অরুণ কুমার
মেঘ না চাইতেই জলে এসে বাড়তি আনন্দ তো হবেই। এতে আবিষ্কার নিজে চমকে চান, পৃথিবীও অশেষ উপকৃত হয়। কাকতালীয় আবিষ্কারের ঘটনা বিজ্ঞানের ইতিহাসে কম নয়। এ ধরনের আবিষ্কার খোদ বিজ্ঞানীদেরই চমকে দেয়। ঘুরিয়ে দেয় নিত্যদিনের জীবনযাত্রার মোড়। মাইক্রোওয়েভ ওভেন, যা আবিষ্কার হয়েছিল স্রেফ একটা কাকাতালীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে, তা আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা বড় অনসঙ্গে পরিণত হয়েছে।
ধরা যাক, ওভেনের কথা। রান্নার জন্য একটা বৈদ্যুতিক এবং নিরাপদ পাত্র চাই—এভাবে ভেবে কিন্তু স্পেনসার ওভেন আবিষ্কার করেননি। এই আবিষ্কারটা হয়েছিল কাকতালীয়ভাবে। তিনি আসলে কাজ করছিলেন রাডার নিয়ে। মূল গল্পটা একটু শুনে ফেলতে পারি।
তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। সেই সঙ্গে চলছে বিমান হামলার প্রতিযোগিতা। বিমানের সাহায্যে সহজেই শত্রু দেশে হামলা চালিয়ে দ্রুত ফিরে আসা যায়। কিন্তু শত্রুও তো বসে থাকবে না। হামলা ঠেকানোর উপায় নিশ্চয়ই বের করতে হবে। আর উপায় হিসেবে আগেই এসেছে রাডার নামের একটা যন্ত্র, যার সাহায্যে বহদূর থেকেই বিমাণের গতিবিধি শনাক্ত করা সম্ভব। আর আগেভাগে যদি শনাক্ত করা যায়। খুব সহজেই পাল্টা হামলা চালিয়ে শত্রু বিমানকে ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব।
কিন্তু প্রতিটা প্রযুক্তিরই পাল্টা প্রযুক্তি চলে আসে। সুতরাং এক সময় রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে এমন বিমান বাজারে আসে। এ নিয়েই চিন্তিত হয়ে পড়েন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার মিত্র শক্তি। তখন একধনের টিউব তৈরি করেছিলেন গবেষকেরা। সেটার নাম ম্যাগনোট্রন। বিশেষ এই টিউটব মাইক্রোওয়েভ বিদ্যুৎচুম্বকীয় তরঙ্গ তৈরি করতে পারত। সুতরাং গবেষকেরা রাডারে এই বিশেষ ম্যাগনোট্রন বসাতে শুরু করলেন। এর সাহয্যে সহজেই শত্রু বিমান শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল।
ব্রিটিশ টেকনিশিয়ান লিব্যারন স্পেনসার ১৯ বছর বয়সে ব্রিটিশ নেভিতে যোগ দেন। তবে সাধারণ সৈনিক হিসেবে নয়, তাঁর উৎসাহ ছিল বেতার যোগাযোগে। ধীরে ধীরে তিনি পরিণত হন রাডার বিশেষজ্ঞে। যুদ্ধ চলাকালে একদিন রাডারে ম্যাগনোট্রন সংযুক্ত করছিলেন। এজন্য ম্যাগনোট্রনের খুব কাছে চলে আসেন। তখন তাঁর পকেটে ছিল একটা ক্যান্ডিবার। স্পেনসার লক্ষ্য করেন পকেটের ভেতর সেই ক্যান্ডিবারটি গলে গেছে।
কেন এমন হলো?
ভাবতে লাগলেন স্পেনসার। মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গের শক্তি সম্পর্কে তাঁর অজানা ছিল না। ধারণা করলেন, ম্যাগনোট্রনের মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গের কারণেই বোধহয় এমনটা হয়েছে। সুতরাং ব্যাপারটা আরও ভালোভাবে পরীক্ষা করার কথা ভাবেন তিনি।
হাতের কাছে ছিল কিছু ভুট্টার দানা। সেগুলো ম্যাগনোট্রনের খুব কাছে রেখে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ভুট্টা দানা গরম হয়ে ফেটে যায়, পরিণত হয় পপকর্নে।
ব্যাপারটা দেখে বেশ মজা পান স্পেনসার। এবার তিনি ডিম সেদ্ধ করার কথা ভাবেন। এজন্য একটা কেটলিতে ডিম রাখেন। কিন্তু কেটলির দেয়াল যদি ভেদ করে ঢুকতে না পারে মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ?
তাই কেটলিতে একটা বড়সড় ফুঁটো করেন। তারপর ডিমসহ কেতলিটা রাখেন চলন্ত ম্যাগনেট্রনের পাশে। শিগগির খেয়াল করেন কেটলির পানি গরম হয়ে গেছে, আর ডিমও সেদ্ধ হচ্ছে নিশ্চয়ই। সেটা এতটাই সেদ্ধ হয়, দুম করে বিস্ফোরিত ছড়িয়ে পড়ে চার পাশে। স্পেনসারের এক সহকর্মীও সামান্য আহত হন।
স্পেনসার পুরো ব্যাপারটা নিয়ে ভাবেন। বুঝতে পারেন আগামীতে রান্নার জগতে বিপ্লব ঘটানোর মতো একটা যন্ত্র তৈরির আইডিয়া তিনি পেয়ে গেছেন। তবে অবশ্যই সাবধানতা ও নিরাপত্তার ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে।
পরে একটা একটা ধাতব বাক্সের ভেতর ম্যাগনোট্রন বসিয়ে তৈরি করে ফেলেন পৃথিবীর প্রথম মাইক্রোওয়েভ ওভেন। ধাতব বাক্স দেওয়ার কারণ, মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ এই বাক্সের দেওয়াল ভেদ করতে পারে না। সুতরাং নিরাপত্তার ব্যাপারটাও নিশ্চিত হয়ে যায়।
সূত্র: ব্রিটানিকা
মেঘ না চাইতেই জলে এসে বাড়তি আনন্দ তো হবেই। এতে আবিষ্কার নিজে চমকে চান, পৃথিবীও অশেষ উপকৃত হয়। কাকতালীয় আবিষ্কারের ঘটনা বিজ্ঞানের ইতিহাসে কম নয়। এ ধরনের আবিষ্কার খোদ বিজ্ঞানীদেরই চমকে দেয়। ঘুরিয়ে দেয় নিত্যদিনের জীবনযাত্রার মোড়। মাইক্রোওয়েভ ওভেন, যা আবিষ্কার হয়েছিল স্রেফ একটা কাকাতালীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে, তা আজ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা বড় অনসঙ্গে পরিণত হয়েছে।
ধরা যাক, ওভেনের কথা। রান্নার জন্য একটা বৈদ্যুতিক এবং নিরাপদ পাত্র চাই—এভাবে ভেবে কিন্তু স্পেনসার ওভেন আবিষ্কার করেননি। এই আবিষ্কারটা হয়েছিল কাকতালীয়ভাবে। তিনি আসলে কাজ করছিলেন রাডার নিয়ে। মূল গল্পটা একটু শুনে ফেলতে পারি।
তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। সেই সঙ্গে চলছে বিমান হামলার প্রতিযোগিতা। বিমানের সাহায্যে সহজেই শত্রু দেশে হামলা চালিয়ে দ্রুত ফিরে আসা যায়। কিন্তু শত্রুও তো বসে থাকবে না। হামলা ঠেকানোর উপায় নিশ্চয়ই বের করতে হবে। আর উপায় হিসেবে আগেই এসেছে রাডার নামের একটা যন্ত্র, যার সাহায্যে বহদূর থেকেই বিমাণের গতিবিধি শনাক্ত করা সম্ভব। আর আগেভাগে যদি শনাক্ত করা যায়। খুব সহজেই পাল্টা হামলা চালিয়ে শত্রু বিমানকে ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব।
কিন্তু প্রতিটা প্রযুক্তিরই পাল্টা প্রযুক্তি চলে আসে। সুতরাং এক সময় রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে এমন বিমান বাজারে আসে। এ নিয়েই চিন্তিত হয়ে পড়েন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার মিত্র শক্তি। তখন একধনের টিউব তৈরি করেছিলেন গবেষকেরা। সেটার নাম ম্যাগনোট্রন। বিশেষ এই টিউটব মাইক্রোওয়েভ বিদ্যুৎচুম্বকীয় তরঙ্গ তৈরি করতে পারত। সুতরাং গবেষকেরা রাডারে এই বিশেষ ম্যাগনোট্রন বসাতে শুরু করলেন। এর সাহয্যে সহজেই শত্রু বিমান শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল।
ব্রিটিশ টেকনিশিয়ান লিব্যারন স্পেনসার ১৯ বছর বয়সে ব্রিটিশ নেভিতে যোগ দেন। তবে সাধারণ সৈনিক হিসেবে নয়, তাঁর উৎসাহ ছিল বেতার যোগাযোগে। ধীরে ধীরে তিনি পরিণত হন রাডার বিশেষজ্ঞে। যুদ্ধ চলাকালে একদিন রাডারে ম্যাগনোট্রন সংযুক্ত করছিলেন। এজন্য ম্যাগনোট্রনের খুব কাছে চলে আসেন। তখন তাঁর পকেটে ছিল একটা ক্যান্ডিবার। স্পেনসার লক্ষ্য করেন পকেটের ভেতর সেই ক্যান্ডিবারটি গলে গেছে।
কেন এমন হলো?
ভাবতে লাগলেন স্পেনসার। মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গের শক্তি সম্পর্কে তাঁর অজানা ছিল না। ধারণা করলেন, ম্যাগনোট্রনের মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গের কারণেই বোধহয় এমনটা হয়েছে। সুতরাং ব্যাপারটা আরও ভালোভাবে পরীক্ষা করার কথা ভাবেন তিনি।
হাতের কাছে ছিল কিছু ভুট্টার দানা। সেগুলো ম্যাগনোট্রনের খুব কাছে রেখে দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই ভুট্টা দানা গরম হয়ে ফেটে যায়, পরিণত হয় পপকর্নে।
ব্যাপারটা দেখে বেশ মজা পান স্পেনসার। এবার তিনি ডিম সেদ্ধ করার কথা ভাবেন। এজন্য একটা কেটলিতে ডিম রাখেন। কিন্তু কেটলির দেয়াল যদি ভেদ করে ঢুকতে না পারে মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ?
তাই কেটলিতে একটা বড়সড় ফুঁটো করেন। তারপর ডিমসহ কেতলিটা রাখেন চলন্ত ম্যাগনেট্রনের পাশে। শিগগির খেয়াল করেন কেটলির পানি গরম হয়ে গেছে, আর ডিমও সেদ্ধ হচ্ছে নিশ্চয়ই। সেটা এতটাই সেদ্ধ হয়, দুম করে বিস্ফোরিত ছড়িয়ে পড়ে চার পাশে। স্পেনসারের এক সহকর্মীও সামান্য আহত হন।
স্পেনসার পুরো ব্যাপারটা নিয়ে ভাবেন। বুঝতে পারেন আগামীতে রান্নার জগতে বিপ্লব ঘটানোর মতো একটা যন্ত্র তৈরির আইডিয়া তিনি পেয়ে গেছেন। তবে অবশ্যই সাবধানতা ও নিরাপত্তার ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে হবে।
পরে একটা একটা ধাতব বাক্সের ভেতর ম্যাগনোট্রন বসিয়ে তৈরি করে ফেলেন পৃথিবীর প্রথম মাইক্রোওয়েভ ওভেন। ধাতব বাক্স দেওয়ার কারণ, মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ এই বাক্সের দেওয়াল ভেদ করতে পারে না। সুতরাং নিরাপত্তার ব্যাপারটাও নিশ্চিত হয়ে যায়।
সূত্র: ব্রিটানিকা
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
২ দিন আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
৩ দিন আগেঅচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
৩ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
৩ দিন আগে