ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষার নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছে। ইরান সম্প্রতি একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের ঘোষণা দিয়েছে, যার নাম কাশিম বশির। শুধু নামেই নয়, ক্ষমতাতেও এই ক্ষেপণাস্ত্র যেন একটি চমক। এটি এমন এক প্রযুক্তিতে নির্মিত, যা অত্যন্ত শক্তিশালী ও প্রতিরক্ষা–ব্যবস্থা ভেদে সক্ষম। বিশেষ করে ইজরায়েলের বিখ্যাত আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি, রাডার ফাঁকি ও শেষ মুহূর্তের কৌশলের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই ফিচারে আমরা সহজ ভাষায় বুঝব, কীভাবে ‘কাশিম বশির’ এত উন্নত, কেন এটি আয়রন ডোমের মত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিকে ঠকাতে সক্ষম, এবং এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের কী মতামত।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্মোচন করে ২০২৪ সালের মে মাসে। এটি তৈরি করা হয়েছে শহীদ কাশিম সোলায়মানির নাম অনুসারে। কাশিম ২০২০ সালে এক মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। কাশিম বশির অর্থাৎ ‘বার্তাবাহক কাশিম’ – যেন প্রতিশোধ আর প্রতিরক্ষা দুইয়ের প্রতীক।
প্রযুক্তিগত গুণাগুণ – কীভাবে এটি আয়রন ডোমকে ফাঁকি দেয়? কাশিম বশির ক্ষেপণাস্ত্রটি মূলত একটি মিডিয়াম রেঞ্জ ব্যালাস্টিক মিসাইল (এমআরবিএম)। এটি দুই ধাপে চলে – অর্থাৎ লঞ্চের পর প্রথম ইঞ্জিন গতি দেয় এবং দ্বিতীয় ধাপে এটি উচ্চগতির দিকে এগোয়। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, এটি মেন্যুভার্যাবল রিএন্ট্রি ভ্যাকিল (MaRV) হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, যখন এটি মাটিতে ফেরার শেষ পর্যায়ে আসে, তখন এটি দিক পাল্টাতে পারে, যা রাডার ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির পক্ষে শনাক্ত করা কঠিন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স অ্যানালাইসিস ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. উইলিয়াম থমাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “কাশিম বশির একটি ক্লাসিক MaRV ক্ষেপণাস্ত্র। শেষ পর্যায়ে এটি ইনফ্রারেড গাইডেন্স ব্যবহার করে। ফলে আয়রন ডোম এর গতিপথ ঠিকমতো ধরতে পারে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটি জিপিএস ছাড়াই কাজ করে, ইলেকট্রনিক জ্যামিংও এর ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলে না।”
এই ক্ষেপণাস্ত্র ইলেকট্রো–অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার করে। অর্থাৎ এটি নিশানা নির্ধারণ করে আলো ও তাপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে। আর এটি পুরোপুরি সলিড ফুয়েলড, ফলে খুব দ্রুত লঞ্চ করা যায়, রাখাও সহজ।
আয়রন ডোম কেন রুখতে পারল না?
ইসরায়েলের আয়রন ডোম মূলত স্বল্প পাল্লার রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে গঠিত। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা আকাশে লক্ষ্যভেদ করে এবং ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু এই প্রযুক্তি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধ্রুব গতিপথে চলা ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য কার্যকর। কাশিম বশির যখন শেষ ধাপে এসে দিক পাল্টাতে শুরু করে, তখন আয়রন ডোমের রাডার সেটি ধরতে পারে না, ফলে ধ্বংস করাও সম্ভব হয় না।
যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিভাগের গবেষক লরা গিলবার্ট বলেন, “এটা শুধু গতি নয়, প্রযুক্তিগত চালাকি। কাশিম বশির এমনভাবে গঠিত যে এটি প্রায় ১১ মিটার লম্বা, কিন্তু রাডারে ধরা পড়ে না, কারণ এটি কার্বন-ফাইবার দিয়ে তৈরি। আয়রন ডোম একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমায় প্রতিক্রিয়া দেয়, আর কাশিম বশির সেই সময়সীমার ঠিক বাইরে চলে গিয়ে হিট করে।”
এই ক্ষেপণাস্ত্রের ফলে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতার নতুন মাত্রা দেখিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধু একটি অস্ত্র নয়, বরং একধরনের বার্তা—যে ইরান নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে এমন কিছু বানাতে সক্ষম, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা চক্র ভেঙে দিতে পারে।
জার্মানির হ্যামবুর্গ ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক ফ্রাঙ্ক মার্টিনেজ বলেন, “কাশিম বশির শুধু একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়, এটি ইরানের প্রযুক্তিগত আত্মবিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। এখন থেকে সামরিক হিসাব–নিকাশে এই অস্ত্রকে মাথায় রেখেই কৌশল ঠিক করতে হবে।”
কাশিম বশির ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছে নতুন এক যুগের অস্ত্রপ্রযুক্তির উদাহরণ। রাডার ফাঁকি, গতি, নিশানার নির্ভুলতা—সবকিছু মিলিয়ে এটি আজকের দিনে এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এটি একটি নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে, যা শুধু ইজরায়েল নয়, গোটা বিশ্ব নজর রেখে চলেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষার নতুন একটি অধ্যায় শুরু হয়েছে। ইরান সম্প্রতি একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের ঘোষণা দিয়েছে, যার নাম কাশিম বশির। শুধু নামেই নয়, ক্ষমতাতেও এই ক্ষেপণাস্ত্র যেন একটি চমক। এটি এমন এক প্রযুক্তিতে নির্মিত, যা অত্যন্ত শক্তিশালী ও প্রতিরক্ষা–ব্যবস্থা ভেদে সক্ষম। বিশেষ করে ইজরায়েলের বিখ্যাত আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি, রাডার ফাঁকি ও শেষ মুহূর্তের কৌশলের সামনে অসহায় হয়ে পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এই ফিচারে আমরা সহজ ভাষায় বুঝব, কীভাবে ‘কাশিম বশির’ এত উন্নত, কেন এটি আয়রন ডোমের মত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিকে ঠকাতে সক্ষম, এবং এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের কী মতামত।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এই ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্মোচন করে ২০২৪ সালের মে মাসে। এটি তৈরি করা হয়েছে শহীদ কাশিম সোলায়মানির নাম অনুসারে। কাশিম ২০২০ সালে এক মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন। কাশিম বশির অর্থাৎ ‘বার্তাবাহক কাশিম’ – যেন প্রতিশোধ আর প্রতিরক্ষা দুইয়ের প্রতীক।
প্রযুক্তিগত গুণাগুণ – কীভাবে এটি আয়রন ডোমকে ফাঁকি দেয়? কাশিম বশির ক্ষেপণাস্ত্রটি মূলত একটি মিডিয়াম রেঞ্জ ব্যালাস্টিক মিসাইল (এমআরবিএম)। এটি দুই ধাপে চলে – অর্থাৎ লঞ্চের পর প্রথম ইঞ্জিন গতি দেয় এবং দ্বিতীয় ধাপে এটি উচ্চগতির দিকে এগোয়। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, এটি মেন্যুভার্যাবল রিএন্ট্রি ভ্যাকিল (MaRV) হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, যখন এটি মাটিতে ফেরার শেষ পর্যায়ে আসে, তখন এটি দিক পাল্টাতে পারে, যা রাডার ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির পক্ষে শনাক্ত করা কঠিন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডিফেন্স অ্যানালাইসিস ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. উইলিয়াম থমাস এই প্রসঙ্গে বলেন, “কাশিম বশির একটি ক্লাসিক MaRV ক্ষেপণাস্ত্র। শেষ পর্যায়ে এটি ইনফ্রারেড গাইডেন্স ব্যবহার করে। ফলে আয়রন ডোম এর গতিপথ ঠিকমতো ধরতে পারে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটি জিপিএস ছাড়াই কাজ করে, ইলেকট্রনিক জ্যামিংও এর ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলে না।”
এই ক্ষেপণাস্ত্র ইলেকট্রো–অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার করে। অর্থাৎ এটি নিশানা নির্ধারণ করে আলো ও তাপ বিশ্লেষণের মাধ্যমে। আর এটি পুরোপুরি সলিড ফুয়েলড, ফলে খুব দ্রুত লঞ্চ করা যায়, রাখাও সহজ।
আয়রন ডোম কেন রুখতে পারল না?
ইসরায়েলের আয়রন ডোম মূলত স্বল্প পাল্লার রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে গঠিত। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা আকাশে লক্ষ্যভেদ করে এবং ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু এই প্রযুক্তি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধ্রুব গতিপথে চলা ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য কার্যকর। কাশিম বশির যখন শেষ ধাপে এসে দিক পাল্টাতে শুরু করে, তখন আয়রন ডোমের রাডার সেটি ধরতে পারে না, ফলে ধ্বংস করাও সম্ভব হয় না।
যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিভাগের গবেষক লরা গিলবার্ট বলেন, “এটা শুধু গতি নয়, প্রযুক্তিগত চালাকি। কাশিম বশির এমনভাবে গঠিত যে এটি প্রায় ১১ মিটার লম্বা, কিন্তু রাডারে ধরা পড়ে না, কারণ এটি কার্বন-ফাইবার দিয়ে তৈরি। আয়রন ডোম একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমায় প্রতিক্রিয়া দেয়, আর কাশিম বশির সেই সময়সীমার ঠিক বাইরে চলে গিয়ে হিট করে।”
এই ক্ষেপণাস্ত্রের ফলে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রতিরক্ষা ক্ষমতার নতুন মাত্রা দেখিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধু একটি অস্ত্র নয়, বরং একধরনের বার্তা—যে ইরান নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে এমন কিছু বানাতে সক্ষম, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা চক্র ভেঙে দিতে পারে।
জার্মানির হ্যামবুর্গ ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক ফ্রাঙ্ক মার্টিনেজ বলেন, “কাশিম বশির শুধু একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়, এটি ইরানের প্রযুক্তিগত আত্মবিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি। এখন থেকে সামরিক হিসাব–নিকাশে এই অস্ত্রকে মাথায় রেখেই কৌশল ঠিক করতে হবে।”
কাশিম বশির ক্ষেপণাস্ত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছে নতুন এক যুগের অস্ত্রপ্রযুক্তির উদাহরণ। রাডার ফাঁকি, গতি, নিশানার নির্ভুলতা—সবকিছু মিলিয়ে এটি আজকের দিনে এক ভয়ঙ্কর অস্ত্র। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এটি একটি নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে, যা শুধু ইজরায়েল নয়, গোটা বিশ্ব নজর রেখে চলেছে।
প্রাচীন কবি-গান থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, অতুল প্রসাদ সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায় থেকে আধুনিক যুগের সলিল চৌধুরী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, রুনা লায়লা কিংবা বর্তমান প্রজন্মের অনুপম রায়, শিলাজিৎ—সবাই বর্ষার রোমান্টিকতায় মজেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেবর্ষায় চারদিকে জমে থাকে পানি। খোলা ড্রেন, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, ফুলদানি, এমনকি এসির নিচে রাখা কনডেনসড পানির বাটি—সবখানেই জন্ম নিতে পারে এডিস ইজিপটাই ও এডিস অ্যালবোপিক্টাস নামের মশা, যারা ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে।
১০ ঘণ্টা আগেদেশে এমন অব্যাহত বর্ষণের মধ্যেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশেও বন্যা হবে কি না। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এখনই বন্যার ঝুঁকি নেই।
১১ ঘণ্টা আগেরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর উপন্যাসে বর্ষাকে কখনো কাব্যিক আবহে তুলে ধরেছেন, কখনোবা ব্যবহার করেছেন মনোজাগতিক উত্তরণের প্রতীক হিসেবে।
১ দিন আগে