ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
চারদিকে অরাজকতা। চলছে গোলাগুলি-সহিংসতা। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও দমে যাননি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা। কঠোরভাবে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন একে অপরের হাত ধরে। শেষমেষ সফলতা এসেছে ঠিকই। তবে ঝরে গেছে সহস্র প্রাণ।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনের মিছিলে গিয়ে প্রেম হয় বরগুনা থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নিলয় এবং আনিকার।
বরগুনা পৌরসভার বাসিন্দা মীর রিজন মাহমুদ নিলয় (২২)। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের বরগুনার সমন্বয়কারী। বরগুনা সদরের হাইস্কুল সড়কের মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে তিনি। একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছেন নিলয়।
অন্যদিকে, বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা (২০)। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের রসায়ন বিভাগে পড়ছেন তিনি।
৫ মাসের প্রেম শেষে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এ প্রেমযুগল। এদিন আসর নামাজ শেষে দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা মসজিদে কাবিন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে বিপ্লবী দুই যোদ্ধার বাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ফুল, স্নিগ্ধতা এবং গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান’। সেই আয়োজনটা অনেকটা ঘরোয়া পরিবেশেই হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশের মতো উত্তাল ছিল বরগুনাও। জেলার সব স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। সে সময় আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যারা তাদের মধ্যে নিলয় অন্যতম।
জুলাই মাসের শেষের দিকের কথা, আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়। ঠিক সে সময় একে অপরের প্রেমে পরে যান নিলয় ও আনিকা। কিন্তু এই ক্রান্তিলগ্নে সবার আগে দেশ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর দেখা যাবে - এই ভেবে দুজনের কেউ কাউকে মনে কথা জানায়নি।
কিন্তু মনের গহীনে জন্ম নেওয়া ভালোবাসা তো সব যুক্তি মানতে নারাজ। একে অপরের প্রতি আবেগ-ভালোবাসার কথা প্রকাশ পেয়েই যায় এক সময়।
তবে বিয়েটা সেরেছেন কথামতোই। ফ্যাসিস্ট পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার যখন গত ৫ মাস ধরে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে এলো তখনই বিয়ের আয়োজন করলেন এ তরুণ জুটি।
তাদের এই বন্ধনে খুশি স্থানীয়রাও। তারা বলছেন, আজকার এই ছাড়াছাড়ির যুগে বছরের পর বছর সম্পর্কে থাকার পরেও মানুষ একজন আরেকজনকে ছেড়ে যায়। সেখানে মাত্র পাঁচ মাসের সম্পর্কে একে অপরকে চিনেছেন, জেনেছেন, বুঝেছেন, ভালোবেসেছেন নিলয়-আনিকা।
এদিকে জীবনের নতুন অধ্যায়ে যাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এ নবদম্পতি।
ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের পরিচয় হয়েছিল এবং আমরা দুজন দুজনকে পেয়ে সত্যি খুব খুশি, আলহামদুলিল্লাহ। এই পূর্ণতার মাধ্যমে এটাই প্রমাণ পেয়েছি যে নিলয় কথা দিয়ে কথা রেখেছেন।
মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এই প্রেম জীবনে এসেছিল বলেই আজ আমি সত্যি আনন্দিত এবং এই পূর্ণতা আমাদের ভালোবাসার সত্যতার এবং পবিত্রতার প্রমাণ।
চারদিকে অরাজকতা। চলছে গোলাগুলি-সহিংসতা। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও দমে যাননি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা। কঠোরভাবে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে গেছেন একে অপরের হাত ধরে। শেষমেষ সফলতা এসেছে ঠিকই। তবে ঝরে গেছে সহস্র প্রাণ।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনের মিছিলে গিয়ে প্রেম হয় বরগুনা থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নিলয় এবং আনিকার।
বরগুনা পৌরসভার বাসিন্দা মীর রিজন মাহমুদ নিলয় (২২)। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের বরগুনার সমন্বয়কারী। বরগুনা সদরের হাইস্কুল সড়কের মরহুম মীর মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে তিনি। একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছেন নিলয়।
অন্যদিকে, বরগুনা পৌরসভার কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা (২০)। বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের রসায়ন বিভাগে পড়ছেন তিনি।
৫ মাসের প্রেম শেষে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এ প্রেমযুগল। এদিন আসর নামাজ শেষে দারুল উলুম নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসা মসজিদে কাবিন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে বিপ্লবী দুই যোদ্ধার বাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘ফুল, স্নিগ্ধতা এবং গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান’। সেই আয়োজনটা অনেকটা ঘরোয়া পরিবেশেই হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সারাদেশের মতো উত্তাল ছিল বরগুনাও। জেলার সব স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। সে সময় আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যারা তাদের মধ্যে নিলয় অন্যতম।
জুলাই মাসের শেষের দিকের কথা, আন্দোলন আরও তীব্রতর হয়। ঠিক সে সময় একে অপরের প্রেমে পরে যান নিলয় ও আনিকা। কিন্তু এই ক্রান্তিলগ্নে সবার আগে দেশ, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারপর দেখা যাবে - এই ভেবে দুজনের কেউ কাউকে মনে কথা জানায়নি।
কিন্তু মনের গহীনে জন্ম নেওয়া ভালোবাসা তো সব যুক্তি মানতে নারাজ। একে অপরের প্রতি আবেগ-ভালোবাসার কথা প্রকাশ পেয়েই যায় এক সময়।
তবে বিয়েটা সেরেছেন কথামতোই। ফ্যাসিস্ট পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার যখন গত ৫ মাস ধরে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে এলো তখনই বিয়ের আয়োজন করলেন এ তরুণ জুটি।
তাদের এই বন্ধনে খুশি স্থানীয়রাও। তারা বলছেন, আজকার এই ছাড়াছাড়ির যুগে বছরের পর বছর সম্পর্কে থাকার পরেও মানুষ একজন আরেকজনকে ছেড়ে যায়। সেখানে মাত্র পাঁচ মাসের সম্পর্কে একে অপরকে চিনেছেন, জেনেছেন, বুঝেছেন, ভালোবেসেছেন নিলয়-আনিকা।
এদিকে জীবনের নতুন অধ্যায়ে যাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এ নবদম্পতি।
ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের পরিচয় হয়েছিল এবং আমরা দুজন দুজনকে পেয়ে সত্যি খুব খুশি, আলহামদুলিল্লাহ। এই পূর্ণতার মাধ্যমে এটাই প্রমাণ পেয়েছি যে নিলয় কথা দিয়ে কথা রেখেছেন।
মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আলহামদুলিল্লাহ এই প্রেম জীবনে এসেছিল বলেই আজ আমি সত্যি আনন্দিত এবং এই পূর্ণতা আমাদের ভালোবাসার সত্যতার এবং পবিত্রতার প্রমাণ।
আবহাওয়াবিদদের ভাষায় নিম্নচাপ হলো একটি এমন আবহাওয়াগত পরিস্থিতি যেখানে বাতাসের চাপ চারপাশের তুলনায় কম হয়ে যায়। সাধারণত পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বাতাস সবসময় উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়।
৮ ঘণ্টা আগেইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
১ দিন আগেসকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকেই অভ্যাস বশে এক গ্লাস লেবু পানি খান। বিজ্ঞাপন আর স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিনে এমন ধারণা ছড়িয়ে গেছে যে খালি পেটে লেবু খেলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায়, ওজন কমে, আবার হজমশক্তিও নাকি বাড়ে। কিন্তু আসলেই কি খালি পেটে লেবু খাওয়া এতটা উপকারী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, লেবুর কিছু ভালো দিক
১ দিন আগে