ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আমরা রঙের দুনিয়ায় বাস করি। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ—এরকম হাজারো রঙ প্রতিদিন আমাদের চোখে পড়ে। কিন্তু কল্পনা করুন, এমন একটি রঙ, যা আপনি কখনোই দেখেননি! এমনকি কল্পনাও করতে পারবেন না।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ঠিক এমনই একটি নতুন রঙ আবিষ্কার করেছেন। এর নাম দিয়েছেন ‘ওলো’ (Ollo)। এই রঙের সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার হলো—এটা সাধারণভাবে দেখা যায় না। মানে, আপনি চোখ মেলে তাকালেই দেখতে পাবেন না। দেখতে হলে বিজ্ঞানীদের বিশেষ পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয়।
এই রঙ দেখা যায় কীভাবে?
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী বিশেষ এক ধরনের লেজার লাইট ব্যবহার করে এই রঙ দেখেছেন।
মানুষের চোখে যে রেটিনা আছে, সেখানে তিন ধরনের কোষ থাকে যেগুলো বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ধরতে পারে—লম্বা (লাল), মাঝারি (সবুজ) আর ছোট (নীল)। কিন্তু সমস্যাটা হলো, মাঝারি কোষ সহজে উদ্দীপিত হয় না, মানে সচরাচর আলো সেখানে পৌঁছায় না।
বিজ্ঞানীরা রেটিনা স্ক্যান করে ঠিক মাঝারি কোষ কোথায় আছে তা চিহ্নিত করেছেন। এরপর সেখানে বিশেষ লেজার আলোর ঝলক ফেলেই প্রথমবারের মতো ‘ওলো’ রঙটি দেখা সম্ভব হয়েছে।
'ওলো' আসলে কেমন রঙ?
এ প্রশ্নের জবাব দেওয়া আসলেই কঠিন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই রঙ আমাদের দেখা চেনা কোনো রঙের মতো নয়। এমনকি এটা এতটাই অচেনা যে, কোনো স্ক্রিনে, ছবিতে বা লেখায় তা বোঝানোই সম্ভব নয়।
বিজ্ঞানী অস্টিন রুর্দা বলেন, ‘আমরা যেসব রঙ দেখি, ওলো তার চেয়ে অনেক বেশি গভীর ও জটিল। ওলো রঙের পাশে আমাদের চেনা রঙগুলো যেন ফ্যাকাসে লাগে।’
এই রঙ কি আমরা ভবিষ্যতে দেখতে পারব?
এখনো না। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই রঙ কোনো স্মার্টফোন স্ক্রিন, টিভি বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটে দেখা যাবে না। কারণ, সেগুলো এমন আলো তৈরি করতে পারে না যা রেটিনার মাঝারি কোষকে সরাসরি উদ্দীপিত করতে পারে।
তবে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হয়তো একদিন আমরাও ‘ওলো’ দেখতে পারব—ঠিক যেমন একসময় কালার টিভি ছিল আশ্চর্য, আজ তা আমাদের ঘরে ঘরে।
রঙ মানে শুধু চোখের দেখা নয়, রঙ মানে অনুভবের নতুন মাত্রা।
‘ওলো’ আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে এক নতুন রঙের জগতে, যেখানে চোখে দেখা নয়, বরং বিজ্ঞানের সূক্ষ্ম প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুভব হয় অদেখা রঙের রূপ। হয়তো সামনে আরও এমন রঙ আসবে, যা বদলে দেবে আমাদের রঙ দেখা, ভাবা ও বোঝার উপায়।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
আমরা রঙের দুনিয়ায় বাস করি। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ—এরকম হাজারো রঙ প্রতিদিন আমাদের চোখে পড়ে। কিন্তু কল্পনা করুন, এমন একটি রঙ, যা আপনি কখনোই দেখেননি! এমনকি কল্পনাও করতে পারবেন না।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা ঠিক এমনই একটি নতুন রঙ আবিষ্কার করেছেন। এর নাম দিয়েছেন ‘ওলো’ (Ollo)। এই রঙের সবচেয়ে আশ্চর্য ব্যাপার হলো—এটা সাধারণভাবে দেখা যায় না। মানে, আপনি চোখ মেলে তাকালেই দেখতে পাবেন না। দেখতে হলে বিজ্ঞানীদের বিশেষ পদ্ধতির আশ্রয় নিতে হয়।
এই রঙ দেখা যায় কীভাবে?
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী বিশেষ এক ধরনের লেজার লাইট ব্যবহার করে এই রঙ দেখেছেন।
মানুষের চোখে যে রেটিনা আছে, সেখানে তিন ধরনের কোষ থাকে যেগুলো বিভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো ধরতে পারে—লম্বা (লাল), মাঝারি (সবুজ) আর ছোট (নীল)। কিন্তু সমস্যাটা হলো, মাঝারি কোষ সহজে উদ্দীপিত হয় না, মানে সচরাচর আলো সেখানে পৌঁছায় না।
বিজ্ঞানীরা রেটিনা স্ক্যান করে ঠিক মাঝারি কোষ কোথায় আছে তা চিহ্নিত করেছেন। এরপর সেখানে বিশেষ লেজার আলোর ঝলক ফেলেই প্রথমবারের মতো ‘ওলো’ রঙটি দেখা সম্ভব হয়েছে।
'ওলো' আসলে কেমন রঙ?
এ প্রশ্নের জবাব দেওয়া আসলেই কঠিন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই রঙ আমাদের দেখা চেনা কোনো রঙের মতো নয়। এমনকি এটা এতটাই অচেনা যে, কোনো স্ক্রিনে, ছবিতে বা লেখায় তা বোঝানোই সম্ভব নয়।
বিজ্ঞানী অস্টিন রুর্দা বলেন, ‘আমরা যেসব রঙ দেখি, ওলো তার চেয়ে অনেক বেশি গভীর ও জটিল। ওলো রঙের পাশে আমাদের চেনা রঙগুলো যেন ফ্যাকাসে লাগে।’
এই রঙ কি আমরা ভবিষ্যতে দেখতে পারব?
এখনো না। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই রঙ কোনো স্মার্টফোন স্ক্রিন, টিভি বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেটে দেখা যাবে না। কারণ, সেগুলো এমন আলো তৈরি করতে পারে না যা রেটিনার মাঝারি কোষকে সরাসরি উদ্দীপিত করতে পারে।
তবে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে হয়তো একদিন আমরাও ‘ওলো’ দেখতে পারব—ঠিক যেমন একসময় কালার টিভি ছিল আশ্চর্য, আজ তা আমাদের ঘরে ঘরে।
রঙ মানে শুধু চোখের দেখা নয়, রঙ মানে অনুভবের নতুন মাত্রা।
‘ওলো’ আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে এক নতুন রঙের জগতে, যেখানে চোখে দেখা নয়, বরং বিজ্ঞানের সূক্ষ্ম প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুভব হয় অদেখা রঙের রূপ। হয়তো সামনে আরও এমন রঙ আসবে, যা বদলে দেবে আমাদের রঙ দেখা, ভাবা ও বোঝার উপায়।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যেসব দেশে প্রধান খাদ্য চাল বা পরিশোধিত শস্য, সেখানে থায়ামিন ঘাটতির সমস্যা বেশি দেখা যায়।
১ দিন আগেইরানে ইসলামি বিপ্লব ঘটে এক দীর্ঘ সময়ের রাজনৈতিক চাপ, সামাজিক ক্ষোভ এবং ধর্মীয় পুনর্জাগরণের প্রেক্ষাপটে। ১৯৪১ সালে ইরানের সিংহাসনে বসেন মোহাম্মদ রেজা পাহলভি।
১ দিন আগেকোন জ্বরটা সামান্য আর কোনটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। শিশুর বয়স, জ্বরের তাপমাত্রা, এবং তার আচরণ—এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
২ দিন আগেবাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স কেবল প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার নাম নয়। এটি একটি রাষ্ট্রচিন্তার রূপান্তর, যেখানে সেবাপ্রাপ্তির ন্যায্যতা নিশ্চিত হয় ডিজিটাল মাধ্যমে। এ প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগে