ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আদা আমাদের রান্নাঘরের এক অতি পরিচিত উপাদান। ছোটবেলা থেকে আমরা শুনে এসেছি, সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথা হলে আদা খাওয়া ভালো। চায়ের সঙ্গে কুচি কুচি করে আদা দিয়ে ফুটিয়ে খেলে গলা স্বস্তি পায়—এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয়, প্রাচীনকাল থেকেই আদা ব্যবহার করা হচ্ছে আয়ুর্বেদিক ও চীনা চিকিৎসায় নানা রোগ প্রতিরোধে। কিন্তু আদার যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি কিছু অপকারিতাও আছে, যেগুলো নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। অনেক সময় আমরা ভেবে নেই প্রাকৃতিক জিনিস মানেই সবসময় ভালো, কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি আদা খেলে বা ভুলভাবে ব্যবহার করলে শরীরের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে।
আদার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো হজমে সহায়তা করা। আদায় থাকা প্রাকৃতিক যৌগ “জিঞ্জারল” পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে, খাবার দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে এবং গ্যাস কমায়। তাই অনেকেই ভারী খাবারের পর আদা দিয়ে চা খেতে পছন্দ করেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে দেখা গেছে, গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে বমি বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেস কমাতে আদা অনেক কাজে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ আদা খাওয়ায় বমিভাব ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
আদা ব্যথা কমাতেও কার্যকর। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথায় অনেকেই নিয়মিত আদা খেলে উপশম পান। সুইডেনের “কারোলিন্সকা ইনস্টিটিউট”–এর রিউমাটোলজির গবেষক ড. মার্টা হেনরিকসন বলেছেন, “আদা শরীরের ভেতরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তবে এটি কোনো ওষুধের বিকল্প নয়, বরং একটি সহায়ক উপাদান।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা নিয়মিত ব্যথানাশক খেতে চান না, তাঁরা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সীমিত পরিমাণে আদা রাখতে পারেন।”
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সর্দি-কাশির মৌসুমে গরম আদা চা শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে। আদায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। যুক্তরাজ্যের “ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড”–এর পুষ্টিবিদ প্রফেসর এমিলি গ্রিন তার এক গবেষণায় উল্লেখ করেছেন, “নিয়মিত অল্প পরিমাণ আদা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও সক্রিয় হয়, বিশেষত শীতকালে। তবে অতিরিক্ত আদা খেলে উল্টো শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।”
আদার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হলো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। আমেরিকার “হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ”–এর কার্ডিওলজিস্ট ড. জনাথন হিউজ বলেছেন, “আদা রক্তকে তরল রাখে এবং জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়। তবে যারা ব্লাড থিনার ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আদা বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এতে রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।”
তবে আদার উপকারিতা যতই হোক না কেন, এর কিছু অপকারিতাও আছে, যেগুলো নিয়ে গবেষকরা বারবার সতর্ক করেছেন। অতিরিক্ত আদা খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে বেশি আদা খাওয়ার পর পেট জ্বালা, ডায়রিয়া বা গ্যাসের সমস্যা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের “ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ”–এর গবেষক ড. অ্যালান মরিস বলেন, “আমাদের শরীরে যে কোনো প্রাকৃতিক যৌগই নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি গেলে বিষের মতো কাজ করে। আদা তার ব্যতিক্রম নয়। দিনে ৪ গ্রাম পর্যন্ত আদা খাওয়া নিরাপদ, তার বেশি খেলে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।”
গর্ভবতী নারীদের জন্য আদা যেমন উপকারী, তেমনি ক্ষতির কারণও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত আদা খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই এ সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আদা খাওয়া ঠিক নয়। আবার যারা ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের জন্যও আদা কখনো কখনো ঝুঁকির কারণ হতে পারে, কারণ এটি রক্তে সুগার ও প্রেসার হঠাৎ কমিয়ে দিতে পারে।
এছাড়া, কিছু মানুষ আছেন যাঁদের শরীর আদার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। তাঁদের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ আদাও অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে, যেমন চামড়ায় লালচে ফুসকুড়ি, গলা চুলকানো বা শ্বাসকষ্ট হওয়া। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আদা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চলছে। চীনের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় হাজার বছর ধরে আদা ব্যবহার হচ্ছে ঠান্ডা, জ্বর ও হজমের সমস্যা দূর করতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ হেলথ” তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, “আদা মূলত একটি নিরাপদ ভেষজ, তবে এটি ওষুধের বিকল্প নয়। চিকিৎসার পাশাপাশি সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে আদা ব্যবহার করা যেতে পারে।”
বাংলাদেশেও আমাদের ঘরে-ঘরে আদার ব্যবহার বেশ প্রচলিত। বিশেষ করে শীতকালে সকালের চায়ে আদা না দিলে অনেকেরই দিন শুরু হয় না। আবার অনেকেই ঠান্ডা লেগে গেলে সরাসরি আদা চিবিয়ে খান। তবে আমাদের মনে রাখা দরকার, সবকিছুতেই পরিমাণের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। প্রাচীন চিকিৎসায় বলা হতো, আদা হলো ওষুধ, কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে তা বিষ হয়ে উঠতে পারে।
সব দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, আদা সত্যিই একটি আশ্চর্য ভেষজ। এটি হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ব্যথা কমায়, এমনকি হৃদ্রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে, যা অবহেলা করলে বিপদের কারণ হতে পারে। গর্ভবতী নারী, ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা যারা ব্লাড থিনার ওষুধ খান, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আদা খাওয়া উচিত।
বিদেশি গবেষকরা একবাক্যে বলেছেন, আদা একটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান হলেও এর ব্যবহার হতে হবে সীমিত ও সচেতনভাবে। হার্ভার্ডের ড. জনাথন হিউজ যেমন বলেছিলেন, “প্রকৃতির দেওয়া উপহার কখনো কখনো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, যদি আমরা তা বুঝে ব্যবহার না করি।”
অতএব, আদার উপকারিতা আমাদের অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই, কিন্তু এর অপকারিতা জেনেও সচেতনভাবে ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিক ভেষজ মানেই যে সবসময় ভালো, সেই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মিলিয়ে আদাকে আমাদের খাদ্যতালিকায় রাখলে এটি নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর সঙ্গী হতে পারে। আর ভুলভাবে বা অতিরিক্ত খেলে এটি হতে পারে অস্বস্তি ও ঝুঁকির কারণ। তাই ভারসাম্য বজায় রাখাই হবে আসল প্রজ্ঞা।
আদা আমাদের রান্নাঘরের এক অতি পরিচিত উপাদান। ছোটবেলা থেকে আমরা শুনে এসেছি, সর্দি-কাশি বা গলা ব্যথা হলে আদা খাওয়া ভালো। চায়ের সঙ্গে কুচি কুচি করে আদা দিয়ে ফুটিয়ে খেলে গলা স্বস্তি পায়—এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। শুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয়, প্রাচীনকাল থেকেই আদা ব্যবহার করা হচ্ছে আয়ুর্বেদিক ও চীনা চিকিৎসায় নানা রোগ প্রতিরোধে। কিন্তু আদার যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি কিছু অপকারিতাও আছে, যেগুলো নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। অনেক সময় আমরা ভেবে নেই প্রাকৃতিক জিনিস মানেই সবসময় ভালো, কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি আদা খেলে বা ভুলভাবে ব্যবহার করলে শরীরের জন্য তা ক্ষতিকর হতে পারে।
আদার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো হজমে সহায়তা করা। আদায় থাকা প্রাকৃতিক যৌগ “জিঞ্জারল” পাচনতন্ত্রকে সক্রিয় করে, খাবার দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে এবং গ্যাস কমায়। তাই অনেকেই ভারী খাবারের পর আদা দিয়ে চা খেতে পছন্দ করেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে দেখা গেছে, গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে বমি বমি ভাব বা মর্নিং সিকনেস কমাতে আদা অনেক কাজে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টারের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ আদা খাওয়ায় বমিভাব ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
আদা ব্যথা কমাতেও কার্যকর। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথায় অনেকেই নিয়মিত আদা খেলে উপশম পান। সুইডেনের “কারোলিন্সকা ইনস্টিটিউট”–এর রিউমাটোলজির গবেষক ড. মার্টা হেনরিকসন বলেছেন, “আদা শরীরের ভেতরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তবে এটি কোনো ওষুধের বিকল্প নয়, বরং একটি সহায়ক উপাদান।” তিনি আরও বলেন, “যাঁরা নিয়মিত ব্যথানাশক খেতে চান না, তাঁরা দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় সীমিত পরিমাণে আদা রাখতে পারেন।”
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সর্দি-কাশির মৌসুমে গরম আদা চা শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে। আদায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। যুক্তরাজ্যের “ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড”–এর পুষ্টিবিদ প্রফেসর এমিলি গ্রিন তার এক গবেষণায় উল্লেখ করেছেন, “নিয়মিত অল্প পরিমাণ আদা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও সক্রিয় হয়, বিশেষত শীতকালে। তবে অতিরিক্ত আদা খেলে উল্টো শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।”
আদার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার হলো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে। এতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। আমেরিকার “হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ”–এর কার্ডিওলজিস্ট ড. জনাথন হিউজ বলেছেন, “আদা রক্তকে তরল রাখে এবং জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়। তবে যারা ব্লাড থিনার ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আদা বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এতে রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।”
তবে আদার উপকারিতা যতই হোক না কেন, এর কিছু অপকারিতাও আছে, যেগুলো নিয়ে গবেষকরা বারবার সতর্ক করেছেন। অতিরিক্ত আদা খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে বেশি আদা খাওয়ার পর পেট জ্বালা, ডায়রিয়া বা গ্যাসের সমস্যা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের “ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ”–এর গবেষক ড. অ্যালান মরিস বলেন, “আমাদের শরীরে যে কোনো প্রাকৃতিক যৌগই নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি গেলে বিষের মতো কাজ করে। আদা তার ব্যতিক্রম নয়। দিনে ৪ গ্রাম পর্যন্ত আদা খাওয়া নিরাপদ, তার বেশি খেলে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।”
গর্ভবতী নারীদের জন্য আদা যেমন উপকারী, তেমনি ক্ষতির কারণও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত আদা খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই এ সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আদা খাওয়া ঠিক নয়। আবার যারা ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের জন্যও আদা কখনো কখনো ঝুঁকির কারণ হতে পারে, কারণ এটি রক্তে সুগার ও প্রেসার হঠাৎ কমিয়ে দিতে পারে।
এছাড়া, কিছু মানুষ আছেন যাঁদের শরীর আদার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। তাঁদের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ আদাও অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে, যেমন চামড়ায় লালচে ফুসকুড়ি, গলা চুলকানো বা শ্বাসকষ্ট হওয়া। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আদা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চলছে। চীনের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসায় হাজার বছর ধরে আদা ব্যবহার হচ্ছে ঠান্ডা, জ্বর ও হজমের সমস্যা দূর করতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের “ন্যাশনাল সেন্টার ফর কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ হেলথ” তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, “আদা মূলত একটি নিরাপদ ভেষজ, তবে এটি ওষুধের বিকল্প নয়। চিকিৎসার পাশাপাশি সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে আদা ব্যবহার করা যেতে পারে।”
বাংলাদেশেও আমাদের ঘরে-ঘরে আদার ব্যবহার বেশ প্রচলিত। বিশেষ করে শীতকালে সকালের চায়ে আদা না দিলে অনেকেরই দিন শুরু হয় না। আবার অনেকেই ঠান্ডা লেগে গেলে সরাসরি আদা চিবিয়ে খান। তবে আমাদের মনে রাখা দরকার, সবকিছুতেই পরিমাণের নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। প্রাচীন চিকিৎসায় বলা হতো, আদা হলো ওষুধ, কিন্তু বেশি পরিমাণে খেলে তা বিষ হয়ে উঠতে পারে।
সব দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, আদা সত্যিই একটি আশ্চর্য ভেষজ। এটি হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ব্যথা কমায়, এমনকি হৃদ্রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে, যা অবহেলা করলে বিপদের কারণ হতে পারে। গর্ভবতী নারী, ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কিংবা যারা ব্লাড থিনার ওষুধ খান, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আদা খাওয়া উচিত।
বিদেশি গবেষকরা একবাক্যে বলেছেন, আদা একটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান হলেও এর ব্যবহার হতে হবে সীমিত ও সচেতনভাবে। হার্ভার্ডের ড. জনাথন হিউজ যেমন বলেছিলেন, “প্রকৃতির দেওয়া উপহার কখনো কখনো বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, যদি আমরা তা বুঝে ব্যবহার না করি।”
অতএব, আদার উপকারিতা আমাদের অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই, কিন্তু এর অপকারিতা জেনেও সচেতনভাবে ব্যবহার করতে হবে। প্রাকৃতিক ভেষজ মানেই যে সবসময় ভালো, সেই ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মিলিয়ে আদাকে আমাদের খাদ্যতালিকায় রাখলে এটি নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর সঙ্গী হতে পারে। আর ভুলভাবে বা অতিরিক্ত খেলে এটি হতে পারে অস্বস্তি ও ঝুঁকির কারণ। তাই ভারসাম্য বজায় রাখাই হবে আসল প্রজ্ঞা।
কক্সবাজার সফরে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে রাতে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) এই উপদেষ্টার অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
২১ ঘণ্টা আগেএক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়।
১ দিন আগেসাপের মেরুদণ্ডে অসংখ্য হাড় আর পেশী আছে। এই হাড় ও পেশীর সাহায্যে তারা শরীর বাঁকায়, সঙ্কুচিত করে আবার প্রসারিত করে। একেকটা অংশ মাটিতে ধাক্কা দেয়, আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী মাটিও পাল্টা চাপ দিয়ে সাপকে সামনে এগিয়ে দেয়।
২ দিন আগে