ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
এলাচ বিশ্বের নানা প্রান্তে জনপ্রিয় একটি সুগন্ধি মসলা। এর অনন্য স্বাদ ও গন্ধের জন্য একে মসলার রানি বলা হয়। শুধু খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ানোই নয়, এলাচের রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ এবং নানা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। এলাচ মূলত দুই ধরনের—সবুজ এলাচ এবং কালো এলাচ। যদিও রান্নায় সবুজ এলাচের ব্যবহার বেশি দেখা যায়, তবে দু’ধরনের এলাচেই প্রায় সমান পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।
পুষ্টিগুণের দিক থেকে এলাচ অত্যন্ত সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম এলাচে রয়েছে প্রায় ৩১১ ক্যালরি শক্তি, ৬৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১২ গ্রাম প্রোটিন, ৭ গ্রাম ফ্যাট, ২৮ গ্রাম ফাইবার, ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১১১৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২২৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম এবং ৩৮৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এ কারণে এটি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, শরীরের নানা চাহিদাও পূরণ করে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা থেকে শুরু করে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান পর্যন্ত এলাচের গুরুত্ব স্বীকৃত। এর নানা উপাদান শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এলাচ হজমশক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে কার্যকর। এতে থাকা ফাইবার ও এসেনশিয়াল অয়েল বমিভাব, পেট ফাঁপা ও বদহজম কমায়। একই সঙ্গে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায়ও এলাচ উপকারী। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং হাঁপানি কিংবা ব্রঙ্কাইটিসের উপসর্গ প্রশমিত করে।
হার্টের সুস্থতার ক্ষেত্রেও এলাচ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে। পাশাপাশি এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এলাচ উপকারী হতে পারে। এতে থাকা পলিফেনল ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এলাচ প্রাকৃতিক মাউথফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করে। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে এবং দাঁত ও মাড়িকে রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এলাচে অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান রয়েছে, যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। এর আরোমাথেরাপি গুণ মানসিক চাপ কমায়, স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
এলাচের ব্যবহার শুধু রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ নয়। এটি মিষ্টি, চা, বিভিন্ন পানীয়, হার্বাল ওষুধ এমনকি মাউথফ্রেশনার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এলাচ তেল, গুঁড়ো কিংবা গোটা এলাচ—সব রূপেই এর উপকারিতা পাওয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনে চায়ের স্বাদ বাড়াতে, বিরিয়ানি ও মাংসের রান্নায় কিংবা হার্বাল চিকিৎসায় এর ব্যবহার অত্যন্ত সাধারণ।
তবে এলাচ যতই উপকারী হোক না কেন, অতিরিক্ত সেবন শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এলার্জি প্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক কিংবা রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে এলাচ খাওয়াই শ্রেয়।
সর্বোপরি বলা যায়, এলাচ শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, বরং এটি একটি শক্তিশালী ভেষজ উপাদান যা শরীরকে নানা রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে পরিমিত ব্যবহারই এর সঠিক উপকার নিশ্চিত করে।
সূত্র: ল্যানসেট
এলাচ বিশ্বের নানা প্রান্তে জনপ্রিয় একটি সুগন্ধি মসলা। এর অনন্য স্বাদ ও গন্ধের জন্য একে মসলার রানি বলা হয়। শুধু খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বাড়ানোই নয়, এলাচের রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ এবং নানা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা। এলাচ মূলত দুই ধরনের—সবুজ এলাচ এবং কালো এলাচ। যদিও রান্নায় সবুজ এলাচের ব্যবহার বেশি দেখা যায়, তবে দু’ধরনের এলাচেই প্রায় সমান পুষ্টিগুণ বিদ্যমান।
পুষ্টিগুণের দিক থেকে এলাচ অত্যন্ত সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম এলাচে রয়েছে প্রায় ৩১১ ক্যালরি শক্তি, ৬৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১২ গ্রাম প্রোটিন, ৭ গ্রাম ফ্যাট, ২৮ গ্রাম ফাইবার, ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১১১৯ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২২৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম এবং ৩৮৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এ কারণে এটি শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, শরীরের নানা চাহিদাও পূরণ করে।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা থেকে শুরু করে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান পর্যন্ত এলাচের গুরুত্ব স্বীকৃত। এর নানা উপাদান শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এলাচ হজমশক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে কার্যকর। এতে থাকা ফাইবার ও এসেনশিয়াল অয়েল বমিভাব, পেট ফাঁপা ও বদহজম কমায়। একই সঙ্গে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যায়ও এলাচ উপকারী। এর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং হাঁপানি কিংবা ব্রঙ্কাইটিসের উপসর্গ প্রশমিত করে।
হার্টের সুস্থতার ক্ষেত্রেও এলাচ ভূমিকা রাখে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, যা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখে। পাশাপাশি এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং কোষের ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও এলাচ উপকারী হতে পারে। এতে থাকা পলিফেনল ও ম্যাগনেশিয়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। এলাচ প্রাকৃতিক মাউথফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করে। এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে এবং দাঁত ও মাড়িকে রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এলাচে অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান রয়েছে, যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। এর আরোমাথেরাপি গুণ মানসিক চাপ কমায়, স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
এলাচের ব্যবহার শুধু রান্নাঘরে সীমাবদ্ধ নয়। এটি মিষ্টি, চা, বিভিন্ন পানীয়, হার্বাল ওষুধ এমনকি মাউথফ্রেশনার হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। এলাচ তেল, গুঁড়ো কিংবা গোটা এলাচ—সব রূপেই এর উপকারিতা পাওয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনে চায়ের স্বাদ বাড়াতে, বিরিয়ানি ও মাংসের রান্নায় কিংবা হার্বাল চিকিৎসায় এর ব্যবহার অত্যন্ত সাধারণ।
তবে এলাচ যতই উপকারী হোক না কেন, অতিরিক্ত সেবন শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এলার্জি প্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক কিংবা রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে এলাচ খাওয়াই শ্রেয়।
সর্বোপরি বলা যায়, এলাচ শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, বরং এটি একটি শক্তিশালী ভেষজ উপাদান যা শরীরকে নানা রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। তবে পরিমিত ব্যবহারই এর সঠিক উপকার নিশ্চিত করে।
সূত্র: ল্যানসেট
নুসরাত বলেন, ‘মানুষ ভাবে, নুসরাত মানেই বিতর্ক। কিন্তু আমি তার চেয়েও অনেক বেশি কিছু। যারা সমালোচনা করে, তারা জানেই না আমার ভিতরে কী চলছিল। অনেকে যা বলে, তার অনেকটাই সত্যি নয়, অর্ধসত্য।’
১ দিন আগেঅ্যালি পড়ালেখার পাশাপাশি স্থানীয় এক সুইমিং পুলে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতেন। তার সঙ্গে ছোট ভাইও একই কাজ করত। বাসা থেকে হাঁটতে হাঁটতে তিন-চার মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যায় সেখানে। ২০০২ সালের ১৮ জুনও প্রতিদিনের মতো কাজে গিয়েছিলেন অ্যালি। সেদিন আবহাওয়া ভালো ছিল না, তাই খুব বেশি লোক সাঁতার কাটতে আসেননি। ফলে কাজও
১ দিন আগেকলকাতার মাটিতে জন্ম হলেও, তার হৃদয় ও আত্মা ছিল বাংলাদেশের মাটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। শৈশব থেকেই জ্ঞানের প্রতি অদম্য তৃষ্ণা ও সমাজের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা তাঁকে এক অনন্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্রী হয়েও তিনি কেবল বিজ্ঞানেই সীমাবদ্ধ থাকেন নি; জ্ঞানের প্রতিটি শাখা
১ দিন আগেসাধারণভাবে মাথা ব্যথাকে কয়েকটি ভাগে ফেলা হয়। যেমন টেনশন হেডেক, মাইগ্রেন, সাইনাসজনিত ব্যথা, কিংবা ক্লাস্টার হেডেক। তবে এর বাইরেও রয়েছে নানা ভৌতিক ও মানসিক কারণ, যা মানুষের মাথা ব্যথাকে অতিরিক্ত বাড়িয়ে দেয়।
১ দিন আগে