ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রাচীনকাল থেকেই লেবু শুধু রান্নায় স্বাদ আনার উপকরণ হিসেবে নয়, ত্বক ও চুলের যত্নেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে আমাদের দেশীয় রান্নায় যেভাবে লেবুর পাতা সুগন্ধ দিতে ব্যবহার করা হয়, ঠিক তেমনভাবেই আয়ুর্বেদ বা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় এই পাতার ব্যবহার অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। তবে প্রশ্ন হলো, লেবুর পাতা কি সত্যিই ত্বকের জন্য উপকারী? আবার, এর কোনো ক্ষতিকর দিক আছে কি? এই ফিচারে আমরা এই বিষয়গুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করব, পাশাপাশি কিছু বিদেশি গবেষকের মতামতও তুলে ধরা হবে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
লেবুর পাতা এমনিতেই ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে বয়সের ছাপ কিছুটা ধীরে পড়ে।
আমেরিকার ‘ডারমাটোলজিক থেরাপি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় মার্কিন গবেষক ড. লিন্ডা ডি. নেলসন লিখেছেন, “লেবু জাতীয় পাতায় থাকা পলিফেনলস ত্বকে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির বিরুদ্ধে একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা তৈরি করে।”
ব্রণ রোধে সহায়ক
লেবুর পাতায় রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যাসিডিক উপাদান ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী গুণ, যা ব্রণ কমাতে সহায়তা করতে পারে। পাতাগুলোকে গুঁড়া করে হালকা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে তা ত্বক পরিষ্কার করে ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বক উজ্জ্বল করে
লেবুর পাতার রস নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালচে ভাব কিছুটা কমে যেতে পারে। এটি প্রাকৃতিকভাবে এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ তুলে দেয় এবং ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।
দুর্গন্ধ দূর করে
ত্বকের দুর্গন্ধ দূর করতেও লেবুর পাতার রস কার্যকর হতে পারে। যারা অতিরিক্ত ঘামেন, তাঁদের জন্য এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।
ছত্রাকনাশক গুণ
ভারতের ‘আয়ুর্বেদিক মেডিসিন জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, লেবুর পাতা ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে পায়ের ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা ‘অ্যাথলেটস ফুট’-এ এটি উপকারী হতে পারে।
তবে সব প্রাকৃতিক উপাদানের মতো লেবুর পাতারও কিছু সতর্কতা ও সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
ত্বকে জ্বালাপোড়া ও লালচে ভাব
লেবুর পাতা বা রস সরাসরি সংবেদনশীল ত্বকে লাগালে জ্বালাপোড়া, চুলকানি বা লাল হয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল স্কিন সেন্টার’-এর ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. রবার্ট এন. হিল বলেন, “লেবুর পাতায় থাকা সাইট্রাল ও লিনালুল নামের যৌগ কিছু মানুষের ত্বকে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। তাই ব্যবহার করার আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করা জরুরি।”
সূর্যের আলোতে ত্বক পুড়ে যেতে পারে
লেবুর পাতার রস ব্যবহারের পর সূর্যের আলোয় বের হলে ফটোডার্মাটাইটিস হতে পারে। এটি এক ধরনের ত্বকের প্রদাহ, যা সাইট্রাসজাত পণ্যের কারণে সূর্যের সংস্পর্শে এলে হয়।
স্পেনের বার্সেলোনা ইউনিভার্সিটির কসমেটিক সায়েন্স গবেষক ড. অ্যাঞ্জেলা মার্টিনেজ বলেন, “লেবুর পাতায় থাকা কিছু ফটোসেন্সিটিভ উপাদান সূর্যের সাথে মিশে ত্বকের রঙ পুড়িয়ে দিতে পারে। এটি ত্বকে কালো দাগের কারণ হতে পারে।”
অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়
লেবুর পাতায় থাকা অ্যাসিড ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নিতে পারে, ফলে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক ও খসখসে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের লোকদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
প্যাচ টেস্ট করুন: ব্যবহারের আগে হাতের কনুইয়ের ভাঁজে সামান্য লাগিয়ে ২৪ ঘণ্টা দেখুন, কোনো প্রতিক্রিয়া হয় কি না।
রোদে এড়িয়ে চলুন: ব্যবহারের পর অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা রোদে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
সপ্তাহে ২ বার যথেষ্ট: অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। সপ্তাহে ১-২ বার যথেষ্ট।
মিশিয়ে ব্যবহার করুন: মধু, অ্যালোভেরা জেল বা দইয়ের সঙ্গে লেবুর পাতার রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছুটা কম হয়।
‘জার্নাল অব হার্বাল ফার্মাকোলজি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ড. ক্লেয়ার হ্যামিলটন জানান, “লেবুর পাতা থেকে তৈরি তেল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিতে ভরপুর, কিন্তু ত্বকের সরাসরি ব্যবহারে এর ঘনত্ব কমিয়ে ব্যবহার না করলে সমস্যা হতে পারে।”
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ড. মেলিসা কেয়ার বলেন, “সব প্রাকৃতিক উপাদানই ভালো নয়—তা কতটা, কীভাবে এবং কখন ব্যবহার করছেন, সেটাই মুখ্য বিষয়। লেবুর পাতা হতে পারে ত্বকের বন্ধু, তবে কখনও কখনও শত্রুও।”
লেবুর পাতার ত্বকে ব্যবহার একদিকে যেমন উপকারী হতে পারে, তেমনি ভুলভাবে বা অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্ষতিকরও হতে পারে। তাই এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য চাই সচেতনতা ও পরিমিত ব্যবহার। যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তাঁদের উচিত আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। প্রাকৃতিক বলে কিছুই ১০০% নিরাপদ নয়—এ কথাটি মনে রাখা দরকার।
প্রাচীনকাল থেকেই লেবু শুধু রান্নায় স্বাদ আনার উপকরণ হিসেবে নয়, ত্বক ও চুলের যত্নেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে আমাদের দেশীয় রান্নায় যেভাবে লেবুর পাতা সুগন্ধ দিতে ব্যবহার করা হয়, ঠিক তেমনভাবেই আয়ুর্বেদ বা প্রাকৃতিক চিকিৎসায় এই পাতার ব্যবহার অনেক আগে থেকেই প্রচলিত। তবে প্রশ্ন হলো, লেবুর পাতা কি সত্যিই ত্বকের জন্য উপকারী? আবার, এর কোনো ক্ষতিকর দিক আছে কি? এই ফিচারে আমরা এই বিষয়গুলো সহজভাবে ব্যাখ্যা করব, পাশাপাশি কিছু বিদেশি গবেষকের মতামতও তুলে ধরা হবে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
লেবুর পাতা এমনিতেই ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে বয়সের ছাপ কিছুটা ধীরে পড়ে।
আমেরিকার ‘ডারমাটোলজিক থেরাপি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণায় মার্কিন গবেষক ড. লিন্ডা ডি. নেলসন লিখেছেন, “লেবু জাতীয় পাতায় থাকা পলিফেনলস ত্বকে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির বিরুদ্ধে একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা তৈরি করে।”
ব্রণ রোধে সহায়ক
লেবুর পাতায় রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যাসিডিক উপাদান ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী গুণ, যা ব্রণ কমাতে সহায়তা করতে পারে। পাতাগুলোকে গুঁড়া করে হালকা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে তা ত্বক পরিষ্কার করে ও ব্রণ কমাতে সাহায্য করে।
ত্বক উজ্জ্বল করে
লেবুর পাতার রস নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালচে ভাব কিছুটা কমে যেতে পারে। এটি প্রাকৃতিকভাবে এক্সফলিয়েট করে মৃত কোষ তুলে দেয় এবং ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।
দুর্গন্ধ দূর করে
ত্বকের দুর্গন্ধ দূর করতেও লেবুর পাতার রস কার্যকর হতে পারে। যারা অতিরিক্ত ঘামেন, তাঁদের জন্য এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।
ছত্রাকনাশক গুণ
ভারতের ‘আয়ুর্বেদিক মেডিসিন জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, লেবুর পাতা ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে পায়ের ফাঙ্গাল ইনফেকশন বা ‘অ্যাথলেটস ফুট’-এ এটি উপকারী হতে পারে।
তবে সব প্রাকৃতিক উপাদানের মতো লেবুর পাতারও কিছু সতর্কতা ও সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
ত্বকে জ্বালাপোড়া ও লালচে ভাব
লেবুর পাতা বা রস সরাসরি সংবেদনশীল ত্বকে লাগালে জ্বালাপোড়া, চুলকানি বা লাল হয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল স্কিন সেন্টার’-এর ত্বক বিশেষজ্ঞ ড. রবার্ট এন. হিল বলেন, “লেবুর পাতায় থাকা সাইট্রাল ও লিনালুল নামের যৌগ কিছু মানুষের ত্বকে এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। তাই ব্যবহার করার আগে ‘প্যাচ টেস্ট’ করা জরুরি।”
সূর্যের আলোতে ত্বক পুড়ে যেতে পারে
লেবুর পাতার রস ব্যবহারের পর সূর্যের আলোয় বের হলে ফটোডার্মাটাইটিস হতে পারে। এটি এক ধরনের ত্বকের প্রদাহ, যা সাইট্রাসজাত পণ্যের কারণে সূর্যের সংস্পর্শে এলে হয়।
স্পেনের বার্সেলোনা ইউনিভার্সিটির কসমেটিক সায়েন্স গবেষক ড. অ্যাঞ্জেলা মার্টিনেজ বলেন, “লেবুর পাতায় থাকা কিছু ফটোসেন্সিটিভ উপাদান সূর্যের সাথে মিশে ত্বকের রঙ পুড়িয়ে দিতে পারে। এটি ত্বকে কালো দাগের কারণ হতে পারে।”
অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়
লেবুর পাতায় থাকা অ্যাসিড ত্বকের প্রাকৃতিক তেল শুষে নিতে পারে, ফলে ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক ও খসখসে। বিশেষ করে শুষ্ক ত্বকের লোকদের জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে।
প্যাচ টেস্ট করুন: ব্যবহারের আগে হাতের কনুইয়ের ভাঁজে সামান্য লাগিয়ে ২৪ ঘণ্টা দেখুন, কোনো প্রতিক্রিয়া হয় কি না।
রোদে এড়িয়ে চলুন: ব্যবহারের পর অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা রোদে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
সপ্তাহে ২ বার যথেষ্ট: অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। সপ্তাহে ১-২ বার যথেষ্ট।
মিশিয়ে ব্যবহার করুন: মধু, অ্যালোভেরা জেল বা দইয়ের সঙ্গে লেবুর পাতার রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছুটা কম হয়।
‘জার্নাল অব হার্বাল ফার্মাকোলজি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ড. ক্লেয়ার হ্যামিলটন জানান, “লেবুর পাতা থেকে তৈরি তেল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টিতে ভরপুর, কিন্তু ত্বকের সরাসরি ব্যবহারে এর ঘনত্ব কমিয়ে ব্যবহার না করলে সমস্যা হতে পারে।”
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ড. মেলিসা কেয়ার বলেন, “সব প্রাকৃতিক উপাদানই ভালো নয়—তা কতটা, কীভাবে এবং কখন ব্যবহার করছেন, সেটাই মুখ্য বিষয়। লেবুর পাতা হতে পারে ত্বকের বন্ধু, তবে কখনও কখনও শত্রুও।”
লেবুর পাতার ত্বকে ব্যবহার একদিকে যেমন উপকারী হতে পারে, তেমনি ভুলভাবে বা অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্ষতিকরও হতে পারে। তাই এর উপকারিতা পাওয়ার জন্য চাই সচেতনতা ও পরিমিত ব্যবহার। যাদের ত্বক সংবেদনশীল, তাঁদের উচিত আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া। প্রাকৃতিক বলে কিছুই ১০০% নিরাপদ নয়—এ কথাটি মনে রাখা দরকার।
সার্কের সূচনার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ প্রস্তুতি, নানা রাজনৈতিক সমঝোতা এবং কিছু সাহসী কূটনৈতিক উদ্যোগ।
১ দিন আগেএই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে আগে জানতে হবে, অ্যাসিডিটি কেন হয়। আমাদের পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয়, যা খাবার হজমে সহায়তা করে।
১ দিন আগেএই পদ্ধতির কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো—এতে অনেক সময় জোট সরকার গঠনে দীর্ঘ সময় লাগে।
১ দিন আগে১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই ইরানের ওপর আরোপিত হয় অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা।
২ দিন আগে