তানভীর হোসেন
১৯৭২ সালের এক ব্যর্থ মহাকাশ অভিযানের গল্প আবারও সামনে এসেছে। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো ভেনাস মিশনের একটি পরিত্যক্ত স্যাটেলাইট, কসমস ৪৮২, প্রায় ৫৩ বছর পর আবার পৃথিবীর দিকে ফিরে আসছে। এই স্যাটেলাইটটি আগামী সপ্তাহে, অর্থাৎ ৭ থেকে ১৩ মে ২০২৫ এর মধ্যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে, এবং এটি ভূপৃষ্ঠের যে কোনো স্থানে আছড়ে পড়তে পারে।
কসমস ৪৮২কে শুক্র গ্রহ বা ভেনাসের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু একটি রকেট বুস্টারের ত্রুটির কারণে কসমস ৪৮২ খন্ডিত হয়ে পৃথিবীর কক্ষপথেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঘুরতে থাকে। কসমস ৪৮২ এর ল্যান্ডার ক্যাপসুলের একটি অংশ, যেটার ওজন প্রায় ৫০০ কেজি এবং ব্যাস এক মিটার, এখনো পৃথিবীর কক্ষপথে রয়েছে। এটি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় সম্পূর্ণভাবে পুড়ে না গিয়ে পৃথিবী পৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ক্যাপসুলটি ভেনাসের কঠিন পরিবেশ সহ্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তাই এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময়ও টিকে থাকতে পারে। যদি এটি মাটিতে পড়ে, তবে এর গতিবেগ হবে ঘন্টায় ২৪০ কিলোমিটার, যেটা একটি মাঝারি সাইজের উল্কা খন্ডের মতো প্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর যেকোনো স্থানে পড়তে পারে, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সমুদ্রের মধ্যে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি, কারণ পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশই জলময়। তবে, যদি এটি কোনো জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পড়ে এবং জানমালের ক্ষতি হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইন অনুযায়ী রাশিয়া এর জন্য দায়ী হবে।
কসমস ৪৮২ স্যাটেলাইটের সম্ভাব্য পতনের ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, মহাকাশে পাঠানো যেকোনো বস্তু, সেটা সফল মিশন হোক অথবা ব্যর্থ অভিযান হোক, সেটার শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে ফিরে আসার ঝুঁকি থেকেই যায়। মনে রাখতে হবে, বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে ১৪ হাজারেরও বেশি স্যাটেলাইট। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজারই সম্পূর্ণ অকেজো, যেগুলো মহাশূন্যে ভাসমান জঞ্জালের মতো রয়ে গেছে। এইসব পরিত্যক্ত বস্তু এক সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়তে পারে, এবং সেগুলোর আঘাতে হতে পারে ক্ষয়ক্ষতি। তাই মহাকাশ অভিযানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সময় এখনই। শুধু উৎক্ষেপণ নয়, বরং সেসব স্যাটেলাইটের দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি এবং নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিয়েও আগেভাগেই পরিকল্পনা করা দরকার। মহাকাশে যেসব বস্তু পাঠানো হচ্ছে, সেগুলোর গন্তব্য যেন একদিন আমাদের মাথার উপর বিপদ হয়ে না নামে, এটা নিশ্চিত করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
১৯৭২ সালের এক ব্যর্থ মহাকাশ অভিযানের গল্প আবারও সামনে এসেছে। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পাঠানো ভেনাস মিশনের একটি পরিত্যক্ত স্যাটেলাইট, কসমস ৪৮২, প্রায় ৫৩ বছর পর আবার পৃথিবীর দিকে ফিরে আসছে। এই স্যাটেলাইটটি আগামী সপ্তাহে, অর্থাৎ ৭ থেকে ১৩ মে ২০২৫ এর মধ্যে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করতে পারে, এবং এটি ভূপৃষ্ঠের যে কোনো স্থানে আছড়ে পড়তে পারে।
কসমস ৪৮২কে শুক্র গ্রহ বা ভেনাসের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু একটি রকেট বুস্টারের ত্রুটির কারণে কসমস ৪৮২ খন্ডিত হয়ে পৃথিবীর কক্ষপথেই অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঘুরতে থাকে। কসমস ৪৮২ এর ল্যান্ডার ক্যাপসুলের একটি অংশ, যেটার ওজন প্রায় ৫০০ কেজি এবং ব্যাস এক মিটার, এখনো পৃথিবীর কক্ষপথে রয়েছে। এটি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় সম্পূর্ণভাবে পুড়ে না গিয়ে পৃথিবী পৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ক্যাপসুলটি ভেনাসের কঠিন পরিবেশ সহ্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। তাই এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময়ও টিকে থাকতে পারে। যদি এটি মাটিতে পড়ে, তবে এর গতিবেগ হবে ঘন্টায় ২৪০ কিলোমিটার, যেটা একটি মাঝারি সাইজের উল্কা খন্ডের মতো প্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও এই স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর যেকোনো স্থানে পড়তে পারে, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সমুদ্রের মধ্যে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি, কারণ পৃথিবীর বেশিরভাগ অংশই জলময়। তবে, যদি এটি কোনো জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পড়ে এবং জানমালের ক্ষতি হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ আইন অনুযায়ী রাশিয়া এর জন্য দায়ী হবে।
কসমস ৪৮২ স্যাটেলাইটের সম্ভাব্য পতনের ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, মহাকাশে পাঠানো যেকোনো বস্তু, সেটা সফল মিশন হোক অথবা ব্যর্থ অভিযান হোক, সেটার শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে ফিরে আসার ঝুঁকি থেকেই যায়। মনে রাখতে হবে, বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে ১৪ হাজারেরও বেশি স্যাটেলাইট। এর মধ্যে প্রায় তিন হাজারই সম্পূর্ণ অকেজো, যেগুলো মহাশূন্যে ভাসমান জঞ্জালের মতো রয়ে গেছে। এইসব পরিত্যক্ত বস্তু এক সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়তে পারে, এবং সেগুলোর আঘাতে হতে পারে ক্ষয়ক্ষতি। তাই মহাকাশ অভিযানের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সময় এখনই। শুধু উৎক্ষেপণ নয়, বরং সেসব স্যাটেলাইটের দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি এবং নিরাপদ ব্যবস্থাপনা নিয়েও আগেভাগেই পরিকল্পনা করা দরকার। মহাকাশে যেসব বস্তু পাঠানো হচ্ছে, সেগুলোর গন্তব্য যেন একদিন আমাদের মাথার উপর বিপদ হয়ে না নামে, এটা নিশ্চিত করাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
কক্সবাজার সফরে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে রাতে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) এই উপদেষ্টার অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
১ দিন আগেএক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়।
১ দিন আগেসাপের মেরুদণ্ডে অসংখ্য হাড় আর পেশী আছে। এই হাড় ও পেশীর সাহায্যে তারা শরীর বাঁকায়, সঙ্কুচিত করে আবার প্রসারিত করে। একেকটা অংশ মাটিতে ধাক্কা দেয়, আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী মাটিও পাল্টা চাপ দিয়ে সাপকে সামনে এগিয়ে দেয়।
২ দিন আগে