ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আমাদের বাংলার রান্নাঘরে লাউ খুবই পরিচিত সবজি। গ্রামের বাড়ি থেকে শহরের বাজার—সব জায়গায় লাউ সহজেই মেলে। গরমের দিনে খেতে যেমন আরামদায়ক, তেমনি শরীর ঠান্ডা রাখার দারুণ উপকার করে। অথচ এই সাধারণ সবজির ভেতর লুকিয়ে আছে এক অসাধারণ পুষ্টির ভান্ডার, যা কেবল শরীর সুস্থ রাখেই না, বরং দীর্ঘদিন ধরে রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে। অনেকেই লাউকে কেবল সাধারণ তরকারি হিসেবে দেখেন, কিন্তু বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, এর ভেতরে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল এবং নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি।
লাউ মূলত ৯০ শতাংশেরও বেশি পানি দিয়ে তৈরি। তাই গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে এটি দারুণ কাজ করে। যারা নিয়মিত লাউ খান, তারা জানেন যে এটি হজমে সহায়ক, শরীরের অতিরিক্ত তাপ কমায় এবং প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে। লাউয়ে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। এগুলো শরীরের শক্তি ধরে রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লাউয়ের ক্যালরি খুবই কম, তাই যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, তাদের জন্য এটি আদর্শ খাবার।
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর গবেষক ড. লিসা হেন্ডারসন লাউয়ের উপকারিতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর মতে, “লাউ এমন এক ধরনের সবজি যেটা একইসঙ্গে শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। বিশেষ করে গরমকালে যারা পানিশূন্যতায় ভোগেন, তাদের জন্য লাউ কার্যকর একটি প্রাকৃতিক সমাধান।” ড. হেন্ডারসনের মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, লাউকে শুধু ঐতিহ্যবাহী রান্না নয়, বরং চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিক থেকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
লাউয়ের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এর ভেতরে থাকা পটাশিয়াম শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে লাউয়ের মতো প্রাকৃতিক খাবারের জুড়ি নেই। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি-এর পুষ্টিবিদ প্রফেসর মার্ক কলিন্স এই প্রসঙ্গে বলেন, “লাউ খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তচাপের ওঠানামা অনেকটাই কমে যায়। বিশেষ করে যারা প্রাথমিক পর্যায়ের হাইপারটেনশনে ভোগেন, তাদের জন্য লাউ হতে পারে প্রাকৃতিক ওষুধ।”
শুধু হৃদযন্ত্র নয়, লাউ হজমতন্ত্রের জন্যও আশীর্বাদ। লাউয়ে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পাকস্থলিকে স্বাভাবিক রাখে। নিয়মিত লাউ খেলে বদহজম, অম্বল কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও অনেকটা কমে যায়। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে লাউকে বলা হয়েছে “সেরা শীতলকারী সবজি।” আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা আজও লাউয়ের রস ব্যবহার করেন যকৃতের অসুখ, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কিংবা আলসারের চিকিৎসায়।
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানও এ বিষয়ে একমত। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইউনিভার্সিটি-এর গবেষক ড. এমিলি ওয়াটসন তাঁর এক প্রবন্ধে লিখেছেন, “লাউয়ের ভেতর এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা পাকস্থলীকে সুরক্ষা দেয় এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে এর পানি-সমৃদ্ধ গঠন শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে বড় ভূমিকা রাখে।” ড. ওয়াটসনের গবেষণা লাউয়ের চিকিৎসাগত সম্ভাবনাকে নতুন করে তুলে ধরে।
লাউয়ের পুষ্টিগুণ শুধু শরীরের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। লাউয়ের রসে আছে ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক, যা ত্বককে মসৃণ রাখে এবং চুলকে মজবুত করে। অনেকে লাউয়ের রস ব্যবহার করেন চুল পড়া বন্ধ করার জন্য। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-এর ডার্মাটোলজিস্ট ড. জি-হুন কিম বলেছিলেন, “লাউয়ের রসে থাকা প্রাকৃতিক ভিটামিন সি ও জিঙ্ক ত্বককে অকালে বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত লাউ খাওয়া বা এর রস ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।”
লাউ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। এতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যারা নিয়মিত লাউ খেয়ে থাকেন, তাদের শরীরে গ্লুকোজের ওঠানামা তুলনামূলকভাবে কম হয়। কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটি-এর গবেষক ড. অ্যান্ড্রু মিলার বলেছিলেন, “ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাউ একটি নিরাপদ খাবার। এটি রক্তে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রোগের জটিলতা কমাতে সাহায্য করে।”
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে লাউ খুব সহজলভ্য। এখানে গরমকালে মানুষ প্রাকৃতিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখতে লাউ খায়। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোতে ধীরে ধীরে লাউ জনপ্রিয় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে। বিভিন্ন জুস বার কিংবা হেলথ ফুড স্টোরে এখন লাউয়ের রস পাওয়া যাচ্ছে। কারণ বিশ্বজুড়ে মানুষ বুঝতে শুরু করেছে, লাউ কেবল সাধারণ সবজি নয়, এটি প্রাকৃতিক ওষুধও বটে।
গবেষণায় দেখা গেছে, লাউয়ের ভেতরে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিক্যাল দূর করে। এ কারণে এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। লাউয়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ফেনলিক যৌগ আমাদের কোষকে সুরক্ষা দেয়। ফলে বয়স বাড়লেও শরীর তুলনামূলকভাবে সুস্থ থাকে।
লাউ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। কারণ এতে ক্যালরি খুবই কম। এক কাপ লাউ রান্না করলে সেখানে কেবলমাত্র ১৭ ক্যালরি থাকে। যারা ডায়েট করছেন বা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য লাউ আদর্শ খাবার। এটি পেট ভরে রাখে, আবার বাড়তি ক্যালরি যোগ করে না। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর গবেষক ড. মিশেল হ্যারিস এই বিষয়ে বলেন, “লাউ এমন এক খাবার যা ডায়েটের অংশ করলে সহজেই ওজন কমানো যায়। এতে ক্যালরি কম, পানি বেশি, ফাইবার সমৃদ্ধ—সব মিলিয়ে এটি ডায়েট ফ্রেন্ডলি একটি সবজি।”
সব মিলিয়ে বলা যায়, লাউ আমাদের সহজলভ্য হলেও এর ভেতরে লুকিয়ে আছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। এটি শুধু গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখে না, বরং হৃদযন্ত্র, হজমতন্ত্র, ত্বক, চুল এবং এমনকি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও কার্যকর। আধুনিক গবেষকরা যেমন বলেছেন, লাউয়ের ভেতর লুকিয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভবিষ্যতে ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আমাদের দেশের বাজারে লাউ যখন খুব সহজে মেলে, তখন একে অবহেলা না করে নিয়মিত খাবারে রাখা উচিত। প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় লাউয়ের গুরুত্ব ছিল, আর আধুনিক বিজ্ঞানও এখন সেই সত্যকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাই বলা যায়, লাউ হলো এক ভোলা স্বাস্থ্যভান্ডার, যা হয়তো আমাদের প্রতিদিনের খাবারেই উপস্থিত থাকে, কিন্তু তার পুষ্টিগুণের মহিমা আমরা এখনো পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারিনি।
আমাদের বাংলার রান্নাঘরে লাউ খুবই পরিচিত সবজি। গ্রামের বাড়ি থেকে শহরের বাজার—সব জায়গায় লাউ সহজেই মেলে। গরমের দিনে খেতে যেমন আরামদায়ক, তেমনি শরীর ঠান্ডা রাখার দারুণ উপকার করে। অথচ এই সাধারণ সবজির ভেতর লুকিয়ে আছে এক অসাধারণ পুষ্টির ভান্ডার, যা কেবল শরীর সুস্থ রাখেই না, বরং দীর্ঘদিন ধরে রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে। অনেকেই লাউকে কেবল সাধারণ তরকারি হিসেবে দেখেন, কিন্তু বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, এর ভেতরে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল এবং নানা ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি।
লাউ মূলত ৯০ শতাংশেরও বেশি পানি দিয়ে তৈরি। তাই গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে এটি দারুণ কাজ করে। যারা নিয়মিত লাউ খান, তারা জানেন যে এটি হজমে সহায়ক, শরীরের অতিরিক্ত তাপ কমায় এবং প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে। লাউয়ে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। এগুলো শরীরের শক্তি ধরে রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। লাউয়ের ক্যালরি খুবই কম, তাই যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, তাদের জন্য এটি আদর্শ খাবার।
আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর গবেষক ড. লিসা হেন্ডারসন লাউয়ের উপকারিতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাঁর মতে, “লাউ এমন এক ধরনের সবজি যেটা একইসঙ্গে শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। বিশেষ করে গরমকালে যারা পানিশূন্যতায় ভোগেন, তাদের জন্য লাউ কার্যকর একটি প্রাকৃতিক সমাধান।” ড. হেন্ডারসনের মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, লাউকে শুধু ঐতিহ্যবাহী রান্না নয়, বরং চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিক থেকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
লাউয়ের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এর ভেতরে থাকা পটাশিয়াম শরীরের অতিরিক্ত সোডিয়াম নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। হৃদপিণ্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে লাউয়ের মতো প্রাকৃতিক খাবারের জুড়ি নেই। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি-এর পুষ্টিবিদ প্রফেসর মার্ক কলিন্স এই প্রসঙ্গে বলেন, “লাউ খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তচাপের ওঠানামা অনেকটাই কমে যায়। বিশেষ করে যারা প্রাথমিক পর্যায়ের হাইপারটেনশনে ভোগেন, তাদের জন্য লাউ হতে পারে প্রাকৃতিক ওষুধ।”
শুধু হৃদযন্ত্র নয়, লাউ হজমতন্ত্রের জন্যও আশীর্বাদ। লাউয়ে আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পাকস্থলিকে স্বাভাবিক রাখে। নিয়মিত লাউ খেলে বদহজম, অম্বল কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও অনেকটা কমে যায়। ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে লাউকে বলা হয়েছে “সেরা শীতলকারী সবজি।” আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা আজও লাউয়ের রস ব্যবহার করেন যকৃতের অসুখ, প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া কিংবা আলসারের চিকিৎসায়।
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানও এ বিষয়ে একমত। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ইউনিভার্সিটি-এর গবেষক ড. এমিলি ওয়াটসন তাঁর এক প্রবন্ধে লিখেছেন, “লাউয়ের ভেতর এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা পাকস্থলীকে সুরক্ষা দেয় এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে এর পানি-সমৃদ্ধ গঠন শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে বড় ভূমিকা রাখে।” ড. ওয়াটসনের গবেষণা লাউয়ের চিকিৎসাগত সম্ভাবনাকে নতুন করে তুলে ধরে।
লাউয়ের পুষ্টিগুণ শুধু শরীরের ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। লাউয়ের রসে আছে ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক, যা ত্বককে মসৃণ রাখে এবং চুলকে মজবুত করে। অনেকে লাউয়ের রস ব্যবহার করেন চুল পড়া বন্ধ করার জন্য। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-এর ডার্মাটোলজিস্ট ড. জি-হুন কিম বলেছিলেন, “লাউয়ের রসে থাকা প্রাকৃতিক ভিটামিন সি ও জিঙ্ক ত্বককে অকালে বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত লাউ খাওয়া বা এর রস ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।”
লাউ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী। এতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যারা নিয়মিত লাউ খেয়ে থাকেন, তাদের শরীরে গ্লুকোজের ওঠানামা তুলনামূলকভাবে কম হয়। কানাডার টরন্টো ইউনিভার্সিটি-এর গবেষক ড. অ্যান্ড্রু মিলার বলেছিলেন, “ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাউ একটি নিরাপদ খাবার। এটি রক্তে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রোগের জটিলতা কমাতে সাহায্য করে।”
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে লাউ খুব সহজলভ্য। এখানে গরমকালে মানুষ প্রাকৃতিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখতে লাউ খায়। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোতে ধীরে ধীরে লাউ জনপ্রিয় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে। বিভিন্ন জুস বার কিংবা হেলথ ফুড স্টোরে এখন লাউয়ের রস পাওয়া যাচ্ছে। কারণ বিশ্বজুড়ে মানুষ বুঝতে শুরু করেছে, লাউ কেবল সাধারণ সবজি নয়, এটি প্রাকৃতিক ওষুধও বটে।
গবেষণায় দেখা গেছে, লাউয়ের ভেতরে থাকা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি-র্যাডিক্যাল দূর করে। এ কারণে এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক। লাউয়ে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং ফেনলিক যৌগ আমাদের কোষকে সুরক্ষা দেয়। ফলে বয়স বাড়লেও শরীর তুলনামূলকভাবে সুস্থ থাকে।
লাউ শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। কারণ এতে ক্যালরি খুবই কম। এক কাপ লাউ রান্না করলে সেখানে কেবলমাত্র ১৭ ক্যালরি থাকে। যারা ডায়েট করছেন বা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য লাউ আদর্শ খাবার। এটি পেট ভরে রাখে, আবার বাড়তি ক্যালরি যোগ করে না। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ-এর গবেষক ড. মিশেল হ্যারিস এই বিষয়ে বলেন, “লাউ এমন এক খাবার যা ডায়েটের অংশ করলে সহজেই ওজন কমানো যায়। এতে ক্যালরি কম, পানি বেশি, ফাইবার সমৃদ্ধ—সব মিলিয়ে এটি ডায়েট ফ্রেন্ডলি একটি সবজি।”
সব মিলিয়ে বলা যায়, লাউ আমাদের সহজলভ্য হলেও এর ভেতরে লুকিয়ে আছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। এটি শুধু গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখে না, বরং হৃদযন্ত্র, হজমতন্ত্র, ত্বক, চুল এবং এমনকি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও কার্যকর। আধুনিক গবেষকরা যেমন বলেছেন, লাউয়ের ভেতর লুকিয়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভবিষ্যতে ক্যানসার প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আমাদের দেশের বাজারে লাউ যখন খুব সহজে মেলে, তখন একে অবহেলা না করে নিয়মিত খাবারে রাখা উচিত। প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় লাউয়ের গুরুত্ব ছিল, আর আধুনিক বিজ্ঞানও এখন সেই সত্যকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাই বলা যায়, লাউ হলো এক ভোলা স্বাস্থ্যভান্ডার, যা হয়তো আমাদের প্রতিদিনের খাবারেই উপস্থিত থাকে, কিন্তু তার পুষ্টিগুণের মহিমা আমরা এখনো পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারিনি।
কক্সবাজার সফরে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে রাতে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) এই উপদেষ্টার অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
২১ ঘণ্টা আগেএক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়।
১ দিন আগেসাপের মেরুদণ্ডে অসংখ্য হাড় আর পেশী আছে। এই হাড় ও পেশীর সাহায্যে তারা শরীর বাঁকায়, সঙ্কুচিত করে আবার প্রসারিত করে। একেকটা অংশ মাটিতে ধাক্কা দেয়, আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী মাটিও পাল্টা চাপ দিয়ে সাপকে সামনে এগিয়ে দেয়।
২ দিন আগে