ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ভাবুন তো, আপনি হঠাৎ নিজের বাড়ির মেঝে ভেঙে নিচে নেমে গেলেন আর দেখলেন একটা বিশাল শহর! শুনে সিনেমার গল্প মনে হলেও, এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৩ সালে তুরস্কে। বাড়ির সংস্কার করতে গিয়ে এক ব্যক্তি আচমকা একটা গোপন সুড়ঙ্গের খোঁজ পান। সেই সুড়ঙ্গের শেষ নেই! পরে জানা গেল, এটা কোনো ছোটখাটো গুহা নয়, বরং একটা আস্ত পাতাল শহর—ডেরিনকুয়ু।
ডেরিনকুয়ু শহরটি তুরস্কের কাপাদোকিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। হাজার হাজার বছর ধরে এই শহর লুকিয়ে ছিল মাটির গভীরে। ঐতিহাসিকদের ধারণা, প্রায় ৩,০০০ বছর আগে হিট্টাইট জাতিগোষ্ঠী এই শহরের গোড়াপত্তন করে। তারা তখন যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর বাইরের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মাটির নিচে একটা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিল। তখন তারা লক্ষ্য করল, পাহাড়ের নিচে এক ধরনের নরম শিলা রয়েছে, যেটা সহজে খনন করা যায়। এই শিলা ছিল বৃষ্টির পানি, বাতাসের আর্দ্রতা আর লাভার প্রভাবে তৈরি। সেই শিলাতেই তারা গড়ে তুলল এক বিশাল পাতাল শহর।
শহরটি গড়ে তোলা হয় প্রায় ২৫০ ফুট গভীরে, যেখানে একসাথে ২০,০০০ মানুষ থাকতে পারত! শুধু থাকার ব্যবস্থা নয়, এর মধ্যে ছিল চিমনি, গুদামঘর, প্রার্থনালয়, আস্তাবল, তেলের ঘাঁনি এমনকি একটা গোপন সমাধি পর্যন্ত। শহরের ভিতরে ছিল প্রায় ১,৫০০টিরও বেশি চিমনি, যেগুলো দিয়ে আলো এবং শুদ্ধ বাতাস ভিতরে প্রবাহিত হতো। বাইরের দুনিয়া থেকে শহরটিকে আলাদা করতে তৈরি হয়েছিল গোপন দরজা ও সুড়ঙ্গপথ, যা শত্রুরা খুঁজে পেতে পারত না।
তবে শুধু হিট্টাইটরা নয়, এই পাতাল শহর ব্যবহার করেছে বাইজানটাইনরাও। তুরস্ক-গ্রিসের যুদ্ধের সময়ই এটা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। ১৯২৩ সালে গ্রিকরা শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পর এটা মোটামুটি পরিত্যক্ত হয়। ১৯৬৩ সালে তুরস্কের এক লোক বাড়ি মেরামত করার সময় অজান্তেই ডেরিনকুয়ু শহরের একটি গুহায় পড়ে যান। এই দুর্ঘটনার পর, প্রত্নতাত্ত্বিকরা শহরের খোঁজ শুরু করেন এবং আবিষ্কার হয় প্রায় ১৮ তলাবিশিষ্ট, গোলকধাঁধা আকৃতির এ শহর। প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেখানে প্রার্থনালয়, আস্তাবল, তেলের ঘাঁনি, গুদামঘরসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার খোঁজ পান। শহরের দ্বিতীয় তলাতে বিশেষ সমাধির সন্ধানও মেলে। এগুলো ধর্মীয় কাজকর্ম এবং মৃতদের সমাহিত করার কাজে ব্যবহৃত হত।
বহুদিন পর্যন্ত ডেরিনকুয়ু ছিল ইতিহাসের আড়ালে। অবশেষে ১৯৬৩ সালের সেই ঘটনাটি শহরটিকে আবার আলোচনায় আনে। এরপর প্রত্নতত্ত্ববিদরা সেখানে খনন কাজ শুরু করেন এবং আবিষ্কার করেন একের পর এক চমকপ্রদ ধাপ। জানা যায়, পুরো শহরটি ১৮ তলার মতো গভীর এবং এর গঠন অনেকটা গোলকধাঁধার মতো। এতে কেউ একবার ঢুকলে বের হওয়া বেশ কষ্টসাধ্য—যদি না পথ চিনে আসা যায়!
১৯৬৯ সালে ডেরিনকুয়ু সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আজ এটি তুরস্কের অন্যতম দর্শনীয় এবং রহস্যময় ঐতিহাসিক স্থান। হাজার হাজার পর্যটক প্রতি বছর এই পাতাল শহর দেখতে যান। যদিও শহরের কিছু অংশ এখনও বিপজ্জনক বলে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
ডেরিনকুয়ু যেন পৃথিবীর বুকে লুকিয়ে থাকা এক আশ্চর্য জগৎ, যেখানে প্রতিটি দেয়াল, প্রতিটি সুড়ঙ্গ ইতিহাসের নিঃশব্দ সাক্ষী।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম
ভাবুন তো, আপনি হঠাৎ নিজের বাড়ির মেঝে ভেঙে নিচে নেমে গেলেন আর দেখলেন একটা বিশাল শহর! শুনে সিনেমার গল্প মনে হলেও, এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৩ সালে তুরস্কে। বাড়ির সংস্কার করতে গিয়ে এক ব্যক্তি আচমকা একটা গোপন সুড়ঙ্গের খোঁজ পান। সেই সুড়ঙ্গের শেষ নেই! পরে জানা গেল, এটা কোনো ছোটখাটো গুহা নয়, বরং একটা আস্ত পাতাল শহর—ডেরিনকুয়ু।
ডেরিনকুয়ু শহরটি তুরস্কের কাপাদোকিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। হাজার হাজার বছর ধরে এই শহর লুকিয়ে ছিল মাটির গভীরে। ঐতিহাসিকদের ধারণা, প্রায় ৩,০০০ বছর আগে হিট্টাইট জাতিগোষ্ঠী এই শহরের গোড়াপত্তন করে। তারা তখন যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর বাইরের আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মাটির নিচে একটা নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিল। তখন তারা লক্ষ্য করল, পাহাড়ের নিচে এক ধরনের নরম শিলা রয়েছে, যেটা সহজে খনন করা যায়। এই শিলা ছিল বৃষ্টির পানি, বাতাসের আর্দ্রতা আর লাভার প্রভাবে তৈরি। সেই শিলাতেই তারা গড়ে তুলল এক বিশাল পাতাল শহর।
শহরটি গড়ে তোলা হয় প্রায় ২৫০ ফুট গভীরে, যেখানে একসাথে ২০,০০০ মানুষ থাকতে পারত! শুধু থাকার ব্যবস্থা নয়, এর মধ্যে ছিল চিমনি, গুদামঘর, প্রার্থনালয়, আস্তাবল, তেলের ঘাঁনি এমনকি একটা গোপন সমাধি পর্যন্ত। শহরের ভিতরে ছিল প্রায় ১,৫০০টিরও বেশি চিমনি, যেগুলো দিয়ে আলো এবং শুদ্ধ বাতাস ভিতরে প্রবাহিত হতো। বাইরের দুনিয়া থেকে শহরটিকে আলাদা করতে তৈরি হয়েছিল গোপন দরজা ও সুড়ঙ্গপথ, যা শত্রুরা খুঁজে পেতে পারত না।
তবে শুধু হিট্টাইটরা নয়, এই পাতাল শহর ব্যবহার করেছে বাইজানটাইনরাও। তুরস্ক-গ্রিসের যুদ্ধের সময়ই এটা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠে। ১৯২৩ সালে গ্রিকরা শহরটি ছেড়ে যাওয়ার পর এটা মোটামুটি পরিত্যক্ত হয়। ১৯৬৩ সালে তুরস্কের এক লোক বাড়ি মেরামত করার সময় অজান্তেই ডেরিনকুয়ু শহরের একটি গুহায় পড়ে যান। এই দুর্ঘটনার পর, প্রত্নতাত্ত্বিকরা শহরের খোঁজ শুরু করেন এবং আবিষ্কার হয় প্রায় ১৮ তলাবিশিষ্ট, গোলকধাঁধা আকৃতির এ শহর। প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেখানে প্রার্থনালয়, আস্তাবল, তেলের ঘাঁনি, গুদামঘরসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার খোঁজ পান। শহরের দ্বিতীয় তলাতে বিশেষ সমাধির সন্ধানও মেলে। এগুলো ধর্মীয় কাজকর্ম এবং মৃতদের সমাহিত করার কাজে ব্যবহৃত হত।
বহুদিন পর্যন্ত ডেরিনকুয়ু ছিল ইতিহাসের আড়ালে। অবশেষে ১৯৬৩ সালের সেই ঘটনাটি শহরটিকে আবার আলোচনায় আনে। এরপর প্রত্নতত্ত্ববিদরা সেখানে খনন কাজ শুরু করেন এবং আবিষ্কার করেন একের পর এক চমকপ্রদ ধাপ। জানা যায়, পুরো শহরটি ১৮ তলার মতো গভীর এবং এর গঠন অনেকটা গোলকধাঁধার মতো। এতে কেউ একবার ঢুকলে বের হওয়া বেশ কষ্টসাধ্য—যদি না পথ চিনে আসা যায়!
১৯৬৯ সালে ডেরিনকুয়ু সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আজ এটি তুরস্কের অন্যতম দর্শনীয় এবং রহস্যময় ঐতিহাসিক স্থান। হাজার হাজার পর্যটক প্রতি বছর এই পাতাল শহর দেখতে যান। যদিও শহরের কিছু অংশ এখনও বিপজ্জনক বলে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
ডেরিনকুয়ু যেন পৃথিবীর বুকে লুকিয়ে থাকা এক আশ্চর্য জগৎ, যেখানে প্রতিটি দেয়াল, প্রতিটি সুড়ঙ্গ ইতিহাসের নিঃশব্দ সাক্ষী।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম
আবহাওয়াবিদদের ভাষায় নিম্নচাপ হলো একটি এমন আবহাওয়াগত পরিস্থিতি যেখানে বাতাসের চাপ চারপাশের তুলনায় কম হয়ে যায়। সাধারণত পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বাতাস সবসময় উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়।
৮ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
১ দিন আগেসকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকেই অভ্যাস বশে এক গ্লাস লেবু পানি খান। বিজ্ঞাপন আর স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিনে এমন ধারণা ছড়িয়ে গেছে যে খালি পেটে লেবু খেলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায়, ওজন কমে, আবার হজমশক্তিও নাকি বাড়ে। কিন্তু আসলেই কি খালি পেটে লেবু খাওয়া এতটা উপকারী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, লেবুর কিছু ভালো দিক
১ দিন আগে