শানজীদা শারমিন
রূপা আক্তার, এক তরুণ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, তার ছোট্ট দোকান নিয়ে বেশ উৎসাহে কাজ করছেন। তিন বছর আগে ই-টিন করে সার্টিফিকেট প্রিন্ট করে একটা ফাইলে গুছিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু একদিন ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সময় মিউনিসিপ্যালিটি অফিসার জানালেন, ই-টিন কপি ছাড়া কিছুই হবে না! রূপা ফাইল ঘেঁটে দেখেন, সার্টিফিকেট গায়েব! এমনকি ই-টিন নম্বরটাও মনে নেই।
রূপার মনটা খারাপ হয়ে গেল। এত পুরনো কাগজ, এখন কী হবে? তখন তার বন্ধু রিমা বলল, “ঘাবড়াস না! অনলাইনে চেক কর।” রূপা মোবাইল হাতে নিয়ে ঢুকলেন https://secure.incometax.gov.bd/TINHome সাইটে। ‘Search e-TIN’ অপশনে গিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর দিতেই কয়েক সেকেন্ডে ই-টিন নম্বর পর্দায় ভেসে উঠল।
‘এত সহজ!’ ভেবে রূপা আপন মনেই হেসে উঠলেন। তিনি থামলেন না। ই-রিটার্ন পোর্টালে লগইন করে পুরনো ই-টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করলেন। এবার সেটা গুগল ড্রাইভে সেভ করে ফেললেন, যাতে আবার হারানোর ভয় না থাকে। মিউনিসিপ্যালিটি অফিসে গিয়ে নতুন সার্টিফিকেট দেখাতেই অফিসার মুচকি হেসে বললেন, “এবার ঠিক আছে।” লাইসেন্স নবায়ন হয়ে গেল ঝটপট।
এ ঘটনায় রূপা শিক্ষা নিলেন। তিনি সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র স্ক্যান করে ক্লাউডে সেভ করতে শুরু করলেন। এই ডিজিটাল অভ্যাস তাকে বারবার ঝামেলা থেকে বাঁচিয়েছে।
এদিকে, রূপার বান্ধবী সানজিদা হক, একজন ফ্রিল্যান্সার, আরেক বিপদে পড়লেন। পুরনো ই-টিন ভুলে তিনি নতুন আরেকটি করে ফেলেছিলেন। ব্যাংক লোনে আবেদন করতে গিয়ে শুনলেন, তার নামে দুটি ই-টিন! একাধিক ই-টিন থাকলে সমস্য হতে পারে ভেবে সানজিদার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল।
সানজিদা প্রথমে ভাবলেন, কর অফিসে ছুটতে হবে। কিন্তু তারপর মনে পড়ল অনলাইনের কথা। তিনি https://secure.incometax.gov.bd/ সাইটে গিয়ে ‘e-TIN Correction’ অপশন খুঁজে পেলেন। NID, ই-টিন নম্বর আর কিছু তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করলেন। ফর্মে নতুন ই-টিন রেখে পুরনোটি বাতিলের অনুরোধ জমা দিলেন। কয়েক দিন পর কর অফিস থেকে নিশ্চিত করল, অতিরিক্ত ই-টিন বাতিল হয়ে গেছে।
“কর অফিসে না গিয়েই কাজ হয়ে গেল!” সানজিদা খুশিতে রূপাকে ফোন করে বললেন। এ ঘটনায় তিনি বুঝলেন, একটু সচেতন হলেই অনলাইনে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
রূপা ও সানজিদার এই ছোট্ট অ্যাডভেঞ্চার থেকে তারা শিখলেন: ই-টিন হারালে বা নম্বর ভুলে গেলে NID দিয়ে অনলাইনে খুঁজে বের করা যায়। একাধিক ই-টিন হলে কর অফিসে না গিয়েও অনলাইনে আবেদন করে সমাধান করা সম্ভব। আর সবচেয়ে বড় কথা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ডিজিটালি সেভ করলে জীবন অনেক সহজ!
যেসব এলাকায় ইন্টারনেট বা প্রযুক্তিগত সহায়তা সীমিত, সেসব জায়গায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে এ সংক্রান্ত সহায়তা নেয়া যায়।
এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি।
রূপা আক্তার, এক তরুণ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, তার ছোট্ট দোকান নিয়ে বেশ উৎসাহে কাজ করছেন। তিন বছর আগে ই-টিন করে সার্টিফিকেট প্রিন্ট করে একটা ফাইলে গুছিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু একদিন ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সময় মিউনিসিপ্যালিটি অফিসার জানালেন, ই-টিন কপি ছাড়া কিছুই হবে না! রূপা ফাইল ঘেঁটে দেখেন, সার্টিফিকেট গায়েব! এমনকি ই-টিন নম্বরটাও মনে নেই।
রূপার মনটা খারাপ হয়ে গেল। এত পুরনো কাগজ, এখন কী হবে? তখন তার বন্ধু রিমা বলল, “ঘাবড়াস না! অনলাইনে চেক কর।” রূপা মোবাইল হাতে নিয়ে ঢুকলেন https://secure.incometax.gov.bd/TINHome সাইটে। ‘Search e-TIN’ অপশনে গিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) নম্বর দিতেই কয়েক সেকেন্ডে ই-টিন নম্বর পর্দায় ভেসে উঠল।
‘এত সহজ!’ ভেবে রূপা আপন মনেই হেসে উঠলেন। তিনি থামলেন না। ই-রিটার্ন পোর্টালে লগইন করে পুরনো ই-টিন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করলেন। এবার সেটা গুগল ড্রাইভে সেভ করে ফেললেন, যাতে আবার হারানোর ভয় না থাকে। মিউনিসিপ্যালিটি অফিসে গিয়ে নতুন সার্টিফিকেট দেখাতেই অফিসার মুচকি হেসে বললেন, “এবার ঠিক আছে।” লাইসেন্স নবায়ন হয়ে গেল ঝটপট।
এ ঘটনায় রূপা শিক্ষা নিলেন। তিনি সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র স্ক্যান করে ক্লাউডে সেভ করতে শুরু করলেন। এই ডিজিটাল অভ্যাস তাকে বারবার ঝামেলা থেকে বাঁচিয়েছে।
এদিকে, রূপার বান্ধবী সানজিদা হক, একজন ফ্রিল্যান্সার, আরেক বিপদে পড়লেন। পুরনো ই-টিন ভুলে তিনি নতুন আরেকটি করে ফেলেছিলেন। ব্যাংক লোনে আবেদন করতে গিয়ে শুনলেন, তার নামে দুটি ই-টিন! একাধিক ই-টিন থাকলে সমস্য হতে পারে ভেবে সানজিদার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল।
সানজিদা প্রথমে ভাবলেন, কর অফিসে ছুটতে হবে। কিন্তু তারপর মনে পড়ল অনলাইনের কথা। তিনি https://secure.incometax.gov.bd/ সাইটে গিয়ে ‘e-TIN Correction’ অপশন খুঁজে পেলেন। NID, ই-টিন নম্বর আর কিছু তথ্য দিয়ে ফর্ম পূরণ করলেন। ফর্মে নতুন ই-টিন রেখে পুরনোটি বাতিলের অনুরোধ জমা দিলেন। কয়েক দিন পর কর অফিস থেকে নিশ্চিত করল, অতিরিক্ত ই-টিন বাতিল হয়ে গেছে।
“কর অফিসে না গিয়েই কাজ হয়ে গেল!” সানজিদা খুশিতে রূপাকে ফোন করে বললেন। এ ঘটনায় তিনি বুঝলেন, একটু সচেতন হলেই অনলাইনে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।
রূপা ও সানজিদার এই ছোট্ট অ্যাডভেঞ্চার থেকে তারা শিখলেন: ই-টিন হারালে বা নম্বর ভুলে গেলে NID দিয়ে অনলাইনে খুঁজে বের করা যায়। একাধিক ই-টিন হলে কর অফিসে না গিয়েও অনলাইনে আবেদন করে সমাধান করা সম্ভব। আর সবচেয়ে বড় কথা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ডিজিটালি সেভ করলে জীবন অনেক সহজ!
যেসব এলাকায় ইন্টারনেট বা প্রযুক্তিগত সহায়তা সীমিত, সেসব জায়গায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে এ সংক্রান্ত সহায়তা নেয়া যায়।
এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি।
যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেন, তখন আবার সম্পর্ক উষ্ণ হলো। তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন, মার্কিন দূতাবাস সেখানে স্থানান্তর করলেন এবং গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে মেনে নিলেন। এ সময়ের নীতিগুলো ফিলিস্তিনের জন্য ছিল বড় ধাক্কা।
২ দিন আগেহার্টের রোগীদের জন্য আরেকটি বিপজ্জনক খাবার হলো প্রসেসড মাংস। হট ডগ, সসেজ, প্যাকেটজাত সালামি কিংবা বেকন জাতীয় খাবারগুলোতে থাকে অতিরিক্ত সোডিয়াম নাইট্রেট ও প্রিজারভেটিভ, যেগুলো রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও এসব খাবারে হেম আয়রন নামের একটি উপাদান থাকে, এট হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।
২ দিন আগেবাংলাদেশ যখন ব্রিটিশ ভারতের অংশ ছিল, সেই সময় থেকেই এই ম্যাট্রিক পরীক্ষা চালু হয়েছিল। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, এই অঞ্চলে প্রথম ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার প্রবর্তন হয় ১৮৫৭ সালে, যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেবেরিবেরি রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়— ‘ওয়েট বেরিবেরি’ ও ‘ড্রাই বেরিবেরি’। ওয়েট বেরিবেরিতে মূলত হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। আর ড্রাই বেরিবেরিতে প্রভাব পড়ে স্নায়ুতন্ত্রে। ড্রাই বেরিবেরিতে আক্রান্ত ব্যক্তির -পায়ে ঝিনঝিন অনুভব হয়, হাঁটতে কষ্ট হয়, পায়ের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে।
২ দিন আগে