যেসব কারণে বৃষ্টিতে ভিজবেন

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

বর্ষাকালে হঠাৎ করেই যখন তখন বৃষ্টি শুরু হয়। অনেকে শখের বশে বৃষ্টিতে ভিজে থাকেন আবার অনেকেই ব্যস্ততার কারণে পথচলতি অবস্থায় ভিজে যান বৃষ্টিতে। সে যা-ই হোক না কেন বৃষ্টিতে ভিজলে মনে অনেক আনন্দ জাগে।

শিশুদের তো আনন্দের শেষ থাকে না। শুধু শিশুরাই না, বড়রাও বৃষ্টিতে ভিজে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করেন। তবে অনেকেই ভাবেন, বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর-সর্দি হবে! বিষয়টি মোটেও ঠিক নয়। জানেন কি, বৃষ্টিতে ভিজলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। জেনে নিন বৃষ্টিতে ভিজলে আপনার শরীরে যেভাবে উপকার মিলবে-

স্বাস্থ্যকর চুল: বৃষ্টির পানিতে প্রাকৃতিকভাবে অ্যালকালাইন থাকে, যা চুলের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলের গোড়া থেকে সব ময়লা ও খুশকি দূর করে। তাই নিয়মিত বৃষ্টির পানিতে গোসল করলে রুক্ষ চুল অনেক বেশি স্বাস্থ্যজ্বল হয় ও চকচকে দেখায়। তবে বৃষ্টিতে ভেজার পর ভালোমতো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি নিমজাতীয় শ্যাম্পু বা সাবান করেন।

ভিটামিন বি-১২: বৃষ্টির পানি খুব হালকা এবং অ্যালকালাইন পিএইচ সমৃদ্ধ। বৃষ্টির পানির মধ্যে কিছু অনুজীব থাকে যারা তাদের বিপাক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভিটামিন বি-১২ তৈরি করে। সুতরাং আপানার যদি ভিটামিনের অভাব থাকে; তাহলে নিয়মিত ১০-১৫ মিনিট বৃষ্টিতে ভিজতে পারেন। তবে বৃষ্টিতে ভেজার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালোমতো গোসল করে নিতে হবে।

হরমোনের ভারসাম্য: অনেকেই হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় ভুগে থাকেন। এ সমস্যারও সমাধান পাবেন নিয়মিত বৃষ্টিতে ভিজলে। হরমোনের ভারসাম্য ঠিক হবে খুব শিগগিরই।

কানের সমস্যার সমাধান: বৃষ্টির পানি আরেকটি উপকার করে আর তা হচ্ছে কানের সব ধরণের সমস্যা দূর করা। কান ব্যথা বা ইনফেকশন সারানোর ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি বেশ উপকারী। তবে মাত্রাতিরিক্ত ভিজলে বা বাতাস থাকলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। ১০-১৫ মিনিটের বেশি ভেজা উচিত নয়। ভেজার পরপরই হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলতে হবে।

চুলকানির সমাধান: বর্ষা মৌসুমে অনেকেই চর্মরোগে ভুগে থাকেন। ত্বকের বিভিন্ন ফুসকুড়ি ও চুলকানির সমাধান আছে বৃষ্টির পানিতে। বৃষ্টির পানিতে ভিজলে বা নিয়মিত গোসল করলে চুলকানি ও ত্বকের খসখসে ভাব চলে যায়। একইসঙ্গে শরীরও ঠান্ডা হয়ে যায়।

মন খুশি হয়: বৃষ্টিতে ভিজলে শরীরে এন্ডোরফিন ও সেরাটোনিন নামক হরমোনোর ক্ষরণ হয়। যা আমাদের আনন্দের অনুভূতি দেয়। এ কারণে বৃষ্টিতে ভিজলে সব দুঃশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই সুযোগ পেলেই ঝুম বৃষ্টিতে নেমে পড়ুন ভিজতে!

দেহের টক্সিন উপাদান দূর করে:

বৃষ্টির পানি পান করলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। এটি রক্তের পিএইচ লেভেলকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে স্বাভাবিকের ঘরে। ফলে শরীরে অ্যাসিডিটির মাত্রা কমে যায় এবং রোগের প্রকোপ কমে আসে।

শ্বাস-প্রক্রিয়া উন্নত করে:

বৃষ্টির সময় হাওয়া-বাতাস বিশুদ্ধ থাকে। তাই এ সময়ে দেহে প্রবেশ করা বায়ু আমাদের শ্বাসপ্রক্রিয়ার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে দূর হয় শরীরে অবস্থান করা বাজে টক্সিন।

মানসিক অবসাদ কমায়:

বৃষ্টির সময় মাটির যে গন্ধ বের হয় তার ঘ্রাণ কখনো নাকে এসেছে? এই গন্ধ যতটা পারেন মন-প্রাণ ভরে শরীরের ভেতর নিন, দেখবেন মন আপনাআপনিই ভালো হয়ে যাবে। গবেষকদের ভাষায় এ গন্ধকে বলা হয় "পেট্রিকোর"। বৃষ্টি পড়লে মটিতে উপস্থিত একধরনের ব্যাকটেরিয়া বিশেষ এক ধরনের কেমিক্যাল ছড়ায়। যার ফলে এমন সোঁদা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। আর এ গন্ধ মানসিক অবসাদ দূর করতে বেশ সহায়ক।

ad
ad

ফিচার থেকে আরও পড়ুন

চুলের যত্নে কোন তেল উপকারী?

বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ

১ দিন আগে

দৈইখাওয়া গ্রামের হট্টিটি

লাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।

২ দিন আগে

মারা গেছেন ‘থ্রি ইডিয়েটস’ সিনেমার অধ্যাপক

অচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ

২ দিন আগে

থাইরয়েড সমস্যায় কোন কোন ফল খাওয়া উচিত

থাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো

২ দিন আগে