ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ফারিহা রহমানের জামা-কাপড়ের একটি দোকান দেওয়ার খুব শখ। বত্রিশ বছর বয়সী এই এই গৃহিনী নিজের জমানো টাকা থেকে একটি দোকান এক বছরের জন্যও ভাড়াও নিয়েছেন।
তার দিন শুরু হয় নানান রঙের কাপড়ের বিন্যাসে। সংসারের কাজ শেষ করে ল্যাপটপ খোলেন তিনি। তার চোখে ভাসে একটা আধুনিক কাপড়ের দোকানের ছবি, যেখানে তার বাছা পোশাকগুলো কাস্টমারদের টানবে। মনে মনে ভাবেন, দ্রুতই ব্যবসা শুরু করতে হবে। কেননা, যত দিন যাচ্ছে দোকান ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
কিন্তু ব্যবসা শুরু করার আগে দরকার ব্যবসার লাইসেন্স। ‘এটা পেতে না জানি কত ঝামেলা হবে’ ফারিহার মনে হয়। তবে তার আরেক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলার পর কিছুটা ভরসা পেল ফারিহা। জানলো- লাইসেন্সের কাজ সবকিছু এখন অনলাইনেই হয় নাকি! নেট ঘেঁটে ওয়েবসাইটের ঠিকানা বের করলো ফারিহা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ই লাইসেন্সিংয়ের জন্য https://www.etradelicense.gov.bd পোর্টালটি চলে। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা আর ইউনিয়ন পরিষদের জন্য একই প্ল্যাটফর্ম। নিজের ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) আর মোবাইল নম্বর দিয়ে চট করে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন ফারিহা। এরপর ফর্ম ভরার পালা। তার পছন্দের দোকানের নাম দেন ‘ফারিহাস ড্রিম’, ঠিকানা লেখেন দোকানের, আর ব্যবসার ধরনে লেখেন ‘কাপড়ের দোকান ও বস্ত্র সামগ্রী’। তারপর দেখে নেন কী কী কাগজপত্র লাগবে। ওয়েবসাইটের একদম ক্লিয়ার নির্দেশনায় ফি কত, কী কী কাগজ লাগবে আর পুরো কাজটা কতদিনে শেষ হবে—সব তথ্য হাতের কাছেই পাওয়া যায়। একাউন্ট থেকে বেরিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির জন্য আরেকদিন সময় নেন।
পরদিন আবার সেগুলো আপলোডের জন্য রেডি হন ফারিহা। তার প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্র-এর কপি, একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, দোকানের ভাড়ার কন্ট্রাক্টের কাগজ, হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ আর একটা ১৫০ টাকার জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দেওয়া হলফনামা। এই কাগজগুলো এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিয়ে সাইন করিয়ে নিতে হয়েছে অবশ্য।
এরপর টাকা জমা দেওয়ার পালা। ফারিহা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে পেমেন্ট করেন। কাপড়ের দোকানের জন্য নির্ধারিত লাইসেন্স ফি, সাইনবোর্ড ফি আর এর ওপর ১৫% ভ্যাটসহ এই পেমেন্ট করা লাগে। সাকসেসফুলি অ্যাপ্লাই করার পরই একটা ট্র্যাকিং নম্বর পাওয়া যায়। এই পুরো ব্যাপারটা এত সহজ যে ফারিহা হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো যেন। আগে যেখানে লাইনের পর লাইন দাঁড়িয়ে এই লাইসেন্সের জন্য ওয়েট করতে হতো, এখন ঘরে বসেই সব হয়ে যাচ্ছে। সাধারণত, অ্যাপ্লাই করার পর তিন থেকে সাত কর্মদিবসের মধ্যেই লাইসেন্স পাওয়া যায়। ফারিহার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হলো না। পাঁচ দিন পর ফারিহা পোর্টালে লগইন করে তার বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত ই-ট্রেড লাইসেন্সটা ডাউনলোড করে নিলেন।
গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোও (UDC) এই ব্যাপারে বিশেষ সহযোগিতা করে করে থাকে। এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি।
ব্যবসার ধরন আর এলাকার ওপর ভিত্তি করে লাইসেন্স ফি-র বেশকম হতে পারে। পেমেন্টের জন্য মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসসহ ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুযোগ আছে।
বাংলাদেশে প্রায় ২৯৪ ধরনের ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয় (যেমন, দোকান, ক্লিনিক, ট্রাভেল এজেন্সি, লিমিটেড কোম্পানি)। ব্যবসার ধরনের ওপর ফি ও কাগজপত্র নির্ভর করে। তবে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
বিশেষ ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্সের আবেদনে অতিরিক্ত নথি প্রয়োজন, যেমন ক্লিনিক/হাসপাতালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন, লিমিটেড কোম্পানির জন্য মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেল ও সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, ফার্মেসির জন্য ড্রাগ লাইসেন্স, এবং সিএনজি/দাহ্য পদার্থের জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এই সকল নথি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর দ্বারা সত্যায়িত করতে হয়।
ফারিহা রহমানের জামা-কাপড়ের একটি দোকান দেওয়ার খুব শখ। বত্রিশ বছর বয়সী এই এই গৃহিনী নিজের জমানো টাকা থেকে একটি দোকান এক বছরের জন্যও ভাড়াও নিয়েছেন।
তার দিন শুরু হয় নানান রঙের কাপড়ের বিন্যাসে। সংসারের কাজ শেষ করে ল্যাপটপ খোলেন তিনি। তার চোখে ভাসে একটা আধুনিক কাপড়ের দোকানের ছবি, যেখানে তার বাছা পোশাকগুলো কাস্টমারদের টানবে। মনে মনে ভাবেন, দ্রুতই ব্যবসা শুরু করতে হবে। কেননা, যত দিন যাচ্ছে দোকান ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
কিন্তু ব্যবসা শুরু করার আগে দরকার ব্যবসার লাইসেন্স। ‘এটা পেতে না জানি কত ঝামেলা হবে’ ফারিহার মনে হয়। তবে তার আরেক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলার পর কিছুটা ভরসা পেল ফারিহা। জানলো- লাইসেন্সের কাজ সবকিছু এখন অনলাইনেই হয় নাকি! নেট ঘেঁটে ওয়েবসাইটের ঠিকানা বের করলো ফারিহা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে ই লাইসেন্সিংয়ের জন্য https://www.etradelicense.gov.bd পোর্টালটি চলে। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা আর ইউনিয়ন পরিষদের জন্য একই প্ল্যাটফর্ম। নিজের ন্যাশনাল আইডি কার্ড (NID) আর মোবাইল নম্বর দিয়ে চট করে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেন ফারিহা। এরপর ফর্ম ভরার পালা। তার পছন্দের দোকানের নাম দেন ‘ফারিহাস ড্রিম’, ঠিকানা লেখেন দোকানের, আর ব্যবসার ধরনে লেখেন ‘কাপড়ের দোকান ও বস্ত্র সামগ্রী’। তারপর দেখে নেন কী কী কাগজপত্র লাগবে। ওয়েবসাইটের একদম ক্লিয়ার নির্দেশনায় ফি কত, কী কী কাগজ লাগবে আর পুরো কাজটা কতদিনে শেষ হবে—সব তথ্য হাতের কাছেই পাওয়া যায়। একাউন্ট থেকে বেরিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির জন্য আরেকদিন সময় নেন।
পরদিন আবার সেগুলো আপলোডের জন্য রেডি হন ফারিহা। তার প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্র-এর কপি, একটা পাসপোর্ট সাইজের ছবি, দোকানের ভাড়ার কন্ট্রাক্টের কাগজ, হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদ আর একটা ১৫০ টাকার জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দেওয়া হলফনামা। এই কাগজগুলো এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিয়ে সাইন করিয়ে নিতে হয়েছে অবশ্য।
এরপর টাকা জমা দেওয়ার পালা। ফারিহা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে পেমেন্ট করেন। কাপড়ের দোকানের জন্য নির্ধারিত লাইসেন্স ফি, সাইনবোর্ড ফি আর এর ওপর ১৫% ভ্যাটসহ এই পেমেন্ট করা লাগে। সাকসেসফুলি অ্যাপ্লাই করার পরই একটা ট্র্যাকিং নম্বর পাওয়া যায়। এই পুরো ব্যাপারটা এত সহজ যে ফারিহা হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো যেন। আগে যেখানে লাইনের পর লাইন দাঁড়িয়ে এই লাইসেন্সের জন্য ওয়েট করতে হতো, এখন ঘরে বসেই সব হয়ে যাচ্ছে। সাধারণত, অ্যাপ্লাই করার পর তিন থেকে সাত কর্মদিবসের মধ্যেই লাইসেন্স পাওয়া যায়। ফারিহার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হলো না। পাঁচ দিন পর ফারিহা পোর্টালে লগইন করে তার বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত ই-ট্রেড লাইসেন্সটা ডাউনলোড করে নিলেন।
গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোও (UDC) এই ব্যাপারে বিশেষ সহযোগিতা করে করে থাকে। এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি।
ব্যবসার ধরন আর এলাকার ওপর ভিত্তি করে লাইসেন্স ফি-র বেশকম হতে পারে। পেমেন্টের জন্য মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসসহ ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুযোগ আছে।
বাংলাদেশে প্রায় ২৯৪ ধরনের ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয় (যেমন, দোকান, ক্লিনিক, ট্রাভেল এজেন্সি, লিমিটেড কোম্পানি)। ব্যবসার ধরনের ওপর ফি ও কাগজপত্র নির্ভর করে। তবে আবেদনকারীর বয়স ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে।
বিশেষ ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্সের আবেদনে অতিরিক্ত নথি প্রয়োজন, যেমন ক্লিনিক/হাসপাতালের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন, লিমিটেড কোম্পানির জন্য মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেল ও সার্টিফিকেট অব ইনকর্পোরেশন, ফার্মেসির জন্য ড্রাগ লাইসেন্স, এবং সিএনজি/দাহ্য পদার্থের জন্য বিস্ফোরক অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এই সকল নথি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর দ্বারা সত্যায়িত করতে হয়।
ফারুকী লিখেছেন, আমি সাধারণত চেষ্টা করি আমার মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে কথা না বলতে। কিন্তু আমার তো একটা পরিচয় আছে। আমি এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ ছিলাম এবং দুদিন পর সেখানেই ফিরে যাব। নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার বিব্রতকর একটি ঘটনা হয়ে থাকল আমাদের জন্য।
১৬ ঘণ্টা আগেমোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে পেমেন্ট করেন। তিনদিন পর অফিসার আসেন দোকান দেখতে। সপ্তাহের মধ্যে লাইসেন্স রেডি হয়। ডাউনলোড করে প্রিন্ট দেন।
১ দিন আগেপ্রথমেই জানিয়ে রাখা ভালো, সব পেট ব্যথাই এক নয়। কোনোটা হজমের সমস্যা, কোনোটা ইনফেকশন, আবার কোনোটা মানসিক চাপ থেকেও হয়ে থাকে। তাই ব্যথার ধরন, সময়কাল, ও অবস্থান বুঝে নিতে হয় আসল কারণটা।
১ দিন আগেবিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, দুটি ব্ল্যাক হোল যদি একে অপরের খুব কাছে দিয়ে ছুটে যায়, তাহলেও একধরনের শক্তিশালী তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে মহাবিশ্বের জুড়ে।
১ দিন আগে