শানজীদা শারমিন
বাংলাদেশে এখন পাসপোর্ট করাটা আগের মতো নয়। অনলাইনে আবেদন, ঘরে বসে ফরম পূরণ, নির্ধারিত দিনে অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক দেওয়া—সবকিছুই দ্রুত ও স্বচ্ছ।
সিলেটের তাহমিনা ইসলাম বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। প্রথমবার পাসপোর্ট করতে গিয়ে তিনি ব্যবহার করেন www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইট।
তাহমিনার জাতীয় পরিচয়পত্রে ছিল তার পুরোনো নাম ও অবিবাহিত অবস্থা। ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা খুঁজে না পাচ্ছিলেন না তিনি। ফলে হেল্পলাইন ৩৩৩- এ ফোন করে পরামর্শ নেন। জানতে পারেন—বিয়ের সনদ, স্বামীর পরিচয়পত্র এবং নতুন ঠিকানাসহ আবেদন করলে সমস্যা হবে না।
ফরম পূরণ করে তিনি আপলোড করেন জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, বিয়ের সনদ, ছবি ও ইউটিলিটি বিল। ছবি ছিল নির্ধারিত সাইজে (৪০×৫০ মিমি, JPEG ফরম্যাট, ৩০০ কেবি’র মধ্যে)। ছবি আপলোডে কিছু সমস্যা হলে হেল্পলাইনের পরামর্শে ঠিক করেন।
ঢাকার আরিফ রহমান একজন ফ্রিল্যান্সার। তার পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, আর বিদেশি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে এক কনফারেন্সের জন্য দ্রুত নতুন পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়।
তিনি ওয়েবসাইটের ‘Lost Passport’ অপশন বেছে নিয়ে আবেদন করেন। থানার জিডি রিপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ফরম পূরণ করেন। পেশা, ঠিকানা ও হারানো পাসপোর্টের তথ্য যুক্ত করেন। একটি তথ্য ভুল দিয়ে ফেলেন, যা পরে লাইভ চ্যাটে যোগাযোগ করে সংশোধন করেন।
আরিফ আপলোড করেন জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। সবকিছু ল্যাপটপ থেকেই করেন। গাইডলাইন ছিল সহজবোধ্য।
নারায়ণগঞ্জের শারমিন বেগম একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কিছুদিন আগে স্বামী মারা গেছেন। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিদেশে বড় বোনের কাছে যাওয়ার ইচ্ছা থেকেই তিনি পাসপোর্টের আবেদন করেন।
শারমিনের জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বিবাহিত’ লেখা থাকায় তিনি হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন। ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় তিনি ফোনেই বিস্তারিত জানতে পারেন। তাকে বলা হয়—স্বামীর মৃত্যু সনদ, নিজের জন্ম সনদ, পরিচয়পত্র, ছবি ও ঠিকানার প্রমাণপত্র দিয়ে আবেদন করলে চলবে।
ছবির ফরম্যাটে কিছু সমস্যা হলে হেল্পলাইনে ফোন করে সমাধান নেন। শারমিন বলেন, প্রথমবারেই এতটা সহজ হবে ভাবেননি।
তিনজনই অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করেন। তাহমিনা যান রংপুর অফিসে, আরিফ আগারগাঁও, আর শারমিন নারায়ণগঞ্জে।
তিনজনেরই বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া হয় নির্ধারিত দিনে—ছবি, আঙুলের ছাপ, চোখের স্ক্যান। সময় বেশি লাগেনি।
তাহমিনা অনলাইনে একপে দিয়ে ফি পরিশোধ করেন। আরিফ দেন কার্ডে। শারমিন ব্যবহার করেন একটি বেসরকরারি মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস। রসিদ আসে মোবাইলে।
ওয়েবসাইটে স্পষ্ট করে লেখা ছিল—সাধারণভাবে পাসপোর্ট হাতে পেতে সময় লাগে ২১ থেকে ৩০ দিন, এক্সপ্রেসে ৭ থেকে ১০ দিন।
তাহমিনা ট্র্যাকিং নম্বরে লগইন করে খোঁজ নেন। একদিন আসে এসএমএস—পাসপোর্ট প্রস্তুত। আরিফ ওয়েবসাইটে স্ট্যাটাস চেক করে সময়মতো সংগ্রহ করেন। শারমিনও এসএমএস পেয়ে জানেন—তার পাসপোর্ট প্রস্তুত।
তিনজনের অভিজ্ঞতায় একটি জিনিস পরিষ্কার—অনলাইনে ই- পাসপোর্টের প্রক্রিয়া জটিল নয়, বরং প্রয়োজন বুঝে সাহায্য চাইলেই সেবা পাওয়া যায়।
যেসব এলাকায় ইন্টারনেট বা প্রযুক্তিগত সহায়তা সীমিত, সেসব জায়গায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে সহায়তা নেওয়া যায়। এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি।
বাংলাদেশে এখন পাসপোর্ট করাটা আগের মতো নয়। অনলাইনে আবেদন, ঘরে বসে ফরম পূরণ, নির্ধারিত দিনে অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক দেওয়া—সবকিছুই দ্রুত ও স্বচ্ছ।
সিলেটের তাহমিনা ইসলাম বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। প্রথমবার পাসপোর্ট করতে গিয়ে তিনি ব্যবহার করেন www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইট।
তাহমিনার জাতীয় পরিচয়পত্রে ছিল তার পুরোনো নাম ও অবিবাহিত অবস্থা। ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা খুঁজে না পাচ্ছিলেন না তিনি। ফলে হেল্পলাইন ৩৩৩- এ ফোন করে পরামর্শ নেন। জানতে পারেন—বিয়ের সনদ, স্বামীর পরিচয়পত্র এবং নতুন ঠিকানাসহ আবেদন করলে সমস্যা হবে না।
ফরম পূরণ করে তিনি আপলোড করেন জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, বিয়ের সনদ, ছবি ও ইউটিলিটি বিল। ছবি ছিল নির্ধারিত সাইজে (৪০×৫০ মিমি, JPEG ফরম্যাট, ৩০০ কেবি’র মধ্যে)। ছবি আপলোডে কিছু সমস্যা হলে হেল্পলাইনের পরামর্শে ঠিক করেন।
ঢাকার আরিফ রহমান একজন ফ্রিল্যান্সার। তার পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, আর বিদেশি ক্লায়েন্টদের সঙ্গে এক কনফারেন্সের জন্য দ্রুত নতুন পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়।
তিনি ওয়েবসাইটের ‘Lost Passport’ অপশন বেছে নিয়ে আবেদন করেন। থানার জিডি রিপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ফরম পূরণ করেন। পেশা, ঠিকানা ও হারানো পাসপোর্টের তথ্য যুক্ত করেন। একটি তথ্য ভুল দিয়ে ফেলেন, যা পরে লাইভ চ্যাটে যোগাযোগ করে সংশোধন করেন।
আরিফ আপলোড করেন জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। সবকিছু ল্যাপটপ থেকেই করেন। গাইডলাইন ছিল সহজবোধ্য।
নারায়ণগঞ্জের শারমিন বেগম একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। কিছুদিন আগে স্বামী মারা গেছেন। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিদেশে বড় বোনের কাছে যাওয়ার ইচ্ছা থেকেই তিনি পাসপোর্টের আবেদন করেন।
শারমিনের জাতীয় পরিচয়পত্রে ‘বিবাহিত’ লেখা থাকায় তিনি হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন। ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় তিনি ফোনেই বিস্তারিত জানতে পারেন। তাকে বলা হয়—স্বামীর মৃত্যু সনদ, নিজের জন্ম সনদ, পরিচয়পত্র, ছবি ও ঠিকানার প্রমাণপত্র দিয়ে আবেদন করলে চলবে।
ছবির ফরম্যাটে কিছু সমস্যা হলে হেল্পলাইনে ফোন করে সমাধান নেন। শারমিন বলেন, প্রথমবারেই এতটা সহজ হবে ভাবেননি।
তিনজনই অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করেন। তাহমিনা যান রংপুর অফিসে, আরিফ আগারগাঁও, আর শারমিন নারায়ণগঞ্জে।
তিনজনেরই বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া হয় নির্ধারিত দিনে—ছবি, আঙুলের ছাপ, চোখের স্ক্যান। সময় বেশি লাগেনি।
তাহমিনা অনলাইনে একপে দিয়ে ফি পরিশোধ করেন। আরিফ দেন কার্ডে। শারমিন ব্যবহার করেন একটি বেসরকরারি মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস। রসিদ আসে মোবাইলে।
ওয়েবসাইটে স্পষ্ট করে লেখা ছিল—সাধারণভাবে পাসপোর্ট হাতে পেতে সময় লাগে ২১ থেকে ৩০ দিন, এক্সপ্রেসে ৭ থেকে ১০ দিন।
তাহমিনা ট্র্যাকিং নম্বরে লগইন করে খোঁজ নেন। একদিন আসে এসএমএস—পাসপোর্ট প্রস্তুত। আরিফ ওয়েবসাইটে স্ট্যাটাস চেক করে সময়মতো সংগ্রহ করেন। শারমিনও এসএমএস পেয়ে জানেন—তার পাসপোর্ট প্রস্তুত।
তিনজনের অভিজ্ঞতায় একটি জিনিস পরিষ্কার—অনলাইনে ই- পাসপোর্টের প্রক্রিয়া জটিল নয়, বরং প্রয়োজন বুঝে সাহায্য চাইলেই সেবা পাওয়া যায়।
যেসব এলাকায় ইন্টারনেট বা প্রযুক্তিগত সহায়তা সীমিত, সেসব জায়গায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে সহায়তা নেওয়া যায়। এর বাইরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ১০০-রও বেশি সরকারি সেবা নিয়ে চালু হচ্ছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন আউটলেট। চলমান ডিজিটাল সেন্টারগুলোকেও এতে যুক্ত করা হবে। সেখানেও পাওয়া যাবে উল্লিখিত সেবাটি।
ওয়েবসাইটে ফি এবং প্রক্রিয়াকরণের সময় দুইজনের কারও চোখই এড়ায় না স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা তথ্য- সাধারণ প্রসেসিংয়ে ২১ থেকে ৩০ দিন এবং এক্সপ্রেস প্রসেসিংয়ে ৭ থেকে ১০ দিন।
২ দিন আগেঅনেক সময় হাত-পায়ের ব্যথা কোনো পেশির টান বা স্নায়ুর সমস্যার কারণে হয়। এর জন্য ঘরোয়া ব্যায়াম হতে পারে ভালো উপায়। যেমন প্রতিদিন সকালে ৫-১০ মিনিট হালকা স্ট্রেচিং করলে পেশির নমনীয়তা বাড়ে এবং ব্যথা কিছুটা কমে।
২ দিন আগেকয়েক মিনিটের মধ্যেই রহিমা তার মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ, বিচারকের নাম, মামলার অবস্থা জানতে পারলেন ওই তরুণের মাধ্যমে।
২ দিন আগেফেসবুক পোস্টে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া লেখেন, ‘সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা যারা আমার পাশে ছিলেন। শারিরীক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসব আপনাদের মাঝে।’
২ দিন আগে