অরুণ কুমার
পরমাণু—এই শব্দ শুনলেই আমাদের চোখে এক ছোট স্থির অবয়ব ভেসে ওঠে, তবে সেই ছোট্ট কণার ভেতর লুকিয়ে আছে মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও বিবর্তনের গল্প। ‘অ্যাটমস কোথা থেকে আসে?’—এই প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ব্রহ্মাণ্ডে শুরুর ক্ষণে। তখন সবকিছু শুরু হয়েছিল বিগ-ব্যাংয়ে উত্তাপ ও ঝঞ্ঝার মধ্যে।
বিগ-ব্যাং-এর ঠিক পরের মুহূর্তগুলো ছিল পরমাণুর জন্মের মঞ্চ। প্রচণ্ড উত্তাপ আর ঘনীভূত পদার্থে ভরা সেই পরিবেশে কোয়ার্ক থেকে প্রোটন, নিউট্রন গড়ে ওঠে। কয়েক মিনিটের মধ্যে এই অংশিকণাগুলো মিলেমিশে হেলিয়াম, লিথিয়াম, ডিউটেরিয়াম—যেমন কিছু প্রাথমিক মৌলিক উপাদান তৈরি হয়; এই প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানীরা ‘বিগ-ব্যাং নিউক্লিওসিন্থেসিস’ নামেও ডাকে।
কিন্তু বিগ-ব্যাং শুধুমাত্র হাইড্রোজেন আর হেলিয়ামের জন্ম ঘটায়—গুরুত্বপূর্ণ ভারী মৌলগুলো তৈরি হয় পরবর্তী পর্যায়ে। নক্ষত্রগুলোর জন্মের সময়। নক্ষত্রগুলোতে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম ফিউশনের ঘটে। তৈরি হয় আরও ভারী মৌল, যেমন—কার্বন, আয়রন ইত্যাদি। তারপর তারাদের মৃত্যুর আগে হঠাৎ সুপারনোভা বিস্ফোরণ হয়। ফলে সেখান থেকে মৌলগুলো মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া রেপিড নিউট্রন ক্যাপচার বা ‘r-প্রক্রিয়ায়’ আর ভারী মৌল যেমন ইউরেনিয়াম তৈরি হয়। বিশেষ করে নিউট্রন-স্টার সংযোগ বা খুব শক্তিশালী বিস্ফোরণে।
পরমাণুর গঠনও যে শুধুমাত্র প্রোটন-নিউট্রন-ইলেকট্রোঁনের সমন্বয়— তা নয়। প্রোটন ও নিউট্রনকে গঠন করে আরও ক্ষুদ্র কণিকা, কোয়ার্ক— এবং সেই কোয়ার্কও আসে “ফ্লেভার” রূপে: আপ, ডাউন, শার্ম, স্ট্রেঞ্জ, টপ, বটম।
আরেক দিক থেকে—এই ছোট্ট পরমাণুর নক্ষত্রবিজ্ঞান— তার নিউক্লিয়াসে যে দৃশ্য, তা আদতে গোল—and না। ১৯৫০-এর দশকে গবেষণা থেকে দেখা যায়, বহুসময় নিউক্লিয়াস ‘প্রোলেট ডিফর্মড’ অর্থাৎ আমেরিকান ফুটবল আকৃতির হয়; গোলাকার নাও থাকে।
সত্যি কথা হলো, আমাদের দেহ, পৃথিবী, আর নক্ষত্র—তিনই তৈরি পরমাণুর নানা যুগ ও উৎসের ফল। আপনাদের শরীরে থাকা পরমাণুর একাংশ হয়তো ইদানীং গবেষণা অনুযায়ী আকাশগঙ্গা ছেড়ে অন্য গ্যাল্যাক্সির মধ্য দিয়ে এক ধরনের ‘কসমিক কনভেয়র বেল্টে’ দিয়ে ফিরে এসেছে।
সারসংক্ষেপে বললে—পরমাণুর গল্প শুরু হয় বিগ-ব্যাং-এর কোয়ার্ক-প্লাজমার সময়, গঠিত হয় হাইড্রোজেন-হেলিয়ামের প্রথম মৌলিক কণারূপে। পরবর্তীতে তারাগুলোতে তৈরি হয় আরও ভারী উপাদান। শেষে এই পরমাণুরাই—আপনি, আমি, আর সমগ্র প্রকৃতি গঠন করি। একদিকে এত ক্ষুদ্র, অন্যদিকে এত বিশাল—বিশ্ব এত সহজ, তবুও এত গভীর।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
পরমাণু—এই শব্দ শুনলেই আমাদের চোখে এক ছোট স্থির অবয়ব ভেসে ওঠে, তবে সেই ছোট্ট কণার ভেতর লুকিয়ে আছে মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও বিবর্তনের গল্প। ‘অ্যাটমস কোথা থেকে আসে?’—এই প্রশ্নের উত্তর জানতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে ব্রহ্মাণ্ডে শুরুর ক্ষণে। তখন সবকিছু শুরু হয়েছিল বিগ-ব্যাংয়ে উত্তাপ ও ঝঞ্ঝার মধ্যে।
বিগ-ব্যাং-এর ঠিক পরের মুহূর্তগুলো ছিল পরমাণুর জন্মের মঞ্চ। প্রচণ্ড উত্তাপ আর ঘনীভূত পদার্থে ভরা সেই পরিবেশে কোয়ার্ক থেকে প্রোটন, নিউট্রন গড়ে ওঠে। কয়েক মিনিটের মধ্যে এই অংশিকণাগুলো মিলেমিশে হেলিয়াম, লিথিয়াম, ডিউটেরিয়াম—যেমন কিছু প্রাথমিক মৌলিক উপাদান তৈরি হয়; এই প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানীরা ‘বিগ-ব্যাং নিউক্লিওসিন্থেসিস’ নামেও ডাকে।
কিন্তু বিগ-ব্যাং শুধুমাত্র হাইড্রোজেন আর হেলিয়ামের জন্ম ঘটায়—গুরুত্বপূর্ণ ভারী মৌলগুলো তৈরি হয় পরবর্তী পর্যায়ে। নক্ষত্রগুলোর জন্মের সময়। নক্ষত্রগুলোতে হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম ফিউশনের ঘটে। তৈরি হয় আরও ভারী মৌল, যেমন—কার্বন, আয়রন ইত্যাদি। তারপর তারাদের মৃত্যুর আগে হঠাৎ সুপারনোভা বিস্ফোরণ হয়। ফলে সেখান থেকে মৌলগুলো মহাশূন্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাছাড়া রেপিড নিউট্রন ক্যাপচার বা ‘r-প্রক্রিয়ায়’ আর ভারী মৌল যেমন ইউরেনিয়াম তৈরি হয়। বিশেষ করে নিউট্রন-স্টার সংযোগ বা খুব শক্তিশালী বিস্ফোরণে।
পরমাণুর গঠনও যে শুধুমাত্র প্রোটন-নিউট্রন-ইলেকট্রোঁনের সমন্বয়— তা নয়। প্রোটন ও নিউট্রনকে গঠন করে আরও ক্ষুদ্র কণিকা, কোয়ার্ক— এবং সেই কোয়ার্কও আসে “ফ্লেভার” রূপে: আপ, ডাউন, শার্ম, স্ট্রেঞ্জ, টপ, বটম।
আরেক দিক থেকে—এই ছোট্ট পরমাণুর নক্ষত্রবিজ্ঞান— তার নিউক্লিয়াসে যে দৃশ্য, তা আদতে গোল—and না। ১৯৫০-এর দশকে গবেষণা থেকে দেখা যায়, বহুসময় নিউক্লিয়াস ‘প্রোলেট ডিফর্মড’ অর্থাৎ আমেরিকান ফুটবল আকৃতির হয়; গোলাকার নাও থাকে।
সত্যি কথা হলো, আমাদের দেহ, পৃথিবী, আর নক্ষত্র—তিনই তৈরি পরমাণুর নানা যুগ ও উৎসের ফল। আপনাদের শরীরে থাকা পরমাণুর একাংশ হয়তো ইদানীং গবেষণা অনুযায়ী আকাশগঙ্গা ছেড়ে অন্য গ্যাল্যাক্সির মধ্য দিয়ে এক ধরনের ‘কসমিক কনভেয়র বেল্টে’ দিয়ে ফিরে এসেছে।
সারসংক্ষেপে বললে—পরমাণুর গল্প শুরু হয় বিগ-ব্যাং-এর কোয়ার্ক-প্লাজমার সময়, গঠিত হয় হাইড্রোজেন-হেলিয়ামের প্রথম মৌলিক কণারূপে। পরবর্তীতে তারাগুলোতে তৈরি হয় আরও ভারী উপাদান। শেষে এই পরমাণুরাই—আপনি, আমি, আর সমগ্র প্রকৃতি গঠন করি। একদিকে এত ক্ষুদ্র, অন্যদিকে এত বিশাল—বিশ্ব এত সহজ, তবুও এত গভীর।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
কক্সবাজার সফরে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। পরে রাতে তাকে একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) এই উপদেষ্টার অ্যাপেনডিক্সের অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা।
১ দিন আগেএক গ্লাস হালকা গরম পানি খেলে বদহজমের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। পানি খাবার হজমে সাহায্য করে এবং পেটের ভেতরে জমে থাকা অতিরিক্ত এসিডকে পাতলা করে দেয়।
১ দিন আগেসাপের মেরুদণ্ডে অসংখ্য হাড় আর পেশী আছে। এই হাড় ও পেশীর সাহায্যে তারা শরীর বাঁকায়, সঙ্কুচিত করে আবার প্রসারিত করে। একেকটা অংশ মাটিতে ধাক্কা দেয়, আর নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী মাটিও পাল্টা চাপ দিয়ে সাপকে সামনে এগিয়ে দেয়।
২ দিন আগে