রাম হেরোইন, ২০৭ বোতল ফেনসিডিল ও ৫৩ কেজি ১০০ গ্রাম গাঁজা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৪টি মামলা করা হয়েছে।
১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ড. ইউনূস জামিনে থাকবেন। ওইদিন তিনিসহ ৪ জনকে ফের হাজির হতে হবে। আদালত আরও বলেন, ১৬ এপ্রিল আপিল শুনানির দিন ধার্য করা হলো। একই সঙ্গে শ্রম আদালত থেকে পাঠানো মামলার এলসিআর গ্রহণ করা হলো।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে তাকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি, বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৪৩১ পিস ইয়াবা, ৫০৩ গ্রাম হেরোইন, ৩৯ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা ও ৪ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২২টি মামলা করা হয়েছে।
আদালতে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সরদার জিন্নাত আলী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা আক্তার পলি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলার পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করি।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৬ হাজার ৭৯২ পিস ইয়াবা, ১৬৫ গ্রাম হেরোইন, ২৮ কেজি ২২০ গ্রাম গাঁজা ও ৭ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৩৪টি মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া অভিযানে রয়েছেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান। ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে কি না তা দেখতে অভিযান পরিচালনা করছে ডিএনসিসি।
৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের মামলায় তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় দেন।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ৫০০ পিস ইয়াবা, ৬৫ গ্রাম হেরোইন, ৭ কেজি ৬৯৪ গ্রাম গাঁজা ও ৩০ পিস ইনজেকশন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩টি মামলা করা হয়েছে।
১৫ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। ওইদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় নিয়তি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৩৯২ ইয়াবা, ১১১ গ্রাম হেরোইন, ৬৯ কেজি ৬০০ গ্রাম গাঁজা ও ৩৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ জামিন আবেদন করেছেন। আদালতের দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা আক্কাস আলী এ তথ্য জানিয়েছেন।
শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে ড. ইউনূসসহ চারজনের হাজিরার তারিখ ধার্য আছে আজ রোববার। শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এদিন। এ কারণে জামিন স্থায়ী করার আবেদন করা হবে এবার। রোবাবার সকালে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে এবং দুপুরের দিকে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইবেন ড. ই