ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আমরা মানুষ, নানা কারণে একজন আরেকজনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। কখনও কথায়, কখনও নিয়মে, আবার কখনও অন্যভাবে। কিন্তু শুধু মানুষই নয়, প্রকৃতিতেও এমন কিছু প্রাণী আছে যারা নিজেদের সঙ্গীকেও নিয়ন্ত্রণ করে। ভাবুন তো, এমন একটি প্রাণী কে হতে পারে?
হ্যাঁ, এটা এক ধরনের মাকড়সা—ইন্দোনেশিয়ার নার্সারি ওয়েব মাকড়সা।
মাকড়সা কেন দড়ি ব্যবহার করে?
প্রকৃতির বিস্ময়কর সব প্রাণীদের মধ্যে মাকড়সা একটি। এরা নিজের শরীর থেকেই সিল্ক বা সুতার মতো একধরনের পদার্থ বের করে জাল তৈরি করে। সেই জাল দিয়ে শিকার ধরে, ঘর বানায়, আবার মাঝে মাঝে সঙ্গীকে বেঁধেও রাখে!
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, সত্যি। বিশেষ করে নার্সারি ওয়েব মাকড়সার পুরুষ সদস্যরা তাদের স্ত্রী সঙ্গীকে প্রজননের সময় আংশিকভাবে বেঁধে রাখে। তবে এটা কেবল খেয়ালের বশে নয়, বরং জীবনের প্রয়োজনে, সুরক্ষার জন্যই তারা এই কাজটি করে।
স্ত্রী মাকড়সা এত ভয়ংকর কেন?
নার্সারি ওয়েব মাকড়সার স্ত্রী সদস্যরা আকারে পুরুষদের তুলনায় বড় এবং অনেক বেশি শক্তিশালী। শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে এক ধরণের আচরণ দেখা যায় যাকে বিজ্ঞানীরা বলেন সেক্সুয়াল ক্যানিবালিজম। এই আচরণে, স্ত্রী মাকড়সা প্রজননের সময় বা পরে পুরুষ মাকড়সাকে আক্রমণ করে বসে—এমনকি কখনো কখনো খেয়েও ফেলে!
তাই পুরুষ মাকড়সার কাছে বেঁধে রাখা মানে শুধু সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং নিজের প্রাণ বাঁচানোর কৌশল।
কীভাবে বেঁধে রাখে?
প্রজননের আগে পুরুষ মাকড়সা তার নিজের তৈরি করা সিল্কের সাহায্যে স্ত্রী মাকড়সার পা এবং দেহের কিছু অংশ জড়িয়ে ফেলে। এতে স্ত্রী মাকড়সা সাময়িকভাবে কম নড়াচড়া করতে পারে। ফলে পুরুষটি নিরাপদে প্রজননের কাজ শেষ করতে পারে।
এটি এমনভাবে করা হয় যাতে স্ত্রী মাকড়সা আক্রমণ করতে না পারে। কাজ শেষ হলে পুরুষটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। এভাবে সে নিজের জীবন বাঁচিয়ে আবার অন্য স্ত্রী সঙ্গীর খোঁজেও বের হতে পারে।
এই আচরণের পেছনে বিজ্ঞান কী বলে?
এই আচরণ আসলে একটি বিবর্তনীয় অভিযোজন বা "ইভল্যুশনারি অ্যাডাপ্টেশন"। প্রাণীজগতে অনেক সময় নিজের জীবন রক্ষা, সন্তান উৎপাদন বা সঙ্গী বেছে নেওয়ার জন্য নানা ধরনের কৌশল গড়ে ওঠে। এই আচরণও তেমনই।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ ড. মারিয়া জোসেফ বলেন,“পুরুষ নার্সারি ওয়েব মাকড়সাদের এই আচরণ প্রজননে সফল হওয়ার এক ধরনের কৌশল। সিল্ক দিয়ে স্ত্রীকে বেঁধে রাখলে ক্যানিবালিজমের আশঙ্কা কমে, এবং পুরুষটি সুরক্ষিতভাবে প্রজনন করতে পারে। এটি প্রকৃতির এক অনন্য উদাহরণ, যেখানে একটি ছোট প্রাণী নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এত চমৎকার কৌশল রপ্ত করেছে।”
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, স্ত্রী মাকড়সারা এমন পুরুষ মাকড়সাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় যারা এই কৌশল ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে। অর্থাৎ শুধু বেঁধে রাখাই নয়, সেটা কীভাবে করে—তাও বিবেচনা করে স্ত্রী মাকড়সারা। তাই বলা যায়, সিল্কের এই ব্যবহার প্রজননে সফলতা বাড়ানোর পাশাপাশি সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে।
আমরা হয়তো মাকড়সাকে খুব সাধারণ এক প্রাণী বলে ভাবি। কিন্তু একটু গভীরে তাকালে দেখা যায়, তাদের জীবনেও আছে ভয়, লড়াই, টিকে থাকার জন্য জটিল কৌশল। এই বেঁধে রাখার আচরণ সেটারই একটি দৃষ্টান্ত।
প্রকৃতিতে এমন অনেক প্রাণী রয়েছে যারা নিজেদের প্রয়োজনে নানা রকম আচরণ রপ্ত করেছে। নার্সারি ওয়েব মাকড়সার এই আচরণ আমাদের দেখায়, বেঁধে রাখা সব সময় খারাপ কিছু নয়—কখনো কখনো সেটা জীবন বাঁচানোর উপায়।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
আমরা মানুষ, নানা কারণে একজন আরেকজনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। কখনও কথায়, কখনও নিয়মে, আবার কখনও অন্যভাবে। কিন্তু শুধু মানুষই নয়, প্রকৃতিতেও এমন কিছু প্রাণী আছে যারা নিজেদের সঙ্গীকেও নিয়ন্ত্রণ করে। ভাবুন তো, এমন একটি প্রাণী কে হতে পারে?
হ্যাঁ, এটা এক ধরনের মাকড়সা—ইন্দোনেশিয়ার নার্সারি ওয়েব মাকড়সা।
মাকড়সা কেন দড়ি ব্যবহার করে?
প্রকৃতির বিস্ময়কর সব প্রাণীদের মধ্যে মাকড়সা একটি। এরা নিজের শরীর থেকেই সিল্ক বা সুতার মতো একধরনের পদার্থ বের করে জাল তৈরি করে। সেই জাল দিয়ে শিকার ধরে, ঘর বানায়, আবার মাঝে মাঝে সঙ্গীকে বেঁধেও রাখে!
শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, সত্যি। বিশেষ করে নার্সারি ওয়েব মাকড়সার পুরুষ সদস্যরা তাদের স্ত্রী সঙ্গীকে প্রজননের সময় আংশিকভাবে বেঁধে রাখে। তবে এটা কেবল খেয়ালের বশে নয়, বরং জীবনের প্রয়োজনে, সুরক্ষার জন্যই তারা এই কাজটি করে।
স্ত্রী মাকড়সা এত ভয়ংকর কেন?
নার্সারি ওয়েব মাকড়সার স্ত্রী সদস্যরা আকারে পুরুষদের তুলনায় বড় এবং অনেক বেশি শক্তিশালী। শুধু তাই নয়, এদের মধ্যে এক ধরণের আচরণ দেখা যায় যাকে বিজ্ঞানীরা বলেন সেক্সুয়াল ক্যানিবালিজম। এই আচরণে, স্ত্রী মাকড়সা প্রজননের সময় বা পরে পুরুষ মাকড়সাকে আক্রমণ করে বসে—এমনকি কখনো কখনো খেয়েও ফেলে!
তাই পুরুষ মাকড়সার কাছে বেঁধে রাখা মানে শুধু সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং নিজের প্রাণ বাঁচানোর কৌশল।
কীভাবে বেঁধে রাখে?
প্রজননের আগে পুরুষ মাকড়সা তার নিজের তৈরি করা সিল্কের সাহায্যে স্ত্রী মাকড়সার পা এবং দেহের কিছু অংশ জড়িয়ে ফেলে। এতে স্ত্রী মাকড়সা সাময়িকভাবে কম নড়াচড়া করতে পারে। ফলে পুরুষটি নিরাপদে প্রজননের কাজ শেষ করতে পারে।
এটি এমনভাবে করা হয় যাতে স্ত্রী মাকড়সা আক্রমণ করতে না পারে। কাজ শেষ হলে পুরুষটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। এভাবে সে নিজের জীবন বাঁচিয়ে আবার অন্য স্ত্রী সঙ্গীর খোঁজেও বের হতে পারে।
এই আচরণের পেছনে বিজ্ঞান কী বলে?
এই আচরণ আসলে একটি বিবর্তনীয় অভিযোজন বা "ইভল্যুশনারি অ্যাডাপ্টেশন"। প্রাণীজগতে অনেক সময় নিজের জীবন রক্ষা, সন্তান উৎপাদন বা সঙ্গী বেছে নেওয়ার জন্য নানা ধরনের কৌশল গড়ে ওঠে। এই আচরণও তেমনই।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ ড. মারিয়া জোসেফ বলেন,“পুরুষ নার্সারি ওয়েব মাকড়সাদের এই আচরণ প্রজননে সফল হওয়ার এক ধরনের কৌশল। সিল্ক দিয়ে স্ত্রীকে বেঁধে রাখলে ক্যানিবালিজমের আশঙ্কা কমে, এবং পুরুষটি সুরক্ষিতভাবে প্রজনন করতে পারে। এটি প্রকৃতির এক অনন্য উদাহরণ, যেখানে একটি ছোট প্রাণী নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এত চমৎকার কৌশল রপ্ত করেছে।”
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, স্ত্রী মাকড়সারা এমন পুরুষ মাকড়সাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় যারা এই কৌশল ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে। অর্থাৎ শুধু বেঁধে রাখাই নয়, সেটা কীভাবে করে—তাও বিবেচনা করে স্ত্রী মাকড়সারা। তাই বলা যায়, সিল্কের এই ব্যবহার প্রজননে সফলতা বাড়ানোর পাশাপাশি সঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সাহায্য করে।
আমরা হয়তো মাকড়সাকে খুব সাধারণ এক প্রাণী বলে ভাবি। কিন্তু একটু গভীরে তাকালে দেখা যায়, তাদের জীবনেও আছে ভয়, লড়াই, টিকে থাকার জন্য জটিল কৌশল। এই বেঁধে রাখার আচরণ সেটারই একটি দৃষ্টান্ত।
প্রকৃতিতে এমন অনেক প্রাণী রয়েছে যারা নিজেদের প্রয়োজনে নানা রকম আচরণ রপ্ত করেছে। নার্সারি ওয়েব মাকড়সার এই আচরণ আমাদের দেখায়, বেঁধে রাখা সব সময় খারাপ কিছু নয়—কখনো কখনো সেটা জীবন বাঁচানোর উপায়।
সূত্র: লাইভ সায়েন্স
যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলেন, তখন আবার সম্পর্ক উষ্ণ হলো। তিনি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন, মার্কিন দূতাবাস সেখানে স্থানান্তর করলেন এবং গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে মেনে নিলেন। এ সময়ের নীতিগুলো ফিলিস্তিনের জন্য ছিল বড় ধাক্কা।
২ দিন আগেহার্টের রোগীদের জন্য আরেকটি বিপজ্জনক খাবার হলো প্রসেসড মাংস। হট ডগ, সসেজ, প্যাকেটজাত সালামি কিংবা বেকন জাতীয় খাবারগুলোতে থাকে অতিরিক্ত সোডিয়াম নাইট্রেট ও প্রিজারভেটিভ, যেগুলো রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও এসব খাবারে হেম আয়রন নামের একটি উপাদান থাকে, এট হৃদপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর।
২ দিন আগেবাংলাদেশ যখন ব্রিটিশ ভারতের অংশ ছিল, সেই সময় থেকেই এই ম্যাট্রিক পরীক্ষা চালু হয়েছিল। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, এই অঞ্চলে প্রথম ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষার প্রবর্তন হয় ১৮৫৭ সালে, যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
২ দিন আগেবেরিবেরি রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়— ‘ওয়েট বেরিবেরি’ ও ‘ড্রাই বেরিবেরি’। ওয়েট বেরিবেরিতে মূলত হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। আর ড্রাই বেরিবেরিতে প্রভাব পড়ে স্নায়ুতন্ত্রে। ড্রাই বেরিবেরিতে আক্রান্ত ব্যক্তির -পায়ে ঝিনঝিন অনুভব হয়, হাঁটতে কষ্ট হয়, পায়ের পেশী দুর্বল হয়ে পড়ে।
২ দিন আগে