অরুণ কুমার
বুনোফুল বনওকড়া
পৃথিবীর বুকে প্রতিদিন কত ফুল ফোটে আর ঝরে যায় হলে গানে গানে দু:খ করেছিলেন শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।
সবার এজন্য দু:খ হয়, ঘর হতে ‘দুই পা ফেলিয়া’ পথের ধারে বুনোফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার রোমান্টিকতা কজনের থাকে!
শীত আর গ্রীষ্মের অত্যাচারে এতদিন পর্যদুস্ত হয়ে ছিল নাম-পরিচয়হীন গুল্মলতারা, বৃষ্টি এলে তাদের মাথা উঁচু করে দাঁডাবার সময়। ভাট-আশ্যাড়ার শরীরে আগেই বান ডেকেছে।
কিন্তু কিছু গুল্মের বীজেরা মাটির গভীরে শুয়ে ছিল। অপেক্ষায় ছিল বর্ষার রিমঝিম শব্দের। এখন তারা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসবে আলোকের আহবানে। দুটি লকলকে কচি পাতা মাটি ভেদ করে বেরিয়ে আসবে প্রবল বিক্রমে।
তারপর কয়েকদিনের অপেক্ষামাত্র। দুটি-চারটি-ছয়টি করে চক্রবৃদ্ধি হারে বাঙাবে তার পাতার সংখ্যা। বাঙবে ডাল-পালা। সবুজে সবুজে ছয়লাব হয়ে যাবে আম-কাঠালের বন, ফসল ক্ষেতের বেড়া, নদী-খাল-বিলের কিনারগুলো। সবুজের সেই রাহাজানিতে যোগ দেবে আমাদের বনওকঙা।
তারপর শীতের শেষ পর্যন্ত তাদের রাজত্ব।
শরৎ হেমন্তে শিউলি ফুলের জয়জয়কার। কিন্তু সে-তো কেবল বাড়ির উঠোনে। কিন্তু পথ চলতে, মেঠো পথের ধারে, জংলার আড়ালে কার রাজত্ব?
ছোট্ট একটা ফুল। সাদাটে গোলাপি, তার ওপর বিন্দু বিন্দু শিশির কণা। সকালের সোনারোদ যখন তার ওপর বিচ্ছুরিত হয়, অজস্র মনিমুক্তো নেমে আসে যেন বনপথের ধারে ধারে। পাঠক, এমনই সুন্দর এদেশের শরৎ ও হেমন্তের সকালগুলো। সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে সকালের আলসেমিটা ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হবে মেঠোপথের দিকে। থরে থরে গোলাপি-সাদার বন দেখতে পাবেন পথের দু-পাশে। শিশিরকণার ঝিলিক তার ওপর। আকন্দ-আশশ্যাওড়ার আড়ালে সে সৌন্দর্য ফিকে হবার নয়।
কিন্তু বেশিক্ষণ ঘুরবেন না। খারাপ লাগবে। চোখের সামনে যদি অপার্থিব সৌন্দর্যের অধঃপতন দেখেন, ভাল লাগার কথা নয়। শিশির কণা শুকোবার সাথে সাথে, রোদের তেজ যত বাড়বে বনওকড়ার দুত্যি তত ম্লান হবে। ঝিমিয়ে পড়বে চোখের সামনেই। তাই এই সৌন্দর্য দেখতে হলে বের হতে হবে খুব ভোরে।
বনওকড়া গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সারা বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায়, সব মাঠে, পথের দুপাশে, নদীর কিনারে, হাওড়-বাওডড়ের কূলে এদের দেখতে পাওয়া যায়। যেখানেই পতিত জমি ও ঘেসো বাগান চোখে পড়ে সেখানেই পাবে বনওকড়ার দেখা। শক্তপোক্ত চেহারার এই গাছ, রোদ্র-ছায়া কিছুই মানে না। তাই বড় বাগানেও এদের বেড়ে উঠতে মানা নেই। যেকোনও গুল্ম-লতার সাথে পাল্লা দিয়ে এরা বেঁচে থাকতে পারে। তাই সারা দেশ এর এত বাড়-বাড়ন্ত।
বনওকড়া গাছের একেবারে গোড়া থেকেই প্রচুর ডালপালা বের হয়। তাই এর ঝোপালো ভাবটা বেশ স্পষ্ট। একারণে সঠিক উচ্চতা আন্দাজ করা কঠিন। তবে মাটি থেকে ঝোপের মাথা পর্যন্ত তিনফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কা- ধূসর সবুজ। গোড়ার দিকে কাণ্ড তিন-চার ইঞ্চি মোটা হতে পারে। কাণ্ড ও ডালপালা বেশ শক্ত।
ডালপালা গাঢ় সবুজ কিংবা বাদমী রংয়ের। বাকলের ভেতরে ডালের মূল কাঠামোটা সাদা রংয়ের, অনেকটা পাটখড়ির মতো দেখতে। তবে পাটখড়ির ভেতরটা ফাঁপা, কিন্তু বনওকড়ার কাণ্ড ও ডাল মোটামুটি নিরেট। তবে কান্ডের ঠিক মাঝখানে সবুজ জেলির মতো থকথকে এক ধরনের পদার্থ থাকে।
বনওকাড়ার পাতার রং সবুজ। পাতা বেশ বঙ হয়। পূর্ণবয়স্ক মানুষের হাতের পাঞ্জার মাপের। আকৃতিতেও হাতের পাঞ্জার মতো। তবে পাতার ধরণ দুরকম। এরকম হলো মূল পাতা। এগুলো চারাগাছে দেখা যায়। পূর্ণাঙ্গ গাছের কাণ্ডের সাথে যে পাতাগুলো সরাসরি যুক্ত সেগুলো এবং ডালের গোড়ার দিকের পাতাগুলো মোটামুটি পাঞ্জাকৃতির। এদের পাঁচটি পত্রফলক থাকে। এই পাতার ব্যাস ৪-৫ ইঞ্চি।
কিন্তু ডালের আগার দিকে যেসব পাতা থাকে সেগুলো উপবৃত্তাকার। এদের পত্রফলক অনেকটাই অস্পষ্ট। এসব পাতা আকারেও ছোট। বোঁটার গোঙা থেকে পাতার শীর্ষ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ২.৫ থেকে ৩ ইঞ্চি। প্রস্থ দেড় থেকে দুই ইঞ্চি। পাতা সরল। একটা বোঁটায় একটাই পাতা থাকে। বোঁটার দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ আধা ইঞ্চি। ডালের শেষ প্রান্তের প্রতিটা পাতার গোঙায় একটা করে ফুল ফোটে।
পুষ্পমঞ্চরি এক পুষ্পক। ফুলের রং সাদাটে গোলাপি। দেখতে কিছুটা গোলাপি জবা ফুলের মতো। তবে আকারে খুব ছোট। ফুলের ব্যাস এ থেকে দেঙ সেন্টিমিটার। পাঁচটি পাতলা পাপড়ি থাকে। পাপডড়র ঠিক মাঝখানে থাকে জবাফুলের মতো কেশর। ফুলের তুলনায় কেশর বেশ লম্বা। এক সেন্টিমিটার। কেশরের গায়ে থাকে গাঢ় গোলাপি রঙের স্পষ্ট পরাগরেণু। এগুলোও জবাফুলের রেণুর মতো।
ছোটবেলায় বনওকড়ার ফল ছিল আমাদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় বস্তু। কারণ ফলের গায়ে আংটাকৃতির শুঁঙ্গ আছে। কাঁচা অবস্থায় অবশ্য তার গুরত্ব নেই। কিন্তু পাকলে আসল মজা। মনের অজান্তে জঙ্গলের ভেতর হাঁটতে গিয়ে কতশতবার যে বনওকড়ার শুকনো ফল আটকে গেছে কাপড়ে-শরীরে! এভাবেই আসলে দূর-দূরান্তে বনওকড়ার বংশ ছড়িয়ে পড়ে।
বনওকড়ার কাঁচা ফল সবুজ রংয়ের। ফল গোলাকারও নয়, আবার চৌকোনাও বলা চলে না। এর মাঝামাঝি আকারের। ছোট। ফলের ব্যাস বড়জোর এক সেন্টিমিটার।
ফল চার চেম্বারে বিভক্ত। প্রতিটা চেম্বারে ত্রিকোণাকার তিন চারটা বীজ থাকে। একেকটা বীজ তিনটা সরিষাদানার সমান হবে; দ্বিবীজপত্রী।
শরতকালে বনওকড়া গাছে ফল আসা শুরু করে। শীতের মাঝামাঝি নাগাদ শেষ হয়। শীতের শেষ দিকে বনওকড়ার গাছ শুকিয়ে মারা যায়। বর্ষাকালে মাটিতে ঘুমিয়ে থাকা বীজ থেকে নতুন চারা গজায়।
বনওকড়ার বৈজ্ঞানিক নাম : Urena lobata.
বুনোফুল বনওকড়া
পৃথিবীর বুকে প্রতিদিন কত ফুল ফোটে আর ঝরে যায় হলে গানে গানে দু:খ করেছিলেন শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।
সবার এজন্য দু:খ হয়, ঘর হতে ‘দুই পা ফেলিয়া’ পথের ধারে বুনোফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করার রোমান্টিকতা কজনের থাকে!
শীত আর গ্রীষ্মের অত্যাচারে এতদিন পর্যদুস্ত হয়ে ছিল নাম-পরিচয়হীন গুল্মলতারা, বৃষ্টি এলে তাদের মাথা উঁচু করে দাঁডাবার সময়। ভাট-আশ্যাড়ার শরীরে আগেই বান ডেকেছে।
কিন্তু কিছু গুল্মের বীজেরা মাটির গভীরে শুয়ে ছিল। অপেক্ষায় ছিল বর্ষার রিমঝিম শব্দের। এখন তারা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসবে আলোকের আহবানে। দুটি লকলকে কচি পাতা মাটি ভেদ করে বেরিয়ে আসবে প্রবল বিক্রমে।
তারপর কয়েকদিনের অপেক্ষামাত্র। দুটি-চারটি-ছয়টি করে চক্রবৃদ্ধি হারে বাঙাবে তার পাতার সংখ্যা। বাঙবে ডাল-পালা। সবুজে সবুজে ছয়লাব হয়ে যাবে আম-কাঠালের বন, ফসল ক্ষেতের বেড়া, নদী-খাল-বিলের কিনারগুলো। সবুজের সেই রাহাজানিতে যোগ দেবে আমাদের বনওকঙা।
তারপর শীতের শেষ পর্যন্ত তাদের রাজত্ব।
শরৎ হেমন্তে শিউলি ফুলের জয়জয়কার। কিন্তু সে-তো কেবল বাড়ির উঠোনে। কিন্তু পথ চলতে, মেঠো পথের ধারে, জংলার আড়ালে কার রাজত্ব?
ছোট্ট একটা ফুল। সাদাটে গোলাপি, তার ওপর বিন্দু বিন্দু শিশির কণা। সকালের সোনারোদ যখন তার ওপর বিচ্ছুরিত হয়, অজস্র মনিমুক্তো নেমে আসে যেন বনপথের ধারে ধারে। পাঠক, এমনই সুন্দর এদেশের শরৎ ও হেমন্তের সকালগুলো। সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে সকালের আলসেমিটা ছেড়ে বেরিয়ে পড়তে হবে মেঠোপথের দিকে। থরে থরে গোলাপি-সাদার বন দেখতে পাবেন পথের দু-পাশে। শিশিরকণার ঝিলিক তার ওপর। আকন্দ-আশশ্যাওড়ার আড়ালে সে সৌন্দর্য ফিকে হবার নয়।
কিন্তু বেশিক্ষণ ঘুরবেন না। খারাপ লাগবে। চোখের সামনে যদি অপার্থিব সৌন্দর্যের অধঃপতন দেখেন, ভাল লাগার কথা নয়। শিশির কণা শুকোবার সাথে সাথে, রোদের তেজ যত বাড়বে বনওকড়ার দুত্যি তত ম্লান হবে। ঝিমিয়ে পড়বে চোখের সামনেই। তাই এই সৌন্দর্য দেখতে হলে বের হতে হবে খুব ভোরে।
বনওকড়া গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। সারা বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায়, সব মাঠে, পথের দুপাশে, নদীর কিনারে, হাওড়-বাওডড়ের কূলে এদের দেখতে পাওয়া যায়। যেখানেই পতিত জমি ও ঘেসো বাগান চোখে পড়ে সেখানেই পাবে বনওকড়ার দেখা। শক্তপোক্ত চেহারার এই গাছ, রোদ্র-ছায়া কিছুই মানে না। তাই বড় বাগানেও এদের বেড়ে উঠতে মানা নেই। যেকোনও গুল্ম-লতার সাথে পাল্লা দিয়ে এরা বেঁচে থাকতে পারে। তাই সারা দেশ এর এত বাড়-বাড়ন্ত।
বনওকড়া গাছের একেবারে গোড়া থেকেই প্রচুর ডালপালা বের হয়। তাই এর ঝোপালো ভাবটা বেশ স্পষ্ট। একারণে সঠিক উচ্চতা আন্দাজ করা কঠিন। তবে মাটি থেকে ঝোপের মাথা পর্যন্ত তিনফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কা- ধূসর সবুজ। গোড়ার দিকে কাণ্ড তিন-চার ইঞ্চি মোটা হতে পারে। কাণ্ড ও ডালপালা বেশ শক্ত।
ডালপালা গাঢ় সবুজ কিংবা বাদমী রংয়ের। বাকলের ভেতরে ডালের মূল কাঠামোটা সাদা রংয়ের, অনেকটা পাটখড়ির মতো দেখতে। তবে পাটখড়ির ভেতরটা ফাঁপা, কিন্তু বনওকড়ার কাণ্ড ও ডাল মোটামুটি নিরেট। তবে কান্ডের ঠিক মাঝখানে সবুজ জেলির মতো থকথকে এক ধরনের পদার্থ থাকে।
বনওকাড়ার পাতার রং সবুজ। পাতা বেশ বঙ হয়। পূর্ণবয়স্ক মানুষের হাতের পাঞ্জার মাপের। আকৃতিতেও হাতের পাঞ্জার মতো। তবে পাতার ধরণ দুরকম। এরকম হলো মূল পাতা। এগুলো চারাগাছে দেখা যায়। পূর্ণাঙ্গ গাছের কাণ্ডের সাথে যে পাতাগুলো সরাসরি যুক্ত সেগুলো এবং ডালের গোড়ার দিকের পাতাগুলো মোটামুটি পাঞ্জাকৃতির। এদের পাঁচটি পত্রফলক থাকে। এই পাতার ব্যাস ৪-৫ ইঞ্চি।
কিন্তু ডালের আগার দিকে যেসব পাতা থাকে সেগুলো উপবৃত্তাকার। এদের পত্রফলক অনেকটাই অস্পষ্ট। এসব পাতা আকারেও ছোট। বোঁটার গোঙা থেকে পাতার শীর্ষ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ২.৫ থেকে ৩ ইঞ্চি। প্রস্থ দেড় থেকে দুই ইঞ্চি। পাতা সরল। একটা বোঁটায় একটাই পাতা থাকে। বোঁটার দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ আধা ইঞ্চি। ডালের শেষ প্রান্তের প্রতিটা পাতার গোঙায় একটা করে ফুল ফোটে।
পুষ্পমঞ্চরি এক পুষ্পক। ফুলের রং সাদাটে গোলাপি। দেখতে কিছুটা গোলাপি জবা ফুলের মতো। তবে আকারে খুব ছোট। ফুলের ব্যাস এ থেকে দেঙ সেন্টিমিটার। পাঁচটি পাতলা পাপড়ি থাকে। পাপডড়র ঠিক মাঝখানে থাকে জবাফুলের মতো কেশর। ফুলের তুলনায় কেশর বেশ লম্বা। এক সেন্টিমিটার। কেশরের গায়ে থাকে গাঢ় গোলাপি রঙের স্পষ্ট পরাগরেণু। এগুলোও জবাফুলের রেণুর মতো।
ছোটবেলায় বনওকড়ার ফল ছিল আমাদের কাছে বিশেষ আকর্ষণীয় বস্তু। কারণ ফলের গায়ে আংটাকৃতির শুঁঙ্গ আছে। কাঁচা অবস্থায় অবশ্য তার গুরত্ব নেই। কিন্তু পাকলে আসল মজা। মনের অজান্তে জঙ্গলের ভেতর হাঁটতে গিয়ে কতশতবার যে বনওকড়ার শুকনো ফল আটকে গেছে কাপড়ে-শরীরে! এভাবেই আসলে দূর-দূরান্তে বনওকড়ার বংশ ছড়িয়ে পড়ে।
বনওকড়ার কাঁচা ফল সবুজ রংয়ের। ফল গোলাকারও নয়, আবার চৌকোনাও বলা চলে না। এর মাঝামাঝি আকারের। ছোট। ফলের ব্যাস বড়জোর এক সেন্টিমিটার।
ফল চার চেম্বারে বিভক্ত। প্রতিটা চেম্বারে ত্রিকোণাকার তিন চারটা বীজ থাকে। একেকটা বীজ তিনটা সরিষাদানার সমান হবে; দ্বিবীজপত্রী।
শরতকালে বনওকড়া গাছে ফল আসা শুরু করে। শীতের মাঝামাঝি নাগাদ শেষ হয়। শীতের শেষ দিকে বনওকড়ার গাছ শুকিয়ে মারা যায়। বর্ষাকালে মাটিতে ঘুমিয়ে থাকা বীজ থেকে নতুন চারা গজায়।
বনওকড়ার বৈজ্ঞানিক নাম : Urena lobata.
বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে চুলের গঠন, তার প্রাকৃতিক বৃদ্ধি এবং ক্ষতির কারণ নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। চুল মূলত প্রোটিন দ্বারা গঠিত, বিশেষ করে কেরাটিন নামের একটি প্রোটিন চুলের মূল উপাদান। যখন চুল পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না কিংবা বাইরে থেকে সঠিক যত্ন পায় না, তখন তা রুক্ষ হয়ে যায়, ভেঙে যায় এবং ঝরে পড়ে। তেল মূলত চ
২১ ঘণ্টা আগেলাল লতিকা হট্টিটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে। এই পাখিটি খুবেই চটপটে ও চঞ্চল প্রকৃতির হয়ে থাকে। তার সতর্ক ভঙ্গি ও জলশয়ের পাতার ওপর দ্রুত দৌড়ানোর ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। লাল লতিকা হট্টিটি লম্বায় ৩৪-৩৭ সেন্টিমিটার। এদের চোখের সামনে টকটকে লাল চামড়া। সেটিই লতিকা।
২ দিন আগেঅচ্যুত পোতদারের অভিনয়জীবন ছিল চার দশকেরও বেশি। তিনি ১২৫টির বেশি হিন্দি ও মারাঠি ছবিতে কাজ করেছেন। হিন্দি ও মারাঠি চলচ্চিত্র অঙ্গনে তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন নম্র, অমায়িক এবং বহুমুখী প্রতিভ
২ দিন আগেথাইরয়েড সমস্যায় ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে কিছু ফল আছে যেগুলো থাইরয়েড রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। এসব ফলে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র ফল খেয়েই থাইরয়েড সারানো
২ দিন আগে