প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে একটি জাতীয় দৈনিকে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অঢেল সম্পদ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন ফের আলোচনায়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেননি।
গতকাল শুক্রবার নিজ ফেসবুক লাইভে এসে প্রতিবেদনের তথ্যগুলো অসত্য বলে দাবি করেছেন বেনজীর আহমেদ।
সম্পত্তি অর্জনের তথ্যকে ‘মিথ্যা’ দাবি করে তিনি বলেন, কেউ যদি সেই তথ্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তবে সেই সম্পত্তি সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে হাসিমুখে লিখে দেবেন তিনি।
এদিকে বেনজীর আহমেদের এমন বক্তব্যের পর শনিবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দেয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।
দুদক কার্যালয়ে আবেদন জমা শেষে সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট আছে, প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের। ওনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আসছে পত্রিকায়। এটার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির ব্যবস্থা না দেখে আমি দুদকে এসেছি।
তিনি বলেন, আমি বলেছি এটা ইনকোয়ারি করা দরকার। কারণ যদি সাবেক আইজিপির এত সম্পদ থাকে, তাহলে পুলিশ ফোর্সের মধ্যে যারা সৎ অফিসার আছেন, তারা খুব বেশি ফ্রাস্ট্রেটেড হবেন। সৎ নাগরিকদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এটা যদি সত্য হয়, যারা অসৎ আছে তারা প্রতিযোগিতায় নামবে আমরা সবাই বেনজির হতে চাই। এর জন্য মনে হয়েছে এটা দেশের জন্য ভয়ানক বিষয়। এটা ইনকোয়ারি হওয়া দরকার।
দুদক অনুসন্ধান শুরু না করলে হাইকোর্ট যাবেন বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন।
ব্যারিষ্টার সুমনের চিঠির সূত্র ধরে কথা বলেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন একটি দরখাস্ত দাখিল করেছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ সংক্রান্ত যে খবর ছাপা হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে। বিষয়টি আমি নিশ্চিত হয়েছি দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে।
দুর্নীতি দমন কমিশন কিছুই করছে না এটা মোটেও ঠিক না দাবি করে খুরশিদ আলম খান বলেন, উনি যে দরখাস্ত দিয়েছেন অবশ্যই দুদক তা দেখবে তার আইন ও বিধি অনুযায়ী। যাচাই-বাছাই করে এটা কমিশনে উপস্থাপন করবে। কমিশন যদি মনে করে তথ্য উপাত্ত সঠিক আছে বা এইটা দুর্নীতি দমন কমিশনের সিডিউলের মধ্যে পড়ে অবশ্যই কমিশন যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবে। এখানে ব্যক্তি মুখ্য নয়।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন দেখবে যে অভিযোগটি এসেছে, তা তার তফসিলভুক্ত অপরাধের মধ্যে পড়ে কী না। যে তথ্যগুলো এসেছে, সে তথ্যগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি সত্যতা পায় অবশ্যই কমিশন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ যা করার করবে।
এই আইনজীবী বলেন, এইখানে অনেক গুলো ধাপ আছে। প্রথমত উনি যে দরখাস্ত দিয়েছেন এটা যাচাই-বাছাই কমিটিতে যাবে। যাচাই-বাছাই কমিটি এটা দেখে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন। যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে কমিশন যদি মনে করে এখানে তথ্য উপাত্ত যেটা আছে অনুসন্ধান করা উচিত। অবশ্যই সেটা করবে। আর কমিশনের ধর্তব্যের মধ্যে যদি পড়ে এবং কমিশনের কাছে প্রমাণ যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা আইনেই বলে দেয়া আছে।
তিনি বলেন, আজকে দরখাস্ত দিলে কালকেই যাচাই-বাছাই হয় না। দরখাস্তের একটা সিরিয়াল নাম্বার পড়ে সে অনুযায়ী হয়।
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে একটি জাতীয় দৈনিকে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অঢেল সম্পদ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন ফের আলোচনায়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ সংবাদ মাধ্যমে কথা বলেননি।
গতকাল শুক্রবার নিজ ফেসবুক লাইভে এসে প্রতিবেদনের তথ্যগুলো অসত্য বলে দাবি করেছেন বেনজীর আহমেদ।
সম্পত্তি অর্জনের তথ্যকে ‘মিথ্যা’ দাবি করে তিনি বলেন, কেউ যদি সেই তথ্যকে সত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তবে সেই সম্পত্তি সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে হাসিমুখে লিখে দেবেন তিনি।
এদিকে বেনজীর আহমেদের এমন বক্তব্যের পর শনিবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে দেয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।
দুদক কার্যালয়ে আবেদন জমা শেষে সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট আছে, প্রায় হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের। ওনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আসছে পত্রিকায়। এটার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির ব্যবস্থা না দেখে আমি দুদকে এসেছি।
তিনি বলেন, আমি বলেছি এটা ইনকোয়ারি করা দরকার। কারণ যদি সাবেক আইজিপির এত সম্পদ থাকে, তাহলে পুলিশ ফোর্সের মধ্যে যারা সৎ অফিসার আছেন, তারা খুব বেশি ফ্রাস্ট্রেটেড হবেন। সৎ নাগরিকদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এটা যদি সত্য হয়, যারা অসৎ আছে তারা প্রতিযোগিতায় নামবে আমরা সবাই বেনজির হতে চাই। এর জন্য মনে হয়েছে এটা দেশের জন্য ভয়ানক বিষয়। এটা ইনকোয়ারি হওয়া দরকার।
দুদক অনুসন্ধান শুরু না করলে হাইকোর্ট যাবেন বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন।
ব্যারিষ্টার সুমনের চিঠির সূত্র ধরে কথা বলেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন একটি দরখাস্ত দাখিল করেছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ সংক্রান্ত যে খবর ছাপা হয়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে। বিষয়টি আমি নিশ্চিত হয়েছি দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে।
দুর্নীতি দমন কমিশন কিছুই করছে না এটা মোটেও ঠিক না দাবি করে খুরশিদ আলম খান বলেন, উনি যে দরখাস্ত দিয়েছেন অবশ্যই দুদক তা দেখবে তার আইন ও বিধি অনুযায়ী। যাচাই-বাছাই করে এটা কমিশনে উপস্থাপন করবে। কমিশন যদি মনে করে তথ্য উপাত্ত সঠিক আছে বা এইটা দুর্নীতি দমন কমিশনের সিডিউলের মধ্যে পড়ে অবশ্যই কমিশন যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবে। এখানে ব্যক্তি মুখ্য নয়।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন দেখবে যে অভিযোগটি এসেছে, তা তার তফসিলভুক্ত অপরাধের মধ্যে পড়ে কী না। যে তথ্যগুলো এসেছে, সে তথ্যগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যদি সত্যতা পায় অবশ্যই কমিশন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ যা করার করবে।
এই আইনজীবী বলেন, এইখানে অনেক গুলো ধাপ আছে। প্রথমত উনি যে দরখাস্ত দিয়েছেন এটা যাচাই-বাছাই কমিটিতে যাবে। যাচাই-বাছাই কমিটি এটা দেখে একটা সিদ্ধান্ত দেবেন। যাচাই-বাছাই কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে কমিশন যদি মনে করে এখানে তথ্য উপাত্ত যেটা আছে অনুসন্ধান করা উচিত। অবশ্যই সেটা করবে। আর কমিশনের ধর্তব্যের মধ্যে যদি পড়ে এবং কমিশনের কাছে প্রমাণ যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা আইনেই বলে দেয়া আছে।
তিনি বলেন, আজকে দরখাস্ত দিলে কালকেই যাচাই-বাছাই হয় না। দরখাস্তের একটা সিরিয়াল নাম্বার পড়ে সে অনুযায়ী হয়।
ঢাবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর এ তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থান পেয়েছিলেন ১০ জন। চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫-এ। গবেষকদের প্রকাশিত গবেষণাপত্র, সাইটেশন, এইচ-ইনডেক্স, কনসিস্টেন্সি ও সহলেখকদের প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক গবেষণ
৭ ঘণ্টা আগেঢাবি শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শতভাগ মেধাভিত্তিক হতে হবে। শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের স্বজনদের জন্য চালু করা সব ধরনের পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে আবারও কোনো আইওয়াশ করা সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
৭ ঘণ্টা আগেফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে আলাদা করে কেন নতুন আসন গঠন করা হবে না— তা জানতে নির্বাচন কমিশনকে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বর্তমানে ফরিদপুর-৪ আসনের আওতাধীন রয়েছে ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা।
১১ ঘণ্টা আগেতবে নিবন্ধন পেতে যাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নাম এখনই প্রকাশ করছে না ইসি। কমিশনের বৈঠকে চূড়ান্ত হওয়ার পর রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
১১ ঘণ্টা আগে