তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনার) আবেদন করা হয়েছে। সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেই ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহতের ঘটনায় যেসব মামলা হচ্ছে তা নিয়ে এর মধ্যেই নানা ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে যেভাবে ঢালাওভাবে বিভিন্ন মামলায় বিএনপির নেতাকর্মী এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে সেই চর্চা এখনও চলছে বলে প্রশ্ন তুলছেন আইনজীবী ও
আমাদের আবহাওয়া দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে আরও সচেতনতার সাথে কাজ করতে হবে। যাতে বন্যা আসার আগেই আমরা প্রস্তুতি নিতে পারি। ভারতের সাথে অমীমাংসিত বিষয়গুলিরও সুরাহা করতে হবে। আমরা চাই, ন্যায্যতার ভিত্তিতে পারস্পরিক স্বার্থরক্ষা করে বিষয়গুলির সমাধান হোক।
অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গত ১৫ আগস্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন—এই দুই মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তাকে এখন দেশে ফিরিয়ে আনা দরকার।
বাংলাদেশে গণআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। আত্মপ্রকাশের পর থেকেই নিজেদের দাবি আদায়ে সংগঠনটির ব্যানারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আসছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশে ১০ দিন আগে গঠন হয়েছে নতুন সরকার। শুরু থেকেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীসহ সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে যে বিষয়টি বারবার আলোচনায় উঠে এসেছে, তা হচ্ছে রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ভেতরে দীর্ঘদিনের অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার তথ্য সামনে আসছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এতদিন কোণঠাসা কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব নিতে দৌড়ঝাঁপও শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত দেড় দশকে পুলিশ, জনপ্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ কিংবা পদায়নের ক্ষেত্রে যোগ্যতার চেয়ে দলীয় বিবেচনায় অগ্রাধিকার পেয়েছিল বেশি। যে কারণে সরকার পরিবর্তনে
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যাত্রা শুরু হলেও ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছে তারা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা কমিটিতেও রয়েছে তাদের দুজন সমন্বয়ক।
জনরোষের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর গা ঢাকা দিয়ে আছে দেড় দশকেরও বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এমন অবস্থায় ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী কেন্দ্র করে ঢাকায় শোক ও শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
সেদিন হাইকোর্টের সেই আদেশটি অনেক পত্রিকায় তেমন গুরুত্বও পায়নি। কিন্তু পরবর্তী পাঁচ সপ্তাহের মাথায় সেই বিক্ষোভের জেরে এক সময় ১৬ বছর ধরে কঠোরভাবে বিরোধী দলকে দমন করে একটানা ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনাকে গোপনে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়।
ব্যাংক থেকে ঋণগুলো কীসের ভিত্তিতে দেয়া হয়েছে, এবং তা কী কাজে লাগানো হচ্ছে– এ নিয়ে বিস্তর অনুসন্ধান জরুরি। এর ভিত্তিতে দুর্বৃত্ত চক্রকে এবং নিয়মভঙ্গ করে নেয়া ঋণগ্রহীতাদের সামনে এনে উপযুক্ত বিচার করতে হবে।
বাংলাদেশে সরকার পতনের পর রাষ্ট্রক্ষমতায় কয়েকদিন ধরে যে শূন্যতা, সেটির অবসান হলো ডক্টর ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের মাধ্যমে। তবে শুরু থেকেই নতুন এই সরকারকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের।
এ ধরনের তদন্ত কমিশন কেন ও কখন গঠন করা হয়? কেন এই কমিশনকে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন বলা হচ্ছে? এই কমিশনের করা তদন্তের সাথে অন্য তদন্তের আসলে পাথর্ক্য কতটুকু? কোন কোন ঘটনার তদন্ত করবে কমিশন?
গত ১৬ই জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত টানা বাংলাদেশে নজিরবিহীন বিক্ষোভ আর সহিংস আন্দোলন হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরণের বিক্ষোভ কখনোই দেখা যায়নি। এতো কম সময়ের মধ্যে ১৫০-এর বেশি মানুষ নিহত হবার ঘটনা ঘটেনি।
আফসোস কোনও কিছুতেই কিছু হয়নি। বরং সুইস ব্যাংকসমূহে বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। মালয়েশিয়ায় ‘মাই সেকেন্ড হোম’ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। দুবাইয়েও একদল বাংলাদেশি বিপুল সম্পদের মালিক। যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর-কোথায় তাদের সম্পদ নেই?
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, এবারের ঈদুল আজহায় সারাদেশে প্রায় ১ কোটি ৪ লাখেরবেশি পশু জবাই হয়েছে। এর মধ্যে ৪৮ লাখ ৫০ হাজারের মতো গরু-মহিষ এবং বাকিগুলোখাসি, বকরি, ভেড়াসহ অন্যান্য পশু।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার বিশ্লেষণ বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে প্রতিবছর ১ হাজারেও বেশি মানুষ নিহত হয়। ২০২১-এর তথ্য অনুযায়ী, পুলিশ যে গুলি চালায় সেসব তথ্যের মাত্র তিনভাগের একভাগ এফবিআই-এর ডাটাবেজে সংরক্ষিত হয়। বাকিটা উধাও। কেননা থানাগুলো কেন্দ্রীয় সরকারকে এসব তথ্য দিতে বাধ্য নয়।