
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

অমর একুশে বইমেলায় এসেছে সাংবাদিক ও লেখক জান্নাতুল বাকেয়া কেকার ‘ভাষা আন্দোলনের সাত দশক: জানা অজানা’ বইটি। পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স প্রকাশিত বইটি বইমেলার সোহরাওযার্দী উদ্যানে প্যাঞ্জেরীর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাবে।
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সাত দশক পেরিয়েছে। ৭২ বছরের পরিক্রমায় ‘চেতনার বাতিঘর’ আপসহীন, কর্মউদ্দীপ্ত ভাষাসংগ্রামীরা। তাঁদের একজন মোহাম্মদ তোয়াহা। ১৯৪৮ কিংবা ৫২’র এই ছাত্রনেতার যথার্থ মূল্যায়ন হয়নি।
৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবির নায়ক, ছাত্রনেতা খালেক নওয়াজ খান, তাঁকে চেনেন কজন? ৫২’-এ জেলখানায় বসে তিনি এলএলবি পরীক্ষায় পাস করেছেন সে খবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিঠি লিখে তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন!
ভাষা আন্দোলনের নির্ভরযোগ্য ইতিহাসবিদ বদরুদ্দীন উমর। তাঁর বাবা অবিভক্ত ভারতে মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশিম জন্মভিটে ছাড়াও আইনসভার সদস্যপদ ছেড়েছিলেন কী মোহে? এর বাস্তবিক, মনস্তত্ত্বাতিক বিশ্লেষণ জানতে বদরুদ্দীন উমরের মুখোমুখি লেখক। তিনি বলছেন,‘...শেখ মুজিব দলীয় ও সাংগঠনিকভাবে দারুণ দক্ষ এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই’। সর্বোপরি ৪৮-এ প্রধান ভূমিকা রাখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫২’র আন্দোলন পরবর্তীতে কারামুক্ত হয়ে বন্দিদের মুক্তিতে জোরদার আন্দোলনে যে ভূমিকা রেখেছেন আর কোনো রাজনীতিক তা করেননি।
ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক বাস্তবতা, অমর একুশের অর্জন ও ভাষাসংগ্রামীদের সঙ্গে পরের প্রজন্মের চেতনার ফারাক-এমন সব তথ্য নিয়ে ‘ভাষা আন্দোলনের সাত দশক: জানা অজানা’ বইটির মাধ্যমে ইতিহাস তুলে আনার চেষ্টা করেছেন লেখক।
লেখক জান্নাতুল বাকেয়া কেকার মতে, ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবন তো বটেই, বিশ্ব পরিসরে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ অমর একুশের মহাত্মে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে। এ দেশের প্রেক্ষাপটে সূচিত ভাষা আন্দোলন বিশ্বের দেশে দেশে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠির মাতৃভাষার মর্যাদার প্রতিও সমব্যাথী হতে সাহায্য করে। বিপন্ন ভাষা ও জনগোষ্ঠির টিকে থাকার প্রশ্নে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি অকুন্ঠ সমর্থ আজ সর্বজনীন রূপ পেয়েছে।
‘সবমিলিয়ে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নির্ভর বইটি লিখতে তথ্য প্রমাণ যোগাড় ও নিবিড় গবেষণা সময়ের প্রয়োজনেই অপরিহার্য ছিল। এ কাজ করতে গিয়ে দেখেছি যে, লাইব্রেরিগুলোতে ইতিহাস নির্ভর বইয়ের সংকট রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওই সময়ের জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রচারিত খবরাখবর ঐতিহাসিক তথ্যসূত্র হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে জাতীয় দৈনিক জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হলেও অনেক দেরিতে এই সংরক্ষণ করায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্র পাওয়া যায়নি,’ বলেন লেখক।
তিনি বলেন, এমন ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত প্রবীণ গুণীজনদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। তাদের বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় মেজাজ মর্জি বুঝে কাজ করাটা ছিল সময় সাপেক্ষ। এ ছাড়া আমি নিজেও মাঠের সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত কাজকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ভাষা আন্দোলনের মত ইতিহাস নির্ভর গবেষণা কাজে ধারাবাহিকভাবে সময় দেওয়া ছিল কঠিন।
‘বইটি আমার দীর্ঘ দেড় যুগের পরিশ্রমের ফসল। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী পাঠক দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল এক মলাটে পেয়ে নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন,’ যোগ করেন জান্নাতুল বাকেয়া।

অমর একুশে বইমেলায় এসেছে সাংবাদিক ও লেখক জান্নাতুল বাকেয়া কেকার ‘ভাষা আন্দোলনের সাত দশক: জানা অজানা’ বইটি। পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স প্রকাশিত বইটি বইমেলার সোহরাওযার্দী উদ্যানে প্যাঞ্জেরীর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাবে।
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সাত দশক পেরিয়েছে। ৭২ বছরের পরিক্রমায় ‘চেতনার বাতিঘর’ আপসহীন, কর্মউদ্দীপ্ত ভাষাসংগ্রামীরা। তাঁদের একজন মোহাম্মদ তোয়াহা। ১৯৪৮ কিংবা ৫২’র এই ছাত্রনেতার যথার্থ মূল্যায়ন হয়নি।
৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে মুসলিম লীগের ভরাডুবির নায়ক, ছাত্রনেতা খালেক নওয়াজ খান, তাঁকে চেনেন কজন? ৫২’-এ জেলখানায় বসে তিনি এলএলবি পরীক্ষায় পাস করেছেন সে খবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিঠি লিখে তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন!
ভাষা আন্দোলনের নির্ভরযোগ্য ইতিহাসবিদ বদরুদ্দীন উমর। তাঁর বাবা অবিভক্ত ভারতে মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশিম জন্মভিটে ছাড়াও আইনসভার সদস্যপদ ছেড়েছিলেন কী মোহে? এর বাস্তবিক, মনস্তত্ত্বাতিক বিশ্লেষণ জানতে বদরুদ্দীন উমরের মুখোমুখি লেখক। তিনি বলছেন,‘...শেখ মুজিব দলীয় ও সাংগঠনিকভাবে দারুণ দক্ষ এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই’। সর্বোপরি ৪৮-এ প্রধান ভূমিকা রাখা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫২’র আন্দোলন পরবর্তীতে কারামুক্ত হয়ে বন্দিদের মুক্তিতে জোরদার আন্দোলনে যে ভূমিকা রেখেছেন আর কোনো রাজনীতিক তা করেননি।
ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক বাস্তবতা, অমর একুশের অর্জন ও ভাষাসংগ্রামীদের সঙ্গে পরের প্রজন্মের চেতনার ফারাক-এমন সব তথ্য নিয়ে ‘ভাষা আন্দোলনের সাত দশক: জানা অজানা’ বইটির মাধ্যমে ইতিহাস তুলে আনার চেষ্টা করেছেন লেখক।
লেখক জান্নাতুল বাকেয়া কেকার মতে, ভাষা আন্দোলন আমাদের জাতীয় জীবন তো বটেই, বিশ্ব পরিসরে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কারণ অমর একুশের মহাত্মে আজ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা পেয়েছে। এ দেশের প্রেক্ষাপটে সূচিত ভাষা আন্দোলন বিশ্বের দেশে দেশে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠির মাতৃভাষার মর্যাদার প্রতিও সমব্যাথী হতে সাহায্য করে। বিপন্ন ভাষা ও জনগোষ্ঠির টিকে থাকার প্রশ্নে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি অকুন্ঠ সমর্থ আজ সর্বজনীন রূপ পেয়েছে।
‘সবমিলিয়ে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নির্ভর বইটি লিখতে তথ্য প্রমাণ যোগাড় ও নিবিড় গবেষণা সময়ের প্রয়োজনেই অপরিহার্য ছিল। এ কাজ করতে গিয়ে দেখেছি যে, লাইব্রেরিগুলোতে ইতিহাস নির্ভর বইয়ের সংকট রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ওই সময়ের জাতীয় দৈনিকগুলোতে প্রচারিত খবরাখবর ঐতিহাসিক তথ্যসূত্র হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে জাতীয় দৈনিক জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হলেও অনেক দেরিতে এই সংরক্ষণ করায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদপত্র পাওয়া যায়নি,’ বলেন লেখক।
তিনি বলেন, এমন ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত প্রবীণ গুণীজনদের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। তাদের বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় মেজাজ মর্জি বুঝে কাজ করাটা ছিল সময় সাপেক্ষ। এ ছাড়া আমি নিজেও মাঠের সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত কাজকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে ভাষা আন্দোলনের মত ইতিহাস নির্ভর গবেষণা কাজে ধারাবাহিকভাবে সময় দেওয়া ছিল কঠিন।
‘বইটি আমার দীর্ঘ দেড় যুগের পরিশ্রমের ফসল। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী পাঠক দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল এক মলাটে পেয়ে নিশ্চয়ই উপকৃত হবেন,’ যোগ করেন জান্নাতুল বাকেয়া।

আবহাওয়াবিদদের ভাষায় নিম্নচাপ হলো একটি এমন আবহাওয়াগত পরিস্থিতি যেখানে বাতাসের চাপ চারপাশের তুলনায় কম হয়ে যায়। সাধারণত পৃথিবীর যেকোনো স্থানে বাতাস সবসময় উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত হয়।
১ দিন আগে
ইংল্যান্ডের সিংহাসন তখন ছিল এক জটিল রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কেন্দ্র। ইংরেজ রাজা এডওয়ার্ড দ্য কনফেসর ১০৬৬ সালের জানুয়ারিতে উত্তরাধিকারী ছাড়াই মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াল—কে ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হবেন? রাজ্যের প্রধান অভিজাতেরা হ্যারল্ড গডউইনসনকে রাজা ঘোষণা করলেন।
১ দিন আগে
সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকেই অভ্যাস বশে এক গ্লাস লেবু পানি খান। বিজ্ঞাপন আর স্বাস্থ্যবিষয়ক ম্যাগাজিনে এমন ধারণা ছড়িয়ে গেছে যে খালি পেটে লেবু খেলে শরীরের টক্সিন বের হয়ে যায়, ওজন কমে, আবার হজমশক্তিও নাকি বাড়ে। কিন্তু আসলেই কি খালি পেটে লেবু খাওয়া এতটা উপকারী? বিজ্ঞানীরা বলছেন, লেবুর কিছু ভালো দিক
২ দিন আগে