ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বর্ষাকাল। আকাশে মেঘ, হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি, আবার কখনও রোদে পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। এর মধ্যেই ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা দেশ। বাতাস ভারী, আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি, আর গায়ে যেন লেগে থাকে অদৃশ্য এক ঘামঘাম ভাব। এমন সময়ে অনেকেই বেড়াতে চান একটু মুক্ত হাওয়া, স্বস্তি কিংবা ঠান্ডা জলের আশায়। গন্তব্যের তালিকায় উপরের দিকেই থাকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত—কক্সবাজার।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এমন ভ্যাপসা গরমে আর আর্দ্র আবহাওয়ায় কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত কি না? সমুদ্রের নোনা হাওয়া, বালুর ছোঁয়া, আর ঢেউয়ের আহ্বান অনেকটা স্বর্গীয় মনে হলেও, এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে শরীরের জন্য কিছু অদৃশ্য ঝুঁকি। বিশেষ করে যখন আপনি বর্ষার ঠিক মধ্যভাগে, গরমের চরমতম মুহূর্তে সেখানে যাচ্ছেন। এই ফিচারে সেই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করব, সহজ ভাষায়। তুলে ধরব চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের মতামতও।
প্রথমেই দেখা যাক, বর্ষাকালে কক্সবাজারের আবহাওয়া কেমন থাকে। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। তবে বাতাসে আর্দ্রতা থাকে ৮০ শতাংশের বেশি। এই আর্দ্রতা শরীরের ঘাম শুকানোর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে, ফলে শরীর নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারে না। এর ফলেই সৃষ্টি হয় ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপজনিত চাপ, যা দীর্ঘ সময় সৈকতে অবস্থান করলে শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের "ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সায়েন্সেস"-এর গবেষক ড. লরেন পারসন্স বলেন, “আর্দ্র ও গরম আবহাওয়া মানুষের শরীরের থার্মোরেগুলেশন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। দীর্ঘক্ষণ এরকম পরিবেশে থাকলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, এমনকি হিট স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।”
বর্ষার সময়ে কক্সবাজারে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সূর্য দেখা না গেলেও গরম কমে না। বৃষ্টির পরপরই বাষ্পীভবনের কারণে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ে, আর সূর্য ওঠা মাত্রই গরমটা চেপে বসে শরীরে। ফলে যারা হোটেল থেকে বেরিয়ে সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে যান, তাদের অনেকে আধা ঘণ্টার মধ্যে ঘেমে উঠেন, ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
এই সময়ে সাগরের পানিতে নামা কি নিরাপদ? একদিকে ঢেউ থাকে তুলনামূলক বড়, আবার অন্যদিকে থাকে টান। ট্যুরিস্ট পুলিশের মতে, বর্ষাকালে কক্সবাজারে সাগরের আচরণ খুবই অনির্দেশ্য হয়। অনেক পর্যটক ঢেউ দেখে আনন্দিত হয়ে জলে নামেন, কিন্তু টানের শিকার হয়ে ভিতরের দিকে চলে যান। এটা শুধু শারীরিক ঝুঁকিই নয়, প্রাণঘাতীও হতে পারে।
সেন্ট্রাল ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির সামুদ্রিক স্বাস্থ্য গবেষক ড. অ্যালিসন হিউস বলেন, “বর্ষার সময়ে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে। নোনা জল, দূষিত বালি, আর বৃষ্টির পানি মিলে ত্বক ও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।”
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—পানিশূন্যতা। বর্ষাকালে অনেকেই ভাবেন, যেহেতু আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি, পানি খাওয়ার প্রয়োজন কম। কিন্তু সত্যি হলো, ঘাম বেশি হয় বলে শরীর থেকে লবণ ও পানি বেরিয়ে যায় প্রচুর। যারা সৈকতে হাঁটেন, খেলাধুলা করেন বা ছবি তোলার জন্য এক জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে থাকেন, তারা পানিশূন্যতায় ভোগেন।
এ বিষয়ে ব্রিটেনের “ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন”–এর পুষ্টিবিদ ড. পিটার লরেন্স বলেন, “আর্দ্র আবহাওয়ায় শরীর আরও বেশি পানি চায়, কারণ ঘাম শুকাতে না পারায় ঠান্ডা রাখার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। পর্যটকদের উচিত এ সময়ে দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি খাওয়া।”
অন্যদিকে, সৈকতের খাবার নিয়ে আছে আরেক চিন্তা। বর্ষায় অনেক দোকান ঠিকমতো সংরক্ষণ না করে ভাজাভুজি ও সামুদ্রিক খাবার পরিবেশন করে। বৃষ্টির পানি খাবারের সংস্পর্শে এলে ব্যাকটেরিয়া বাড়ে। ফলে পর্যটকেরা ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং বা টাইফয়েডে আক্রান্ত হতে পারেন।
তবে সব কিছুই কি শুধু খারাপ? তা নয়। অনেকেই বলেন, বর্ষার সময়ে কক্সবাজারের প্রকৃতি অন্যরকম। তুলনামূলকভাবে ভিড় কম থাকে, হোটেলের ভাড়াও কমে যায়। যারা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যান—যেমন হালকা ও ঢিলা পোশাক পরেন, ছাতা বা রেইনকোট নেন, পর্যাপ্ত পানি পান করেন ও ঝুঁকিপূর্ণ সময় সাগরে না নামেন—তাদের জন্য এটি একধরনের প্রশান্তির উৎস হতে পারে।
ভারতের পুণের স্বাস্থ্য গবেষক ড. অরুণাভ শর্মা বলেন, “বর্ষার গরমে সমুদ্রের ধারে গিয়ে মন ও শরীরকে রিল্যাক্স করা যায়, যদি পর্যাপ্ত সাবধানতা নেওয়া হয়। প্রাকৃতিক শব্দ ও দৃশ্য শরীরে ‘সিরোটোনিন’ নিঃসরণ বাড়ায়, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।”
তবে শিশু ও প্রবীণদের জন্য এই সময়টিতে কক্সবাজার যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণই বলা চলে। শিশুরা দ্রুত পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়, আর প্রবীণদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক বা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ফলে বলা যায়, বর্ষার ভ্যাপসা গরমে কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া একদিকে স্বস্তিদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে, আবার অন্যদিকে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কাও তৈরি করতে পারে। এই সময়ে সৈকত যাত্রা সত্যিই উপভোগ্য করে তুলতে চাইলে নিজের শরীরের কথা চিন্তা করে প্রস্তুতি নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
স্বাস্থ্য আগে, আনন্দ পরে—এই মন্ত্র মাথায় রেখে সমুদ্রস্নানে নামা হোক সাবধানের ছায়ায়। তাহলেই বর্ষার কক্সবাজার হয়ে উঠতে পারে মুক্ত বাতাসের উৎস, না হয়ে ওঠে বিপদের দরজা।
বর্ষাকাল। আকাশে মেঘ, হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি, আবার কখনও রোদে পুড়ে যাওয়ার উপক্রম। এর মধ্যেই ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে গোটা দেশ। বাতাস ভারী, আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি, আর গায়ে যেন লেগে থাকে অদৃশ্য এক ঘামঘাম ভাব। এমন সময়ে অনেকেই বেড়াতে চান একটু মুক্ত হাওয়া, স্বস্তি কিংবা ঠান্ডা জলের আশায়। গন্তব্যের তালিকায় উপরের দিকেই থাকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত—কক্সবাজার।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এমন ভ্যাপসা গরমে আর আর্দ্র আবহাওয়ায় কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত কি না? সমুদ্রের নোনা হাওয়া, বালুর ছোঁয়া, আর ঢেউয়ের আহ্বান অনেকটা স্বর্গীয় মনে হলেও, এর পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে শরীরের জন্য কিছু অদৃশ্য ঝুঁকি। বিশেষ করে যখন আপনি বর্ষার ঠিক মধ্যভাগে, গরমের চরমতম মুহূর্তে সেখানে যাচ্ছেন। এই ফিচারে সেই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করব, সহজ ভাষায়। তুলে ধরব চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের মতামতও।
প্রথমেই দেখা যাক, বর্ষাকালে কক্সবাজারের আবহাওয়া কেমন থাকে। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ২৮ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। তবে বাতাসে আর্দ্রতা থাকে ৮০ শতাংশের বেশি। এই আর্দ্রতা শরীরের ঘাম শুকানোর প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে, ফলে শরীর নিজেকে ঠান্ডা রাখতে পারে না। এর ফলেই সৃষ্টি হয় ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপজনিত চাপ, যা দীর্ঘ সময় সৈকতে অবস্থান করলে শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের "ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এনভায়রনমেন্টাল হেলথ সায়েন্সেস"-এর গবেষক ড. লরেন পারসন্স বলেন, “আর্দ্র ও গরম আবহাওয়া মানুষের শরীরের থার্মোরেগুলেশন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। দীর্ঘক্ষণ এরকম পরিবেশে থাকলে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, এমনকি হিট স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে।”
বর্ষার সময়ে কক্সবাজারে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সূর্য দেখা না গেলেও গরম কমে না। বৃষ্টির পরপরই বাষ্পীভবনের কারণে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ে, আর সূর্য ওঠা মাত্রই গরমটা চেপে বসে শরীরে। ফলে যারা হোটেল থেকে বেরিয়ে সমুদ্রসৈকতে হাঁটতে যান, তাদের অনেকে আধা ঘণ্টার মধ্যে ঘেমে উঠেন, ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
এই সময়ে সাগরের পানিতে নামা কি নিরাপদ? একদিকে ঢেউ থাকে তুলনামূলক বড়, আবার অন্যদিকে থাকে টান। ট্যুরিস্ট পুলিশের মতে, বর্ষাকালে কক্সবাজারে সাগরের আচরণ খুবই অনির্দেশ্য হয়। অনেক পর্যটক ঢেউ দেখে আনন্দিত হয়ে জলে নামেন, কিন্তু টানের শিকার হয়ে ভিতরের দিকে চলে যান। এটা শুধু শারীরিক ঝুঁকিই নয়, প্রাণঘাতীও হতে পারে।
সেন্ট্রাল ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির সামুদ্রিক স্বাস্থ্য গবেষক ড. অ্যালিসন হিউস বলেন, “বর্ষার সময়ে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে। নোনা জল, দূষিত বালি, আর বৃষ্টির পানি মিলে ত্বক ও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।”
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—পানিশূন্যতা। বর্ষাকালে অনেকেই ভাবেন, যেহেতু আবহাওয়ায় আর্দ্রতা বেশি, পানি খাওয়ার প্রয়োজন কম। কিন্তু সত্যি হলো, ঘাম বেশি হয় বলে শরীর থেকে লবণ ও পানি বেরিয়ে যায় প্রচুর। যারা সৈকতে হাঁটেন, খেলাধুলা করেন বা ছবি তোলার জন্য এক জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে থাকেন, তারা পানিশূন্যতায় ভোগেন।
এ বিষয়ে ব্রিটেনের “ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন”–এর পুষ্টিবিদ ড. পিটার লরেন্স বলেন, “আর্দ্র আবহাওয়ায় শরীর আরও বেশি পানি চায়, কারণ ঘাম শুকাতে না পারায় ঠান্ডা রাখার প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। পর্যটকদের উচিত এ সময়ে দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি খাওয়া।”
অন্যদিকে, সৈকতের খাবার নিয়ে আছে আরেক চিন্তা। বর্ষায় অনেক দোকান ঠিকমতো সংরক্ষণ না করে ভাজাভুজি ও সামুদ্রিক খাবার পরিবেশন করে। বৃষ্টির পানি খাবারের সংস্পর্শে এলে ব্যাকটেরিয়া বাড়ে। ফলে পর্যটকেরা ডায়রিয়া, ফুড পয়জনিং বা টাইফয়েডে আক্রান্ত হতে পারেন।
তবে সব কিছুই কি শুধু খারাপ? তা নয়। অনেকেই বলেন, বর্ষার সময়ে কক্সবাজারের প্রকৃতি অন্যরকম। তুলনামূলকভাবে ভিড় কম থাকে, হোটেলের ভাড়াও কমে যায়। যারা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যান—যেমন হালকা ও ঢিলা পোশাক পরেন, ছাতা বা রেইনকোট নেন, পর্যাপ্ত পানি পান করেন ও ঝুঁকিপূর্ণ সময় সাগরে না নামেন—তাদের জন্য এটি একধরনের প্রশান্তির উৎস হতে পারে।
ভারতের পুণের স্বাস্থ্য গবেষক ড. অরুণাভ শর্মা বলেন, “বর্ষার গরমে সমুদ্রের ধারে গিয়ে মন ও শরীরকে রিল্যাক্স করা যায়, যদি পর্যাপ্ত সাবধানতা নেওয়া হয়। প্রাকৃতিক শব্দ ও দৃশ্য শরীরে ‘সিরোটোনিন’ নিঃসরণ বাড়ায়, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।”
তবে শিশু ও প্রবীণদের জন্য এই সময়টিতে কক্সবাজার যাত্রা ঝুঁকিপূর্ণই বলা চলে। শিশুরা দ্রুত পানিশূন্যতায় আক্রান্ত হয়, আর প্রবীণদের ক্ষেত্রে হিট স্ট্রোক বা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ফলে বলা যায়, বর্ষার ভ্যাপসা গরমে কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া একদিকে স্বস্তিদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে, আবার অন্যদিকে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কাও তৈরি করতে পারে। এই সময়ে সৈকত যাত্রা সত্যিই উপভোগ্য করে তুলতে চাইলে নিজের শরীরের কথা চিন্তা করে প্রস্তুতি নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
স্বাস্থ্য আগে, আনন্দ পরে—এই মন্ত্র মাথায় রেখে সমুদ্রস্নানে নামা হোক সাবধানের ছায়ায়। তাহলেই বর্ষার কক্সবাজার হয়ে উঠতে পারে মুক্ত বাতাসের উৎস, না হয়ে ওঠে বিপদের দরজা।
এক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়।
১৮ ঘণ্টা আগেসাপের মেরুদণ্ডে অসংখ্য হাড় আর পেশী আছে। এই হাড় ও পেশীর সাহায্যে তারা শরীর বাঁকায়, সঙ্কুচিত করে আবার প্রসারিত করে। একেকটা অংশ মাটিতে ধাক্কা দেয়, আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী মাটিও পাল্টা চাপ দিয়ে সাপকে সামনে এগিয়ে দেয়।
২ দিন আগেগণতন্ত্রের মূলমন্ত্র জনগণই ক্ষমতার উৎস। সেটা আজকাল কেউ মানে বলে মনে হয় না। সে বাংলাদেশেই হোক বা যুক্তরাষ্ট্র—ক্ষমতাসীন নেতাদের সবাই নিজেদের সর্বেসর্বা মনে করে। গণতন্ত্রের অন্যতম পুরোধা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় বলেছিলেন, ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য
২ দিন আগেলাউ মূলত ৯০ শতাংশেরও বেশি পানি দিয়ে তৈরি। তাই গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে এটি দারুণ কাজ করে। যারা নিয়মিত লাউ খান, তারা জানেন যে এটি হজমে সহায়ক, শরীরের অতিরিক্ত তাপ কমায় এবং প্রস্রাবের সমস্যা দূর করে।
২ দিন আগে