ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
১৯৪৬ সাল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহটন প্রজেক্টে কাজ করেন বিজ্ঞানী লুইস স্লটিন। ম্যানহটন প্রজেক্ট হলো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমা গবেষণাকেন্দ্র। এখান থেকে তৈরি বোমা দিয়েই আঘাত করা হয় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে।
স্লটিন খ্যাপাটে টাইপের লোক। পছন্দ করতেন তেজস্ক্রিয় পরমাণু নিয়ে খেলতে। পারমাণবিক বোমার অন্যতম উপাদান তেজস্ক্রিয় প্লুটোনিয়াম। কিন্তু প্লুটোনিয়াম যেখানে-সেখানে রাখলেই তা বিস্ফোরিত হবে না।
এর জন্য নির্দিষ্ট ভরের-যাকে বলে ক্রিটিক্যাল মাস? সেই পরিমাণ প্লটোনিয়াম একসঙ্গে রাখতে হয়। ম্যানহটনের কোনো জারেই ক্রিটিক্যাল ভরের সমান প্লুটোনিয়াম রাখা হয় না। ওই ক্রিটিক্যাল মাসের সমান প্লুটোনিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করে আলাদা জারে রাখা হয়। যাতে ওগুলো বিক্রিয়া করে অনাকাঙ্খিতভাবে তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণ ঘটাতে না পারে।
কিন্তু স্লটিনের ছিল বদখেয়াল। তিনি প্রতিদিন একবার করে প্লুটোনিয়াম নিয়ে খেলতেন। এক জারে রাখা প্লুটোনিয়াম ঢালতেন আরেক জারের প্লুটোনিয়ামের ভেতরে। এতে দুই জারের প্লুটোনিয়াম একসঙ্গে হয়ে ক্রিটিক্যাল ভরে পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু স্লটিন ছিলেন খুব সতর্ক।
একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনি জারের ভেতর একটা স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে খানিকটা প্লুটোনিয়াম আলাদা করে ফেলতেন। ক্রিটিক্যাল ভরে পৌঁছাতে পারত না প্লুটোনিয়াম। নিরাপদেই তাই খেলাটা দিনের পর দিন চালিয়ে গেছেন স্লটিন।
একদিন করুণ সমাপ্তি ঘটে সেই খেলার। সেদিন স্লটিন সময়মতো জারের ভেতর স্ক্রু ড্রাইভার ঢোকাতে পারেননি। তাতেই ক্রিটিক্যাল ভরে পৌঁছে শুরু হয় ভয়াবহ পারমাণবিক বিক্রিয়া। জারের ভেতর থেকে ঝলসে ওঠে নীল আলোর বিকিরণ। খুবই ভয়ংকর এর শক্তি। মুহূর্তেই আগুনের হলকায় ঝলসে গেলেন স্লটিন। ঝলসে গেলেন সেখানে উপস্থিত বেশ কজন বিজ্ঞানীও। অন্যদের অবস্থা অত মারাত্মক নয়। কিন্তু স্লটিন? দুর্ঘটনার পর দুদিন বেঁচে ছিলেন। না বাঁচলেই বরং ভালো হত স্লটিনের জন্য। শরীর ভেতর থেকে ঝলসে গিয়েছিল তাঁর। তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত মারা যান।
১৯৪৬ সাল। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহটন প্রজেক্টে কাজ করেন বিজ্ঞানী লুইস স্লটিন। ম্যানহটন প্রজেক্ট হলো যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমা গবেষণাকেন্দ্র। এখান থেকে তৈরি বোমা দিয়েই আঘাত করা হয় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে।
স্লটিন খ্যাপাটে টাইপের লোক। পছন্দ করতেন তেজস্ক্রিয় পরমাণু নিয়ে খেলতে। পারমাণবিক বোমার অন্যতম উপাদান তেজস্ক্রিয় প্লুটোনিয়াম। কিন্তু প্লুটোনিয়াম যেখানে-সেখানে রাখলেই তা বিস্ফোরিত হবে না।
এর জন্য নির্দিষ্ট ভরের-যাকে বলে ক্রিটিক্যাল মাস? সেই পরিমাণ প্লটোনিয়াম একসঙ্গে রাখতে হয়। ম্যানহটনের কোনো জারেই ক্রিটিক্যাল ভরের সমান প্লুটোনিয়াম রাখা হয় না। ওই ক্রিটিক্যাল মাসের সমান প্লুটোনিয়াকে দুটি ভাগে ভাগ করে আলাদা জারে রাখা হয়। যাতে ওগুলো বিক্রিয়া করে অনাকাঙ্খিতভাবে তেজস্ক্রিয় বিস্ফোরণ ঘটাতে না পারে।
কিন্তু স্লটিনের ছিল বদখেয়াল। তিনি প্রতিদিন একবার করে প্লুটোনিয়াম নিয়ে খেলতেন। এক জারে রাখা প্লুটোনিয়াম ঢালতেন আরেক জারের প্লুটোনিয়ামের ভেতরে। এতে দুই জারের প্লুটোনিয়াম একসঙ্গে হয়ে ক্রিটিক্যাল ভরে পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু স্লটিন ছিলেন খুব সতর্ক।
একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনি জারের ভেতর একটা স্ক্রু ড্রাইভার ঢুকিয়ে খানিকটা প্লুটোনিয়াম আলাদা করে ফেলতেন। ক্রিটিক্যাল ভরে পৌঁছাতে পারত না প্লুটোনিয়াম। নিরাপদেই তাই খেলাটা দিনের পর দিন চালিয়ে গেছেন স্লটিন।
একদিন করুণ সমাপ্তি ঘটে সেই খেলার। সেদিন স্লটিন সময়মতো জারের ভেতর স্ক্রু ড্রাইভার ঢোকাতে পারেননি। তাতেই ক্রিটিক্যাল ভরে পৌঁছে শুরু হয় ভয়াবহ পারমাণবিক বিক্রিয়া। জারের ভেতর থেকে ঝলসে ওঠে নীল আলোর বিকিরণ। খুবই ভয়ংকর এর শক্তি। মুহূর্তেই আগুনের হলকায় ঝলসে গেলেন স্লটিন। ঝলসে গেলেন সেখানে উপস্থিত বেশ কজন বিজ্ঞানীও। অন্যদের অবস্থা অত মারাত্মক নয়। কিন্তু স্লটিন? দুর্ঘটনার পর দুদিন বেঁচে ছিলেন। না বাঁচলেই বরং ভালো হত স্লটিনের জন্য। শরীর ভেতর থেকে ঝলসে গিয়েছিল তাঁর। তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত মারা যান।
কোন জ্বরটা সামান্য আর কোনটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। শিশুর বয়স, জ্বরের তাপমাত্রা, এবং তার আচরণ—এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
২ দিন আগেবাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স কেবল প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনার নাম নয়। এটি একটি রাষ্ট্রচিন্তার রূপান্তর, যেখানে সেবাপ্রাপ্তির ন্যায্যতা নিশ্চিত হয় ডিজিটাল মাধ্যমে। এ প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধী এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
২ দিন আগেইসবগুলের আরেকটি উল্লেখযোগ্য গুণ হলো, এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করে। অন্ত্রে যে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া থাকে, তাদের পুষ্টি জোগাতে সহায়তা করে ইসবগুলের আঁশ। ফলে অন্ত্রের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
২ দিন আগে