ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আমাদের সমাজে বহুদিন ধরেই ফর্সা ত্বককে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় বলে ধরা হয়। বিজ্ঞাপন, সিনেমা, এমনকি বিয়ের পাত্র-পাত্রীর খোঁজেও “ফর্সা” গায়ের রঙ যেন এক ধরনের “আদর্শ” হয়ে উঠেছে। ফলে অনেকেই গায়ের রং ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন প্রসাধনী, ঘরোয়া টোটকা কিংবা চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো—বিজ্ঞান কি বলে? সত্যিই কি গায়ের রং ফর্সা করা সম্ভব?
প্রথমে জানা দরকার, আমাদের গায়ের রঙ নির্ধারিত হয় মূলত জিন বা বংশগতির মাধ্যমে এবং ত্বকে থাকা এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ ‘মেলানিন’-এর কারণে। মেলানিন যত বেশি, ত্বক তত গায়ের রং dark। এটি ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ফলে গায়ের রঙ এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবেও কাজ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. মেরি এলসন বলেন, “ত্বকের রং পরিবর্তন সম্ভব নয় যদি না আপনি মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব নয়, কারণ এটি জিনগত বিষয়।”
যেসব প্রসাধনী ফর্সা করার দাবি করে, সেগুলোর মধ্যে কী থাকে?
বর্তমানে বাজারে নানা রকম ফেয়ারনেস ক্রিম, সিরাম, ফেসওয়াশ পাওয়া যায় যেগুলো গায়ের রং ফর্সা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এসব পণ্যে সাধারণত থাকে হাইড্রোকুইনোন, মর্কারি (পারদ), স্টেরয়েড, কজিক অ্যাসিড কিংবা ভিটামিন সি জাতীয় উপাদান।
তবে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS)-এর গবেষণা অনুযায়ী, “অনেক ফেয়ারনেস ক্রিমে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান যেমন হাইড্রোকুইনোন বা পারদ, দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।”
অনেকে ঘরোয়া উপায়ে যেমন লেবুর রস, দই, হলুদ, মধু ইত্যাদি ব্যবহার করে গায়ের রঙ হালকা করার চেষ্টা করেন। এই উপায়গুলো কিছুটা ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এতে থাকে প্রাকৃতিক অ্যাসিড বা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তবে এগুলো স্থায়ীভাবে গায়ের রঙ ফর্সা করতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ত্বক গবেষক ড. জোনাথন লিম বলেন, “প্রাকৃতিক উপায়গুলোর মধ্যে কিছু কিছু উপাদান ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে উজ্জ্বলতা আনতে পারে, কিন্তু এগুলো রঙ ফর্সা করে না। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা।”
বর্তমানে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতিতে লেজার থেরাপি বা কেমিক্যাল পিল ব্যবহার করে ত্বকের উপরের স্তর সরিয়ে ফেলা হয়, যাতে ত্বক কিছুটা উজ্জ্বল দেখায়। তবে এইসব পদ্ধতি ব্যয়বহুল, ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনেক সময় স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।
কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. এলেনা মার্টিন বলেন, “যেসব মানুষ লেজার বা কেমিক্যাল পিলের মাধ্যমে গায়ের রঙ পরিবর্তন করতে চায়, তারা বুঝে না যে এটি শুধু সাময়িক উজ্জ্বলতা আনে, আসল রঙ বদলায় না।”
কেন এত আকর্ষণ ফর্সা হওয়ার প্রতি?
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ড. রেবেকা স্টোন বলেন, “ফর্সা ত্বককে সুন্দর ভাবার মানসিকতা এসেছে ঔপনিবেশিক আমলের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এটা একটি সামাজিক স্টিগমা, যার ফলে মানুষ নিজের আসল রঙকে অপছন্দ করতে শেখে।”
তিনি আরও বলেন, “যখন কেউ নিজের গায়ের রঙ নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকে, তখন তার আত্মবিশ্বাস কমে যায়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, গায়ের রঙ যেমনই হোক, সঠিক ত্বক পরিচর্যার মাধ্যমে উজ্জ্বল, মসৃণ ও সুস্থ ত্বক অর্জন করা সম্ভব। প্রতিদিন নিয়মিত মুখ ধোয়া, সানস্ক্রিন ব্যবহার, পরিমিত পানি পান ও সুষম খাদ্যগ্রহণ—এইগুলোই ত্বকের প্রকৃত বন্ধু।
নিউ জিল্যান্ডের ওটাগো ইউনিভার্সিটির ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. সোফি লাও বলেন, “ত্বকের উজ্জ্বলতা আসে ভেতরের স্বাস্থ্য থেকে, বাইরের কেমিক্যাল দিয়ে নয়। যদি আপনি সুস্থ থাকেন, তাহলে আপনার ত্বক আপনাআপনি উজ্জ্বল হবে।”
গায়ের রং ফর্সা করার কোনো স্থায়ী, নিরাপদ এবং কার্যকর উপায় এখনো বিজ্ঞানের হাতে নেই। বাজারে যেসব পণ্য বা চিকিৎসা পদ্ধতি এই প্রতিশ্রুতি দেয়, তার অনেকগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর। বরং নিজের স্বাভাবিক ত্বক রঙকে ভালোবেসে ত্বকের পরিচর্যায় মনোযোগ দেওয়া উচিত। সৌন্দর্য রঙে নয়, স্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাসে।
আমাদের সমাজে বহুদিন ধরেই ফর্সা ত্বককে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় বলে ধরা হয়। বিজ্ঞাপন, সিনেমা, এমনকি বিয়ের পাত্র-পাত্রীর খোঁজেও “ফর্সা” গায়ের রঙ যেন এক ধরনের “আদর্শ” হয়ে উঠেছে। ফলে অনেকেই গায়ের রং ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন প্রসাধনী, ঘরোয়া টোটকা কিংবা চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো—বিজ্ঞান কি বলে? সত্যিই কি গায়ের রং ফর্সা করা সম্ভব?
প্রথমে জানা দরকার, আমাদের গায়ের রঙ নির্ধারিত হয় মূলত জিন বা বংশগতির মাধ্যমে এবং ত্বকে থাকা এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ ‘মেলানিন’-এর কারণে। মেলানিন যত বেশি, ত্বক তত গায়ের রং dark। এটি ত্বককে সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। ফলে গায়ের রঙ এক ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবেও কাজ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. মেরি এলসন বলেন, “ত্বকের রং পরিবর্তন সম্ভব নয় যদি না আপনি মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। কিন্তু সেটা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব নয়, কারণ এটি জিনগত বিষয়।”
যেসব প্রসাধনী ফর্সা করার দাবি করে, সেগুলোর মধ্যে কী থাকে?
বর্তমানে বাজারে নানা রকম ফেয়ারনেস ক্রিম, সিরাম, ফেসওয়াশ পাওয়া যায় যেগুলো গায়ের রং ফর্সা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এসব পণ্যে সাধারণত থাকে হাইড্রোকুইনোন, মর্কারি (পারদ), স্টেরয়েড, কজিক অ্যাসিড কিংবা ভিটামিন সি জাতীয় উপাদান।
তবে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS)-এর গবেষণা অনুযায়ী, “অনেক ফেয়ারনেস ক্রিমে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান যেমন হাইড্রোকুইনোন বা পারদ, দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।”
অনেকে ঘরোয়া উপায়ে যেমন লেবুর রস, দই, হলুদ, মধু ইত্যাদি ব্যবহার করে গায়ের রঙ হালকা করার চেষ্টা করেন। এই উপায়গুলো কিছুটা ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে, কারণ এতে থাকে প্রাকৃতিক অ্যাসিড বা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তবে এগুলো স্থায়ীভাবে গায়ের রঙ ফর্সা করতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ত্বক গবেষক ড. জোনাথন লিম বলেন, “প্রাকৃতিক উপায়গুলোর মধ্যে কিছু কিছু উপাদান ত্বক থেকে মৃত কোষ সরিয়ে উজ্জ্বলতা আনতে পারে, কিন্তু এগুলো রঙ ফর্সা করে না। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা।”
বর্তমানে কিছু চিকিৎসা পদ্ধতিতে লেজার থেরাপি বা কেমিক্যাল পিল ব্যবহার করে ত্বকের উপরের স্তর সরিয়ে ফেলা হয়, যাতে ত্বক কিছুটা উজ্জ্বল দেখায়। তবে এইসব পদ্ধতি ব্যয়বহুল, ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনেক সময় স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।
কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটির ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. এলেনা মার্টিন বলেন, “যেসব মানুষ লেজার বা কেমিক্যাল পিলের মাধ্যমে গায়ের রঙ পরিবর্তন করতে চায়, তারা বুঝে না যে এটি শুধু সাময়িক উজ্জ্বলতা আনে, আসল রঙ বদলায় না।”
কেন এত আকর্ষণ ফর্সা হওয়ার প্রতি?
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী ড. রেবেকা স্টোন বলেন, “ফর্সা ত্বককে সুন্দর ভাবার মানসিকতা এসেছে ঔপনিবেশিক আমলের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। এটা একটি সামাজিক স্টিগমা, যার ফলে মানুষ নিজের আসল রঙকে অপছন্দ করতে শেখে।”
তিনি আরও বলেন, “যখন কেউ নিজের গায়ের রঙ নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকে, তখন তার আত্মবিশ্বাস কমে যায়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, গায়ের রঙ যেমনই হোক, সঠিক ত্বক পরিচর্যার মাধ্যমে উজ্জ্বল, মসৃণ ও সুস্থ ত্বক অর্জন করা সম্ভব। প্রতিদিন নিয়মিত মুখ ধোয়া, সানস্ক্রিন ব্যবহার, পরিমিত পানি পান ও সুষম খাদ্যগ্রহণ—এইগুলোই ত্বকের প্রকৃত বন্ধু।
নিউ জিল্যান্ডের ওটাগো ইউনিভার্সিটির ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. সোফি লাও বলেন, “ত্বকের উজ্জ্বলতা আসে ভেতরের স্বাস্থ্য থেকে, বাইরের কেমিক্যাল দিয়ে নয়। যদি আপনি সুস্থ থাকেন, তাহলে আপনার ত্বক আপনাআপনি উজ্জ্বল হবে।”
গায়ের রং ফর্সা করার কোনো স্থায়ী, নিরাপদ এবং কার্যকর উপায় এখনো বিজ্ঞানের হাতে নেই। বাজারে যেসব পণ্য বা চিকিৎসা পদ্ধতি এই প্রতিশ্রুতি দেয়, তার অনেকগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ বা বিভ্রান্তিকর। বরং নিজের স্বাভাবিক ত্বক রঙকে ভালোবেসে ত্বকের পরিচর্যায় মনোযোগ দেওয়া উচিত। সৌন্দর্য রঙে নয়, স্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাসে।
দেশের আটটি অঞ্চলের উপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেআজকের আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুর সবচেয়ে বড় অস্ত্র হচ্ছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি বহু কিলোমিটার দূর থেকে ছোড়া যায়, একটানে শহরের কেন্দ্রেও আঘাত করতে পারে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র চোখে দেখা যায় না, শব্দহীন গতিতে ছুটে আসে। কিন্তু প্রযুক্তির কল্যাণে একে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় এক বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে। সেই য
২ দিন আগেএই ‘স্যামসান’ নামটা এসেছে বাইবেল থেকে। স্যামসান ছিল এক শক্তিশালী মানুষ। শত্রুরা তাকে বন্দি করে ফেলে। পরে সে নিজের মৃত্যু মেনে নিয়ে শত্রুদের এক ভবন ধ্বংস করে দেয়। ইসরায়েলের এই পরমাণু নীতিও অনেকটা সেইরকম। যদি কখনো ইসরায়েল ধ্বংসের মুখে পড়ে, তাহলে তারা শত্রুদেরও ধ্বংস করে দেবে। এটাই হলো স্যামসান অপশন।
৩ দিন আগেব্যালেস্টিক মিসাইল হলো এমন এক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, যেটা আকাশে উঠে গিয়ে কিছুদূর বলের মতো ধনুকের তীরের মতো একধরনের বক্রপথে চলে। মাটির কাছ থেকে উৎক্ষেপণ করে তাকে এমনভাবে ছুড়ে দেওয়া হয়, যাতে সে নিজের গতি আর অভিকর্ষ বলের উপর নির্ভর করে লক্ষ্যে গিয়ে পড়ে। এই মিসাইল সাধারণত তিনটি ধাপে কাজ করে—প্রথমে উৎক্ষেপণ
৪ দিন আগে