অরুণ কুমার
জীবন উপন্যাসের মতো নাকি উপন্যাস জীবনের মতো? গভীর ভাবে ভাবলে দুটি কথাই ঠিক। তবে জীবন বা ব্যক্তি ছাড়া উপন্যাস হয় না। কালজয়ী উপন্যাসগুলোর পেছনে তাই একজন করে সত্যিকারের ব্যক্তি থাকেন যিনি হয়তো উপন্যঅসের জীবনদাতা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হয় লেখকের ব্যক্তি জীবনকে ঘিরেই।
কখনো কখনো লেখকের জীবনের তীব্র বাসানা, যা তিনি হতে পারেননি, তা-ই ফুটিয়ে তোলেন প্রধার চরিত্রের কাঠামোতে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী কিশোর উপন্যান ‘চাঁদের পাহাড়’। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শঙ্কর হলো বিভূতিভূষণের অপূর্ণ সাধেরই প্রতিভূ। কিন্তু পার্শ্ব চরিত্র, যাঁকে ছাড়া চাঁদের পাহাড় কল্পনায় করা যায় না, সেই ডিয়াগো আলাভারেজের চরিত্রটা বিভূতি কোথায় পেলেন?
বিভূতিভূষণের অভিযাত্রিক নামের একটা স্মৃতিকথার বই আছে। এই বইয়ের বড় অংশজুড়ে রয়েছে তাঁর পূর্ববঙ্গ ভ্রমণের কথা। চট্টগ্রামের পাহাড়-জঙ্গল দেখে বিভূতিভূষণ গিয়েছিলেন ত্রিপুরায়। সেখানে তিনি সেকালের ত্রিপুরা রাজার অতিথিশালায় আশ্রয় নেন। সেখানেই পরিচয় হয় ভবঘুরে কিন্তু অসাধরণ পণ্ডিত এক লোকের সঙ্গে। কথায় কথায় লোকটা জার্মান কবি গ্যেটের কবিতার লাইন আউড়াতেন।
বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য—সব বিষয়ে তাঁর টনটনে জ্ঞান। লোকটা স্বপ্নবাজ, কিন্তু লোভী নন। ভূতত্ত্ববিদ ও খনিবিশারদ। তিনি ত্রিপুরার পাহাড়-জঙ্গলে তেল-গ্যাস খনির সন্ধান করছিলেন, অথচ পকেটে ফুটো পয়সাটিও ছিল না। লোকটা বিভূতিকে তাঁর সঙ্গে খনির সন্ধানে বেরিয়ে পড়ার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তাঁর নাম অভিযাত্রিক-এ লেখেন না বিভূতিভূষণ।
লোকটাকে বড্ড পছন্দ করে ফেলেছিলেন ভূমিতে। বলেছিলেন তাঁর বেশ কিছু উপন্যাসের চরিত্র তৈরিতে লোকটার একটা ভূমিকা ছিল। অন্যদিকে দিকে ডিয়াগো আলভারেজও ভবঘুরে টাইপের, ভূতত্ত্বে গভীর জ্ঞান, তিনিও শঙ্করকে নিয়ে হীরার খনির খোঁজে যেতে চেয়েছিলেন। বুনিপের হাতে নিহত হওয়ার পর শঙ্কর তাঁর কাগজপত্র ঘেঁটে জানতে পারেন আলভারেজের খনিবিদ্যায় ডিপ্লোমা ছিল। সুতরাং গবেষকদের দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
জীবন উপন্যাসের মতো নাকি উপন্যাস জীবনের মতো? গভীর ভাবে ভাবলে দুটি কথাই ঠিক। তবে জীবন বা ব্যক্তি ছাড়া উপন্যাস হয় না। কালজয়ী উপন্যাসগুলোর পেছনে তাই একজন করে সত্যিকারের ব্যক্তি থাকেন যিনি হয়তো উপন্যঅসের জীবনদাতা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হয় লেখকের ব্যক্তি জীবনকে ঘিরেই।
কখনো কখনো লেখকের জীবনের তীব্র বাসানা, যা তিনি হতে পারেননি, তা-ই ফুটিয়ে তোলেন প্রধার চরিত্রের কাঠামোতে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী কিশোর উপন্যান ‘চাঁদের পাহাড়’। এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র শঙ্কর হলো বিভূতিভূষণের অপূর্ণ সাধেরই প্রতিভূ। কিন্তু পার্শ্ব চরিত্র, যাঁকে ছাড়া চাঁদের পাহাড় কল্পনায় করা যায় না, সেই ডিয়াগো আলাভারেজের চরিত্রটা বিভূতি কোথায় পেলেন?
বিভূতিভূষণের অভিযাত্রিক নামের একটা স্মৃতিকথার বই আছে। এই বইয়ের বড় অংশজুড়ে রয়েছে তাঁর পূর্ববঙ্গ ভ্রমণের কথা। চট্টগ্রামের পাহাড়-জঙ্গল দেখে বিভূতিভূষণ গিয়েছিলেন ত্রিপুরায়। সেখানে তিনি সেকালের ত্রিপুরা রাজার অতিথিশালায় আশ্রয় নেন। সেখানেই পরিচয় হয় ভবঘুরে কিন্তু অসাধরণ পণ্ডিত এক লোকের সঙ্গে। কথায় কথায় লোকটা জার্মান কবি গ্যেটের কবিতার লাইন আউড়াতেন।
বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য—সব বিষয়ে তাঁর টনটনে জ্ঞান। লোকটা স্বপ্নবাজ, কিন্তু লোভী নন। ভূতত্ত্ববিদ ও খনিবিশারদ। তিনি ত্রিপুরার পাহাড়-জঙ্গলে তেল-গ্যাস খনির সন্ধান করছিলেন, অথচ পকেটে ফুটো পয়সাটিও ছিল না। লোকটা বিভূতিকে তাঁর সঙ্গে খনির সন্ধানে বেরিয়ে পড়ার আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু তাঁর নাম অভিযাত্রিক-এ লেখেন না বিভূতিভূষণ।
লোকটাকে বড্ড পছন্দ করে ফেলেছিলেন ভূমিতে। বলেছিলেন তাঁর বেশ কিছু উপন্যাসের চরিত্র তৈরিতে লোকটার একটা ভূমিকা ছিল। অন্যদিকে দিকে ডিয়াগো আলভারেজও ভবঘুরে টাইপের, ভূতত্ত্বে গভীর জ্ঞান, তিনিও শঙ্করকে নিয়ে হীরার খনির খোঁজে যেতে চেয়েছিলেন। বুনিপের হাতে নিহত হওয়ার পর শঙ্কর তাঁর কাগজপত্র ঘেঁটে জানতে পারেন আলভারেজের খনিবিদ্যায় ডিপ্লোমা ছিল। সুতরাং গবেষকদের দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
১ দিন আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
২ দিন আগেঅচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
২ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
২ দিন আগে