ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ওজন বেশি হলে শুধু দেখতে খারাপ লাগে এমন নয়, শরীরের ভেতরে জমে থাকা এই অতিরিক্ত চর্বি ডেকে আনে নানান রোগ। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাঁটুতে ব্যথা, এমনকি হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদও তৈরি করে ওজন। তাই আজকাল অনেকেই ওজন কমানোর উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কেউ ডায়েট করেন, কেউ জিমে ঘাম ঝরান, কেউ আবার ওষুধ খেতে শুরু করেন। কিন্তু সত্যি বলতে, ওজন কমানো ততটা কঠিন নয়, যদি আমরা ধৈর্য ধরতে পারি আর কিছু সহজ অভ্যাসকে মেনে চলতে পারি।
ওজন বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, আমরা যত ক্যালোরি খাই, তার চেয়ে কম ব্যবহার করি। শরীর অতিরিক্ত ক্যালোরিকে ফ্যাট আকারে জমিয়ে রাখে। তাই ওজন কমাতে হলে আমাদের এমন একটি জীবনধারা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে প্রতিদিন খাওয়া আর খরচের মাঝে একটা ভারসাম্য থাকবে। খাবার নিয়ন্ত্রণ আর নড়াচড়ার অভ্যাস—এই দুটোই মূল চাবিকাঠি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার শারীরিক কর্মকাণ্ড করা উচিত। এর মানে দাঁড়ায়, প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করলেই শরীর তার স্বাভাবিক ভারসাম্য রাখতে পারে। আমেরিকার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির পুষ্টিবিদ ড. ফ্রাঙ্ক হু বলেন, "There’s no magical diet. The key to weight loss is sustainable lifestyle change." অর্থাৎ ওজন কমাতে কোনও জাদুর মতন ডায়েট নেই, দরকার এমন কিছু পরিবর্তন যা আমরা দীর্ঘদিন মেনে চলতে পারি।
আমরা যদি একটু চোখ বুলিয়ে দেখি, অনেক সময় ওজন বেড়ে যাওয়ার পেছনে ছোট ছোট কিছু বদঅভ্যাস কাজ করে। যেমন ধরুন, রাতে দেরি করে খাওয়া, অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া, সারাদিন বসে থাকা, কিংবা ঘুম কম হওয়া। এসব অভ্যাস ধীরে ধীরে আমাদের মেটাবলিজমকে ধ্বংস করে। মেটাবলিজম হচ্ছে শরীরের সেই প্রক্রিয়া যা খাবারকে শক্তিতে পরিণত করে। এটি যত ধীর হয়, তত বেশি ফ্যাট জমে।
অনেকেই ভাবেন, খাওয়া একদম কমিয়ে দিলেই ওজন কমে যাবে। বাস্তবে বিষয়টা উল্টো হতে পারে। বেশি ক্ষুধার্ত থাকলে শরীর 'সঙ্কটকালীন' মোডে চলে যায় এবং মেটাবলিজম আরও ধীর হয়ে পড়ে। তাই নিয়ম করে, পরিমাণমতো খাওয়াই ভালো। প্রতিটি খাবারে প্রোটিন, কিছুটা চর্বি আর শাকসবজি রাখা উচিত। সকালে প্রোটিনসমৃদ্ধ নাস্তা যেমন ডিম, ওটস বা ডাল—শরীরকে সারা দিনের জন্য প্রস্তুত রাখে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমান, তাঁদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা অনেক কম। ইউনিভার্সিটি অফ কোলোরাডোর গবেষক ড. কেন রাইট বলেন, ঘুম আমাদের হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে, যার ফলে কম ঘুমানো মানুষদের বেশি ক্যালোরি খাবার খেতে মন চায়।
আরেকটি বড় ভুল আমরা অনেকেই করি, তা হলো পানি কম খাওয়া। অনেক সময় আমরা যেটাকে ক্ষুধা মনে করি, সেটা আসলে পিপাসা। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে, হজম ভালো হয় এবং মেটাবলিজম সচল থাকে। ব্রিটেনের 'ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস' (NHS) এক প্রতিবেদনে বলেছে, খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করলে পরিমাণ কম খাওয়া যায়।
খাবারের বাইরেও আমাদের মানসিক চাপ ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন আমাদের শরীরে ফ্যাট জমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখা জরুরি—যেখানে গান শোনা, বই পড়া বা হালকা হাঁটা এসবের মাধ্যমে মনের প্রশান্তি আনা যায়।
এছাড়া, যারা নিজের ওজন নিয়ে খুব বেশি হতাশ হয়ে পড়েন, তাঁদের উদ্দেশে বলা দরকার—ওজন কমানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এক সপ্তাহে ৫ কেজি কমানো সম্ভব নয়, এবং যদি হয়ও, সেটা স্বাস্থ্যকর নয়। বরং সপ্তাহে আধা কেজি বা ১ কেজি করে ধীরে কমানোই সবচেয়ে কার্যকর এবং নিরাপদ পদ্ধতি। আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল' (CDC) বলছে, ধীরে ধীরে ওজন কমালে তা দীর্ঘদিন ধরে ধরে রাখা যায়।
এখন প্রশ্ন আসে—জিমে না গিয়ে ওজন কমানো যাবে? উত্তর হলো—অবশ্যই যাবে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটা, বাসার কিছু হালকা ব্যায়াম, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, এমনকি বাসন ধোয়া বা ঘর মুছতেও ক্যালোরি খরচ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, গৃহস্থালি কাজও একধরনের শারীরিক ব্যায়াম হিসেবে কাজ করে।
খুব সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই ওজন কমানো সম্ভব—
ওজন কমানোর শেষ কথা হলো—আপনি প্রতিদিন যতটা পারেন, ততটাই করুন। ছোট ছোট পরিবর্তনই একদিন বড় ফল বয়ে আনে। নিজের শরীরকে ভালোবাসতে শিখুন, তাকে সময় দিন। একদিন সকালে আয়নায় তাকিয়ে দেখবেন, আপনার পরিশ্রমের ফল ধীরে ধীরে ফিরছে।
ওজন বেশি হলে শুধু দেখতে খারাপ লাগে এমন নয়, শরীরের ভেতরে জমে থাকা এই অতিরিক্ত চর্বি ডেকে আনে নানান রোগ। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাঁটুতে ব্যথা, এমনকি হার্ট অ্যাটাকের মতো বিপদও তৈরি করে ওজন। তাই আজকাল অনেকেই ওজন কমানোর উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কেউ ডায়েট করেন, কেউ জিমে ঘাম ঝরান, কেউ আবার ওষুধ খেতে শুরু করেন। কিন্তু সত্যি বলতে, ওজন কমানো ততটা কঠিন নয়, যদি আমরা ধৈর্য ধরতে পারি আর কিছু সহজ অভ্যাসকে মেনে চলতে পারি।
ওজন বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, আমরা যত ক্যালোরি খাই, তার চেয়ে কম ব্যবহার করি। শরীর অতিরিক্ত ক্যালোরিকে ফ্যাট আকারে জমিয়ে রাখে। তাই ওজন কমাতে হলে আমাদের এমন একটি জীবনধারা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে প্রতিদিন খাওয়া আর খরচের মাঝে একটা ভারসাম্য থাকবে। খাবার নিয়ন্ত্রণ আর নড়াচড়ার অভ্যাস—এই দুটোই মূল চাবিকাঠি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার শারীরিক কর্মকাণ্ড করা উচিত। এর মানে দাঁড়ায়, প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করলেই শরীর তার স্বাভাবিক ভারসাম্য রাখতে পারে। আমেরিকার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির পুষ্টিবিদ ড. ফ্রাঙ্ক হু বলেন, "There’s no magical diet. The key to weight loss is sustainable lifestyle change." অর্থাৎ ওজন কমাতে কোনও জাদুর মতন ডায়েট নেই, দরকার এমন কিছু পরিবর্তন যা আমরা দীর্ঘদিন মেনে চলতে পারি।
আমরা যদি একটু চোখ বুলিয়ে দেখি, অনেক সময় ওজন বেড়ে যাওয়ার পেছনে ছোট ছোট কিছু বদঅভ্যাস কাজ করে। যেমন ধরুন, রাতে দেরি করে খাওয়া, অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া, সারাদিন বসে থাকা, কিংবা ঘুম কম হওয়া। এসব অভ্যাস ধীরে ধীরে আমাদের মেটাবলিজমকে ধ্বংস করে। মেটাবলিজম হচ্ছে শরীরের সেই প্রক্রিয়া যা খাবারকে শক্তিতে পরিণত করে। এটি যত ধীর হয়, তত বেশি ফ্যাট জমে।
অনেকেই ভাবেন, খাওয়া একদম কমিয়ে দিলেই ওজন কমে যাবে। বাস্তবে বিষয়টা উল্টো হতে পারে। বেশি ক্ষুধার্ত থাকলে শরীর 'সঙ্কটকালীন' মোডে চলে যায় এবং মেটাবলিজম আরও ধীর হয়ে পড়ে। তাই নিয়ম করে, পরিমাণমতো খাওয়াই ভালো। প্রতিটি খাবারে প্রোটিন, কিছুটা চর্বি আর শাকসবজি রাখা উচিত। সকালে প্রোটিনসমৃদ্ধ নাস্তা যেমন ডিম, ওটস বা ডাল—শরীরকে সারা দিনের জন্য প্রস্তুত রাখে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ দিনে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমান, তাঁদের ওজন বাড়ার সম্ভাবনা অনেক কম। ইউনিভার্সিটি অফ কোলোরাডোর গবেষক ড. কেন রাইট বলেন, ঘুম আমাদের হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে, যার ফলে কম ঘুমানো মানুষদের বেশি ক্যালোরি খাবার খেতে মন চায়।
আরেকটি বড় ভুল আমরা অনেকেই করি, তা হলো পানি কম খাওয়া। অনেক সময় আমরা যেটাকে ক্ষুধা মনে করি, সেটা আসলে পিপাসা। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি খেলে শরীর হাইড্রেট থাকে, হজম ভালো হয় এবং মেটাবলিজম সচল থাকে। ব্রিটেনের 'ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস' (NHS) এক প্রতিবেদনে বলেছে, খাবারের আগে এক গ্লাস পানি পান করলে পরিমাণ কম খাওয়া যায়।
খাবারের বাইরেও আমাদের মানসিক চাপ ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোন আমাদের শরীরে ফ্যাট জমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন কিছুটা সময় নিজের জন্য রাখা জরুরি—যেখানে গান শোনা, বই পড়া বা হালকা হাঁটা এসবের মাধ্যমে মনের প্রশান্তি আনা যায়।
এছাড়া, যারা নিজের ওজন নিয়ে খুব বেশি হতাশ হয়ে পড়েন, তাঁদের উদ্দেশে বলা দরকার—ওজন কমানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এক সপ্তাহে ৫ কেজি কমানো সম্ভব নয়, এবং যদি হয়ও, সেটা স্বাস্থ্যকর নয়। বরং সপ্তাহে আধা কেজি বা ১ কেজি করে ধীরে কমানোই সবচেয়ে কার্যকর এবং নিরাপদ পদ্ধতি। আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল' (CDC) বলছে, ধীরে ধীরে ওজন কমালে তা দীর্ঘদিন ধরে ধরে রাখা যায়।
এখন প্রশ্ন আসে—জিমে না গিয়ে ওজন কমানো যাবে? উত্তর হলো—অবশ্যই যাবে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটা, বাসার কিছু হালকা ব্যায়াম, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, এমনকি বাসন ধোয়া বা ঘর মুছতেও ক্যালোরি খরচ হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, গৃহস্থালি কাজও একধরনের শারীরিক ব্যায়াম হিসেবে কাজ করে।
খুব সাধারণ কিছু নিয়ম মেনে চললেই ওজন কমানো সম্ভব—
ওজন কমানোর শেষ কথা হলো—আপনি প্রতিদিন যতটা পারেন, ততটাই করুন। ছোট ছোট পরিবর্তনই একদিন বড় ফল বয়ে আনে। নিজের শরীরকে ভালোবাসতে শিখুন, তাকে সময় দিন। একদিন সকালে আয়নায় তাকিয়ে দেখবেন, আপনার পরিশ্রমের ফল ধীরে ধীরে ফিরছে।
আজ দুপুর ১টার মধ্যে দেশের সাত জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। শনিবার (২৮ জুন) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া সতর্ক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেসবকিছু শুরু হয় উনিশ শতকের শেষ দিকে ইউরোপে ‘জায়নবাদ’ নামক একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের সূচনার মধ্য দিয়ে। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইহুদি জনগণের জন্য একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠন করা।
১ দিন আগেপেয়ারা মূলত ট্রপিক্যাল ফল। বাংলাদেশ, ভারত, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, ব্রাজিল, মেক্সিকোসহ বহু দেশে এটি উৎপাদিত হয়। একেক দেশে এর রং, আকার ও স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও সব জাতের পেয়ারাতেই থাকে প্রচুর ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ডায়েটারি ফাইবার।
১ দিন আগেমোসাদ্দেক ছিলেন এক সত্যিকার গণতান্ত্রিক নেতা। ১৯৫১ সালে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তিনি তেল শিল্পকে জাতীয়করণ করেন। কারণ তাঁর বিশ্বাস ছিল, ইরানের জনগণের সম্পদ শুধুমাত্র ইরানিদেরই কাজে লাগা উচিত।
২ দিন আগে