অরুণ কুমার
২০১৫ সাল। শীতে নানাবাড়িতে গিয়েছিলাম। রসগুড়ের অভিযানে সাথে বুনো উদ্ভিদ পাওয়াটা ছিল বাড়তি পাওয়া। আমার শৈশবের প্রায় অর্ধেকটা কেটেছে নানা বাড়িতে। তাই ইছাতীর স্রোতধোয়া আমাদের গ্রাম যেমন আপন। ভৈরবে পলিতে গড়ে ওঠা আমার নানার বাড়িটাও ঠিক ততটাই আপন।
ছোট তিন মামাতো ভাইকে নিয়ে বেরিয়েছিলাম বন ধুঁধলের খোঁজে। সেখানকার কাজ শেষ করে সোজা সরষের খেতের হাতছানিতে স্মৃতিমেদুর মাঠে। মাঝে বনওকড়া আর পেটারির দেখা পেয়ে থামতে হলো। ফুলের ছবি নেওয়ার জন্য এরপর একটা মুসর খেত পেরুনোর সময় তিনভাইয়ের একজন ডেকে বলল, ‘ভাইয়া দেখেন, জোনাকি ফুল!’
‘জোনাকি ফুল!’’ অবাক হলাম আমি। ছোটবেলায় কত দেখেছি। এখন আর তেমন দেখা যায় না। যাবেই বা কী করে? শীতেই বাড়িই থাকা হয় না। আর কত বছর এভাবে মাঠের ঝোপঝাড় তন্ন তন্ন করে খুঁজিনি। কাছে গিয়ে দেখি, সত্যিই জোনাকির মতো মসুরখেত আলো করে রয়েছে নীল রঙের ছোট এক ফুল। দারুণ ভালো লাগল ফুলটা দেখে। সেই কত বছর আগে শেষবার দেখেছি। এখন আর তেমন দেখা যায় না।
ফুলটার ছবি নিতে গিয়ে পড়লাম মহা মুসিবতে। আমার পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরাটা বড্ড বেয়াড়া। মাঝে মাঝে খুব ঝামেলা করে। ম্যাক্রো মোডের অপশনটা আলাদা করা নেই। তাই ফোকাস করে ম্যাক্রো সেট করতে হয়। প্রখর রোদের কারণেই কিনা জানি না ম্যাক্রো ছবি তুলতেই পারছিলাম না। শেষমেষ পেছনে কলার পাতা ধরে ছবিটা তুললাম।
কিছু দূর গিয়ে আরও দুটোর দেখা মিলল। একটার গায়ে দুটো ফুল! ক্যামেরা এখানে একেবারে সুবোধ বালকের মতো আচরণ করল। একেবারে সোনায় সোহাগা!
জোনাকি ফুলের গাছ গুল্ম জাতীয় মৌসুমি উদ্ভিদ। খুব ছোট। তাই ঘাসের কাতারে ফেলে মানুষ। আসলে ঘাস নয়। যেমন বাঁশ বৃক্ষ কিংবা গুল্ম নয়, ঘাস; তেমনি ছোট হলেও জোনাকি ফুল ঘাস নয়, গুল্ম। সাধারণত রবি ফসলের মাঝে এদের দেখা মেলে। উঁচু, উর্বর জমিতে জন্মায়। ফসল ক্ষেতে জন্মায় বলে কৃষকের শত্রু। কৃষক নিড়িং চালিয়ে একে দমন করে ফেলে।
একারণে জোনাকি ফুল বিলুপ্তির পথে। দেখা এখন পাওয়া যায় না। কয়েকটা ভাগ্যবতী গাছ হয়তো এড়িয়ে যায়। তাদের বীজ থেকে যায় মাটির ভেতর। পরের বছর তারা গাছ হয়ে জেগে ওঠে।
জোনাকি ফুলের গাছ চার ইঞ্চি থেকে আধাফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কাণ্ড ও ডালপালা নরম, রসালো। অনেকটা মটরশুঁটির গাছের মতো। কাণ ও ডাল গোলাকার নয়। চারশিরা বাবের মতো। একটা গাছে দুই তিনটা মাত্র ডাল হয়।
পাতা হালকা সবুজ। মোটামুটি পুরু। রসালো। নরম। পাতা সরল। এক পত্রক। উপবৃত্তাকার। পাতার গোড়ার একটা করে ফুল ধরে।
মঞ্জরি এক পুষ্পক। ফুল গাঢ় নীল রঙের। পাঁচ পাপড়িবিশিষ্ট। ফুলের ব্যাস এক সেন্টিমিটার মাত্র। পাপড়ি পাতলা। ফুলের মাঝখানে দুই থেকে চারটি কিশোর থাকে।
ফল ছোটকালে দেখলেও কেমন এখন তা ভুলে গেছি। তবে গুগলে দেখলাম। ফল গোলাকার। ছোট। মটরদানার অর্ধেক। ভেতরে ৫-১০টা ছোট ছোট বীজ থাকে।
জোনাকি ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম: Anagallis arvensis.
২০১৫ সাল। শীতে নানাবাড়িতে গিয়েছিলাম। রসগুড়ের অভিযানে সাথে বুনো উদ্ভিদ পাওয়াটা ছিল বাড়তি পাওয়া। আমার শৈশবের প্রায় অর্ধেকটা কেটেছে নানা বাড়িতে। তাই ইছাতীর স্রোতধোয়া আমাদের গ্রাম যেমন আপন। ভৈরবে পলিতে গড়ে ওঠা আমার নানার বাড়িটাও ঠিক ততটাই আপন।
ছোট তিন মামাতো ভাইকে নিয়ে বেরিয়েছিলাম বন ধুঁধলের খোঁজে। সেখানকার কাজ শেষ করে সোজা সরষের খেতের হাতছানিতে স্মৃতিমেদুর মাঠে। মাঝে বনওকড়া আর পেটারির দেখা পেয়ে থামতে হলো। ফুলের ছবি নেওয়ার জন্য এরপর একটা মুসর খেত পেরুনোর সময় তিনভাইয়ের একজন ডেকে বলল, ‘ভাইয়া দেখেন, জোনাকি ফুল!’
‘জোনাকি ফুল!’’ অবাক হলাম আমি। ছোটবেলায় কত দেখেছি। এখন আর তেমন দেখা যায় না। যাবেই বা কী করে? শীতেই বাড়িই থাকা হয় না। আর কত বছর এভাবে মাঠের ঝোপঝাড় তন্ন তন্ন করে খুঁজিনি। কাছে গিয়ে দেখি, সত্যিই জোনাকির মতো মসুরখেত আলো করে রয়েছে নীল রঙের ছোট এক ফুল। দারুণ ভালো লাগল ফুলটা দেখে। সেই কত বছর আগে শেষবার দেখেছি। এখন আর তেমন দেখা যায় না।
ফুলটার ছবি নিতে গিয়ে পড়লাম মহা মুসিবতে। আমার পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরাটা বড্ড বেয়াড়া। মাঝে মাঝে খুব ঝামেলা করে। ম্যাক্রো মোডের অপশনটা আলাদা করা নেই। তাই ফোকাস করে ম্যাক্রো সেট করতে হয়। প্রখর রোদের কারণেই কিনা জানি না ম্যাক্রো ছবি তুলতেই পারছিলাম না। শেষমেষ পেছনে কলার পাতা ধরে ছবিটা তুললাম।
কিছু দূর গিয়ে আরও দুটোর দেখা মিলল। একটার গায়ে দুটো ফুল! ক্যামেরা এখানে একেবারে সুবোধ বালকের মতো আচরণ করল। একেবারে সোনায় সোহাগা!
জোনাকি ফুলের গাছ গুল্ম জাতীয় মৌসুমি উদ্ভিদ। খুব ছোট। তাই ঘাসের কাতারে ফেলে মানুষ। আসলে ঘাস নয়। যেমন বাঁশ বৃক্ষ কিংবা গুল্ম নয়, ঘাস; তেমনি ছোট হলেও জোনাকি ফুল ঘাস নয়, গুল্ম। সাধারণত রবি ফসলের মাঝে এদের দেখা মেলে। উঁচু, উর্বর জমিতে জন্মায়। ফসল ক্ষেতে জন্মায় বলে কৃষকের শত্রু। কৃষক নিড়িং চালিয়ে একে দমন করে ফেলে।
একারণে জোনাকি ফুল বিলুপ্তির পথে। দেখা এখন পাওয়া যায় না। কয়েকটা ভাগ্যবতী গাছ হয়তো এড়িয়ে যায়। তাদের বীজ থেকে যায় মাটির ভেতর। পরের বছর তারা গাছ হয়ে জেগে ওঠে।
জোনাকি ফুলের গাছ চার ইঞ্চি থেকে আধাফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। কাণ্ড ও ডালপালা নরম, রসালো। অনেকটা মটরশুঁটির গাছের মতো। কাণ ও ডাল গোলাকার নয়। চারশিরা বাবের মতো। একটা গাছে দুই তিনটা মাত্র ডাল হয়।
পাতা হালকা সবুজ। মোটামুটি পুরু। রসালো। নরম। পাতা সরল। এক পত্রক। উপবৃত্তাকার। পাতার গোড়ার একটা করে ফুল ধরে।
মঞ্জরি এক পুষ্পক। ফুল গাঢ় নীল রঙের। পাঁচ পাপড়িবিশিষ্ট। ফুলের ব্যাস এক সেন্টিমিটার মাত্র। পাপড়ি পাতলা। ফুলের মাঝখানে দুই থেকে চারটি কিশোর থাকে।
ফল ছোটকালে দেখলেও কেমন এখন তা ভুলে গেছি। তবে গুগলে দেখলাম। ফল গোলাকার। ছোট। মটরদানার অর্ধেক। ভেতরে ৫-১০টা ছোট ছোট বীজ থাকে।
জোনাকি ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম: Anagallis arvensis.
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
১ দিন আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
২ দিন আগেঅচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
২ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
২ দিন আগে