ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রে একটা ত্রুটি ছিল। বড়সড় ত্রুটি। এই ত্রুটির কথা নিউটন জানতেন না। কারণ তিনি জানতেন না আলোর বেগ অসীম নয়। তিনি আক্ষেকিতার মূল নীতিগুলোই স্পষ্ট বুঝতে পারেননি, যেমনটা পেরেছিলেন আইনস্টাইন।
নিউটন জানতেন না, মহাকর্ষ বল তাৎক্ষণিক ক্রিয়া করে না। মহাকর্ষ শক্তিও এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে সময় লাগে। আইনস্টাইন ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলেন, তাই মহাকর্ষ সূত্র সংশোধন করেন তিনি।
পৃথিবী আর সূর্যের কথাই ধরা যাক। সূর্যের মহাকর্ষ টান আর পৃথিবীর রৈখিক বেগের পারস্পরিক ক্রিয়ার কারণেই পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব মোটামুটি ১৫ কোটি কিলোমিটার।
ধরা যাক, মহাকাশের আরেকটি বিরাট নক্ষত্র কক্ষচ্যুত হয়ে সূর্যের ওপর এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ল। তাল সামলাতে না পা পেরে সূর্য তার অবস্থান থেকে খানিকটা সরে গেল। ফলে পৃথিবীর সাথে তাঁর দূরত্বের হেরফের হলো। ফলে মহাকর্ষ বলের মানেরও পরির্তন ঘটবে।
কিন্তু পৃথিবী ঠিক কখন টের পাবে মহাকর্ষ বলের পরিবর্তন হয়েছে? তা কি সূর্যের অবস্থানচ্যূত হওয়ার সাথে সাথে? নাকি পরে? পরে হলে, সেটা কত পরে?
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র বলছে দূরত্বের হেরফের হলে বস্তুদ্বয়ের আকর্ষণ বলেরও হেরফের হবে। তাই সূর্যের অবস্থানচ্যূত হলে সাথেই সাথেই পৃথিবী তা টের পেয়ে যাওয়ার কথা। তাহলে ঘটনাটা কী দাঁড়াচ্ছে?
মহাকর্ষীয় আকর্ষণ কি দূরক্রিয়া? মানে কালক্ষেপণ না করেই কোনো বার্তা কোটি কোটি কিলোমিটার দূরে ছড়িয়ে দেয়া? তা কি সম্ভব?
এখানেই আসলে মূল সমস্যা। কিন্তু নিউটনের সময়ে এই ক্রটির কথা কেউ ভাবেনি।
পরে আইনস্টাইন এই সমস্যার সমাধান করেন। তার জেনালের থিওরি অব রিলেটিভিটি প্রকাশ করেন ১৯১৫ সালে। তখন থেকেই জানা যায়, মহাকর্ষ বল কোনো তাৎক্ষণিক ক্রিয়া নয়। এর আগে ১৯০৫ সালের তিনি বিশের আপেক্ষিকতা তত্ত্বে দেখেন মহাবিশ্বের কোনো কিছুই আলোর চেয়ে বেশি গতিতে চলে না। জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি অর্থাৎ সাধারণ আপেক্ষিবতা বলে মহাকর্ষ বল ক্রিয়া করে আলোর গতিতে।
অর্থাৎ সূর্যের স্থানচূত্য হলে পৃথিবী থেকে সেটা বুঝতে সময় লাগবে আট মিনিট ২০ সেকেন্ড। কারণ সূর্য থেকে পৃথিবীতে সময় লাগে আলো আসতে আট মিনিট ২০ সেকেন্ড। অর্থাৎ মহাকর্ষ বল দূরক্রিয়া বা তাৎক্ষণিক ক্রিয়া নয়।
সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রে একটা ত্রুটি ছিল। বড়সড় ত্রুটি। এই ত্রুটির কথা নিউটন জানতেন না। কারণ তিনি জানতেন না আলোর বেগ অসীম নয়। তিনি আক্ষেকিতার মূল নীতিগুলোই স্পষ্ট বুঝতে পারেননি, যেমনটা পেরেছিলেন আইনস্টাইন।
নিউটন জানতেন না, মহাকর্ষ বল তাৎক্ষণিক ক্রিয়া করে না। মহাকর্ষ শক্তিও এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে সময় লাগে। আইনস্টাইন ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিলেন, তাই মহাকর্ষ সূত্র সংশোধন করেন তিনি।
পৃথিবী আর সূর্যের কথাই ধরা যাক। সূর্যের মহাকর্ষ টান আর পৃথিবীর রৈখিক বেগের পারস্পরিক ক্রিয়ার কারণেই পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব মোটামুটি ১৫ কোটি কিলোমিটার।
ধরা যাক, মহাকাশের আরেকটি বিরাট নক্ষত্র কক্ষচ্যুত হয়ে সূর্যের ওপর এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ল। তাল সামলাতে না পা পেরে সূর্য তার অবস্থান থেকে খানিকটা সরে গেল। ফলে পৃথিবীর সাথে তাঁর দূরত্বের হেরফের হলো। ফলে মহাকর্ষ বলের মানেরও পরির্তন ঘটবে।
কিন্তু পৃথিবী ঠিক কখন টের পাবে মহাকর্ষ বলের পরিবর্তন হয়েছে? তা কি সূর্যের অবস্থানচ্যূত হওয়ার সাথে সাথে? নাকি পরে? পরে হলে, সেটা কত পরে?
নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র বলছে দূরত্বের হেরফের হলে বস্তুদ্বয়ের আকর্ষণ বলেরও হেরফের হবে। তাই সূর্যের অবস্থানচ্যূত হলে সাথেই সাথেই পৃথিবী তা টের পেয়ে যাওয়ার কথা। তাহলে ঘটনাটা কী দাঁড়াচ্ছে?
মহাকর্ষীয় আকর্ষণ কি দূরক্রিয়া? মানে কালক্ষেপণ না করেই কোনো বার্তা কোটি কোটি কিলোমিটার দূরে ছড়িয়ে দেয়া? তা কি সম্ভব?
এখানেই আসলে মূল সমস্যা। কিন্তু নিউটনের সময়ে এই ক্রটির কথা কেউ ভাবেনি।
পরে আইনস্টাইন এই সমস্যার সমাধান করেন। তার জেনালের থিওরি অব রিলেটিভিটি প্রকাশ করেন ১৯১৫ সালে। তখন থেকেই জানা যায়, মহাকর্ষ বল কোনো তাৎক্ষণিক ক্রিয়া নয়। এর আগে ১৯০৫ সালের তিনি বিশের আপেক্ষিকতা তত্ত্বে দেখেন মহাবিশ্বের কোনো কিছুই আলোর চেয়ে বেশি গতিতে চলে না। জেনারেল থিওরি অব রিলেটিভিটি অর্থাৎ সাধারণ আপেক্ষিবতা বলে মহাকর্ষ বল ক্রিয়া করে আলোর গতিতে।
অর্থাৎ সূর্যের স্থানচূত্য হলে পৃথিবী থেকে সেটা বুঝতে সময় লাগবে আট মিনিট ২০ সেকেন্ড। কারণ সূর্য থেকে পৃথিবীতে সময় লাগে আলো আসতে আট মিনিট ২০ সেকেন্ড। অর্থাৎ মহাকর্ষ বল দূরক্রিয়া বা তাৎক্ষণিক ক্রিয়া নয়।
সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
১ দিন আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
২ দিন আগেঅচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
২ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
২ দিন আগে