বিজ্ঞান

মরিয়াই প্রমাণ করিলেন, তাঁর অনুমান ঠিক রবীন্দ্রনাথ গানের কথায় লিখেছিলেন, আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান।

অরুণ কুমার
স্টাবিন ফার্থ

মরিয়াই প্রমাণ করিলেন, তাঁর অনুমান ঠিক

রবীন্দ্রনাথ গানের কথায় লিখেছিলেন, আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান। আক্ষরিক অর্থেই কবিগুরু বিষপান করেননি। কিন্তু খ্যাপাটে বিজ্ঞানীদের মাথায় একবার রোখ চেপে গেলে, তাঁদের রোখে কে? জেনেশুনে বিষ করেছি পান। আক্ষরিক অর্থেই কবিগুরু বিষপান করেননি। কিন্তু খ্যাপাটে বিজ্ঞানীদের মাথায় একবার রোখ চেপে গেলে, তাঁদের রোখে কে?

ইয়োলো ফিভার বা পীতজ্বরে ঊনবিংশ শতাব্দীতে কাতারে কাতারে মানুষ মরছিল। আফ্রিকা আর দক্ষিণ আফ্রিকার মতো জঙ্গলময় অঞ্চলে। অসহায় মানুষগুলোকে বাঁচাবার জন্য কার্যকরী কোনো ওষুধ ছিল না চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের হাতে। নতুন কোনো ওষুধ আবিষ্কার করতে হলে জানতে হবে রোগের কারণ। জানতে হবে রোগটা সংক্রামক কিনা! এর জন্য দরকার মাঠপর্যায়ে পর্যবেক্ষণ।

কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধবে কে? কে করবে অনুসন্ধান?

এগিয়ে এলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল শিক্ষার্থী স্টাবিন্স ফার্থ। গিনিপিগ বা ইঁদুর নয়, তিনি নিজেই গিনিপিগের ভুমিকায় নামলে। পীতজ্বরে আক্রান্ত রোগীদের শরীর থেকে সংগ্রহ করলেন নমুনা। তারপর নিজের শরীরে ক্ষত তৈরি করলেন। সেই সব ক্ষতে মাখিয়ে দিলেন রোগের নমুনা। নমুনার মধ্যে ছিল রোগির সর্দি, মল-মূত্র, বমি, রক্ত ইত্যাদি।

কোনো লাভ হলো না। আক্রান্ত হলেন না ফার্থ। বাধ্য তখন নমুনা শুঁকে কিংবা সেগুলো পুড়িয়ে ধোঁয়া গ্রহণ করলে নিস্বাসের সঙ্গে। ফল অপরিপবর্তিত। শেষমেষ ফার্থ ঘোষণা করলেন, পীতজ্বর সংক্রামক রোগ নয়।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও ফার্থের এই অনুসন্ধান ভুল ছিল। মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না বটে, তবুও এটা সংক্রামক।

১৮৯০ সালে আরেকজন বিজ্ঞানী মাঠে নেমে পড়লেন। জেসি লাজিয়ার। মার্কিন এই চিকিৎসাবিজ্ঞানীর সন্দেহ হয়, এই রোগের জন্য মশা দায়ী। নিজের অনুমাণ প্রমাণের জন্য তিনি চলে যান কিউবায়। দক্ষিণ আমারিকার এই দেশটিতে মশার অভাব নেই। পীতজ্ব্ররে আক্রান্ত হয়ে সেদেশের বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। সুতরাং সেখানে গিয়ে তিনি মশার কামড় খেলেন। এবং কিছুদিনের মধ্যেই আক্রান্ত হলেন পীতজ্বরে।

প্রমাণ হলো পীতজ্বর মশাবাহিত সংক্রামক রোগ। এই আবিষ্কারের কারণে দ্রুতই পীতজ্বরের চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হলো। কিন্তু তার আগে ১৯০০ সালের ২৫ সেপ্টম্বর তিনি মারা যান লাজিয়ার। সেধে মশার কামড় খেয়ে আক্রান্ত হওয়া পীতজ্বরের কারণে।

সূত্র: ব্রিটানিকা

ad
ad

ফিচার থেকে আরও পড়ুন

চুলের যত্নে কোন তেল উপকারী?

বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ

১ দিন আগে

দৈইখাওয়া গ্রামের হট্টিটি

লাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।

২ দিন আগে

মারা গেছেন ‘থ্রি ইডিয়েটস’ সিনেমার অধ্যাপক

অচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ

২ দিন আগে

থাইরয়েড সমস্যায় কোন কোন ফল খাওয়া উচিত

থাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো

২ দিন আগে